পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১১০/১. পরিচ্ছেদ নাই।
(109) سُوْرَةُ الْكَافِرُوْنَ
সূরাহ (১০৯) : কাফিরূন
يُقَالُ (لَكُمْ دِيْنُكُمْ) الْكُفْرُ (وَلِيَ دِيْنِ) الإِسْلَامُ وَلَمْ يَقُلْ دِيْنِيْ لِأَنَّ الْآيَاتِ بِالنُّوْنِ فَحُذِفَتْ الْيَاءُ كَمَا قَالَ يَهْدِيْنِ وَ يَشْفِيْنِ وَقَالَ غَيْرُهُ (لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ) الآنَ وَلَا أُجِيْبُكُمْ فِيْمَا بَقِيَ مِنْ عُمُرِيْ (وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ) وَهُمْ الَّذِيْنَ قَالَ (وَلَيَزِيْدَنَّ كَثِيْرًا مِّنْهُمْ مَآ أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَّكُفْرًا).
বলা হয় لَكُمْ دِيْنُكُمْ তোমাদের দ্বীন তোমাদের, অর্থাৎ কুফর। আর وَلِيَ دِيْنِ আমাদের দ্বীন ইসলাম। এখানে دِيْنِيْ বলা হয়নি। পূর্বের আয়াতগুলো نঅক্ষরের উপর যেহেতু শেষ করা হয়েছে, তাই পূর্বের আয়াতগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করার জন্য يا অক্ষরটিকে মুছে ফেলে এ আয়াতটিকেও ن অক্ষরের ওপর সমাপ্ত করা হয়েছে। যেমন অন্য স্থানে আল্লাহ্ তা’আলা يَهْدِيْنِ এবং يَشْفِيْنِ ব্যবহার করেছেন। (মুজাহিদ ব্যতীত) অপরাপর মুফাসসির বলেছেন, لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ -এর মর্মার্থ হচ্ছেঃ তোমরা বর্তমানে যার ’ইবাদাত কর, আমি তার ’ইবাদাত করি না এবং অবশিষ্ট জীবনেও আমি তোমাদের এ আহবানে সাড়া দেব না। وَلَآ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَآ أَعْبُدُ এবং তোমরাও তাঁর ’ইবাদাতকারী নও- ’যাঁর ’ইবাদাত আমি করি।’ তারা ঐ সমস্ত লোক, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা অন্যত্র ইরশাদ করেছেনঃ وَلَيَزِيْدَنَّ كَثِيْرًا مِّنْهُمْ مَّآ أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَّكُفْرًا ’’তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা তাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও অবিশ্বাসই বাড়িয়ে দিয়েছে।’’ (সূরাহ (৫) : আল-মায়িদাহঃ ৬৪)
(110) سُوْرَةُ الفتح
সূরাহ (১১০) : নাসর
৪৯৬৭. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ সূরাহ অবতীর্ণ হবার পর নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রুকু’ ও সিজদাতে) নিম্নোক্ত দু’আটি পাঠ ব্যতীত (রুকু’ ও সিজদাতে অন্য কোন দু’আ দ্বারা) সালাত আদায় করেন নি। [১] (আর তা হচ্ছে): سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ’’হে আল্লাহ্! তুমি পবিত্র, তুমিই আমার রব। সকল প্রশংসা তোমারই জন্য নির্ধারিত। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে ক্ষমা কর।’’ [৭৯৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬০৩)
باب
الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيْعِ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوْقٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ مَا صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلَاةً بَعْدَ أَنْ نَزَلَتْ عَلَيْهِ (إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ) إِلَّا يَقُوْلُ فِيْهَا سُبْحَانَكَ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللهُمَّ اغْفِرْ لِي .
এটি একেবারেই মনগড়া ও হাদীস বিরোধী কথা যার কোন দলীল নেই। ইমাম ইবনু কাইয়্যিম যাদুল মা‘আদে এবং নাসিরউদ্দিন আলবানী স্বীয় সিফাত গ্রন্থে রুকু‘ ও সিজদার দু‘আর অর্থের পর লিখেছেনঃ “তিনি কুরআনের উপর ‘আমল করতঃ রুকু‘ ও সিজদা্তে এ দু‘আটি বেশী বেশী করে পড়তেন।” (বুখারী হাদীস নং ৮১৭) আর এ সূরাহ্টি নাযিল হয়েছে আল্লাহর রসূলের ইন্তিকালের অল্প কিছুদিন পূর্বে। সূরা নাসর হচ্ছে সর্বশেষ নাযিলকৃত সূরাহ্। তাই উক্ত টীকার দাবী সম্পূর্ণ অসত্য ও অজ্ঞতাপূর্ণ। অত্র হাদীস হতেও বোঝা যায় যে, অত্র আয়াতটি অবতীর্ণ হবার পর তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত উপরোক্ত দু‘আটিই পাঠ, করেছেন অন্য কোন দু‘আ নয়।
Narrated Aisha:
"When the "Surat-An-Nasr", 'When comes the Help of Allah and the conquest,' had been revealed to the Prophet (ﷺ) he did not offer any prayer except that he said therein, "Subhanka Rabbana wa bihamdika; Allahumma ighfirli (I testify the Uniqueness of our Lord, and all the praises are for Him: O Allah, forgive me!")