পরিচ্ছেদঃ ৮. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে সকল মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে তার বর্ণনা
৫৩. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: ’আমিই হলাম সর্বপ্রথম ব্যক্তি কিয়ামতের দিন যার মাথার উপর থেকে মাটি ফেটে যাবে, কিন্তু এতে কোন অহংকার নেই। আর আমাকে প্রশংসার পতাকা দেয়া হবে, তাতেও কোন অহংকার নেই। কিয়ামতের দিন আমিই হব মানবজাতির নেতা, এতেও আমার কোন অহংকার নেই। কিয়ামতের দিন আমিই হব জান্নাতে প্রবেশকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি, এতেও কোন অহংকার নেই। আর আমি জান্নাতের দরজায় এসে কড়া নাড়বো, তখন তারা (জান্নাতের প্রহরীরা) বলবে: এ ব্যক্তি কে? তখন আমি বলব: ’আমি মুহাম্মদ’। ফলে আমার জন্য তারা জান্নাতের দরজা খুলে দিবে আর আমি তাতে প্রবেশ করেই ’আল-জাব্বার’ (মহাপ্রতাপশালী) আল্লাহ’কে আমার সম্মুখেই পাব, ফলে আমি তাঁকে সাজদা করব, তখন তিনি বলবেন: ইয়া মুহাম্মদ, তোমার মাথা উঠাও, তুমি কথা বল, তোমার কথা শোনা হবে; তুমি বল, তোমার বক্তব্য কবুল করা হবে; তুমি শাফা’আত কর, তোমার শাফা’আত গৃহীত হবে।’ তখন আমি মাথা উঠাব এবং বলব: ’হে রব! আমার উম্মাত, আমার উম্মাত। তখন তিনি বলবেন: তুমি তোমার উম্মতের নিকট যাও, (তাদের মধ্য থেকে) যার অন্তরে যবের দানা পরিমাণ ঈমান পাবে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ তারপর আমি (তাদের নিকট) যাব, (তাদের মধ্য থেকে) যাদের অন্তরে যবের দানা পরিমাণ ঈমান পাব, তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব।’
তারপর আমি (আবার) ’আল-জাব্বার’ (মহাপ্রতাপশালী) আল্লাহ’কে আমার সম্মুখে পাব, ফলে আমি তাঁকে সাজদা করব, তখন তিনি বলবেন: হে মুহাম্মদ, তোমার মাথা উঠাও, তুমি কথা বল, তোমার কথা শোনা হবে; তুমি বল, তোমার বক্তব্য কবুল করা হবে; তুমি শাফা’আত কর, তোমার শাফা’আত গৃহীত হবে।’ তখন আমি মাথা উঠাব এবং বলব: ’হে রব! আমার উম্মাত, আমার উম্মাত। তখন তিনি বলবেন: তুমি তোমার উম্মতের নিকট যাও, (তাদের মধ্য থেকে) যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান পাবে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ তারপর আমি (তাদের নিকট) যাব, (তাদের মধ্য থেকে) যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান পাব, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব।’ যখন লোকদের হিসাব-নিকাশ শেষ হবে এবং আমার উম্মতের মধ্যকার যারা অবশিষ্ট রইল তাদেরকে জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে, তখন জাহান্নামের অধিবাসীরা তাদেরকে বলবে, তোমরা তো আল্লাহর ইবাদত করতে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করতে না, কিন্তু আজকে তা (তোমাদের এ কাজ) তোমাদের কোনই উপকারে আসল না।
তখন মহাপ্রতাপশালী (আল্লাহ) বলবেন, ’আমার ইযযতের কসম! আমি অবশ্যই তাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিব।’ এরপর তাদের নিকট (দূত) পাঠানো হবে, অতঃপর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে, তারপর তাদেরকে ’সঞ্জীবনী নহর’-এ প্রবেশ করানো হবে। তখন তারা সেখানে এমনভাবে পুনর্জীবন লাভ করবে, যেভাবে আবর্জনা স্তুপের সিক্ততায় শস্য দানা গজিয়ে উঠে। তাদের দু’চোখের মাঝে (কপালে) লেখা থাকবে ’এরা আল্লাহ’র (দয়ায়) মুক্তি প্রাপ্ত।’ তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। তখন জান্নাতের অধিবাসীরা এদেরকে বলবে, ’এরা (ছিল) জাহান্নামী’। তখন মহাপ্রতাপশালী (আল্লাহ) বলবেন: ’না, বরং ’এরা আল্লাহ’র (দয়ায়) মুক্তি প্রাপ্ত।’[1]
