পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৫. লি‘আন অভিসম্পাত সহকারে শপথ)।
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ) إِلَى قَوْلِهِ: (مِنَ الصَّادِقِينَ)
মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয়, কিন্তু নিজেদের ছাড়া তাদের অন্য কোন সাক্ষী না থাকে........... থেকে-’’যদি সে সত্যবাদী হয়’’ সূরাহ আন-নূর ২৪ঃ ৬-৯) পর্যন্ত!
فَإِذَا قَذَفَ الأَخْرَسُ امْرَأَتَهُ بِكِتَابَةٍ أَوْ إِشَارَةٍ أَوْ بِإِيمَاءٍ مَعْرُوفٍ، فَهْوَ كَالْمُتَكَلِّمِ، لأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَازَ الإِشَارَةَ فِي الْفَرَائِضِ، وَهْوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْحِجَازِ وَأَهْلِ الْعِلْمِ، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: (فَأَشَارَتْ إِلَيْهِ قَالُوا كَيْفَ نُكَلِّمُ مَنْ كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا).
وَقَالَ الضَّحَّاكُ: (إِلاَّ رَمْزًا) إِشَارَةً.
وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لاَ حَدَّ وَلاَ لِعَانَ. ثُمَّ زَعَمَ أَنَّ الطَّلاَقَ بِكِتَابٍ أَوْ إِشَارَةٍ أَوْ إِيمَاءٍ جَائِزٌ، وَلَيْسَ بَيْنَ الطَّلاَقِ وَالْقَذْفِ فَرْقٌ، فَإِنْ قَالَ الْقَذْفُ لاَ يَكُونُ إِلاَّ بِكَلاَمٍ. قِيلَ لَهُ كَذَلِكَ الطَّلاَقُ لاَ يَجُوزُ إِلاَّ بِكَلاَمٍ، وَإِلاَّ بَطَلَ الطَّلاَقُ وَالْقَذْفُ، وَكَذَلِكَ الْعِتْقُ، وَكَذَلِكَ الأَصَمُّ يُلاَعِنُ.
وَقَالَ الشَّعْبِيُّ وَقَتَادَةُ إِذَا قَالَ أَنْتِ طَالِقٌ. فَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ، تَبِينُ مِنْهُ بِإِشَارَتِهِ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ الأَخْرَسُ إِذَا كَتَبَ الطَّلاَقَ بِيَدِهِ لَزِمَهُ.
وَقَالَ حَمَّادٌ الأَخْرَسُ وَالأَصَمُّ إِنْ قَالَ بِرَأْسِهِ جَازَ.
যদি কোন বোবা লোক লিখিতভাবে বা ইশারায় কিংবা কোন পরিচিত ইঙ্গিতের মাধ্যমে নিজ স্ত্রীকে অপবাদ দেয়, তাহলে তার হুকুম বাকশক্তি সম্পন্ন মানুষের মতই। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয বিষয়াবলীতে ইশারা করার অনুমতি দিয়েছেন। এটা হিজাজ ও অন্যান্য স্থানের কিছু সংখ্যক আলিমেরও মত। আল্লাহ বলেছেনঃ ’’সে মারইয়াম) সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করলো, লোকেরা বলল, দোলনার শিশুর সঙ্গে আমরা কীভাবে কথা বলব?’’ সূরাহ মারইয়ামঃ ২৯) যাহহাক বলেনঃ (إِلاَّ رَمْزًا) অর্থ ’’ইঙ্গিত এবং ইশারার মাধ্যমে।’’ (সূরা আলে-’ইমরানঃ ৪১)
কিছু লোক বলেছেনঃ ইশারার মাধ্যমে কোন হদ্ শর’ঈ দন্ড) বা লি’আন নেই, আবার তাদেরই মত হলো লিখিতভাবে কিংবা ইশারা ইঙ্গিতে তালাক দেয়া জায়িয আছে। অথচ তালাক এবং অপবাদের মধ্যে কোন ব্যবধান নেই। যদি তারা বলেঃ কথা বলা ব্যতীত তো অপবাদ দেয়া সম্ভব নয়। তবে তাকে বলা হবে তাহলে তো অনুরূপভাবে কথা বলা ব্যতীত তালাক দেয়াও না জায়িয।অন্যথায় তো তালাক দেয়া, অপবাদ দেয়া এমনিভাবে গোলাম আযাদ করা, কোনটাই ইশারার মাধ্যমে জায়িয হতে পারে না। অনুরূপভাবে বধির ব্যক্তিও লি’আন করতে পারে। শা’বী ও ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ যদি কেউ আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে তার স্ত্রীকে বলে, তুমি তালাকপ্রাপ্তা, তাহলে ইশারার দ্বারা স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ইবরাহীম বলেনঃ বোবা ব্যক্তি নিজ হাতে তালাক পত্র লিপিবদ্ধ করলে অবশ্যই তালাক হবে। হাম্মাদ বলেনঃ বোবা এবং বধির মাথার ইঙ্গিতে বললেও জায়িয হবে।
৫৩০০. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের বলব কি, আনসারদের সব চেয়ে উত্তম গোত্র কোনটি? তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! হাঁ বলুন। তিনি বললেনঃ তারা বনূ নাজ্জার। এরপর যারা তাদের নিকটবর্তী বনূ আবদুল আশহাল, এরপর তাদের নিকটবর্তী যারা বনূ হারিস ইবনু খাযরাজ। এরপর তাদের সন্নিকটে বনূ সা’ঈদা। এরপর তিনি হাত দ্বারা ইশারা করলেন। হাতের আঙ্গুলগুলোকে সঙ্কুচিত করে আবার তা সম্প্রসারিত করলেন। যেমন কেউ কিছু হাতের দ্বারা নিক্ষেপ করার সময় করে থাকে। এরপর বলেনঃ আনসারদের প্রতিটি গোত্রেই কল্যাণ নিহিত আছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৪)
بَاب اللِّعَانِ
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ يَحْيٰى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ أَنَّه“ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ الأَنْصَارِ قَالُوا بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ بَنُو النَّجَّارِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو عَبْدِ الأَشْهَلِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ بَنُو سَاعِدَةَ ثُمَّ قَالَ بِيَدِه„ فَقَبَضَ أَصَابِعَه“ ثُمَّ بَسَطَهُنَّ كَالرَّامِي بِيَدِه„ ثُمَّ قَالَ وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ خَيْرٌ.
লি‘আন অর্থ একে অপরকে অভিশাপ করা। শারীয়াতের পরিভাষায় এর অর্থঃ যে ব্যক্তি আপন স্ত্রীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, কিন্তু এ ব্যাপারে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে পারছে না।
আল্লাহ তা‘আলা সূরা নূরের ৬নং আয়াত হতে ৯নং আয়াতে উক্ত সমস্যার সমাধান উল্লেখ করেছেন। হাদীসে রসূলেও তার বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। সূরা নূরের কয়েকটি আয়াতে বলা হয়েছে-
وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ أَحَدِهِمْ أَرْبَعُ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ ۙ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ
وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ
وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ
‘‘আর যারা তাদের স্ত্রীদের উপর যিনার) অপবাদ আরোপ করে এবং তাদের নিকট নিজ ব্যতীত) অন্য কোন সাক্ষী না থাকে তবে তাদের সাক্ষী এই যে, চারবার আল্লাহর নামে কসম করে বলবে নিশ্চয় আমি সত্যবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে আমার উপর আল্লাহর লানত হোক, আমি যদি মিথ্যাবাদী হই। আর সেই স্ত্রীর শাস্তি রহিত হয়ে যাবে যদি সে আল্লাহর কসম খেয়ে চারবার এ কথা ব’লে সাক্ষী দেয় যে, তার স্বামী অবশ্যই মিথ্যাবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয় তাহলে আমার উপর আল্লাহর গযব হোক।সূরা আন-নূর ২৪ঃ ৬-৯)
বুখারী ও মুসলিমে উল্লেখ আছে- সাহল বিন সা‘দ সা‘ঈদী রাযি.) বলেন, একদিন উমাইমির আজলানী এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কী বলেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অপর ব্যক্তিকে পায়, তবে কি সে তাকে হত্যা করবে? অতঃপর নিহতদের আত্মীয়রা তাকে হত্যা করবে। অথবা সে কী করবে? নাবী ﷺ বললেন তোমার ও তোমার স্ত্রীর ন্যায় ব্যক্তিদের) ব্যাপারেই সূরা নূরের আয়াত নাযিল হয়েছে। যাও! তোমার স্ত্রীকে নিয়ে আস। সাদ বলেন, তারা মসজিদে এসে লি‘আন করল। আমি তখন লোকের সাথে রসূলুল্লাহ ﷺ’র নিকট ছিলাম। রাবী বলেন) যখন তারা লি‘আন হতে অবসর গ্রহণ করল ওয়াইমির বললঃ এরপর যদি আমি তাকে রাখি তাহলে ধরতে হবে যে, আমি তার উপর মিথ্যা আরোপ করেছি। অতঃপর তিনি তার লি‘আনকৃতা স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে বিদায় করে দিলেন।
উল্লেখ্য এ হাদীসের মধ্যে সাহাবী তিন তালাক এ কারণে দিয়েছিলেন যে, তিনি মনে করেছিলেন যে, মনে হয় লি‘আনের পরেও তার স্ত্রীর উপর তার অধিকার রয়েছে। কিন্তু লি‘আনের পরে স্বামীর স্ত্রীর উপর আর কোন অধিকার থাকে না। অতঃপর তালাক দেয়ার অধিকারও থাকে না। কারণ হাদীসের মধ্যে রসূল বলেছেনঃ ‘‘তোমার তার উপরে কোন অধিকার নেই।’’
লি‘আন করার পর তালাকের প্রয়োজন হয় না। আর কোন দিন তারা একে অপরকে বিবাহ করতে পারবে না। লি‘আন করার পর তাদের দুনিয়াতে কোন শাস্তি নেই। লি‘আনের পর যে প্রকৃত মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হবে তার জন্য রয়েছে পরকালীন শাস্তি। এমনিভাবে তাকে দুনিয়াতে ব্যভিচারিণী ও তার সন্তানকে জারয বলা হতে বিরত থাকতে হবে। বিচারকমন্ডলী তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিবেন। স্বামীর লি‘আনের পর আর কিছু করতে হবে না। তবে উক্ত স্ত্রীলোক যদি ইদ্দত অতিক্রম করার পর অন্যত্র বিবাহ করতে চায় তাহলে বিবাহ করতে পারবে। আল্লাহ আমাদের উক্ত নোংরামি থেকে হিফাযাতে রাখুন!
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Shall I tell you of the best families among the Ansar?" They (the people) said, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ)!" The Prophet (ﷺ) said, "The best are Banu- An-Najjar, and after them are Banu `Abdil Ash-hal, and after them are Banu Al-Harith bin Al-Khazraj, and after them are Banu Sa`ida." The Prophet (ﷺ) then moved his hand by closing his fingers and then opening them like one throwing something, and then said, "Anyhow, there is good in all the families of the Ansar. "