৪৫৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৪/১. ‘‘আর যদি তোমরা ভয় কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের ব্যাপারে সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করে নাও অন্য নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের মনঃপুত হয়।’’ (সূরাহ আন-নিসা ৪/৩)

৪৫৭৪. ’উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন মহান আল্লাহর বাণী وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لَّا تُقْسِطُوْا فِي الْيَتَامٰى সম্পর্কে। তিনি উত্তরে বললেন, হে ভাগ্নে! সে হচ্ছে পিতৃহীনা বালিকা, অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং তার সম্পত্তিতে অংশীদার হয় এবং তার রূপ ও সম্পদ তাকে (অভিভাবককে) আকৃষ্ট করে। এরপর সেই অভিভাবক উপযুক্ত মাহর না দিয়ে তাকে বিবাহ করতে চায়। তদুপরি অন্য ব্যক্তি যে পরিমাণ মাহর দেয় তা না দিয়ে এবং তার প্রতি ন্যায়বিচার না করে তাকে বিয়ে করতে চায়। এরপর তাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মাহর এবং ন্যায় ও সমুচিত মাহর প্রদান ব্যতীত তাদের বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং তদ্ব্যতীত যে সকল মহিলা পছন্দ হয় তাদেরকে বিয়ে করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

’উরওয়া (রহ.) বলেন যে, ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে মহিলাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন- وَيَسْتَفْتُوْنَكَ فِي النِّسَآءِ ’’এবং লোকেরা আপনার কাছে নারীদের বিষয়ে জানতে চান......’’। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর বাণী অন্য এক আয়াতে-তোমরা তাদেরকে বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ কর। ইয়াতীম বালিকার ধন-সম্পদ কম হলে এবং সুন্দরী না হলে তাকে বিবাহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করো না। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তাই ইয়াতীম বালিকাদের মাল ও সৌন্দর্যের আকর্ষণে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ন্যায়বিচার করলে ভিন্ন কথা। কেননা তারা সম্পদের অধিকারী না হলে এবং সুন্দরী না হলে তাদেরকেও বিবাহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। [২৪৯৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২১৬)

بَاب :{وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لَّا تُقْسِطُوْا فِي الْيَتَامٰى}.

عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى : (وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لَّا تُقْسِطُوْا فِي الْيَتَامٰى) فَقَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِيْ هَذِهِ الْيَتِيْمَةُ تَكُوْنُ فِيْ حَجْرِ وَلِيِّهَا تَشْرَكُهُ فِيْ مَالِهِ وَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا فَيُرِيْدُ وَلِيُّهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِيْ صَدَاقِهَا فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيْهَا غَيْرُهُ فَنُهُوْا عَنْ أَنْ يَنْكِحُوْهُنَّ إِلَّا أَنْ يُقْسِطُوْا لَهُنَّ وَيَبْلُغُوْا لَهُنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ فِي الصَّدَاقِ فَأُمِرُوْا أَنْ يَنْكِحُوْا مَا طَابَ لَهُمْ مِنْ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ وَإِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الْآيَةِ فَأَنْزَلَ اللهُ : (وَيَسْتَفْتُوْنَكَ فِي النِّسَآءِ) قَالَتْ عَائِشَةُ : وَقَوْلُ اللهِ تَعَالَى فِيْ آيَةٍ أُخْرَى : (وَتَرْغَبُوْنَ أَنْ تَنْكِحُوْهُنَّ) رَغْبَةُ أَحَدِكُمْ عَنْ يَتِيْمَتِهِ حِيْنَ تَكُوْنُ قَلِيْلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ قَالَتْ فَنُهُوْا أَنْ يَنْكِحُوْا عَنْ مَنْ رَغِبُوْا فِيْ مَالِهِ وَجَمَالِهِ فِيْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلَّا بِالْقِسْطِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ إِذَا كُنَّ قَلِيْلَاتِ الْمَالِ وَالْجَمَالِ.

عبد العزيز بن عبد الله حدثنا ابراهيم بن سعد عن صالح بن كيسان عن ابن شهاب قال اخبرني عروة بن الزبير انه سال عاىشة عن قول الله تعالى : (وان خفتم ان لا تقسطوا في اليتامى) فقالت يا ابن اختي هذه اليتيمة تكون في حجر وليها تشركه في ماله ويعجبه مالها وجمالها فيريد وليها ان يتزوجها بغير ان يقسط في صداقها فيعطيها مثل ما يعطيها غيره فنهوا عن ان ينكحوهن الا ان يقسطوا لهن ويبلغوا لهن اعلى سنتهن في الصداق فامروا ان ينكحوا ما طاب لهم من النساء سواهن قال عروة قالت عاىشة وان الناس استفتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد هذه الاية فانزل الله : (ويستفتونك في النسآء) قالت عاىشة : وقول الله تعالى في اية اخرى : (وترغبون ان تنكحوهن) رغبة احدكم عن يتيمته حين تكون قليلة المال والجمال قالت فنهوا ان ينكحوا عن من رغبوا في ماله وجماله في يتامى النساء الا بالقسط من اجل رغبتهم عنهن اذا كن قليلات المال والجمال.


Narrated `Urwa bin Az-Zubair:

That he asked `Aisha regarding the Statement of Allah: "If you fear that you shall not be able to deal justly with the orphan girls..." (4.3) She said, "O son of my sister! An Orphan girl used to be under the care of a guardian with whom she shared property. Her guardian, being attracted by her wealth and beauty, would intend to marry her without giving her a just Mahr, i.e. the same Mahr as any other person might give her (in case he married her). So such guardians were forbidden to do that unless they did justice to their female wards and gave them the highest Mahr their peers might get. They were ordered (by Allah, to marry women of their choice other than those orphan girls." `Aisha added," The people asked Allah's Messenger (ﷺ) his instructions after the revelation of this Divine Verse whereupon Allah revealed: "They ask your instruction regarding women " (4.127) `Aisha further said, "And the Statement of Allah: "And yet whom you desire to marry." (4.127) as anyone of you refrains from marrying an orphan girl (under his guardianship) when she is lacking in property and beauty." `Aisha added, "So they were forbidden to marry those orphan girls for whose wealth and beauty they had a desire unless with justice, and that was because they would refrain from marrying them if they were lacking in property and beauty."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير)