পরিচ্ছেদঃ ১৬. দাওয়াতে সাড়া দেয়ার নির্দেশ
৩৪০৬-(১০১/...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কাউকে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে অথবা এ ধরনের অন্য কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয়, সে যেন সাড়া দেয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৭৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৭৮)
باب الأَمْرِ بِإِجَابَةِ الدَّاعِي إِلَى دَعْوَةٍ
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ دُعِيَ إِلَى عُرْسٍ أَوْ نَحْوِهِ فَلْيُجِبْ " .
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দাবি মোতাবেক এটা প্রমাণিত হয় যে, যে ব্যক্তিকে বিবাহের ওয়ালিমায় আমন্ত্রিত করা হবে, সে ব্যক্তির প্রতি বিবাহের ওয়ালিমার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা ওয়াজেব ও অপরিহার্য হয়ে যাবে। যেহেতু ওয়ালিমার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করার মাধ্যমে বরকন্যা বা পাত্র পাত্রীর গুরুত্ব ও সম্মান প্রকাশ করা হয়, তাদেরকে আনন্দিত করা হয় এবং তাদের মনকে প্রফুল্লিত করা হয়। আরবী ভাষায় বিবাহের ওয়ালিমার নিমন্ত্রণকে আল উর্স (العُرْسُ ) বলা হয়।
২। প্রকৃত ইসলাম হলো সচ্চরিত্র ও ভাল আচরণ এবং পরিষ্কার হৃদয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার ধর্ম। যাতে পরিবার ও সমাজের লোকদের মধ্যে পরস্পর ঘৃণা ও অমঙ্গলের প্রভাব প্রকাশ না পায়। তাই যে ওয়ালিমার মধ্যে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষার বিপরীত বা উল্টো কোনো আচরণ থাকবে না, সেই ওয়ালিমার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা ওয়াজেব ও অপরিহার্য হয়ে পড়বে।
৩। মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ বা জায়েজ নয় যে, সে ওয়ালিমার অনুষ্ঠানে অথবা অন্য কোনো পানাহারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুঁজে খুঁজে খাবার জিনিসের বা খাদ্যদ্রব্যের খুঁত বা দোষ বের করবে। সুতরাং আহার্য ও খাবার জিনিসের বা খাদ্যদ্রব্য তার পছন্দমাফিক ও মনের মত হলে খাবে আর মনের মত না হলে খাবে না।
Ibn 'Umar (Allah be pleated with them) reported Allah's Messenger (ﷺ) having said:
He who is invited to a wedding feast or like it, he should accept it.