৩৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. (এক বান্দা পার্থিব জীবনের উপর আল্লাহ তা'আলার সান্নিধ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন)

৩৬৫৯। আবূল মুআল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা (ভাষণ) দেবার সময় বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা তার এক বান্দাকে এই ইখতিয়ার দেন যে, সে যতদিন ইচ্ছা দুনিয়ায় জীবন যাপন করবে এবং দুনিয়ার নিয়ামাতরাজি যথেচ্ছা ভোগ করবে অথবা আল্লাহ তা’আলার সাথে মিলিত হবে। ঐ বান্দা আল্লাহ তা’আলার সাথে মিলিত হওয়াকেই ইখতিয়ার করেছে। রাবী বলেন, (এ কথা শুনে) আবূ বকর (রাঃ) কেঁদে ফেলেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ বলেন, তোমরা কি এ বৃদ্ধের কাণ্ড দেখে অবাক হবে না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আল্লাহ্ তা’আলার এক পুণ্যবান বান্দা প্রসঙ্গে আলোচনা করলেন, তাকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও আল্লাহ তা’আলার সান্নিধ্য অর্জন, এ দু’টির যে কোন একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিয়েছেন তখন সে বান্দা তার রবের সান্নিধ্য অর্জনকেই ইখতিয়ার করেছেন (এতে কান্নার কি আছে)।

রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন, তার তাৎপর্য বুঝার ব্যাপারে আবূ বকর (রাঃ)-ই ছিলেন তাদের মধ্যে বেশি জ্ঞানী। আবূ বকর (রাঃ) বলেন, বরং আমরা আমাদের পিতা-মাতা ও আমাদের ধন-সম্পদ আপনার জন্য উৎসর্গ করব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ লোকদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে নিজের সাহচর্য ও নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ইবনু আবূ কুহাফার চাইতে অধিক আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছে। যদি আমি আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে ইবনু আবূ কুহাফাকেই অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু বড় বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব হচ্ছে ঈমানের (বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব)। এ কথা তিনি দুই অথবা তিনবার বলেন। তোমরা জেনে রাখ! তোমাদের সাথী (মহানবী) আল্লাহ্ তা’আলার একনিষ্ঠ বন্ধু।

সনদ দুর্বল

এ অনুচ্ছেদে আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي الْمُعَلَّى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ رَجُلاً خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ أَنْ يَعِيشَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَعِيشَ وَيَأْكُلَ فِي الدُّنْيَا مَا شَاءَ أَنْ يَأْكُلَ وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَلاَ تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا الشَّيْخِ إِذْ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً صَالِحًا خَيَّرَهُ رَبُّهُ بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ لِقَاءِ رَبِّهِ فَاخْتَارَ لِقَاءَ رَبِّهِ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَهُمْ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بَلْ نَفْدِيكَ بِآبَائِنَا وَأَمْوَالِنَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ إِلَيْنَا فِي صُحْبَتِهِ وَذَاتِ يَدِهِ مِنِ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ خَلِيلاً وَلَكِنْ وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ وُدٌّ وَإِخَاءُ إِيمَانٍ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِإِسْنَادٍ غَيْرِ هَذَا ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ أَمَنَّ إِلَيْنَا يَعْنِي أَمَنَّ عَلَيْنَا ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الملك بن ابي الشوارب، حدثنا ابو عوانة، عن عبد الملك بن عمير، عن ابن ابي المعلى، عن ابيه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب يوما فقال ‏"‏ ان رجلا خيره ربه بين ان يعيش في الدنيا ما شاء ان يعيش وياكل في الدنيا ما شاء ان ياكل وبين لقاء ربه فاختار لقاء ربه ‏"‏ ‏.‏ قال فبكى ابو بكر فقال اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم الا تعجبون من هذا الشيخ اذ ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم رجلا صالحا خيره ربه بين الدنيا وبين لقاء ربه فاختار لقاء ربه ‏.‏ قال فكان ابو بكر اعلمهم بما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ابو بكر بل نفديك باباىنا واموالنا ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما من الناس احد امن الينا في صحبته وذات يده من ابن ابي قحافة ولو كنت متخذا خليلا لاتخذت ابن ابي قحافة خليلا ولكن ود واخاء ايمان ود واخاء ايمان مرتين او ثلاثا وان صاحبكم خليل الله ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي سعيد وهذا حديث حسن غريب ‏.‏ وقد روي هذا الحديث عن ابي عوانة عن عبد الملك بن عمير باسناد غير هذا ‏.‏ ومعنى قوله امن الينا يعني امن علينا ‏.‏


Narrated Ibn Abi Mu'alla:
from his father: "The Messenger of Allah (ﷺ) gave a Khutbah one day and said: 'Indeed there is a man whose Lord has given him the choice between living in this life as long as he wishes to live, and eating from this life as much as he wishes to eat, and between meeting his Lord.'" He said: "So Abu Bakr cried. The Companions of the Prophet (ﷺ) said: 'Are you not amazed at this old man, when the Messenger of Allah (ﷺ) mentioned a righteous man whose Lord gave him the choice between this life or meeting his Lord, and he chose meeting his Lord.'" He said: "But Abu Bakr was the most knowledgeable one of them regarding what the Messenger of Allah (ﷺ) had said. So Abu Bakr said: 'Rather we will ransom our fathers and wealth for you.; So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'There is no one among people more beneficial to us (Amanna Ilaina) in his companionship, or generous with his wealth than Ibn Abi Quhafah. And, if I were to take a Khalil, I would have taken Ibn Abi Quhafah as a Khalil. But rather love and the brotherhood of faith' - saying that two or three times - 'Indeed your companion is the Khalil of Allah.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ)