২৮৪৭

পরিচ্ছেদঃ ২২. ইহরাম থেকে হালাল হওয়া রহিতকরণ এবং তা পূর্ণ করার নির্দেশ প্রসঙ্গে

২৮৪৭-(১৫৪/১২২১) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আবূ মূসা (রাযিঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। তিনি বাতহা নামক স্থানে উট বসিয়ে যাত্রা বিরতি করছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি হাজ্জের (হজ্জের/হজের) নিয়্যাত করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি কী ধরনের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি বললেন, আমি বলেছি- লাব্বায়কা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছেন, আমিও তদ্রুপ ইহরাম বাঁধলাম। তিনি বললেন, তুমি ভালই করেছ। এখন বায়তুল্লাহ এর ত্বওয়াফ (তাওয়াফ/তওয়াফ) কর এবং সাফা-মারওয়ার সাঈ কর, অতঃপর ইহরাম খুলে ফেল। তিনি বলেন, আমি বায়তুল্লাহ এর ত্বওয়াফ করলাম, সাফা-মারওয়ার সাঈ করলাম, অতঃপর কায়স গোত্রের এক স্ত্রীলোকের নিকট এলাম। সে আমার মাথার উকুন বেছে দিল।

এরপর আমি হাজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। আমি লোকদেরকে এভাবেই ফাতাওয়া দিতে থাকলাম ’উমার (রাযিঃ) এর খিলাফাত পর্যন্ত। এ সময় এক ব্যক্তি তাকে বলল, হে আবূ মূসা অথবা (বলল) আবদুল্লাহ ইবনু কায়স! আপনার কিছু ফাতাওয়া আপাততঃ স্থগিত রাখুন। কারণ আমীরুল মু’মিনীন (উমার) আপনার পরে হজ্জ সম্পর্কে যে নতুন বিধান প্রবর্তন করেছেন, তা আপনি জ্ঞাত নন।

তখন আবূ মূসা (রাযিঃ) বললেন, হে লোক সকল! আমি যাদের ফাতাওয়া দিয়েছি (ইহরাম খোলা সম্পর্কে) তারা যেন অপেক্ষা করে। কারণ আমীরুল মু’মিনীন অচিরেই তোমাদের নিকট আসছেন, অতএব তার আনুগত্য করা তোমাদের কর্তব্য। রাবী বলেন, উমর (রাযিঃ) এলেন এবং আমি তার সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করলাম। তিনি বললেন, আমরা যদি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী চলি, তবে তা আমাদের নির্দেশ দেয় (হাজ্জ ও উমরাহ) পূর্ণ করার। আমরা যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের উপর আমল করি, তবে কুরবানীর পশু তার (কুরবানীর) স্থানে না পৌছা পর্যন্ত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম খুলেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৮২৪, ইসলামীক সেন্টার ২৮২২)

باب فِي نَسْخِ التَّحَلُّلِ مِنَ الإِحْرَامِ وَالأَمْرِ بِالتَّمَامِ ‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ لِي ‏"‏ أَحَجَجْتَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ بِمَ أَهْلَلْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لَبَّيْكَ بِإِهْلاَلٍ كَإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَقَدْ أَحْسَنْتَ طُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَأَحِلَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ بَنِي قَيْسٍ فَفَلَتْ رَأْسِي ثُمَّ أَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ ‏.‏ قَالَ فَكُنْتُ أُفْتِي بِهِ النَّاسَ حَتَّى كَانَ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ - رضى الله عنه - فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا أَبَا مُوسَى - أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ - رُوَيْدَكَ بَعْضَ فُتْيَاكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدَكَ ‏.‏ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ فُتْيَا فَلْيَتَّئِدْ فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فَبِهِ فَائْتَمُّوا ‏.‏ قَالَ فَقَدِمَ عُمَرُ - رضى الله عنه - فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّ كِتَابَ اللَّهِ يَأْمُرُ بِالتَّمَامِ وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَحِلَّ حَتَّى بَلَغَ الْهَدْىُ مَحِلَّهُ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، وابن، بشار قال ابن المثنى حدثنا محمد بن جعفر، اخبرنا شعبة، عن قيس بن مسلم، عن طارق بن شهاب، عن ابي موسى، قال قدمت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو منيخ بالبطحاء فقال لي ‏"‏ احججت ‏"‏ ‏.‏ فقلت نعم ‏.‏ فقال ‏"‏ بم اهللت ‏"‏ ‏.‏ قال قلت لبيك باهلال كاهلال النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ‏"‏ فقد احسنت طف بالبيت وبالصفا والمروة واحل ‏"‏ ‏.‏ قال فطفت بالبيت وبالصفا والمروة ثم اتيت امراة من بني قيس ففلت راسي ثم اهللت بالحج ‏.‏ قال فكنت افتي به الناس حتى كان في خلافة عمر - رضى الله عنه - فقال له رجل يا ابا موسى - او يا عبد الله بن قيس - رويدك بعض فتياك فانك لا تدري ما احدث امير المومنين في النسك بعدك ‏.‏ فقال يا ايها الناس من كنا افتيناه فتيا فليتىد فان امير المومنين قادم عليكم فبه فاىتموا ‏.‏ قال فقدم عمر - رضى الله عنه - فذكرت ذلك له فقال ان ناخذ بكتاب الله فان كتاب الله يامر بالتمام وان ناخذ بسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم فان رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يحل حتى بلغ الهدى محله ‏.‏


Abu Musa (Allah be pleased with him) said:
I came to the Messenger of Allah (ﷺ) as he was encamping at Batha. He said to me: Did you intend to perform Hajj? I said: Yes. He again said: With what intention have you entered into the state of Ihram (for Ifrad, Qiran or Tamattu'). I said: I pronounced Talbiya (I have entered into the state of Ihram ) with that very aim with which the Messenger of Allah (ﷺ) is pronouncing Talbiya. He (the Holy Prophet) said; You have done well. Then circumambulate the House and run between al-Safa' and al-Marwa' and put off Ihram (as you have not brought the sacrificial animals along with you). So I circumambulated the House, and ran between al-Safa' and al-Marwa' and then came to a woman of the tribe of Qais and she rid my head of the lice. I again put on Ihram for Hajj. and continued giving religious verdict (according to this practice) till during the Caliphate of Umar (Allah be pleased with him) when a person said to him: Abu Musa, or Abdullah b. Qais, exercise restraint in delivering some religious verdict of yours, for you do not know what has been introduced after you by the Commander of the Believers in the rites (of Hajj). Thereupon he said: 0 people, whom we gave the religious verdict (concerning putting off Ihram ) they should wait, for the Commander of the Believers is about to come to you, and you should follow him. Umar (Allah be pleased with him) then came and I made a mention of it to him. whereupon he said: If we abide by the Book of Allah (we find) the Book of Allah has commanded us to complete the (. Hajj and 'Umra), and if we abide by the Sunnah of Allah's Messenger (ﷺ), we find that Allah's Messenger (ﷺ) did not put off Ihram till the sacrificial animal was brought to its end (till it was sacrificed).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৬। হজ্জ (كتاب الحج)