৪৩০৩

পরিচ্ছেদঃ ২. সম্রান্ত চোর এবং অন্যান্যদের হাত কাটা এবং ‘হুদুদ’ (শারীআত কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি)-এর ব্যাপারে সুপারিশ নিষিদ্ধ

৪৩০৩-(৯/...) আবূ তাহির ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, কুরায়শরা এক মহিলার ব্যাপারে চিন্তিত হয়ে পড়লো, যে মহিলাটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়কালে মক্কাহ বিজয়ের সময় চুরি করেছিল। তখন তারা বলল, এ ব্যাপারে কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কথা (সুপারিশ) বলবে? তখন তারা বলল, এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয়পাত্র উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) ব্যতীত আর কার হিম্মত থাকতে পারে? তিনি হলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খুবই প্রিয় পাত্র। অতঃপর উক্ত মহিলাকে নিয়ে উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এসে তার ব্যাপারে কথা বললেন। এতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হদ এর ব্যাপারে সুপারিশ করতে চাও? তখন উসামাহ্ (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল। আমার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

যখন সন্ধ্যা হল তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দণ্ডায়মান হয়ে এক ভাষণ দিলেন। প্রথমে তিনি আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণকে ধ্বংস করা হয়েছে এজন্য যে, যখন তাদের মধ্যে কোন সম্ভ্রান্ত লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন তাদের মধ্যে কোন হীন লোক চুরি করতো, তখন তার উপর হদ’ প্রয়োগ করতো। সে মহান আল্লাহর কসম যার হাতে আমার জীবন যদি মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমাহও চুরি করতো, তবে অবশ্যই আমি তার হাত কেটে দিতাম। এরপর যে মহিলা চুরি করেছিল, তিনি তার হাত কাটার নির্দেশ দিলেন। সুতরাং তার হাত কেটে দেয়া হল।

ইউনুস (রহঃ) আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, অতঃপর সে মহিলা খাটিভাবে তওবা্ করল এবং এরপরে তার বিয়ে হলো। আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, এ ঘটনার পর ঐ মহিলা প্রায়ই আমার কাছে আসতো। তার কোন প্রয়োজন থাকলে আমি তা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তুলে ধরতাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪২৬৪, ইসলামিক সেন্টার ৪২৬৪)

باب قَطْعِ السَّارِقِ الشَّرِيفِ وَغَيْرِهِ وَالنَّهْىِ عَنِ الشَّفَاعَةِ فِي الْحُدُودِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ - قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ، وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ قُرَيْشًا أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَرْأَةِ الَّتِي سَرَقَتْ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ فَقَالُوا مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلاَّ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأُتِيَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَهُ فِيهَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ أُسَامَةُ اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَلَمَّا كَانَ الْعَشِيُّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَطَبَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّمَا أَهْلَكَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَإِنِّي وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَمَرَ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقُطِعَتْ يَدُهَا ‏.‏ قَالَ يُونُسُ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ فَحَسُنَتْ تَوْبَتُهَا بَعْدُ وَتَزَوَّجَتْ وَكَانَتْ تَأْتِينِي بَعْدَ ذَلِكَ فَأَرْفَعُ حَاجَتَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

وحدثني ابو الطاهر، وحرملة بن يحيى، - واللفظ لحرملة - قالا اخبرنا ابن، وهب قال اخبرني يونس بن يزيد، عن ابن شهاب، قال اخبرني عروة بن الزبير، عن عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان قريشا اهمهم شان المراة التي سرقت في عهد النبي صلى الله عليه وسلم في غزوة الفتح فقالوا من يكلم فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا ومن يجترى عليه الا اسامة بن زيد حب رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فاتي بها رسول الله صلى الله عليه وسلم فكلمه فيها اسامة بن زيد فتلون وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ اتشفع في حد من حدود الله ‏"‏ ‏.‏ فقال له اسامة استغفر لي يا رسول الله ‏.‏ فلما كان العشي قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فاختطب فاثنى على الله بما هو اهله ثم قال ‏"‏ اما بعد فانما اهلك الذين من قبلكم انهم كانوا اذا سرق فيهم الشريف تركوه واذا سرق فيهم الضعيف اقاموا عليه الحد واني والذي نفسي بيده لو ان فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها ‏"‏ ‏.‏ ثم امر بتلك المراة التي سرقت فقطعت يدها ‏.‏ قال يونس قال ابن شهاب قال عروة قالت عاىشة فحسنت توبتها بعد وتزوجت وكانت تاتيني بعد ذلك فارفع حاجتها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏


`A'isha, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), reported that the Quraish were concerned about the woman who had committed theft during the lifetime of Allah's Apostle (ﷺ), in the expedition of Victory (of Mecca). They said:
Who would speak to Allah's Messenger (ﷺ) about her? They (again) said: Who can dare do this but Usama b. Zaid, the loved one of Allah's Messenger (ﷺ)? She was brought to Allah's Messenger (ﷺ) and Usama b. Zaid spoke about her to him (interceded on her behalf). The color of the face of Allah's Messenger (ﷺ) changed, and he said: Do you intercede in one of the prescribed punishments of Allah? He (Usama) said: 'Messenger of Allah, seek forgiveness for me.' When it was dusk. Allah's Messenger (ﷺ) stood up and gave an address. He (first) glorified Allah as He deserves, and then said: Now to our topic. This (injustice) destroyed those before you that when any one of (high) rank committed theft among them, they spared him, and when any weak one among them committed theft, they inflicted the prescribed punishment upon him. By Him in Whose Hand is my life, even if Fatima daughter of Muhammad were to commit theft, I would have cut off her hand. He (the Holy Prophet) then commanded about that woman who had committed theft, and her hand was cut off. `A'isha (further) said: Hers was a good repentance, and she later on married and used to come to me after that, and I conveyed her needs (and problems) to Allah's Messenger (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩০। অপরাধের (নির্ধারিত) শাস্তি (كتاب الحدود)