৫৩৬১

পরিচ্ছেদঃ ৬৯/৬. স্বামীর গৃহে স্ত্রীর কাজকর্ম করা।

69/5. بَاب وَقَالَ اللهُ تَعَالٰى :

৬৯/৫. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ

وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ) إِلَى قَوْلِهِ: (بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ) وَقَالَ: (وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلاَثُونَ شَهْرًا) وَقَالَ: (وَإِنْ تَعَاسَرْتُمْ فَسَتُرْضِعُ لَهُ أُخْرَى لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ) إِلَى قَوْلِهِ: (بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا).

’’মায়েরা যেন তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করায়, সেই পিতার জন্য যে পূর্ণ সময়কাল পর্যন্ত দুধ পান করাতে চায়;......... তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।’’ সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ২৩৩)

তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ ’’তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধ ছাড়ানোর সময় ত্রিশ মাস।’’ সূরাহ আল-আহক্ব-ফঃ ১৫)

তিনি আরও বলেনঃ ’’যদি তোমরা অসুবিধা বোধ কর, তাহলে অপর কোন মহিলা তাকে দুধ পান করাতে পারে। সচ্ছল ব্যক্তি স্বীয় সাধ্য অনুসারে খরচ করবে......... প্রাচুর্য দান করলেন।’’ সূরাহ আত-তালাকঃ ৬-৭)

وَقَالَ يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ نَهٰى اللهُ أَنْ تُضَارَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَذ’لِكَ أَنْ تَقُولَ الْوَالِدَةُ لَسْتُ مُرْضِعَتَه“ وَهِيَ أَمْثَلُ لَه“ غِذَاءً وَأَشْفَقُ عَلَيْهِ وَأَرْفَقُ بِه„ مِنْ غَيْرِهَا فَلَيْسَ لَهَا أَنْ تَأْبٰى بَعْدَ أَنْ يُعْطِيَهَا مِنْ نَفْسِه„ مَا جَعَلَ اللهُ عَلَيْهِ وَلَيْسَ لِلْمَوْلُودِ لَه“ أَنْ يُضَارَّ بِوَلَدِه„ وَالِدَتَه“ فَيَمْنَعَهَا أَنْ تُرْضِعَه“ ضِرَارًا لَهَا إِلٰى غَيْرِهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يَسْتَرْضِعَا عَنْ طِيبِ نَفْسِ الْوَالِدِ وَالْوَالِدَةِ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالاً عَنْ تَرَاضٍ مِنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا بَعْدَ أَنْ يَكُونَ ذ’لِكَ عَنْ تَرَاضٍ مِنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فِصَالُه“ فِطَامُهُ.

ইউনুস, যুহরী থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ নিষেধ করেছেন কোন মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না। আর তা হলো এরূপ যে, মাতা এ কথা বলে বসল, আমি একে দুধ পান করাব না। অথচ মায়ের দুধ শিশুর জন্য উৎকৃষ্ট খাদ্য এবং অন্যান্য মহিলার তুলনায় মাতা সন্তানের জন্য অধিক স্নেহশীলা ও কোমল। কাজেই আল্লাহ পিতার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন পিতা তা পালনার্থে যথাসাধ্য নিজের পক্ষ থেকে কিছু দেয়ার পরও মাতার জন্য দুধ পান করাতে অস্বীকার করা উচিত হবে না। এমনিভাবে সন্তানের পিতার জন্যও উচিত নয় সে সন্তানের কারণে তার মাতাকে কষ্ট দেয়া অর্থাৎ কষ্টে ফেলার উদ্দেশে শিশুর মাকে দুধ পান করাতে না দিয়ে অন্য মহিলাকে দুধ পান করাতে দেয়া। হাঁ, মাতাপিতা খুশী হয়ে যদি কাউকে ধাত্রী নিযুক্ত করে, তবে তাতে কোন দোষ নেই। তেমনি যদি তারা উভয়ে দুধ ছাড়াতে চায়, তবে তাতেও তাদের কোন দোষ নেই, যদি তা পারস্পরিক সম্মতি ও পরামর্শের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। فِصَالُه দুধ ছড়ানো।


৫৩৬১. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একদা ফাতিমাহ (রাঃ) যাঁতা ব্যবহারে তাঁর হাতে যে কষ্ট পেতেন তার অভিযোগ নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন। তাঁর কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট দাস আসার খবর পৌঁছে ছিল। কিন্তু তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পেলেন না। তখন তিনি তাঁর অভিযোগ ’আয়িশাহর কাছে বললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে আসলে ’আয়িশাহ (রাঃ) তাঁকে জানালেন। ’আলী (রাঃ) বলেনঃ রাতে আমরা যখন শুয়ে পড়েছিলাম, তখন তিনি আমাদের কাছে আসলেন। আমরা উঠতে চাইলাম, কিন্তু তিনি বললেনঃ তোমরা উভয়ে নিজ স্থানে থাক। তিনি এসে আমার ও ফাতিমার মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি আমার পেটে তাঁর দুপায়ের শীতলতা উপলব্ধি করলাম। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা যা চেয়েছ তার চেয়ে কল্যাণকর বিষয় সম্পর্কে তোমাদের কি জানাবো না? তোমরা যখন তোমাদের শয্যাস্থানে যাবে, অথবা বললেনঃ তোমরা যখন তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তেত্রিশবার ’সুবহানাল্লাহ’, তেত্রিশবার ’আল্ হাম্দুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশবার ’আল্লাহু আকবার’ বলবে। এটা খাদিম অপেক্ষা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণদায়ক। [1] [৩১১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫৭)

بَاب عَمَلِ الْمَرْأَةِ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِي الْحَكَمُ عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلٰى حَدَّثَنَا عَلِيٌّ أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهِمَا السَّلاَم أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَشْكُو إِلَيْهِ مَا تَلْقٰى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحٰى وَبَلَغَهَا أَنَّه“ جَاءَه“ رَقِيقٌ فَلَمْ تُصَادِفْه“ فَذَكَرَتْ ذ‘لِكَ لِعَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ أَخْبَرَتْه“ عَائِشَةُ قَالَ فَجَاءَنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا نَقُومُ فَقَالَ عَلٰى مَكَانِكُمَا فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا حَتّٰى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلٰى بَطْنِي فَقَالَ أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلٰى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا أَوْ أَوَيْتُمَا إِلٰى فِرَاشِكُمَا فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ.

مسدد حدثنا يحيى عن شعبة قال حدثني الحكم عن ابن ابي ليلى حدثنا علي ان فاطمة عليهما السلام اتت النبي صلى الله عليه وسلم تشكو اليه ما تلقى في يدها من الرحى وبلغها انه“ جاءه“ رقيق فلم تصادفه“ فذكرت ذ‘لك لعاىشة فلما جاء اخبرته“ عاىشة قال فجاءنا وقد اخذنا مضاجعنا فذهبنا نقوم فقال على مكانكما فجاء فقعد بيني وبينها حتى وجدت برد قدميه على بطني فقال الا ادلكما على خير مما سالتما اذا اخذتما مضاجعكما او اويتما الى فراشكما فسبحا ثلاثا وثلاثين واحمدا ثلاثا وثلاثين وكبرا اربعا وثلاثين فهو خير لكما من خادم.


Narrated `Ali:

Fatima went to the Prophet (ﷺ) complaining about the bad effect of the stone hand-mill on her hand. She heard that the Prophet (ﷺ) had received a few slave girls. But (when she came there) she did not find him, so she mentioned her problem to `Aisha. When the Prophet (ﷺ) came, `Aisha informed him about that. `Ali added, "So the Prophet (ﷺ) came to us when we had gone to bed. We wanted to get up (on his arrival) but he said, 'Stay where you are." Then he came and sat between me and her and I felt the coldness of his feet on my `Abdomen. He said, "Shall I direct you to something better than what you have requested? When you go to bed say 'Subhan Allah' thirty-three times, 'Al hamduli l-lah' thirty three times, and Allahu Akbar' thirty four times, for that is better for you than a servant."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৯/ ভরণ-পোষণ (كتاب النفقات)