৫৩২১

পরিচ্ছেদঃ ৬৮/৪১. ফাতিমাহ বিন্ত কায়সের ঘটনা

68/40. بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالٰى : (وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلاَثَةَ قُرُوءٍ)

৬৮/৪০. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তা মহিলারা তিন কুরূ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২২৮)

وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ فِيمَنْ تَزَوَّجَ فِي الْعِدَّةِ فَحَاضَتْ عِنْدَه“ ثَلاَثَ حِيَضٍ بَانَتْ مِنَ الأَوَّلِ وَلاَ تَحْتَسِبُ بِه„ لِمَنْ بَعْدَه“ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ تَحْتَسِبُ وَهٰذَا أَحَبُّ إِلٰى سُفْيَانَ يَعْنِي قَوْلَ الزُّهْرِيِّ.

وَقَالَ مَعْمَرٌ يُقَالُ أَقْرَأَتْ الْمَرْأَةُ إِذَا دَنَا حَيْضُهَا وَأَقْرَأَتْ إِذَا دَنَا طُهْرُهَا وَيُقَالُ مَا قَرَأَتْ بِسَلًى قَطُّ إِذَا لَمْ تَجْمَعْ وَلَدًا فِي بَطْنِهَا.

ইবরাহীম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইদ্দাতের মধ্যে বিয়ে করে, এরপর মহিলা তার কাছে তিন হায়িয পর্যন্ত অবস্থান করার পর দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাকে তালাক দেয়, তবে সে প্রথম স্বামী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। উক্ত তিন হায়িয তৃতীয় স্বামীর গ্রহণের জন্য যথেষ্ট হবে না। বরং তার জন্য নতুনভাবে ইদ্দাত পালন করতে হবে।) কিন্তু যুহরী বলেছেনঃ যথেষ্ট হবে। সুফ্ইয়ান যুহরীর মতকে পছন্দ করেছেন।

মা’মার বলেন, মহিলা কুরু যুক্ত হয়েছে তখনি বলা হয়, যখন তার হায়িয বা তুহুর আসে। مَا قَرَأَتْ بِسَلًى قَطُّ তখন বলা হয়, যখন মহিলা গর্ভে কোন সন্তান ধারণ না করে।’’ অর্থাৎ কুরূ অর্থ ধারণ করা বা একত্রিত করাও হয়)

وَقَوْلِهِ: (وَاتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ لاَ تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلاَ يَخْرُجْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ لاَ تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْرًا)، (أَسْكِنُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ سَكَنْتُمْ مِنْ وُجْدِكُمْ وَلاَ تُضَارُّوهُنَّ لِتُضَيِّقُوا عَلَيْهِنَّ وَإِنْ كُنَّ أُولاَتِ حَمْلٍ فَأَنْفِقُوا عَلَيْهِنَّ حَتَّى يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ) إِلَى قَوْلِهِ: (بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا).


এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর। তাদেরকে তাদের বাসগৃহ থেকে বের করে দিও না, আর তারা নিজেরাও যেন বের হয়ে না যায়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। যে কেউ আল্লাহর সীমারেখা লঙ্ঘন করে, সে নিজের উপরই যুল্ম করে। তোমরা জান না, আল্লাহ হয়তো এরপরও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতার) কোন উপায় বের করে দিবেন ...الطَلَّقَ.. ’ইদ্দাতকালে) নারীদেরকে সেভাবেই বসবাস করতে দাও যেভাবে তোমরা বসবাস কর তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী...... আল্লাহ কষ্টের পর আরাম দিবেন।’’সূরাহ আত্-তালাক ৬৫/১-৭)


৫৩২১-৫৩২২. কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ ও সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ ইবনু আস (রহ.) ’আবদুর রহমান ইবনু হাকাম এর কন্যাকে তালাক দিলে ’আবদুর রহমান তাকে উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর কাছে নিয়ে গেলে, তিনি মদিনা্র শাসনকর্তা মারওয়ানের কাছে বলে পাঠালেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, আর তাকে তার ঘরে ফিরিয়ে দাও। মারওয়ান বলেন, সুলাইমানের বর্ণনায় ’আবদুর রহমান আমাকে যুক্তিতে হারিয়ে দিয়েছে। কাসিম ইবনু মুহাম্মাদের বর্ণনায় তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিন্ত কায়সের ঘটনা কি আপনার কাছে পৌঁছেনি? তিনি বললেনঃ (’আয়িশাহ) ফাতিমাহ বিনত কায়সের ঘটনা মনে না রাখলে তোমার কোন ক্ষতি হবে না। মারওয়ান বললেনঃ যদি মনে করেন ফাতিমাহকে বের করার পিছনে তার মন্দ আচরণ কাজ করেছে, তবে বলব, এখানে সে মন্দ আচরণ বিদ্যমান আছে। [৫৩২৩, ৫৩২৪, ৫৩২৫, ৫৩২৬, ৫৩২৭, ৫৩২৮; মুসলিম ১৮/৬, হাঃ ১৪৮১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৬)

بَاب قِصَّةِ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ

إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيٰى بْنِ سَعِيدٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّه“ سَمِعَهُمَا يَذْكُرَانِ أَنَّ يَحْيٰى بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ طَلَّقَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَكَمِ فَانْتَقَلَهَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِيِنَ إِلٰى مَرْوَانَ بْنِ الحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ اتَّقِ اللهَ وَارْدُدْهَا إِلٰى بَيْتِهَا قَالَ مَرْوَانُ فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ إِنَّ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ الْحَكَمِ غَلَبَنِي وَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَوَمَا بَلَغَكِ شَأْنُ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ قَالَتْ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَذْكُرَ حَدِيثَ فَاطِمَةَ فَقَالَ مَرْوَانُ بْنُ الحَكَمِ إِنْ كَانَ بِكِ شَرٌّ فَحَسْبُكِ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ مِنَ الشَّرِّ.

اسماعيل حدثنا مالك عن يحيى بن سعيد عن القاسم بن محمد وسليمان بن يسار انه“ سمعهما يذكران ان يحيى بن سعيد بن العاص طلق بنت عبد الرحمن بن الحكم فانتقلها عبد الرحمن فارسلت عاىشة ام المومنين الى مروان بن الحكم وهو امير المدينة اتق الله وارددها الى بيتها قال مروان في حديث سليمان ان عبد الرحمن بن الحكم غلبني وقال القاسم بن محمد اوما بلغك شان فاطمة بنت قيس قالت لا يضرك ان لا تذكر حديث فاطمة فقال مروان بن الحكم ان كان بك شر فحسبك ما بين هذين من الشر.


Narrated Qasim bin Muhammad and Sulaiman bin Yasar:

that Yahya bin Sa`id bin Al-`As divorced the daughter of `Abdur-Rahman bin Al-Hakarn. `Abdur- Rahman took her to his house. On that `Aisha sent a message to Marwan bin Al-Hakam who was the ruler of Medina, saying, "Fear Allah, and urge your brother) to return her to her house." Marwan (in Sulaiman's version) said, "Abdur-Rahman bin Al-Hakam did not obey me (or had a convincing argument)." (In Al-Qasim's versions Marwan said, "Have you not heard of the case of Fatima bint Qais?" Aisha said, "The case of Fatima bint Qais is not in your favor.' Marwan bin Al-Hakam said to `Aisha, "The reason that made Fatima bint Qais go to her father's house is just applicable to the daughter of `Abdur-Rahman."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৮/ ত্বলাক (كتاب الطلاق)