৩০৮৫

পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা

৩০৮৫. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ....... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি উছমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বললাম আপনারা মাছানীর (যে সূরার আয়াত সংখ্যা একশ’র কম) অন্তর্ভক্ত সূরা আনফাল আর মিঈন এর (একশ’ বা ততোধিক আয়াত বিশিষ্ট সূরা) অন্তর্ভূক্ত বারাআতকে মিলিত করেছেন আরও দুটোর মাঝে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লাইনটি লিখেন নি সাথে সাথে সূরা আনফালকে সাবা’য়ে তুওয়াল (সাতটি দীর্ঘ সূরা)-এর অন্তর্ভূক্ত করেছেন- এরূপ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল?

উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর এমন এক যামানাও এসেছে যখন তাঁর উপর বহুসংখ্যক সূরা এক সঙ্গে নাযিল হয়েছে। ঐ যুগে তাঁর উপর কোন বিষয় নাযিল হলে ওয়াহী লেখকগণের কাউকে ডেকে তিনি বলতেন এ আয়াতগুলো যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে, সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর। কোন আয়াত নাযিল হলে বলতেন, এই আয়াতটি যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর।

মদীনায় প্রথম দিকে যে সব সূরা নাযিল হয় সূরা আনফাল ছিল সেগুলোর অন্যতম আর বারাআত ছিল কুরআনের শেষের দিকে নাযিলকৃত সূরাসমূহের অন্যতম। কিন্তু এর বিষয়বস্ত হল সূরা আনফালের বিষয় বস্তর অনুরূপ। ফলে এটি আনফালের অন্তর্গত বলে আমি মনে করলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইনতিকাল হয়ে যায় কিন্তু তিনি এ কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে যান নি যে, এটি আনফালের অংশ। এ কারণে আমি দু’টোকে মিলিত করেছি কিন্তু এতদুভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখিনি। আর এটিকে সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্তর্ভূক্ত করেছি।

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান। আওফ-ইয়াযীদ ফারসী ... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিন্তু জানা নেই।

ইয়াযীদ ফারসী (রহঃ) ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাকে ইয়াযীদ ইবন হুরমুযও বলা হয়। ইয়াযীদ রাকাশী (রহঃ) হলেন ইয়াযীদ ইবন আবান রাকাশী। তিনি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাক্ষাৎ পাননি। আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন। উভয়ই বসরাবাসী। ইয়াযীদ ফারসী (রহঃ) ইয়াযীদ রাকাশী (রহঃ) থেকে বয়সে বড়।

হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৮৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَسَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَارِسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي وَإِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَوَضَعْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ عُثْمَانُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يَأْتِي عَلَيْهِ الزَّمَانُ وَهُوَ تَنْزِلُ عَلَيْهِ السُّوَرُ ذَوَاتُ الْعَدَدِ فَكَانَ إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ الشَّىْءُ دَعَا بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَؤُلاَءِ الآيَاتِ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَإِذَا نَزَلَتْ عَلَيْهِ الآيَةُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَائِلِ مَا أُنْزِلَتْ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ قَرَنْتُ بَيْنَهُمَا وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَوَضَعْتُهَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ قَدْ رَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَيُقَالُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ وَيَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ هُوَ يَزِيدُ بْنُ أَبَانَ الرَّقَاشِيُّ وَلَمْ يُدْرِكِ ابْنَ عَبَّاسٍ إِنَّمَا رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَكِلاَهُمَا مِنَ التَّابِعِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ أَقْدَمُ مِنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، ومحمد بن جعفر، وابن ابي عدي، وسهل بن يوسف، قالوا حدثنا عوف بن ابي جميلة، حدثنا يزيد الفارسي، حدثنا ابن عباس، قال قلت لعثمان بن عفان ما حملكم ان عمدتم، الى الانفال وهي من المثاني والى براءة وهي من المىين فقرنتم بينهما ولم تكتبوا بينهما سطر بسم الله الرحمن الرحيم ووضعتموهما في السبع الطول ما حملكم على ذلك فقال عثمان كان رسول الله صلى الله عليه وسلم مما ياتي عليه الزمان وهو تنزل عليه السور ذوات العدد فكان اذا نزل عليه الشىء دعا بعض من كان يكتب فيقول ضعوا هولاء الايات في السورة التي يذكر فيها كذا وكذا واذا نزلت عليه الاية فيقول ضعوا هذه الاية في السورة التي يذكر فيها كذا وكذا وكانت الانفال من اواىل ما انزلت بالمدينة وكانت براءة من اخر القران وكانت قصتها شبيهة بقصتها فظننت انها منها فقبض رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم يبين لنا انها منها فمن اجل ذلك قرنت بينهما ولم اكتب بينهما سطر بسم الله الرحمن الرحيم فوضعتها في السبع الطول ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن لا نعرفه الا من حديث عوف عن يزيد الفارسي عن ابن عباس ‏.‏ ويزيد الفارسي قد روى عن ابن عباس غير حديث ويقال هو يزيد بن هرمز ويزيد الرقاشي هو يزيد بن ابان الرقاشي ولم يدرك ابن عباس انما روى عن انس بن مالك وكلاهما من التابعين من اهل البصرة ويزيد الفارسي اقدم من يزيد الرقاشي ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"I said to 'Uthman bin 'Affan: 'What was your reasoning with Al-Anfal - while it is from the Muthani (Surah with less than one-hundred Ayat), and Bara'ah while it is from the Mi'in (Surah with about one-hundred Ayat), then you put them together, without writing the line Bismillahir-Rahmanir-Rahim between them, and you placed them with the seven long (Surah) - why did you do that?' So 'Uthman said: 'A long time might pass upon the Messenger of Allah (ﷺ) without anything being revealed to him, and then sometimes a Surah with numerous (Ayat) might be revealed. So when something was revealed, he would call for someone who could write, and say: "Put these Ayat in the Surah which mentions this and that in it." When an Ayah was revealed, he would say: "Put this Ayah in the Surah which mentions this and that in it." Now Al-Anfal was among the first of those revealed in Al-Madinah, and Bara'ah among the last of those revealed of the Qur'an, and its narrations (those of Bara'ah) resembled its narrations (those of Al-Anfal), so we thought that it was part of it. Then the Messenger of Allah (ﷺ) died, and it was not made clear to us whether it was part of it. So it is for this reason that we put them together without writing Bismillahir-Rahmanir-Rahim between them, and we put that with the seven long (Surahs).'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ)