৪৮০৯

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৩৮/৩. আল্লাহর বাণীঃ আমি নকল লৌকিকতাকারীও নই। (সূরাহ সোয়াদ ৩৮/৮৬)

৪৮০৯. মাসরূক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, হে লোকসকল! যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে অবগত সে তা বর্ণনা করবে। আর যে না জানে, তার বলা উচিত, আল্লাহ্ই ভাল জানেন। কেননা অজানা বিষয় সম্বন্ধে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, এ কথা বলাও জ্ঞানের নিদর্শন। আল্লাহ্ তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলেছেন, ’বল, এর (কুরআন বা তাওহীদ প্রচারের) জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না এবং আমি বানোয়াটকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই।’’ (কুরআনে উল্লেখিত) ধূম্র সম্পর্কে শীঘ্র আমি তোমাদের বলব। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দিলে তারা (সাড়া দিতে) বিলম্ব করল। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! ইউসুফ (আঃ)-এর জীনবকালের দুর্ভিক্ষের সাত বছরের মত দুর্ভিক্ষ দ্বারা তুমি আমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য কর। এরপর দুর্ভিক্ষ তাদেরকে ঘিরে ফেলল। শেষ হয়ে গেল সমস্ত কিছু। অবশেষে তারা মৃত জন্তু ও চামড়া খেতে লাগল। তখন তাদের কেউ আকাশের দিকে তাকালে ক্ষুধার জ্বালায় চোখে আকাশ ও তার মধ্যে ধূম্র দেখত।

আল্লাহ্ বললেন, ’’অতএব তুমি সেদিনের অপেক্ষা কর, যেদিন ধূম্র হবে আকাশে, এবং তা ঘিরে ফেলবে সকল মানুষ। এ তো মর্মন্তুদ শাস্তি।’’ রাবী বলেন, তারপর তারা দু’আ করল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ আযাব থেকে নাজাত দাও, আমরা ঈমান আনব। তারা কীভাবে নাসীহাত মানবে? তাদের কাছে তো এসেছে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাদাতা এক রাসূল। তারপর তারা মুখ ঘুরিয়ে নিল তাঁর থেকে এবং বলল, সে তো শিখানো কথা বলে, সে তো এক উন্মাদ। আমি তোমাদের শাস্তি কিছুকালের জন্য রহিত করছি। তোমরা তো অবশ্য তোমাদের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। (ইবনু মাসউদ বলেন), কিয়ামতের দিনও কি তাদের থেকে ’আযাব রহিত করা হবে? তিনি (ইবনু মাসউদ) বলেন, ’আযাব সরানো হলে তারা পুনরায় কুফরীর দিকে ফিরে গেল। তারপর আল্লাহ্ তা’আলা বদর যুদ্ধের দিন তাদের পাকড়াও করলেন। আল্লাহ্ বলেন, যেদিন আমি তোমাদের কঠিনভাবে ধরব, সেদিন আমি তোমাদের শাস্তি দেবই। [১০০৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৪৬)

بَاب قَوْلُهُ :{وَمَآ أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِيْنَ}.

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوْقٍ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ عَلِمَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ بِهِ وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلْ اللهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ مِنَ الْعِلْمِ أَنْ يَقُوْلَ لِمَا لَا يَعْلَمُ اللهُ أَعْلَمُ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ (قُلْ مَآ أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَّمَآ أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِيْنَ) وَسَأُحَدِّثُكُمْ عَنْ الدُّخَانِ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا قُرَيْشًا إِلَى الإِسْلَامِ فَأَبْطَئُوْا عَلَيْهِ فَقَالَ اللهُمَّ أَعِنِّيْ عَلَيْهِمْ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوْسُفَ فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ فَحَصَّتْ كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْمَيْتَةَ وَالْجُلُوْدَ حَتَّى جَعَلَ الرَّجُلُ يَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ دُخَانًا مِنَ الْجُوْعِ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ (فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَآءُ بِدُخَانٍ مُّبِيْنٍ لا - يَّغْشَى النَّاسَ ط هٰذَا عَذَابٌ أَلِيْمٌ (11)) قَالَ فَدَعَوْا (رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُوْنَ - أَنّٰى لَهُمُ الذِّكْرٰى وَقَدْ جَآءَهُمْ رَسُوْلٌ مُّبِيْنٌ لا - ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَقَالُوْا مُعَلَّمٌ مَّجْنُوْنٌ ﻣ- إِنَّا كَاشِفُوا الْعَذَابِ قَلِيْلًا إِنَّكُمْ عَآئِدُوْنَ ﻣ) أَفَيُكْشَفُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ فَكُشِفَ ثُمَّ عَادُوْا فِيْ كُفْرِهِمْ فَأَخَذَهُمْ اللهُ يَوْمَ بَدْرٍ قَالَ اللهُ تَعَالَى (يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرٰى ج إِنَّا مُنْتَقِمُوْنَ).

قتيبة بن سعيد حدثنا جرير عن الاعمش عن ابي الضحى عن مسروق قال دخلنا على عبد الله بن مسعود قال يا ايها الناس من علم شيىا فليقل به ومن لم يعلم فليقل الله اعلم فان من العلم ان يقول لما لا يعلم الله اعلم قال الله عز وجل لنبيه (قل مآ اسالكم عليه من اجر ومآ انا من المتكلفين) وساحدثكم عن الدخان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم دعا قريشا الى الاسلام فابطىوا عليه فقال اللهم اعني عليهم بسبع كسبع يوسف فاخذتهم سنة فحصت كل شيء حتى اكلوا الميتة والجلود حتى جعل الرجل يرى بينه وبين السماء دخانا من الجوع قال الله عز وجل (فارتقب يوم تاتي السماء بدخان مبين لا - يغشى الناس ط هذا عذاب اليم (11)) قال فدعوا (ربنا اكشف عنا العذاب انا مومنون - انى لهم الذكرى وقد جاءهم رسول مبين لا - ثم تولوا عنه وقالوا معلم مجنون ﻣ- انا كاشفوا العذاب قليلا انكم عاىدون ﻣ) افيكشف العذاب يوم القيامة قال فكشف ثم عادوا في كفرهم فاخذهم الله يوم بدر قال الله تعالى (يوم نبطش البطشة الكبرى ج انا منتقمون).


Narrated Masruq:

We came upon `Abdullah bin Mas`ud and he said "O people! If somebody knows something, he can say it, but if he does not know it, he should say, "Allah knows better,' for it is a sign of having knowledge to say about something which one does not know, 'Allah knows better.' Allah said to His Prophet: 'Say (O Muhammad ! ) No wage do I ask of You for this (Qur'an) nor am I one of the pretenders (a person who pretends things which do not exist).' (38.86) Now I will tell you about Ad- Dukhan (the smoke), Allah's Messenger (ﷺ) invited the Quraish to embrace Islam, but they delayed their response. So he said, "O Allah! Help me against them by sending on them seven years of famine similar to the seven years of famine of Joseph." So the famine year overtook them and everything was destroyed till they ate dead animals and skins. People started imagining to see smoke between them and the sky because of severe hunger. Allah said: 'Then watch you for the Day that the sky will bring forth a kind of smoke plainly visible, covering the people. . . This is painful torment.' (44.10-11) (So they invoked Allah) "Our Lord! Remove the punishment from us really we are believers." How can there be an (effectual) reminder for them when an Apostle, explaining things clearly, has already come to them? Then they had turned away from him and said: 'One taught (by a human being), a madman?' 'We shall indeed remove punishment for a while, but truly, you will revert (to disbelief).' (44.12-15) Will the punishment be removed on the Day of Resurrection?" `Abdullah added, "The punishment was removed from them for a while but they reverted to disbelief, so Allah destroyed them on the Day of Badr. Allah said: 'The day We shall seize you with a mighty grasp. We will indeed (then) exact retribution." (44.16)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير)