৫১১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় কোন ব্যাক্তি আসলে তার দুই রাক'আত নামায আদায় করা প্রসঙ্গে

৫১১। আবদুল্লাহ ইবনু আবু সারহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জুমুআর দিন (মসজিদে) ঢুকলেন। মারওয়ান তখন খুতবা দিচ্ছিল। তিনি নামায আদায় করতে দাড়ালেন। মারওয়ানের চৌকিদার তাকে বসিয়ে দেওয়ার (নামায হতে বিরত রাখার) জন্য আসল। কিন্তু তিনি তা মানলেন না এবং নামায আদায় করলেন। তিনি অবসর হলে আমরা তার নিকট আসলাম। আমরা বললাম, আল্লাহ তা’আলা আপনার উপর দয়া করুন, তারা আপনাকে পরাজিত করার জন্য এসেছিল। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এটা করতে দেখেছি। এরপর আমি এ দুই রাকাআত কখনও ছাড়তে পারি না। তারপর তিনি উল্লেখ করলেন, জুমু’আর দিন এক ব্যক্তি তাড়াহুড়া করে উস্ক খুস্ক অবস্থায় মসজিদে আসল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন জুমু’আর খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি তাকে নির্দেশ দিলে সে দুই রাকাআত নামায আদায় করল। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতে থাকলেন। —হাসান সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১১৩)।

আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসের এক রাবী ইবনু আবী উমার বলেন, ইবনু উআইনা মসজিদে এসে দুই রাকাআত নামায আদায় করতেন; ইমাম তখন খুতবা দিতে থাকতেন। তিনি এটা আদায় করার নির্দেশও দিতেন। আবু আবদুর রহমান আল-মাকবুরীও তাকে এরকম করতে দেখেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু আজলান একজন সিকাহ রাবী এবং হাদীসশাস্ত্রে তিনি নির্ভরযোগ্য ছিলেন। এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, জাবির এবং সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

একদল আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক একই রকম মত দিয়েছেন। অপর একদল বিদ্বান বলেছেন, ইমাম যখন খুতবা দিতে থাকেন তখন কোন লোক আসলে সে বসে যাবে এবং নামায আদায় করবে না। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ এই মত পালন করেন। কিন্তু প্রথম মতই বেশি সহীহ।

’আলী ইবনু খালিদ আল-কুরাশী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি হাসান আল-বাসরীকে জুমুআর দিন মসজিদে ঢুকতে দেখলাম, ইমাম তখন খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি দুই রাকাআত নামায আদায় করলেন, তারপর বসলেন। হাদীসের অনুসরণ করার জন্যই হাসান এরকমটি করলেন। তিনি এ সম্পর্কিত হাদীস জাবির (রাঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ إِذَا جَاءَ الرَّجُلُ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، دَخَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَمَرْوَانُ يَخْطُبُ فَقَامَ يُصَلِّي فَجَاءَ الْحَرَسُ لِيُجْلِسُوهُ فَأَبَى حَتَّى صَلَّى فَلَمَّا انْصَرَفَ أَتَيْنَاهُ فَقُلْنَا رَحِمَكَ اللَّهُ إِنْ كَادُوا لَيَقَعُوا بِكَ ‏.‏ فَقَالَ مَا كُنْتُ لأَتْرُكَهُمَا بَعْدَ شَيْءٍ رَأَيْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّ رَجُلاً جَاءَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي هَيْئَةٍ بَذَّةٍ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَأَمَرَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ كَانَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ إِذَا جَاءَ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ وَكَانَ يَأْمُرُ بِهِ وَكَانَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ يَرَاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ ابْنَ أَبِي عُمَرَ يَقُولُ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ ثِقَةً مَأْمُونًا فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا دَخَلَ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَإِنَّهُ يَجْلِسُ وَلاَ يُصَلِّي ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ خَالِدٍ الْقُرَشِيُّ قَالَ رَأَيْتُ الْحَسَنَ الْبَصْرِيَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَلَسَ ‏.‏ إِنَّمَا فَعَلَ الْحَسَنُ اتِّبَاعًا لِلْحَدِيثِ وَهُوَ رَوَى عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏

حدثنا محمد بن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن محمد بن عجلان، عن عياض بن عبد الله بن ابي سرح، ان ابا سعيد الخدري، دخل يوم الجمعة ومروان يخطب فقام يصلي فجاء الحرس ليجلسوه فابى حتى صلى فلما انصرف اتيناه فقلنا رحمك الله ان كادوا ليقعوا بك ‏.‏ فقال ما كنت لاتركهما بعد شيء رايته من رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ثم ذكر ان رجلا جاء يوم الجمعة في هيىة بذة والنبي صلى الله عليه وسلم يخطب يوم الجمعة فامره فصلى ركعتين والنبي صلى الله عليه وسلم يخطب ‏.‏ قال ابن ابي عمر كان سفيان بن عيينة يصلي ركعتين اذا جاء والامام يخطب وكان يامر به وكان ابو عبد الرحمن المقرى يراه ‏.‏ قال ابو عيسى وسمعت ابن ابي عمر يقول قال سفيان بن عيينة كان محمد بن عجلان ثقة مامونا في الحديث ‏.‏ قال وفي الباب عن جابر وابي هريرة وسهل بن سعد ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي سعيد الخدري حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم ‏.‏ وبه يقول الشافعي واحمد واسحاق ‏.‏ وقال بعضهم اذا دخل والامام يخطب فانه يجلس ولا يصلي ‏.‏ وهو قول سفيان الثوري واهل الكوفة ‏.‏ والقول الاول اصح ‏.‏ حدثنا قتيبة حدثنا العلاء بن خالد القرشي قال رايت الحسن البصري دخل المسجد يوم الجمعة والامام يخطب فصلى ركعتين ثم جلس ‏.‏ انما فعل الحسن اتباعا للحديث وهو روى عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم هذا الحديث ‏.‏


Iyad bin Abdullah bin Abi Sarh narrated:
"Abu Sa'eed Al-Khudri entered (the mosque) on Friday while Marwan was giving the Khutbah, so he began praying. Two guards came to make him sit down but he refused until he had prayed. When he finished he came to us and we said: 'May Allah have mercy upon you. They nearly harmed you.' He said: 'I was not going to stop performing them (the two Rak'ah) after what I saw from Allah's Messenger.' Then he mentioned that a man who appeared untidy came on Fridy while the Prophet was delivering the Friday Khutbah, so he ordered him to pray two Rak'ah all the while the Prophet was delivering the Khutbah."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪/ কিতাবুল জুমু’আ (জুমু’আর নামায) (كتاب الجمعة عن رسول الله ﷺ)