৩৬৩৮

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

৩৬৩৮-(৪/১৪৯৩) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ্ ইবনে নুমায়র ও আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুস’আবের স্ত্রীর ব্যাপারে আমাকে লিআনকারী দু’জনের মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, তাদের আলাদা করা হবে কি না। তিনি বলেনঃ তখন আমি কী বলব তা আমি বুঝতে পারছিলাম না। এরপর আমি মক্কায় ইবনু উমর (রাযিঃ) এর বাসায় গেলাম। আমি তার গোলামকে বললাম, আমার জন্য অনুমতি নিয়ে এসো। সে বললঃ তিনি এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি আমার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। তিনি বললেনঃ ইবনু জুবায়র? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ ভিতরে এসো। আল্লাহর কসম! বিশেষ প্রয়োজনই এ সময় তোমাকে নিয়ে এসেছে। আমি ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলাম তিনি একটি কম্বল বিছিয়ে একটি বালিশের উপর হেলান দিয়ে আছেন। বালিশটি খেজুর ছোবড়ায় ভরা ছিল। আমি বললামঃ হে আবূ আবদুর রহমান দুজন লিআনকারী- এদের কি পৃথক করা হবে? তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! হ্যাঁ।

সর্বপ্রথম এ বিষয়ে অমুকের পুত্র অমুক জিজ্ঞেস করেছিল। সে বলেছিলঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি কী বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কেউ তার স্ত্রীকে অপকর্মে লিপ্ত দেখতে পায় তাহলে সে কী করবে? যদি সে বলাবলি করে তাহলে তো গুরুতর আকার ধারণ করবে। যদি সে নীরব থাকে, তাহলে এমন সাংঘাতিক বিষয়ে কি করে নীরব থাকবে। তিনি বলেনঃ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ রইলেন; কোন উত্তর দিলেন না। সে ব্যক্তি আবার তার কাছে এসে বললঃ হে আল্লাহর রসূল! যে বিষয়টি সম্পর্কে ইতোপূর্বে আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমার নিজের উপরই তা ঘটেছে। তখন আল্লাহ তা’আলা সূরা আন-নূর-এর এ আয়াতগুলো নাযিল করেন-

"আর যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কোন সাক্ষী নেই- তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্যের পদ্ধতি হবে এই যে, সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, সে অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর আল্লাহর লা’নাত বর্ষিত হবে। আর স্ত্রীর শাস্তি বাতিল করা হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যাবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে, তার স্বামী যদি সত্যবাদী হয় তবে নিজের উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব”— (সূরা আন-নূর ২৪ঃ ৬-৯)।

তিনি তাকে এ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে শোনালেন। এরপর তাকে নসীহত করলেন এবং স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজ। সে বলল, না। সে মহান সত্তার কসম যিনি আপনাকে নবী হিসেবে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি তার (আমার স্ত্রীর) উপর কোন মিথ্যা আরোপ করিনি। এরপর তিনি মহিলাকে ডেকে পাঠালেন এবং তাকে উপদেশ দিলেন, তাকে আখিরাতের ভয় দেখালেন, সর্বোপরি তাকে জানিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না, সে মহান সত্তার কসম– যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, নিশ্চয়ই সে মিথ্যাবাদী। এরপর তিনি পুরুষ লোকটির দ্বারা লিআন বাক্য পাঠ করাতে শুরু করলেন। তখন সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দিল যে, সে তার কথায় সত্যবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তার উপর আল্লাহর লা’নাত নেমে আসুক।

এরপর তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্ত্রীলোকটিকে ডেকে পাঠালেন। সেও আল্লাহর নামে শপথ করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে (স্বামী) মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে (তার স্বামী) সত্যবাদী হয় তাহলে তার (মহিলার) উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৬০৪, ইসলামিক সেন্টার ৩৬০৪)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ، جُبَيْرٍ قَالَ سُئِلْتُ عَنِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ، فِي إِمْرَةِ مُصْعَبٍ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا قَالَ فَمَا دَرَيْتُ مَا أَقُولُ فَمَضَيْتُ إِلَى مَنْزِلِ ابْنِ عُمَرَ بِمَكَّةَ فَقُلْتُ لِلْغُلاَمِ اسْتَأْذِنْ لِي ‏.‏ قَالَ إِنَّهُ قَائِلٌ فَسَمِعَ صَوْتِي ‏.‏ قَالَ ابْنُ جُبَيْرٍ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ادْخُلْ فَوَاللَّهِ مَا جَاءَ بِكَ هَذِهِ السَّاعَةَ إِلاَّ حَاجَةٌ فَدَخَلْتُ فَإِذَا هُوَ مُفْتَرِشٌ بَرْذَعَةً مُتَوَسِّدٌ وِسَادَةً حَشْوُهَا لِيفٌ قُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُتَلاَعِنَانِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ نَعَمْ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ أَنْ لَوْ وَجَدَ أَحَدُنَا امْرَأَتَهُ عَلَى فَاحِشَةٍ كَيْفَ يَصْنَعُ إِنْ تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ بِأَمْرٍ عَظِيمٍ ‏.‏ وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى مِثْلِ ذَلِكَ قَالَ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ الَّذِي سَأَلْتُكَ عَنْهُ قَدِ ابْتُلِيتُ بِهِ ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ فِي سُورَةِ النُّورِ ‏(‏ وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ‏)‏ فَتَلاَهُنَّ عَلَيْهِ وَوَعَظَهُ وَذَكَّرَهُ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ قَالَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا كَذَبْتُ عَلَيْهَا ‏.‏ ثُمَّ دَعَاهَا فَوَعَظَهَا وَذَكَّرَهَا وَأَخْبَرَهَا أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ ‏.‏ قَالَتْ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنَّهُ لَكَاذِبٌ فَبَدَأَ بِالرَّجُلِ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي ح، وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، - واللفظ له - حدثنا عبد الله بن نمير، حدثنا عبد الملك بن ابي سليمان، عن سعيد بن، جبير قال سىلت عن المتلاعنين، في امرة مصعب ايفرق بينهما قال فما دريت ما اقول فمضيت الى منزل ابن عمر بمكة فقلت للغلام استاذن لي ‏.‏ قال انه قاىل فسمع صوتي ‏.‏ قال ابن جبير قلت نعم ‏.‏ قال ادخل فوالله ما جاء بك هذه الساعة الا حاجة فدخلت فاذا هو مفترش برذعة متوسد وسادة حشوها ليف قلت ابا عبد الرحمن المتلاعنان ايفرق بينهما قال سبحان الله نعم ان اول من سال عن ذلك فلان بن فلان قال يا رسول الله ارايت ان لو وجد احدنا امراته على فاحشة كيف يصنع ان تكلم تكلم بامر عظيم ‏.‏ وان سكت سكت على مثل ذلك قال فسكت النبي صلى الله عليه وسلم فلم يجبه فلما كان بعد ذلك اتاه فقال ان الذي سالتك عنه قد ابتليت به ‏.‏ فانزل الله عز وجل هولاء الايات في سورة النور ‏(‏ والذين يرمون ازواجهم‏)‏ فتلاهن عليه ووعظه وذكره واخبره ان عذاب الدنيا اهون من عذاب الاخرة قال لا والذي بعثك بالحق ما كذبت عليها ‏.‏ ثم دعاها فوعظها وذكرها واخبرها ان عذاب الدنيا اهون من عذاب الاخرة ‏.‏ قالت لا والذي بعثك بالحق انه لكاذب فبدا بالرجل فشهد اربع شهادات بالله انه لمن الصادقين والخامسة ان لعنة الله عليه ان كان من الكاذبين ثم ثنى بالمراة فشهدت اربع شهادات بالله انه لمن الكاذبين والخامسة ان غضب الله عليها ان كان من الصادقين ثم فرق بينهما.‏


Sa'id b Jubair reported:
I was asked about the invokers of curses during the reign of Mus'ab (b. Zubair) whether they could separate (themselves by this process). He said: I did not understand what to say. So I went to the house of Ibn 'Umar (Allah be pleased with them) in Mecca. I said to his servant: Seek permission for Me. He said that he (Ibn 'Umar) had been taking rest. He (Ibn 'Umar) heard my voice. and said: Are you Ibn Jubair? I said: Yes. He'said: Come in. By Allah, it must be some (great) need which has brought you here at this Hour. So I got in and found him lying on a blanket reclining against a pillow stuffed with fibres of date-palm. I said: O Abu'Abd al-Rahman, should there be separation between the invokers of curses? He said: Hallowed be Allah, yes, The first one who asked about it was so and so. he said: Messenger of Allah, tell me If one of us finds his wife committing adultery: what should he do? If he talks, that is something great, and if he keeps quiet that is also (something great) (which he cannot afford to do). Allah's Prophet (ﷺ) kept quiet (or some time). After some time he (that very person) came to him (Allah's Messenger) and said: I have been involved in that very cage about which I had asked you Allah the Exalted and Majestic then revealed (these) verses of Surah Nur:" Those who accuse their wives" (verse 6), and he (the Holy Prophet) recited them to him and admonished him, and exhorted him and informed him that the torment of the world is less painful than the torment of the Hereafter. He said: No, by Him Who sent you with Truth, I did not tell a lie against her. He (the Holy Prophet) then called her (the wife of that person who had accused her) and admonished her, and exhorted her, and informed her that the torment of this world is less painful than the torment of the Hereafter. She said: No, by Him Who sent thee with Truth, he is a liar. (it was) the man who started the swearing of oath and he swore in the name of Allah four times that he was among the truthful. and at the fifth turn he said: Let there be curse of Allah upon him if he were among the liars. Then the woman was called and she swore four times in the name of Allah that he (her husband) was among the liars, and at the fifth time (she said): Let there be curse upon her if he were among the truthful. He (the Holy Prophet) then effected separation between the two.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
২০। লি'আন (كتاب اللعان)