১৫৫৪

পরিচ্ছেদঃ ২৬০ : মিথ্যা বলা হারাম

৫/১৫৫৪। সামুরাহ ইবনে জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই তাঁর সাহাবীদেরকে বলতেন, ’’তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছে কি?’’ রাবী বলেন, যার ব্যাপারে আল্লাহর ইচ্ছা সে তাঁর কাছে স্বপ্ন বর্ণনা করত। তিনি একদিন সকালে বললেন, ’’গতরাত্রে আমার কাছে দুজন আগন্তুক এলো। তারা আমাকে উঠাল, আর বলল, ’চলুন।’ আমি তাদের সাথে চলতে লাগলাম। অতঃপর আমরা কাত হয়ে শোয়া এক ব্যক্তির নিকট পৌঁছলাম।

দেখলাম, অপর এক ব্যক্তি তার নিকট পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তার মাথায় পাথর নিক্ষেপ করছে। ফলে তার মাথা ফাটিয়ে ফেলছে। আর পাথর গড়িয়ে সরে পড়ছে। তারপর আবার সে পাথরটির অনুসরণ করে তা পুনরায় নিয়ে আসছে। ফিরে আসতে না আসতেই লোকটির মাথা আগের মত পুনরায় ভাল হয়ে যাচ্ছে। ফিরে এসে আবার একই আচরণ করছে; যা প্রথমবার করেছিল। [তিনি বলেন,] আমি সাথী-দ্বয়কে বললাম, ’সুবহানাল্লাহ! এটা কি?’ তারা আমাকে বলল, ’চলুন, চলুন।’

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম, তারপর চিত হয়ে শোয়া এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছলাম। এখানেও দেখলাম, তার নিকট এক ব্যক্তি লোহার আঁকড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর সে তার চেহারার একদিকে এসে এর দ্বারা তার কশ থেকে মাথার পিছনের দিক পর্যন্ত এবং একইভাবে নাকের ছিদ্র থেকে মাথার পিছনের দিক পর্যন্ত এবং অনুরূপভাবে চোখ থেকে মাথার পিছন দিক পর্যন্ত চিরে ফেলছে। তারপর ঐ লোকটি শোয়া ব্যক্তির অপরদিকে যাচ্ছে এবং প্রথম দিকের সাথে যেরূপ আচরণ করেছে অনুরূপ আচরণই অপর দিকের সাথেও করছে। ঐ দিক হতে অবসর হতে না হতেই প্রথম দিকটি আগের মত ভাল হয়ে যাচ্ছে। তারপর আবার প্রথম বারের মত আচরণ করছে। [তিনি বলেন,] আমি বললাম, ’সুবহানাল্লাহ! এরা কারা?’ তারা আমাকে বলল, ’চলুন, চলুন।’

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং [তন্দুর] চুলার মত একটি গর্তের কাছে পৌঁছলাম। [বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, যেন তিনি বললেন,] আর সেখানে শোরগোল ও নানা শব্দ ছিল। আমরা তাতে উঁকি মেরে দেখলাম, তাতে বেশ কিছু উলঙ্গ নারী-পুরুষ রয়েছে। আর নীচ থেকে নির্গত আগুনের লেলিহান শিখা তাদেরকে স্পর্শ করছে। যখনই লেলিহান শিখা তাদেরকে স্পর্শ করছে, তখনই তারা উচ্চরবে চিৎকার করে উঠছে। আমি বললাম, ’এরা কারা?’ তারা আমাকে বলল, ’চলুন, চলুন।’

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং একটি নদীর কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। [বর্ণনাকারী বলেন, আমার যতদূর মনে পড়ে, তিনি বললেন,] নদীটি ছিল রক্তের মত লাল। আর দেখলাম, সেই নদীতে এক ব্যক্তি সাঁতার কাটছে। আর নদীর তীরে অপর এক ব্যক্তি রয়েছে এবং সে তার কাছে অনেকগুলো পাথর একত্রিত করে রেখেছে। আর ঐ সাঁতার-রত ব্যক্তি বেশ কিছুক্ষণ সাঁতার কাটার পর সেই ব্যক্তির কাছে ফিরে আসছে, যে তার নিকট পাথর একত্রিত করে রেখেছে। সেখানে এসে সে তার সামনে মুখ খুলে দিচ্ছে এবং ঐ ব্যক্তি তার মুখে একটি পাথর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তারপর সে চলে গিয়ে আবার সাঁতার কাটছে এবং আবার তার কাছে ফিরে আসছে। আর যখনই ফিরে আসছে তখনই ঐ ব্যক্তি তার মুখে পাথর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, ’এরা কারা?’ তারা বলল, ’চলুন, চলুন।’

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং এমন একজন কুৎসিত ব্যক্তির কাছে এসে পৌঁছলাম, যা তোমার দৃষ্টিতে সর্বাধিক কুৎসিত বলে মনে হয়। আর দেখলাম, তার নিকট রয়েছে আগুন, যা সে জ্বালাচ্ছে ও তার চারিদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, ’ঐ লোকটি কে?’ তারা বলল, ’চলুন, চলুন।’

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং একটা সবুজ-শ্যামল বাগানে এসে উপস্থিত হলাম। সেখানে বসন্তের সব রকমের ফুল রয়েছে আর বাগানের মাঝে এত বেশী দীর্ঘকায় একজন পুরুষ রয়েছে, আকাশে যার মাথা যেন আমি দেখতেই পাচ্ছিলাম না। আবার দেখলাম, তার চারদিকে এত বেশী পরিমাণ বালক-বালিকা রয়েছে, যত বেশী পরিমাণ আর কখনোও আমি দেখিনি। আমি তাদেরকে বললাম, ’উনি কে? এরা কারা?’ তারা আমাকে বলল, ’চলুন, চলুন।’

সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং একটা বিশাল [বাগান বা] গাছের নিকট গিয়ে উপস্থিত হলাম। এমন বড় এবং সুন্দর [বাগান বা] গাছ আমি আর কখনো দেখিনি। তারা আমাকে বলল, ’এর উপরে ছড়ুন।’ আমরা উপরে ছড়লাম। শেষ পর্যন্ত সোনা-রূপার ইটের তৈরি একটি শহরে গিয়ে আমরা উপস্থিত হলাম। আমরা শহরের দরজায় পৌঁছলাম এবং দরজা খুলতে বললাম। আমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হল। আমরা তাতে প্রবেশ করলাম। তখন সেখানে কতক লোক আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করল, যাদের অর্ধেক শরীর এত সুন্দর ছিল, যত সুন্দর তুমি দেখেছ, তার থেকেও অধিক। আর অর্ধেক শরীর এত কুৎসিত ছিল যত কুৎসিত তুমি দেখেছ, তার থেকেও অধিক।

সাথী-দ্বয় ওদেরকে বলল, ’যাও ঐ নদীতে গিয়ে নেমে পড়।’ আর সেটা ছিল সুপ্রশস্ত প্রবহমান নদী। তার পানি যেন ধপধপে সাদা। ওরা তাতে গিয়ে নেমে পড়ল। অতঃপর ওরা আমাদের কাছে ফিরে এলো। দেখা গেল, তাদের ঐ কুশ্রী রূপ দূর হয়ে গেছে এবং তারা খুবই সুন্দর আকৃতির হয়ে গেছে। [তিনি বলেন,] তারা আমাকে বলল, ’এটা জান্নাতে আদ্ন এবং ওটা আপনার বাসস্থান।’ [তিনি বলেন,] উপরের দিকে আমার দৃষ্টি গেলে, দেখলাম ধপধপে সাদা মেঘের মত একটি প্রাসাদ রয়েছে। তারা আমাকে বলল, ’ঐটা আপনার বাসগৃহ।’ [তিনি বললেন,] আমি তাদেরকে বললাম, ’আল্লাহ তোমাদের মাঝে বরকত দিন, আমাকে ছেড়ে দাও; আমি এতে প্রবেশ করি।’ তারা বলল, ’আপনি অবশ্যই এতে প্রবেশ করবেন। তবে এখন নয়।’

আমি বললাম, ’আমি রাতে অনেক বিস্ময়কর ব্যাপার দেখতে পেলাম, এগুলোর তাৎপর্য কি?’ তারা আমাকে বলল, ’আচ্ছা আমরা আপনাকে বলে দিচ্ছি। ঐ যে প্রথম ব্যক্তিকে যার কাছে আপনি পৌঁছলেন, যার মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হচ্ছিল, সে হল ঐ ব্যক্তি যে কুরআন গ্রহণ করে---তা বর্জন করে। আর ফরয নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে থাকে।

আর ঐ ব্যক্তি যার কাছে গিয়ে দেখলেন যে, তার কশ থেকে মাথার পিছনের দিক পর্যন্ত এবং একইভাবে নাকের ছিদ্র থেকে মাথার পিছনের দিক পর্যন্ত এবং অনুরূপভাবে চোখ থেকে মাথার পিছন দিক পর্যন্ত চিরে ফেলা হচ্ছিল। সে হল ঐ ব্যক্তি যে সকালে আপন ঘর থেকে বের হয়ে এমন মিথ্যা বলে, যা চতুর্দিক ছড়িয়ে পড়ে।

আর যে সকল উলঙ্গ নারী-পুরুষ যারা [তন্দুর] চুলা সদৃশ গর্তের অভ্যন্তরে রয়েছে, তারা হল ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর দল।

আর ঐ ব্যক্তি যার কাছে পৌঁছে দেখলেন যে, সে নদীতে সাঁতার কাটছে ও তার মুখে পাথর ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে সে হল সুদখোর।

আর ঐ কুৎসিত ব্যক্তি যে আগুনের কাছে ছিল এবং আগুন জ্বালাচ্ছিল আর তার চারপাশে ছুটে বেড়াচ্ছিল। সে হল মালেক [ফিরিস্তা]; জাহান্নামের দারোগা।

আর ঐ দীর্ঘকায় ব্যক্তি যিনি বাগানে ছিলেন। তিনি হলেন ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম। আর তাঁর চারপাশে যে বালক-বালিকারা ছিল, ওরা হল তারা, যারা [ইসলামী] প্রকৃতি নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।’’

বারক্বানীর বর্ণনায় আছে, ’’ওরা তারা, যারা [ইসলামী] প্রকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে [মৃত্যুবরণ করেছে]।’’ তখন কিছু সংখ্যক মুসলিম জিজ্ঞেস করলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! মুশরিকদের শিশু-সন্তানরাও কি [সেখানে আছে]?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’মুশরিকদের শিশু-সন্তানরাও [সেখানে আছে]।

আর ঐ সব লোক যাদের অর্ধেকাংশ অতি সুন্দর ও অর্ধেকাংশ অতি কুৎসিত ছিল, তারা হল ঐ সম্প্রদায় যারা সৎ-অসৎ উভয় প্রকারের কাজ মিশ্রিত-ভাবে করেছে। আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।’’ (বুখারী)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’আজ রাতে আমি দেখলাম, দু’টি লোক এসে আমাকে পবিত্র ভূমির দিকে বের করে নিয়ে গেল।’’ অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি বললেন, ’’সুতরাং আমরা চলতে লাগলাম এবং [তন্দুর] চুলার মত একটি গর্তের কাছে পৌঁছলাম; যার উপর দিকটা সংকীর্ণ ছিল এবং নিচের দিকটা প্রশস্ত। তার নিচে আগুন জ্বলছিল। তার মধ্যে উলঙ্গ বহু নারী-পুরুষ ছিল। আগুন যখন উপর দিকে উঠছিল, তখন তারাও [আগুনের সাথে] উপরে উঠছিল। এমনকি প্রায় তারা [চুলা] থেকে বের হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। আর যখন আগুন স্তিমিত হয়ে নেমে যাচ্ছিল, তখন [তার সাথে] তারাও নিচে ফিরে যাচ্ছিল।’’

এই বর্ণনায় আছে, ’’একটি রক্তের নদীর কাছে এলাম।’’ বর্ণনাকারী এতে সন্দেহ করেননি। ’’সেই নদীর মাঝখানে একটি লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর নদীর তীরে একটি লোক রয়েছে, যার সামনে পাথর রয়েছে। অতঃপর নদীর মাঝের লোকটি যখন উঠে আসতে চাচ্ছে, তখন তীরের লোকটি তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে সেই দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে যেখানে সে ছিল। এইভাবে যখনই সে নদী থেকে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে, তখনই ঐ লোকটি তার মুখে পাথর ছুঁড়ে মারছে। ফলে সে যেখানে ছিল সেখানে ফিরে যাচ্ছে।’’

