৬২৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৭৯/৪৩. যিনি মানুষের সামনে কারো সঙ্গে কানে কানে কথা বলেন। আর যিনি আপন বন্ধুর গোপন কথা কারো কাছে প্রকাশ করেননি। অবশ্য তাঁর মৃত্যুর পর তা প্রকাশ করেন।

৬২৮৫-৬২৮৬. উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সব স্ত্রী তাঁর নিকট জমায়েত হয়েছিলাম। আমাদের একজনও অনুপস্থিত ছিলাম না। এমন সময় ফাতেমাহ (রাঃ) পায়ে হেঁটে আসছিলেন। আল্লাহর কসম! তাঁর হাঁটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাঁটার মতই ছিল। তিনি যখন তাঁকে দেখলেন, তখন তিনি আমার মেয়ের আগমন শুভ হোক বলে তাঁকে সম্বর্ধনা জানালেন। এরপর তিনি যখন তাঁকে নিজের ডান পাশে অথবা (রাবী বলেন) বাম পাশে বসালেন। তারপর তিনি তার সঙ্গে কানে-কানে কিছু কথা বললেন, তিনি (ফাতেমাহ) খুব অধিক কাঁদতে লাগলেন। এরপর তাঁকে চিন্তিত দেখে দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গে তিনি কানে-কানে আরও কিছু কথা বললেন। তখন ফাতেমাহ হাসতে লাগলেন।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণের মধ্য থেকে আমি বললামঃ আমাদের উপস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ করে আপনার সঙ্গে বিশেষ কী গোপনীয় কথা কানে-কানে বললেন, যার ফলে আপনি খুব কাঁদছিলেন? এরপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে চলে গেলেন, তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি আপনাকে কানে-কানে কী বলেছিলেন? তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভেদ (গোপনীয় কথা) ফাঁস করবো না।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যু হল। তখন আমি তাঁকে বললামঃ আপনার উপর আমার যে দাবী আছে, আপনাকে আমি তার কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি কি গোপনীয় কথাটি আমাকে জানাবেন না? তখন ফাতেমাহ বললেনঃ হাঁ এখন আপনাকে জানাবো। সুতরাং তিনি আমাকে জানাতে গিয়ে বললেনঃ প্রথমবার তিনি আমার নিকট যে গোপন কথা বলেন, তা হলো এই যে, তিনি আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, জিবরীল (আ.) প্রতি বছর এসে পূর্ণ কুরআন একবার আমার নিকট পেশ করতেন।

কিন্তু এ বছর তিনি এসে তা আমার কাছে দু’ বার পেশ করেছেন। এতে আমি ধারণা করছি যে, আমার চির বিদায়ের সময় সন্নিকট। সুতরাং তুমি আল্লাহকে ভয় করে চলবে এবং বিপদে ধৈর্যধারণ করবে। নিশ্চয়ই আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রগমনকারী। তখন আমি কাঁদলাম যা নিজেই দেখলেন। তারপর যখন আমাকে চিন্তিত দেখলেন, তখন দ্বিতীয়বার আমাকে কানে-কানে বললেনঃ তুমি জান্নাতের মুসলিম মহিলাদের অথবা এ উম্মাতের মহিলাদের নেত্রী হওয়াতে সন্তুষ্ট হবে না? (আমি তখন হাসলাম)। [৩৬২৩, ৩৬২৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৩৬)

بَاب مَنْ نَاجٰى بَيْنَ يَدَيْ النَّاسِ وَمَنْ لَمْ يُخْبِرْ بِسِرِّ صَاحِبِه فَإِذَا مَاتَ أَخْبَرَ بِهِ.

