৩২৭৮

পরিচ্ছেদঃ সূরা আন-নাজম

৩২৭৮. ইবন আবূ উমর (রহঃ)..... শাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আরাফায় ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সঙ্গে কা’ব আহবার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাক্ষাত হয়। তিনি কা’বকে একটি বিষয়ে প্রশ্ন করলে কা’ব (এত জোরে) তাকবীর ধ্বনি দেন যে, পাহাড়ে পাহাড়ে তা প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আমরা বানূ হাশিম।

কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর দর্শন ও কথন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন। মূসা (আঃ) তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন দু’বার আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখেছেন দু’বার।

মাসরূক (রহঃ) বলেনঃ আমি পরে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর কাছে গেলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তাঁর রবকে দেখেছেন?

তিনি বললেনঃ তুমি এমন এক কথা উচ্চারণ করেছ যে ভয়ে আমার লোম খাড়া হয়ে গেছে। আমি বললামঃ একটু ধীরে আম্মাজান। এরপর আমি পাঠ করলামঃ (‏لقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى) তিনি তো তাঁর রবের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছেন (সূরা আন-নাজম ৫৩ঃ ১৮)। তিনি বললেনঃ (আসল মর্ম ফেলে) কোথায় নিয়ে চলল তোমাকে? (তিনি যাঁকে দেখেছেন) ইতি তো হলেন জিবরীল। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবকে দেখেছেন বা তাঁকে যে সব বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে সবের কোন কিছু গোপন করে রেখেছেন বা (إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ) আল্লাহর কাছেই রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান (সূরা লুকমান ৩১ঃ ৩৪)। আয়াতে যে পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে সে পাঁচটি বিষয় তিনি জানেন বলে কেউ যদি তোমাকে খবর দেয় তবে সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দিল। আসলে তিনি জিবরীলকে দেখেছেন। কেবল মাত্র দু’বারই তিনি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছিলেন। একবার সিদরাতুল মুন্তাহার কাছে। আরেকবার (মক্কার) জিয়াদ উপত্যকায়। ছয় শ, পাখা আছে তাঁর। দিগন্ত ভরাট হয়ে গিয়েছিল তখন।

যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩২৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

দাঊদ ইবন আবূ হিন্দ (রহঃ) শা’বী-মাসরূক ... আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এই হাদীসটির অনুরূপ মর্মে রিওয়ায়ত করেছেন। দাঊদ (রহঃ) বর্ণিত হাদিসটি মুজালিদ (রহঃ) বর্ণিত অপেক্ষা সংক্ষিপ্ততর।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ وَالنَّجْمِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ لَقِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَعْبًا بِعَرَفَةَ فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، فَكَبَّرَ حَتَّى جَاوَبَتْهُ الْجِبَالُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا بَنُو هَاشِمٍ ‏.‏ فَقَالَ كَعْبٌ إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ رُؤْيَتَهُ وَكَلاَمَهُ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَمُوسَى فَكَلَّمَ مُوسَى مَرَّتَيْنِ وَرَآهُ مُحَمَّدٌ مَرَّتَيْنِ ‏.‏ قَالَ مَسْرُوقٌ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ فَقَالَتْ لَقَدْ تَكَلَّمْتَ بِشَيْءٍ قَفَّ لَهُ شَعْرِي قُلْتُ رُوَيْدًا ثُمَّ قَرَأْتُ ‏:‏ ‏(‏لقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى ‏)‏ قَالَتْ أَيْنَ يُذْهَبُ بِكَ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ مَنْ أَخْبَرَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ أَوْ كَتَمَ شَيْئًا مِمَّا أُمِرَ بِهِ أَوْ يَعْلَمُ الْخَمْسَ الَّتِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏ إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ ‏)‏ فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ وَلَكِنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ لَمْ يَرَهُ فِي صُورَتِهِ إِلاَّ مَرَّتَيْنِ مَرَّةً عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَمَرَّةً فِي جِيَادٍ لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ قَدْ سَدَّ الأُفُقَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ دَاوُدَ أَقْصَرُ مِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن مجالد، عن الشعبي، قال لقي ابن عباس كعبا بعرفة فساله عن شيء، فكبر حتى جاوبته الجبال فقال ابن عباس انا بنو هاشم ‏.‏ فقال كعب ان الله قسم رويته وكلامه بين محمد وموسى فكلم موسى مرتين وراه محمد مرتين ‏.‏ قال مسروق فدخلت على عاىشة فقلت هل راى محمد ربه فقالت لقد تكلمت بشيء قف له شعري قلت رويدا ثم قرات ‏:‏ ‏(‏لقد راى من ايات ربه الكبرى ‏)‏ قالت اين يذهب بك انما هو جبريل من اخبرك ان محمدا راى ربه او كتم شيىا مما امر به او يعلم الخمس التي قال الله تعالى ‏:‏ ‏(‏ ان الله عنده علم الساعة وينزل الغيث ‏)‏ فقد اعظم الفرية ولكنه راى جبريل لم يره في صورته الا مرتين مرة عند سدرة المنتهى ومرة في جياد له ستماىة جناح قد سد الافق ‏.‏ قال ابو عيسى وقد روى داود بن ابي هند عن الشعبي عن مسروق عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا الحديث وحديث داود اقصر من حديث مجالد ‏.‏


Narrated Ash-Sha'bi:
"Ibn 'Abbas met Ka'b at Arafat, so he asked him about something and he kept on saying the Takbir until it reverberated off of the mountains. So Ibn 'Abbas (finally) said: 'We are Banu Hashim.' So Ka'b said: 'Indeed Allah divided His being seen and His speaking between Muhammad and Musa. He spoke to Musa two times, and Muhammad saw Him two times.' Masruq said: 'I entered upon 'Aishah and asked her if Muhammad saw his Lord.' She said: 'You have said something that makes my hair stand on end.' I said: 'Take it easy.' Then I recited: Indeed he saw of the great signs of his Lord (53:18). So she said: 'What do you mean by that? That is only Jibra'il. Whoever informed you that Muhammad saw his Lord, or that (ﷺ) concealed something he was ordered with, or he knew of the five things about which Allah, [Most High] said: Verily Allah, with Him is the knowledge of the Hour, He sends down the rain (31:34) - then he has fabricated the worst lie. Rather he (ﷺ) saw Jibra'il, but he did not see him in his (real) image except two times. One time at Sidrat Al-Muntaha and one time in Jiyad, he had six-hundred wings which filled the horizon.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ)