১৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১১০. তায়াম্মুম সম্পর্কিত হাদীস

১৪৪৷ ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের কজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিয়েছেন। -সহীহ। সহীহ আবু দাউদ (৩৫০, ৩৫৩), বুখারী ও মুসলিম আরো পূর্ণ রূপে বর্ণনা করেছেন।

এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে, আবু ঈসা বলেন, আম্মার (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আম্মারের নিকট হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। একাধিক সাহাবী যেমন, ’আলী, আম্মার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) এবং তাবিঈদের মধ্যে শা’বী, আতা ও মাকহুল বলেন, মুখমণ্ডল ও উভয় হাতের জন্য একবার মাত্র (তায়াম্মুমের বস্তুর উপর) হাত মারতে হবে। আহমাদ ও ইসহাক এ মত সমর্থন করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ যেমন, ইবনু উমার (রাঃ), জাবির (রাঃ), ইবরাহীম নাখঈ ও হাসান বাসরী বলেন, মুখমণ্ডলের জন্য একবার হাত মারতে হবে এবং উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত মাসাহ করতে একবার হাত মারতে হবে। সুফিয়ান সাওরী, মালিক, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এ মত সমর্থন করেছেন। আম্মার (রাঃ) হতে কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি তায়াম্মুমের ব্যাপারে মুখমণ্ডল ও উভয় হাতের কথা বলেছেন। আম্মার (রাঃ) হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ “আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কাঁধ এবং বগল পর্যন্ত তায়াম্মুম করেছি।”

কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে আম্মার (রাঃ) বর্ণিত তায়াম্মুম সম্পর্কিত হাদীসটিকে (যাতে চেহারা ও উভয় হাতের কজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করতে বলা হয়েছে) য’ঈফ বলেছেন। কেননা তিনিই আবার কাধ ও বগল পর্যন্ত তায়াম্মুম করার হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, মুখমণ্ডল ও উভয় হাতের কজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার হাদীসটি সহীহ। কাঁধ ও বগল পর্যন্ত তায়াম্মুম করার হাদীসটিও সাংঘর্ষিক নয়। কেননা আম্মার (রাঃ) এ হাদীসে এরূপ বলেননি যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এটা করতে বলেছেন। বরং তিনি নিজের পক্ষ হতে বলেছেন, ’আমরা এরূপ করেছি। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তায়াম্মুম সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুখমণ্ডল ও উভয় হাতের কজি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার জন্য তাকে নির্দেশ দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা অনুযায়ী তার ইন্তিকালের পর তিনি মুখমণ্ডল ও উভয় হাতের কজি পর্যন্ত’ তায়াম্মুম করার ফাতোয়াই দিতেন। আর এই ফাতোয়া একথারই প্রমাণ যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যেভাবে তায়াম্মুমের শিক্ষা দিয়েছেন ইন্তিকালের পূর্বেও তিনি তাই অনুসরণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবু যুরআ উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দুল হাকামকে বলতে শুনেছি বাসরাতে আমি তিন ব্যক্তির চাইতে অধিক হাফিজ ব্যক্তি দেখিনি। আল-ফাললাস। আবু যুরআ বলেন, আফফান ইবনু মুসলিম আমর ইবনু আলী হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي التَّيَمُّمِ

حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلاَّسُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ بِالتَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَمَّارٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمَّارٍ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عَلِيٌّ وَعَمَّارٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ مِنْهُمُ الشَّعْبِيُّ وَعَطَاءٌ وَمَكْحُولٌ قَالُوا التَّيَمُّمُ ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَجَابِرٌ وَإِبْرَاهِيمُ وَالْحَسَنُ قَالُوا التَّيَمُّمُ ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ وَضَرْبَةٌ لِلْيَدَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَمَّارٍ فِي التَّيَمُّمِ أَنَّهُ قَالَ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمَّارٍ أَنَّهُ قَالَ تَيَمَّمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ ‏.‏ فَضَعَّفَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ حَدِيثَ عَمَّارٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي التَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ لَمَّا رُوِيَ عَنْهُ حَدِيثُ الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ ‏.‏ قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَخْلَدٍ الْحَنْظَلِيُّ حَدِيثُ عَمَّارٍ فِي التَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَحَدِيثُ عَمَّارٍ تَيَمَّمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ لَيْسَ هُوَ بِمُخَالِفٍ لِحَدِيثِ الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ لأَنَّ عَمَّارًا لَمْ يَذْكُرْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُمْ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا قَالَ فَعَلْنَا كَذَا وَكَذَا فَلَمَّا سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ بِالْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ فَانْتَهَى إِلَى مَا عَلَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا أَفْتَى بِهِ عَمَّارٌ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي التَّيَمُّمِ أَنَّهُ قَالَ الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ فَفِي هَذَا دَلاَلَةٌ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى مَا عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَّمَهُ إِلَى الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْكَرِيمِ يَقُولُ لَمْ أَرَ بِالْبَصْرَةِ أَحْفَظَ مِنْ هَؤُلاَءِ الثَّلاَثَةِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَابْنِ الشَّاذَكُونِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ الْفَلاَّسِ ‏.‏ قَالَ أَبُو زُرْعَةَ وَرَوَى عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ حَدِيثًا ‏.‏

حدثنا ابو حفص، عمرو بن علي الفلاس حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا سعيد، عن قتادة، عن عزرة، عن سعيد بن عبد الرحمن بن ابزى، عن ابيه، عن عمار بن ياسر، ان النبي صلى الله عليه وسلم امره بالتيمم للوجه والكفين ‏.‏ قال وفي الباب عن عاىشة وابن عباس ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عمار حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روي عن عمار من غير وجه ‏.‏ وهو قول غير واحد من اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم علي وعمار وابن عباس وغير واحد من التابعين منهم الشعبي وعطاء ومكحول قالوا التيمم ضربة للوجه والكفين ‏.‏ وبه يقول احمد واسحاق ‏.‏ وقال بعض اهل العلم منهم ابن عمر وجابر وابراهيم والحسن قالوا التيمم ضربة للوجه وضربة لليدين الى المرفقين ‏.‏ وبه يقول سفيان الثوري ومالك وابن المبارك والشافعي ‏.‏ وقد روي هذا الحديث عن عمار في التيمم انه قال للوجه والكفين من غير وجه ‏.‏ وقد روي عن عمار انه قال تيممنا مع النبي صلى الله عليه وسلم الى المناكب والاباط ‏.‏ فضعف بعض اهل العلم حديث عمار عن النبي صلى الله عليه وسلم في التيمم للوجه والكفين لما روي عنه حديث المناكب والاباط ‏.‏ قال اسحاق بن ابراهيم بن مخلد الحنظلي حديث عمار في التيمم للوجه والكفين هو حديث حسن صحيح ‏.‏ وحديث عمار تيممنا مع النبي صلى الله عليه وسلم الى المناكب والاباط ليس هو بمخالف لحديث الوجه والكفين لان عمارا لم يذكر ان النبي صلى الله عليه وسلم امرهم بذلك وانما قال فعلنا كذا وكذا فلما سال النبي صلى الله عليه وسلم امره بالوجه والكفين فانتهى الى ما علمه رسول الله صلى الله عليه وسلم الوجه والكفين والدليل على ذلك ما افتى به عمار بعد النبي صلى الله عليه وسلم في التيمم انه قال الوجه والكفين ففي هذا دلالة انه انتهى الى ما علمه النبي صلى الله عليه وسلم فعلمه الى الوجه والكفين ‏.‏ قال وسمعت ابا زرعة عبيد الله بن عبد الكريم يقول لم ار بالبصرة احفظ من هولاء الثلاثة علي بن المديني وابن الشاذكوني وعمرو بن علي الفلاس ‏.‏ قال ابو زرعة وروى عفان بن مسلم عن عمرو بن علي حديثا ‏.‏


Ammar bin Yasir narrated that :
the Prophet ordered him to perform Tayammum by rubbing his face and two palms.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
১/ পবিত্রতা রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে (كتاب الطهارة عن رسول الله ﷺ)