১৫০৮

পরিচ্ছেদঃ ১২. কুরবানী করতে হবে ঈদের নামায আদায়ে পর

১৫০৮। বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে খুৎবা প্রদান করলেন। তিনি বললেনঃ (ঈদের) নামায আদায়ের আগে তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন কুরবানী না করে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মামা দাড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আজকের দিন তো এমন যে, পরে মাংস অপছন্দ লাগে। তাই আমি আমার পরিবারের সদস্যদের এবং প্রতিবেশীদেরকে খাওয়ানোর জন্য কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন, তুমি আবার একটি পশু যবেহ করে দাও। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দুধ খায় এমন একটি বকরীর বাচ্চা এখনও আমার নিকট আছে, যা দু’টি হৃষ্টপুষ্ট বকরীর চাইতেও উত্তম। আমি কি এটাকে যবেহ করে দেব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তোমার জন্য এটা উত্তম কুরবানী। তবে বকরীর এরূপ বাচ্চা কুরবানী করা তোমার পর আর কারো জন্য বৈধ হবে না।

সহীহ, ইরওয়া (২৪৯৫), সহীহ আবূ দাউদ (২৪৯৫-২৪৯৬), মুসলিম, বুখারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

জাবির, জুনদাব, আনাস, উয়াইমির ইবনু আশকার, ইবনু উমার ও আবূ যাইদ আল-আনসারী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস মোতাবিক বেশির ভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন।

তাদের মত অনুযায়ী শহরবাসী জনগণের জন্য ইমামের নামায সমাপ্তির পূর্বে কুরবানী করা বৈধ নয়। একদল আলিম গ্রামবাসীদের জন্য ফজরের নামাযের সময় হওয়ার পরই কুরবানীর সম্মতি দিয়েছেন। এই মত দিয়েছেন ইবনুল মুবারাকও।

এ বিষয়ে আলিমদের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে যে, ছয় মাসের বকরীর বাচ্চা কুরবানী করা হলে তা যথেষ্ট হবে না। কিন্তু ছয় মাসের মেষের বাচ্ছা কুরবানী করলে তা বৈধ হবে।

باب مَا جَاءَ فِي الذَّبْحِ بَعْدَ الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ نَحْرٍ فَقَالَ ‏"‏ لاَ يَذْبَحَنَّ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُصَلِّيَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَامَ خَالِي فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا يَوْمٌ اللَّحْمُ فِيهِ مَكْرُوهٌ وَإِنِّي عَجَّلْتُ نُسُكِي لأُطْعِمَ أَهْلِي وَأَهْلَ دَارِي أَوْ جِيرَانِي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَعِدْ ذَبْحًا آخَرَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عِنْدِي عَنَاقُ لَبَنٍ وَهِيَ خَيْرٌ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ أَفَأَذْبَحُهَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ وَهِيَ خَيْرُ نَسِيكَتَيْكَ وَلاَ تُجْزِئُ جَذَعَةٌ لأَحَدٍ بَعْدَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَجُنْدَبٍ وَأَنَسٍ وَعُوَيْمِرِ بْنِ أَشْقَرَ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي زَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُضَحَّى بِالْمِصْرِ حَتَّى يُصَلِّيَ الإِمَامُ وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ لأَهْلِ الْقُرَى فِي الذَّبْحِ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُجْزِئَ الْجَذَعُ مِنَ الْمَعْزِ وَقَالُوا إِنَّمَا يُجْزِئُ الْجَذَعُ مِنَ الضَّأْنِ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر اخبرنا اسماعيل بن ابراهيم عن داود بن ابي هند عن الشعبي عن البراء بن عازب قال خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في يوم نحر فقال لا يذبحن احدكم حتى يصلي قال فقام خالي فقال يا رسول الله هذا يوم اللحم فيه مكروه واني عجلت نسكي لاطعم اهلي واهل داري او جيراني قال فاعد ذبحا اخر فقال يا رسول الله عندي عناق لبن وهي خير من شاتى لحم افاذبحها قال نعم وهي خير نسيكتيك ولا تجزى جذعة لاحد بعدك قال وفي الباب عن جابر وجندب وانس وعويمر بن اشقر وابن عمر وابي زيد الانصاري قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح والعمل على هذا عند اكثر اهل العلم ان لا يضحى بالمصر حتى يصلي الامام وقد رخص قوم من اهل العلم لاهل القرى في الذبح اذا طلع الفجر وهو قول ابن المبارك قال ابو عيسى وقد اجمع اهل العلم ان لا يجزى الجذع من المعز وقالوا انما يجزى الجذع من الضان


Narrated Al-Bara' bin 'Azib :
"The Messenger of Allah (ﷺ) delivered a sermon to us on the Day of Nahr and he said: 'None of you should slaughter until he performs the Salat." He said: 'So my maternal uncle stood and said: ' O Messenger of Allah, this is the day in which meat is disliked, and I hastened my sacrifice to feed my family and the people of my dwellings - or - 'my neighbors.' He said: 'Repeat your slaughter with another.' He said: 'O Messenger of Allah (ﷺ) I have a she-kid that has better meat than my sheep, should I slaughter it?' He said: 'Yes, and it is better and it will suffice for you, but a Jadha' will not be accepted after you.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
১৭/ কুরবানী (كتاب الأضاحى عن رسول الله ﷺ)