৪৭৬৮

পরিচ্ছেদঃ ২৪৬৯. ইয়াতীম বালিকার শাদী দেয়া। আল্লাহ্ তা’আলার বাণী’’ ‘‘যদি তোমরা ভয় কর যে ইয়াতীম বালিকাদের প্রতি পূর্ণ ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমার পছন্দ মতো অন্য কাউকে শাদী কর।’’ কেউ কোন অভিভাবককে যদি বলে, অমুক মহিলাকে আমার সঙ্গে শাদী দিন এবং সে যদি চুপ থাকে অথবা তাকে বলে তোমার কাছে কি আছে? সে উত্তরে বলে, আমার কাছে এই এই আছে অথবা নীরব থাকে। এরপর অভিভাবক বলেন, আমি তাকে তোমার কাছে শাদী দিলাম, তাহলে তা বৈধ। এ ব্যাপারে সাহল (রা) নবী (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

৪৭৬৮। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... উরওয়া ইবনুয যুবায়র (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেন, খালাম্মা, "যদি তোমরা ভয় কর যে, ইয়াতীম বালিকাদের প্রতি ন্যায় বিচার করতে পারবে না তোমাদের দক্ষিন হস্ত যার মালিক ...। এই আয়াত কোন্ প্রসঙ্গে নাযিল হয়েছে? আয়িশা (রাঃ) বললেন, হে আমার ভাগ্নে! এই আয়াত ঐ ইয়াতীম বালিকাদের প্রসঙ্গে অবর্তর্ণ হয়েছে, যারা তার অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং সেই অভিভাবক তার রূপ ও সম্পদে আকৃষ্ট হয়ে তাকে শাদী করতে চায়; কিন্তু তার মোহরানা কম দিতে চায়। এই আয়াতের মাধ্যমে উক্ত বালিকাদের শাদী করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তাদের ব্যতীত অন্য নারীদের শাদী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবশ্য যদি সে এদের পূর্ণ মোহরানা আদায় করে দেয় তবে সে শাদী করতে পারবে।

আয়িশা (রাঃ) আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে লোকেরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিজ্ঞেস করলে আল্লাহ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ "তারা তোমার কাছে মহিলাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে এবং তোমরা যাদের শাদী করতে চাও" আল্লাহ তা’আলা এদের জন্য এ আয়াত নাযিল করেন; যদি কোন ইয়াতীম বালিকার সৌন্দর্য এবং সম্পদ থাকে, তাহলে এরা তাদেরকে শাদী করতে চায় এবং এদের স্বীয় আভিজাত্যের ব্যাপারেও ইচ্ছা পোষণ করে এবং মোহর কম দিতে চায়। কিন্তু সে যদি তাদের পছন্দমতো পাত্রী না হয়, তার সম্পদ ও রূপ কম হওয়ার কারণে এদেরকে ত্যাগ করে অন্য মেয়ে শাদী করে। আয়িশা (রাঃ) বলেন, যেমনিভাবে এদের প্রতি অনীহার সময় এদের পরিত্যাগ করতে চায় তদ্রুপ যে সময় আকর্ষণ থাকবে, সে সময়েও যেন তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করে পূর্ণ মোহর আদায় করে।

باب تَزْوِيجِ الْيَتِيمَةِ لِقَوْلِهِ: {وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا}، إِذَا قَالَ لِلْوَلِيِّ زَوِّجْنِي فُلاَنَةَ. فَمَكِثَ سَاعَةً أَوْ قَالَ مَا مَعَكَ فَقَالَ مَعِي كَذَا وَكَذَا. أَوْ لَبِثَا ثُمَّ قَالَ زَوَّجْتُكَهَا. فَهْوَ جَائِزٌ. فِيهِ سَهْلٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،‏.‏ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَ لَهَا يَا أُمَّتَاهْ ‏(‏وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى‏)‏ إِلَى ‏(‏مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ‏)‏ قَالَتْ عَائِشَةُ يَا ابْنَ أُخْتِي هَذِهِ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حَجْرِ وَلِيِّهَا، فَيَرْغَبُ فِي جَمَالِهَا وَمَالِهَا، وَيُرِيدُ أَنْ يَنْتَقِصَ مِنْ صَدَاقِهَا، فَنُهُوا عَنْ نِكَاحِهِنَّ‏.‏ إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ فِي إِكْمَالِ الصَّدَاقِ وَأُمِرُوا بِنِكَاحِ مَنْ سِوَاهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ، قَالَتْ عَائِشَةُ اسْتَفْتَى النَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ‏)‏ إِلَى ‏(‏وَتَرْغَبُونَ‏)‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ فِي هَذِهِ الآيَةِ أَنَّ الْيَتِيمَةَ إِذَا كَانَتْ ذَاتَ مَالٍ وَجَمَالٍ، رَغِبُوا فِي نِكَاحِهَا وَنَسَبِهَا وَالصَّدَاقِ، وَإِذَا كَانَتْ مَرْغُوبًا عَنْهَا فِي قِلَّةِ الْمَالِ وَالْجَمَالِ، تَرَكُوهَا وَأَخَذُوا غَيْرَهَا مِنَ النِّسَاءِ ـ قَالَتْ ـ فَكَمَا يَتْرُكُونَهَا حِينَ يَرْغَبُونَ عَنْهَا، فَلَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَنْكِحُوهَا إِذَا رَغِبُوا فِيهَا، إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهَا وَيُعْطُوهَا حَقَّهَا الأَوْفَى مِنَ الصَّدَاقِ‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري،‏.‏ وقال الليث حدثني عقيل، عن ابن شهاب، اخبرني عروة بن الزبير، انه سال عاىشة ـ رضى الله عنها ـ قال لها يا امتاه ‏(‏وان خفتم ان لا تقسطوا في اليتامى‏)‏ الى ‏(‏ما ملكت ايمانكم‏)‏ قالت عاىشة يا ابن اختي هذه اليتيمة تكون في حجر وليها، فيرغب في جمالها ومالها، ويريد ان ينتقص من صداقها، فنهوا عن نكاحهن‏.‏ الا ان يقسطوا لهن في اكمال الصداق وامروا بنكاح من سواهن من النساء، قالت عاىشة استفتى الناس رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد ذلك فانزل الله ‏(‏ويستفتونك في النساء‏)‏ الى ‏(‏وترغبون‏)‏ فانزل الله عز وجل لهم في هذه الاية ان اليتيمة اذا كانت ذات مال وجمال، رغبوا في نكاحها ونسبها والصداق، واذا كانت مرغوبا عنها في قلة المال والجمال، تركوها واخذوا غيرها من النساء ـ قالت ـ فكما يتركونها حين يرغبون عنها، فليس لهم ان ينكحوها اذا رغبوا فيها، الا ان يقسطوا لها ويعطوها حقها الاوفى من الصداق‏.‏


Narrated 'Urwa bin Az-Zubair:

that he asked `Aisha, saying to her, "O Mother! (In what connection was this Verse revealed): 'If you fear that you shall not be able to deal justly with orphan girls (to the end of the verse) that your right hands possess?" (4.3) Aisha said, "O my nephew! It was about the female orphan under the protection of her guardian who was interested in her beauty and wealth and wanted to marry her with a little or reduced Mahr. So such guardians were forbidden to marry female orphans unless they deal with them justly and give their full Mahr; and they were ordered to marry women other than them."`Aisha added, "(Later) the people asked Allah's Messenger (ﷺ), for instructions, and then Allah revealed: 'They ask your instruction concerning the women . . . And yet whom you desire to marry.' (4.127) So Allah revealed to them in this Verse that-if a female orphan had wealth and beauty, they desired to marry her and were interested in her noble descent and the reduction of her Mahr; but if she was not desired by them because of her lack in fortune and beauty they left her and married some other woman. So, as they used to leave her when they had no interest in her, they had no right to marry her if they had the desire to do so, unless they deal justly with her and gave her a full amount of Mahr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫৪/ বিয়ে-শাদী (كتاب النكاح)