৬১১৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযিঃ) এর ফযীলত

৬১১৪-(৩২/...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মদ ইবনু আব্বাদ (রহঃ) .... সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, মু’আবিয়াহ ইবনু আবূ সুফইয়ান (রাযিঃ) সা’দ (রাযিঃ) কে আমির (প্রতিনিধি) নিযুক্ত করলেন এবং বললেন, আপনি আলী (রাযিঃ) কে কেন মন্দ বলেন না? সা’দ বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্বন্ধে যে তিনটি কথা বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তা আমি মনে রাখবো ততক্ষণ পর্যন্ত কখনও তাকে খারাপ বলব না। সেসব কথার মধ্য হতে একটিও যদি আমি লাভ করতে পারতাম তাহলে তা আমার জন্য লাল উটের চেয়েও অধিক কল্যাণকর হত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’আলী (রাযিঃ) এর উদ্দেশে বলতে শুনেছি- আলী (রাযিঃ) কে কোন যুদ্ধের সময় প্রতিনিধি বানিয়ে রেখে গেলে তিনি বললেন, মহিলা ও শিশুদের মধ্যে আমাকে রেখে যাচ্ছেন, হে আল্লাহর রসূল? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি এতে আনন্দবোধ করো না যে, আমার নিকট তোমার সম্মান মূসা (আঃ) এর নিকট হারূন (আঃ) এর মতো। এ কথা ভিন্ন যে, আমার পর আর কোন নবী নেই।

খাইবারের যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি, আমি এমন এক লোককে পতাকা (ইসলামের ঝাণ্ডা) দেব যে আল্লাহ ও তার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভালবাসে এবং আল্লাহ ও তার রসূলও তাকে ভালবাসেন। এ কথা শুনে আমরা (অধির আগ্রহে) অপেক্ষা করতে থাকলাম। তখন তিনি বললেন, ’আলীকে ডাকো। আলী আসলেন, তার চোখ (অসুখ হয়েছিল) উঠেছিল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চোখে থুথু লাগিয়ে দিলেন এবং তার হাতে পতাকা সপে দিলেন। অবশেষে আল্লাহ তার হাতেই বিজয়মালা (পতাকা) তুলে দিলেন। আর যখন আয়াতঃ চলো আমরা আমাদের এবং তোমাদের সন্তান-সন্ততিকে ডাকি”— (সূরাহ আ-লি ইমরান ৩ঃ ৬১) অবতীর্ণ হলো, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী, ফাতিমাহ, হাসান ও হুসায়ন (রাযিঃ) কে ডাকলেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিবার-পরিজন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০০২, ইসলামিক সেন্টার ৬০৪১)

باب مِنْ فَضَائِلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رضى الله عنه ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَرَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا فَقَالَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسُبَّ أَبَا التُّرَابِ فَقَالَ أَمَّا مَا ذَكَرْتُ ثَلاَثًا قَالَهُنَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَنْ أَسُبَّهُ لأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَهُ خَلَّفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَلَّفْتَنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نُبُوَّةَ بَعْدِي ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ ‏"‏ لأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلاً يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَتَطَاوَلْنَا لَهَا فَقَالَ ‏"‏ ادْعُوا لِي عَلِيًّا ‏"‏ ‏.‏ فَأُتِيَ بِهِ أَرْمَدَ فَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ وَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ‏)‏ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، ومحمد بن عباد، - وتقاربا في اللفظ - قالا حدثنا حاتم، - وهو ابن اسماعيل - عن بكير بن مسمار، عن عامر بن سعد بن ابي وقاص، عن ابيه، قال امر معاوية بن ابي سفيان سعدا فقال ما منعك ان تسب ابا التراب فقال اما ما ذكرت ثلاثا قالهن له رسول الله صلى الله عليه وسلم فلن اسبه لان تكون لي واحدة منهن احب الى من حمر النعم سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول له خلفه في بعض مغازيه فقال له علي يا رسول الله خلفتني مع النساء والصبيان فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اما ترضى ان تكون مني بمنزلة هارون من موسى الا انه لا نبوة بعدي ‏"‏ ‏.‏ وسمعته يقول يوم خيبر ‏"‏ لاعطين الراية رجلا يحب الله ورسوله ويحبه الله ورسوله ‏"‏ ‏.‏ قال فتطاولنا لها فقال ‏"‏ ادعوا لي عليا ‏"‏ ‏.‏ فاتي به ارمد فبصق في عينه ودفع الراية اليه ففتح الله عليه ولما نزلت هذه الاية ‏(‏ فقل تعالوا ندع ابناءنا وابناءكم‏)‏ دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم عليا وفاطمة وحسنا وحسينا فقال ‏"‏ اللهم هولاء اهلي ‏"‏ ‏.‏


Amir b. Sa'd b. Abi Waqqas reported on the authority of his father that Muawiya b. Abi Sufyan appointed Sa'd as the Governor and said:
What prevents you from abusing Abu Turab (Hadrat 'Ali), whereupon be said: It is because of three things which I remember Allah's Messenger (ﷺ) having said about him that I would not abuse him and even if I find one of those three things for me, it would be more dear to me than the red camels. I heard Allah's Messenger (ﷺ) say about 'Ali as he left him behind in one of his campaigns (that was Tabuk). 'Ali said to him: Allah's Messenger, you leave me behind along with women and children. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said to him: Aren't you satisfied with being unto me what Aaron was unto Moses but with this exception that there is no prophethood after me. And I (also) heard him say on the Day of Khaibar: I would certainly give this standard to a person who loves Allah and his Messenger, and Allah and his Messenger love him too. He (the narrator) said: We had been anxiously waiting for it, when he (the Holy Prophet) said: Call 'Ali. He was called and his eyes were inflamed. He applied saliva to his eyes and handed over the standard to him, and Allah gave him victory. (The third occasion is this) when the (following) verse was revealed: "Let us summon our children and your children." Allah's Messenger (ﷺ) called 'Ali, Fatima, Hasan and Husain and said: O Allah, they are my family.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৫। সাহাবা (রাযিঃ) গণের ফজিলত [মর্যাদা] (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم)