৭৩৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৯৬/২৪. প্রমাণাদির সাহায্যে যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে জানা যায়। প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ কিভাবে করা যায়?

وَقَدْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْرَ الْخَيْلِ وَغَيْرِهَا ثُمَّ سُئِلَ عَنْ الْحُمُرِ فَدَلَّهُمْ عَلَى قَوْلِهِ تَعَالَى: (فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ أَخْبَرَ النَّبِيُّصَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ) وَسُئِلَ النَّبِيُّ عَنْ الضَّبِّ فَقَالَ لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ وَأُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الضَّبُّ فَاسْتَدَلَّ ابْنُ عَبَّاسٍ بِأَنَّهُ لَيْسَ بِحَرَامٍ

নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া ইত্যাদির হুকুম বলে দিয়েছেন। এরপর তাঁকে গাধার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আল্লাহর বাণীর দিকে ইঙ্গিত করেনঃ ’’কেউ অণু পরিমাণ সৎ কাজ করলেও তা দেখতে পাবে’’- (সূরাহ যিলযাল ৯৯/৭)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’দবব’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ আমি এটি খাই না, তবে হারামও বলি না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দস্তরখানে ’দবব’ খাওয়া হয়েছে। এর দ্বারা ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) প্রমাণ করেছেন যে, ’দবব’ হারাম নয়।


৭৩৫৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘোড়া ব্যবহারের দিক দিয়ে মানুষ তিন রকমের। এক রকম লোকের জন্য ঘোড়া সাওয়ারের মাধ্যম, আর এক রকম লোকের জন্য তা পাপ থেকে বাঁচার অবলম্বন এবং আর এক রকম লোকের জন্য তা শাস্তির কারণ। তার জন্য ঘোড়া সাওয়ারের মাধ্যম, যে ঘোড়াকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখে এবং চারণভূমি বা বাগানে প্রশস্ত রশিতে বেঁধে বিচরণ করতে দেয়। এই রশি যত লম্বা এবং যত দূরত্বে ঘোড়া চরতে পারে, সে তত বেশি সওয়াব পায়। যদি ঘোড়া এ দড়ি ছিঁড়ে এক চক্কর বা দু’ চক্কর লাগায় তবে ঐ ঘোড়ার প্রতিটি পদক্ষেপ এবং মালের বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেয়া হয়। ঘোড়া যদি কোন নদী বা নালায় গিয়ে পানি খেয়ে ফেলে অথচ মালিক পানি খাওয়ানোর নিয়ত করেনি, এগুলো খুবই নেক কাজ।

এর জন্য এ লোকের সওয়াব আছে। আর যে লোক ঘোড়া পালন করে একমাত্র অমুখাপেক্ষিতা এবং স্বনির্ভরতা বজায় রাখার জন্য; এর সঙ্গে সঙ্গে ঘোড়ার ঘাড়ে ও পিঠে যে আল্লাহর হক আছে তা আদায় করতেও সে ভুলে যায় না। এ ঘোড়া তার জন্য শাস্তি থেকে পর্দা হবে। আর যে ব্যক্তি অহংকার ও বশ্যতঃ ও লোক দেখানোর জন্য ঘোড়া পোষে, তার জন্য এই ঘোড়া (পাপের) বোঝা হবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গাধা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তখন তিনি বললেনঃ এ সম্পর্কে আমার উপর ব্যাপক অর্থবোধক একটি আয়াত ব্যতীত আল্লাহ্ অন্য কিছু অবতীর্ণ করেন নিঃ ’’অতএব কেউ অণু পরিমাণও সৎ কাজ করলে সে তা দেখবে, আর কেউ অণু পরিমাণও অসৎ কাজ করলে সে তা দেখবে।’’- (সূরাহ যিলযালা ৯৯/৭-৮)। [২৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৫৪)

بَاب الأَحْكَامِ الَّتِي تُعْرَفُ بِالدَّلاَئِلِ وَكَيْفَ مَعْنَى الدِّلاَلَةِ وَتَفْسِيرُهَا

إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْخَيْلُ لِثَلاَثَةٍ لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ فَأَمَّا الَّذِي لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ فَأَطَالَ لَهَا فِي مَرْجٍ أَوْ رَوْضَةٍ فَمَا أَصَابَتْ فِي طِيَلِهَا ذَلِكَ مِنْ الْمَرْجِ أَوْ الرَّوْضَةِ كَانَ لَهُ حَسَنَاتٍ وَلَوْ أَنَّهَا قَطَعَتْ طِيَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ كَانَتْ آثَارُهَا وَأَرْوَاثُهَا حَسَنَاتٍ لَهُ وَلَوْ أَنَّهَا مَرَّتْ بِنَهَرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلَمْ يُرِدْ أَنْ يَسْقِيَ بِهِ كَانَ ذَلِكَ حَسَنَاتٍ لَهُ وَهِيَ لِذَلِكَ الرَّجُلِ أَجْرٌ وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَتَعَفُّفًا وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِي رِقَابِهَا وَلاَ ظُهُورِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً فَهِيَ عَلَى ذَلِكَ وِزْرٌ وَسُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْحُمُرِ قَالَ مَا أَنْزَلَ اللهُ عَلَيَّ فِيهَا إِلاَّ هَذِهِ الْآيَةَ الْفَاذَّةَ الْجَامِعَةَ (فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ)

اسماعيل حدثني مالك عن زيد بن اسلم عن ابي صالح السمان عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الخيل لثلاثة لرجل اجر ولرجل ستر وعلى رجل وزر فاما الذي له اجر فرجل ربطها في سبيل الله فاطال لها في مرج او روضة فما اصابت في طيلها ذلك من المرج او الروضة كان له حسنات ولو انها قطعت طيلها فاستنت شرفا او شرفين كانت اثارها وارواثها حسنات له ولو انها مرت بنهر فشربت منه ولم يرد ان يسقي به كان ذلك حسنات له وهي لذلك الرجل اجر ورجل ربطها تغنيا وتعففا ولم ينس حق الله في رقابها ولا ظهورها فهي له ستر ورجل ربطها فخرا ورياء فهي على ذلك وزر وسىل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الحمر قال ما انزل الله علي فيها الا هذه الاية الفاذة الجامعة (فمن يعمل مثقال ذرة خيرا يره ومن يعمل مثقال ذرة شرا يره)


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Horses may be used for three purposes: For a man they may be a source of reward (in the Hereafter); for another, a means of protection; and for another, a source of sin. The man for whom they are a source of reward, is the one who keeps them for Allah's Cause and ties them with long ropes and lets them graze in a pasture or garden. Whatever those long ropes allow them to eat of that pasture or garden, will be written as good deeds for him and if they break their ropes and run one or two rounds, then all their footsteps and dung will be written as good deeds for him, and if they pass a river and drink from it though he has had no intention of watering them, even then, that will be written as good deeds for him. So such horses are a source of reward for that man. For the man who keeps horses for his livelihood in order not to ask others for help or beg his bread, and at the same time he does not forget Allah's right of what he earns through them and of their backs (that he presents it to be used in Allah's Cause), such horses are a shelter for him (from poverty). For the man who keeps them just out of pride and for showing off, they are a source of sin." Then Allah's Messenger (ﷺ) was asked about donkeys. He said, "Allah has not revealed anything to me regarding them except this comprehensive Verse: "Then anyone who has done good, equal to the weight of an atom (or a small ant) shall see it, and any one who has done evil, equal to the weight of an atom (or a small ant) shall see it." (99.7-8)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯৬/ কুরআন ও সুন্নাহকে শক্তভাবে ধরে থাকা (كتاب الاعتصام بالكتاب والسنة)