بَاب مَا أُعْطِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْفَضْلِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنِّي لَأَوَّلُ النَّاسِ تَنْشَقُّ الْأَرْضُ عَنْ جُمْجُمَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرُ، وَأُعْطَى لِوَاءَ الْحَمْدِ وَلَا فَخْرُ، وَأَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرُ، وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرُ، وَآتِي بَابَ الْجَنَّةِ فَآخُذُ بِحَلْقَتِهَا فَيَقُولُونَ: مَنْ هَذَا؟، فَأَقُولُ أَنَا مُحَمَّدٌ، فَيَفْتَحُونَ لِي فَأَدْخُلُ فَأَجِدُ الْجَبَّارَ مُسْتَقْبِلِي، فَأَسْجُدُ لَهُ، فَيَقُولُ: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا مُحَمَّدُ وَتَكَلَّمْ، يُسْمَعْ مِنْكَ، وَقُلْ، يُقْبَلْ مِنْكَ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَرْفَعُ رَأْسِي، فَأَقُولُ: أُمَّتِي أُمَّتِي يَا رَبّ، فَيَقُولُ: اذْهَبْ إِلَى أُمَّتِكَ، فَمَنْ وَجَدْتَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ شَعِيرٍ مِنْ الْإِيمَانِ، فَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، فَأَذْهَبُ، فَمَنْ وَجَدْتُ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ ذَلِكَ أَدْخَلْتُهُمْ الْجَنَّةَ، فَأَجِدُ الْجَبَّارَ مُسْتَقْبِلِي فَأَسْجُدُ لَهُ، فَيَقُولُ: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا مُحَمَّدُ وَتَكَلَّمْ، يُسْمَعْ مِنْكَ، وَقُلْ: يُقْبَلْ مِنْكَ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَقُولُ: أُمَّتِي أُمَّتِي يَا رَبِّ، فَيَقُولُ: اذْهَبْ إِلَى أُمَّتِكَ، فَمَنْ وَجَدْتَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ الْإِيمَانِ فَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، فَأَذْهَبُ، فَمَنْ وَجَدْتُ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ ذَلِكَ أَدْخَلْتُهُمْ الْجَنَّةَ، وَفُرِغَ مِنْ حِسَابِ النَّاسِ وَأُدْخِلَ مَنْ بَقِيَ مِنْ أُمَّتِي فِي النَّارِ مَعَ أَهْلِ النَّارِ، فَيَقُولُ أَهْلُ النَّارِ: مَا أَغْنَى عَنْكُمْ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَعْبُدُونَ اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُونَ بِهِ شَيْئًا، فَيَقُولُ الْجَبَّارُ: فَبِعِزَّتِي لَأَعْتِقَنَّهُمْ مِنْ النَّارِ، فَيُرْسِلُ إِلَيْهِمْ، فَيَخْرُجُونَ مِنْ النَّارِ وَقَدْ امْتُحِشُوا، فَيُدْخَلُونَ فِي نَهَرِ الْحَيَاةِ، فَيَنْبُتُونَ فِيهِ كَمَا تَنْبُتُ الْحِبَّةُ فِي غُثَاءِ السَّيْلِ وَيُكْتَبُ بَيْنَ أَعْيُنِهِمْ هَؤُلَاءِ عُتَقَاءُ اللَّهِ، فَيُذْهَبُ بِهِمْ فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ، فَيَقُولُ لَهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ: هَؤُلَاءِ الْجَهَنَّمِيُّونَ، فَيَقُولُ الْجَبَّار: بَلْ هَؤُلَاءِ عُتَقَاءُ الْجَبَّارِ
إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح فهو صدوق ولكنه كثير الخطأ وكانت فيه غفلة
তাখরীজ: আহমদ ৩/১৪৪; ইবনু মানদাহ, আত তাওহীদ ৮৭৭; বাইহাকী, দালাইল ৫/৪৭৯-৪৮০। এর শেষাংশ তথা শাফা’আতের অংশ বর্ণনা করেছেন আনাস হতে মুসলিম তার সহীহ নং ১৯৩ তে।