حَدَّثَنَا مُوسَى، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا فِرَاسٌ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ إِنَّا كُنَّا أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهُ جَمِيعًا، لَمْ تُغَادَرْ مِنَّا وَاحِدَةٌ، فَأَقْبَلَتْ فَاطِمَةُ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ تَمْشِي، لاَ وَاللَّهِ مَا تَخْفَى مِشْيَتُهَا مِنْ مِشْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَآهَا رَحَّبَ قَالَ ‏"‏ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ‏"‏‏.‏ ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ، ثُمَّ سَارَّهَا فَبَكَتْ بُكَاءً شَدِيدًا، فَلَمَّا رَأَى حُزْنَهَا سَارَّهَا الثَّانِيَةَ إِذَا هِيَ تَضْحَكُ‏.‏ فَقُلْتُ لَهَا أَنَا مِنْ بَيْنِ نِسَائِهِ خَصَّكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالسِّرِّ مِنْ بَيْنِنَا، ثُمَّ أَنْتِ تَبْكِينَ، فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَمَّا سَارَّكِ قَالَتْ مَا كُنْتُ لأُفْشِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِرَّهُ‏.‏ فَلَمَّا تُوُفِّيَ قُلْتُ لَهَا عَزَمْتُ عَلَيْكِ بِمَا لِي عَلَيْكِ مِنَ الْحَقِّ لَمَّا أَخْبَرْتِنِي‏.‏ قَالَتْ أَمَّا الآنَ فَنَعَمْ‏.‏ فَأَخْبَرَتْنِي قَالَتْ أَمَّا حِينَ سَارَّنِي فِي الأَمْرِ الأَوَّلِ، فَإِنَّهُ أَخْبَرَنِي أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ كُلَّ سَنَةٍ مَرَّةً ‏"‏ وَإِنَّهُ قَدْ عَارَضَنِي بِهِ الْعَامَ مَرَّتَيْنِ، وَلاَ أَرَى الأَجَلَ إِلاَّ قَدِ اقْتَرَبَ، فَاتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي، فَإِنِّي نِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكَ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ فَبَكَيْتُ بُكَائِي الَّذِي رَأَيْتِ، فَلَمَّا رَأَى جَزَعِي سَارَّنِي الثَّانِيَةَ قَالَ ‏"‏ يَا فَاطِمَةُ أَلاَ تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ ـ أَوْ ـ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هَذِهِ الأُمَّةِ ‏"‏‏.‏

حدثنا موسى، عن ابي عوانة، حدثنا فراس، عن عامر، عن مسروق، حدثتني عاىشة ام المومنين، قالت انا كنا ازواج النبي صلى الله عليه وسلم عنده جميعا، لم تغادر منا واحدة، فاقبلت فاطمة ـ عليها السلام ـ تمشي، لا والله ما تخفى مشيتها من مشية رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما راها رحب قال ‏"‏ مرحبا بابنتي ‏"‏‏.‏ ثم اجلسها عن يمينه او عن شماله، ثم سارها فبكت بكاء شديدا، فلما راى حزنها سارها الثانية اذا هي تضحك‏.‏ فقلت لها انا من بين نساىه خصك رسول الله صلى الله عليه وسلم بالسر من بيننا، ثم انت تبكين، فلما قام رسول الله صلى الله عليه وسلم سالتها عما سارك قالت ما كنت لافشي على رسول الله صلى الله عليه وسلم سره‏.‏ فلما توفي قلت لها عزمت عليك بما لي عليك من الحق لما اخبرتني‏.‏ قالت اما الان فنعم‏.‏ فاخبرتني قالت اما حين سارني في الامر الاول، فانه اخبرني ان جبريل كان يعارضه بالقران كل سنة مرة ‏"‏ وانه قد عارضني به العام مرتين، ولا ارى الاجل الا قد اقترب، فاتقي الله واصبري، فاني نعم السلف انا لك ‏"‏‏.‏ قالت فبكيت بكاىي الذي رايت، فلما راى جزعي سارني الثانية قال ‏"‏ يا فاطمة الا ترضين ان تكوني سيدة نساء المومنين ـ او ـ سيدة نساء هذه الامة ‏"‏‏.‏


Narrated `Aisha:

Mother of the Believers: We, the wives of the Prophet (ﷺ) were all sitting with the Prophet (ﷺ) and none of us had left when Fatima came walking, and by Allah, her gait was very similar to that of Allah's Messenger (ﷺ) .' When he saw her, he welcomed her, saying, "Welcome, O my daughter!" Then he made her sit on his right or his left, confided something to her, whereupon she wept bitterly. When he noticed her sorrow, he confided something else to her for the second time, and she started laughing. Only I from among the Prophet's wives said to her, "(O Fatima), Allah's Messenger (ﷺ) selected you from among us for the secret talk and still you weep?" When Allah's Messenger (ﷺ) got up (and went away), I asked her, "What did he confide to you?" She said, "I wouldn't disclose the secrets of Allah's Messenger (ﷺ)" But when he died I asked her, "I beseech you earnestly by what right I have on you, to tell me (that secret talk which the Prophet had with you)" She said, "As you ask me now, yes, (I will tell you)." She informed me, saying, "When he talked to me secretly the first time, he said that Gabriel used to review the Qur'an with him once every year. He added, 'But this year he reviewed it with me twice, and therefore I think that my time of death has approached. So, be afraid of Allah, and be patient, for I am the best predecessor for you (in the Hereafter).' " Fatima added, "So I wept as you (`Aisha) witnessed. And when the Prophet (ﷺ) saw me in this sorrowful state, he confided the second secret to me saying, 'O Fatima! Will you not be pleased that you will be chief of all the believing women (or chief of the women of this nation i.e. my followers?")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৭৯/ অনুমতি প্রার্থনা (كتاب الاستئذان)