এই বর্ণনায় আরও আছে, ’’তারা উভয়ে আমাকে নিয়ে ঐ [বাগান বা] গাছে উঠে গেল। অতঃপর সেখানে এমন একটি গৃহে আমাকে প্রবেশ করাল, যার চেয়ে অধিক সুন্দর গৃহ আমি কখনো দেখিনি। সেখানে বহু বৃদ্ধ ও যুবক লোক ছিল।’’

এই বর্ণনায় আরও আছে, ’’আর যাকে আপনি তার নিজ কশ চিরতে দেখলেন, সে হল বড় মিথ্যুক; যে মিথ্যা কথা বলত, অতঃপর তা তার নিকট থেকে বর্ণনা করা হত। ফলে তা দিকচক্রবালে পৌঁছে যেত। অতএব এই আচরণ তার সাথে কিয়ামত পর্যন্ত করা হবে।’’

এই বর্ণনায় আরও আছে, ’’যার মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে দেখলেন, সে ছিল এমন ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ কুরআন শিখিয়েছিলেন। কিন্তু সে [তা ভুলে] রাতে ঘুমিয়ে থাকত এবং দিনে তার উপর আমল করত না। অতএব এই আচরণ তার সাথে কিয়ামত পর্যন্ত করা হবে। আর প্রথম যে গৃহটি আপনি দেখলেন, তা হল সাধারণ মুমীনদের। পক্ষান্তরে এই গৃহটি হল শহীদদের। আমি জিবরীল, আর ইনি মীকাঈল। অতএব আপনি মাথা তুলুন। সুতরাং আমি মাথা তুললাম। তখন দেখলাম, আমার উপর দিকে মেঘের মত কিছু রয়েছে। তাঁরা বললেন, ’ওটি হল আপনার গৃহ।’ আমি বললাম, ’আপনারা আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আমার গৃহে প্রবেশ করি।’ তাঁরা বললেন, ’[দুনিয়াতে] আপনার আয়ু অবশিষ্ট আছে; যা আপনি পূর্ণ করেননি। যখন আপনি তা পূর্ণ করবেন, তখন আপনি আপনার গৃহে চলে আসবেন।’’ (বুখারী) [1]


* [প্রকাশ থাকে যে, হাদীসে উক্ত মিথ্যাবাদীদের দলে তারা পড়তে পারে, যারা প্রচার মাধ্যমে; রেডিও, টিভি প্রভৃতিতে মিথ্যা বলে। কারণ তাদের মিথ্যা কথা দিকচক্রবালে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।]

(260) بَابُ تَحْرِيْمِ الْكَذِبِ

وَعَنْ سَمُرَةَ بنِ جُنْدُبٍ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يُكْثِرُ أَنْ يَقُوْلَ لأَصْحَابِهِ : «هَلْ رَأَى أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنْ رُؤْيَا ؟» فَيَقُصُّ عَلَيْهِ مَنْ شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُصَّ، وَإِنَّهُ قَالَ لَنَا ذَاتَ غَدَاةٍ : «إِنَّهُ أَتَانِيَ اللَّيْلَةَ آتِيَانِ، وَإِنَّهُمَا قَالاَ لِي : انْطَلِقْ، وَإِنِّي انْطَلَقتُ مَعَهُمَا، وَإِنَّا أَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُضْطَجِعٍ، وَإِذَا آخَرُ قائِمٌ عَلَيْهِ بِصَخْرَةٍ، وَإِذَا هُوَ يَهْوِي بِالصَّخْرَةِ لِرَأْسِهِ، فَيَثْلَغُ رَأسَهُ، فَيَتَدَهْدَهُ الحَجَرُ هَاهُنَا، فَيَتْبَعُ الحَجَرَ فَيَأْخُذُهُ فَلاَ يَرْجِعُ إِلَيْهِ حَتَّى يَصِحَّ رَأسُهُ كَمَا كَانَ، ثُمَّ يَعُودُ عَلَيْهِ، فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ المَرَّةَ الأوْلَى!» قَالَ: «قُلْتُ لَهُمَا : سُبْحانَ اللهِ ! مَا هَذَانِ ؟ قَالاَ لِي : انْطَلِقِ انْطَلِقْ، فَانْطَلَقْنَا، فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُسْتَلْقٍ لِقَفَاهُ، وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِكَلُّوبٍ مِنْ حَديدٍ، وَإِذَا هُوَ يَأتِي أَحَدَ شِقَّيْ وَجْهِهِ فَيُشَرْشِرُ شِدْقَهُ إِلَى قَفَاهُ، وَمِنْخَرَهُ إِلَى قَفَاهُ، وَعَيْنَهُ إِلَى قَفَاهُ، ثُمَّ يَتَحَوَّلُ إِلَى الجَانِبِ الآخَرِ، فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ بِالجَانِبِ الأَوَّلِ، فَمَا يَفْرَغُ مِنْ ذَلِكَ الجَانِبِ حَتَّى يَصِحَّ ذَلِكَ الجانبُ كَمَا كَانَ، ثُمَّ يَعُودُ عَلَيْهِ فَيَفْعَلُ مِثْلَ مَا فَعَلَ فِي المرَّةِ الأُوْلَى» قَالَ: «قُلْتُ : سُبْحَانَ اللهِ! مَا هَذَانِ ؟ قَالاَ لِي : انْطَلِقِ انْطَلِقْ، فَانْطَلَقْنَا، فَأَتَيْنَا عَلَى مِثْلِ التَّنُّورِ» فَأَحْسِبُ أنَّهُ قَالَ: «فَإِذَا فِيهِ لَغَطٌ، وَأَصْوَاتٌ، فَاطَّلَعْنَا فِيهِ فَإِذَا فِيهِ رِجَالٌ وَنِساءٌ عُرَاةٌ، وَإِذَا هُمْ يَأتِيهِمْ لَهَبٌ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ، فَإِذَا أَتَاهُمْ ذَلِكَ اللَّهَبُ ضَوْضَوْا . قُلْتُ : مَا هَؤُلاَءِ ؟ قَالاَ لِي : انْطَلِقِ انْطَلِقْ، فَانْطَلَقْنَا، فَأَتَيْنَا عَلَى نَهْرٍ» حَسِبْتُ أَنَّهُ كَانَ يَقُوْلُ : «أَحْمَرُ مِثْلُ الدَّمِ، وَإِذَا فِي النَّهْرِ رَجُلٌ سَابِحٌ يَسْبَحُ، وَإِذَا عَلَى شَطِّ النَّهْرِ رَجُلٌ قَدْ جَمَعَ عِنْدَهُ حِجَارَةً كَثِيرَةً، وَإِذَا ذَلِكَ السَّابِحُ يَسْبَحُ، مَا يَسْبَحُ، ثُمَّ يَأتِي ذَلِكَ الَّذِي قَدْ جَمَعَ عِنْدَهُ الحِجَارَةَ، فَيَفْغَرُ لَهُ فَاهُ، فَيُلْقِمُهُ حَجَراً، فَينْطَلِقُ فَيَسْبَحُ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَيْهِ، كُلَّمَا رَجَعَ إِلَيْهِ، فَغَرَ لَهُ فَاهُ، فَأَلْقَمَهُ حَجَراً، قُلْتُ لَهُمَا : مَا هَذَانِ ؟ قَالاَ لِي: انْطَلِقِ انْطَلِقْ، فَانْطَلَقْنَا، فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ كَرِيهِ المَرْآةِ، أَوْ كَأَكْرَهِ مَا أَنْتَ رَاءٍ رَجُلاً مَرْأىً، فَإِذَا هُوَ عِنْدَهُ نَارٌ يَحُشُّهَا وَيَسْعَى حَوْلَهَا . قُلْتُ لَهُمَا : مَا هَذَا ؟ قَالاَ لي : انْطَلِقِ انْطَلِقْ، فَانْطَلَقْنَا، فَأتَيْنَا عَلَى رَوْضَةٍ مُعْتَمَّةٍ فِيهَا مِنْ كُلِّ نَوْرِ الرَّبيعِ، وَإِذَا بَيْنَ ظَهْرَي الرَّوْضَةِ رَجُلٌ طَويلٌ لاَ أَكَادُ أَرَى رَأسَهُ طُولاً فِي السَّماءِ، وَإِذَا حَوْلَ الرَّجُلِ مِنْ أَكْثَرِ وِلدَانٍ رَأيْتُهُمْ قَطُّ، قُلْتُ : مَا هَذَا ؟ وَمَا هَؤُلاَءِ ؟ قَالاَ لِي : انْطَلقِ انْطَلقْ، فَانْطَلَقْنَا، فَأَتَيْنَا إِلَى دَوْحَةٍ عَظيمةٍ لَمْ أَرَ دَوْحَةً قَطُّ أَعْظَمَ مِنْهَا، وَلاَ أَحْسَنَ ! قَالاَ لِي : اِرْقَ فِيهَا، فَارْتَقَيْنَا فِيهَا إِلَى مَدِينَةٍ مَبْنِيَّةٍ بِلَبنٍ ذَهَبٍ وَلَبنٍ فِضَّةٍ، فَأَتَيْنَا بَابَ المَدِينَةِ فَاسْتَفْتَحْنَا، فَفُتِحَ لَنَا فَدَخَلْنَاهَا، فَتَلَقَّانَا رِجَالٌ شَطْرٌ مِنْ خَلْقِهِمْ كَأَحْسَنِ مَا أَنتَ رَاءٍ ! وَشَطْرٌ مِنْهُمْ كَأقْبَحِ مَا أَنتَ رَاءٍ ! قَالاَ لَهُمْ : اِذْهَبُوا فَقَعُوا فِي ذَلِكَ النَّهْرِ، وَإِذَا هُوَ نَهْرٌ مُعْتَرِضٌ يَجْرِي كَأَنَّ مَاءَهُ المَحْضُ فِي البَيَاضِ، فَذَهَبُوا فَوَقَعُوا فِيهِ . ثُمَّ رَجَعُوا إِلَيْنَا قَدْ ذَهَبَ ذَلِكَ السُّوءُ عَنْهُمْ، فَصَارُوا فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ» قَالَ: «قَالاَ لِي : هَذِهِ جَنَّةُ عَدْنٍ، وَهَذَاكَ مَنْزِلُكَ، فَسَمَا بَصَرِي صُعُداً، فَإِذَا قَصْرٌ مِثْلُ الرَّبَابَةِ البَيضَاءِ، قَالاَ لِي : هَذَاكَ مَنْزِلُكَ ؟ قُلْتُ لَهُمَا: بَارَكَ اللهُ فِيكُمَا، فَذَرَانِي فَأَدخُلَهُ . قَالاَ لِي : أَمَّا الآنَ فَلاَ، وَأَنتَ دَاخِلُهُ، قُلْتُ لَهُمَا : فَإِنِّي رَأَيتُ مُنْذُ اللَّيْلَةِ عَجَباً ؟ فَمَا هَذَا الَّذِي رَأَيْتُ ؟ قَالاَ لِي : أَمَا إِنَّا سَنُخْبِرُكَ : أَمَّا الرَّجُلُ الأوَّلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُثْلَغُ رَأسُهُ بِالحَجَرِ، فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَأخُذُ القُرآنَ فَيَرفُضُهُ، وَيَنَامُ عَنِ الصَّلاةِ المَكتُوبَةِ . وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُشَرْشَرُ شِدْقُهُ إِلَى قَفَاهُ، ومِنْخَرُهُ إِلَى قَفَاهُ، وَعَيْنُهُ إِلَى قَفَاهُ، فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَغْدُو مِنْ بَيْتِهِ فَيَكْذِبُ الكِذْبَةَ تَبْلُغُ الآفَاقَ . وَأَمَّا الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ العُرَاةُ الَّذِينَ هُمْ فِي مِثْلِ بِنَاءِ التَّنُّورِ، فَإِنَّهُمُ الزُّنَاةُ وَالزَّوَانِي، وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيتَ عَلَيهِ يَسْبَحُ فِي النَّهْرِ، وَيُلقَمُ الحِجَارَةَ، فَإِنَّهُ آكِلُ الرِّبَا، وأمَّا الرَّجُلُ الكَريهُ الْمَرْآةِ الَّذِي عِنْدَ النَّارِ يَحُشُّهَا وَيَسْعَى حَوْلَهَا، فَإِنَّهُ مَالِكٌ خازِنُ جَهَنَّمَ، وَأَمَّا الرَّجُلُ الطَّوِيلُ الَّذِي فِي الرَّوْضَةِ، فَإِنَّهُ إِبرَاهِيم عليه السلام، وَأمَّا الولدَانِ الَّذِينَ حَوْلَهُ، فَكُلُّ مَوْلُودٍ مَاتَ عَلَى الفِطْرَةِ» وَفِي رِوَايَةِ البَرْقَانِيِّ : «وُلِدَ عَلَى الفِطْرَةِ» فَقَالَ بعض المُسلمينَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَأَولاَدُ المُشرِكِينَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «وَأَولاَدُ المُشرِكِينَ، وَأَمَّا القَوْمُ الَّذِينَ كَانُوا شَطْرٌ مِنْهُمْ حَسَنٌ، وَشَطْرٌ مِنْهُمْ قَبِيحٌ، فَإِنَّهُمْ قَومٌ خَلَطُوا عَمَلاً صَالِحاً وَآخَرَ سَيِّئاً، تَجَاوَزَ اللهُ عَنهُمْ» . رواه البخاري

وعن سمرة بن جندب رضي الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم مما يكثر ان يقول لاصحابه : «هل راى احد منكم من رويا ؟» فيقص عليه من شاء الله ان يقص، وانه قال لنا ذات غداة : «انه اتاني الليلة اتيان، وانهما قالا لي : انطلق، واني انطلقت معهما، وانا اتينا على رجل مضطجع، واذا اخر قاىم عليه بصخرة، واذا هو يهوي بالصخرة لراسه، فيثلغ راسه، فيتدهده الحجر هاهنا، فيتبع الحجر فياخذه فلا يرجع اليه حتى يصح راسه كما كان، ثم يعود عليه، فيفعل به مثل ما فعل المرة الاولى!» قال: «قلت لهما : سبحان الله ! ما هذان ؟ قالا لي : انطلق انطلق، فانطلقنا، فاتينا على رجل مستلق لقفاه، واذا اخر قاىم عليه بكلوب من حديد، واذا هو ياتي احد شقي وجهه فيشرشر شدقه الى قفاه، ومنخره الى قفاه، وعينه الى قفاه، ثم يتحول الى الجانب الاخر، فيفعل به مثل ما فعل بالجانب الاول، فما يفرغ من ذلك الجانب حتى يصح ذلك الجانب كما كان، ثم يعود عليه فيفعل مثل ما فعل في المرة الاولى» قال: «قلت : سبحان الله! ما هذان ؟ قالا لي : انطلق انطلق، فانطلقنا، فاتينا على مثل التنور» فاحسب انه قال: «فاذا فيه لغط، واصوات، فاطلعنا فيه فاذا فيه رجال ونساء عراة، واذا هم ياتيهم لهب من اسفل منهم، فاذا اتاهم ذلك اللهب ضوضوا . قلت : ما هولاء ؟ قالا لي : انطلق انطلق، فانطلقنا، فاتينا على نهر» حسبت انه كان يقول : «احمر مثل الدم، واذا في النهر رجل سابح يسبح، واذا على شط النهر رجل قد جمع عنده حجارة كثيرة، واذا ذلك السابح يسبح، ما يسبح، ثم ياتي ذلك الذي قد جمع عنده الحجارة، فيفغر له فاه، فيلقمه حجرا، فينطلق فيسبح، ثم يرجع اليه، كلما رجع اليه، فغر له فاه، فالقمه حجرا، قلت لهما : ما هذان ؟ قالا لي: انطلق انطلق، فانطلقنا، فاتينا على رجل كريه المراة، او كاكره ما انت راء رجلا مراى، فاذا هو عنده نار يحشها ويسعى حولها . قلت لهما : ما هذا ؟ قالا لي : انطلق انطلق، فانطلقنا، فاتينا على روضة معتمة فيها من كل نور الربيع، واذا بين ظهري الروضة رجل طويل لا اكاد ارى راسه طولا في السماء، واذا حول الرجل من اكثر ولدان رايتهم قط، قلت : ما هذا ؟ وما هولاء ؟ قالا لي : انطلق انطلق، فانطلقنا، فاتينا الى دوحة عظيمة لم ار دوحة قط اعظم منها، ولا احسن ! قالا لي : ارق فيها، فارتقينا فيها الى مدينة مبنية بلبن ذهب ولبن فضة، فاتينا باب المدينة فاستفتحنا، ففتح لنا فدخلناها، فتلقانا رجال شطر من خلقهم كاحسن ما انت راء ! وشطر منهم كاقبح ما انت راء ! قالا لهم : اذهبوا فقعوا في ذلك النهر، واذا هو نهر معترض يجري كان ماءه المحض في البياض، فذهبوا فوقعوا فيه . ثم رجعوا الينا قد ذهب ذلك السوء عنهم، فصاروا في احسن صورة» قال: «قالا لي : هذه جنة عدن، وهذاك منزلك، فسما بصري صعدا، فاذا قصر مثل الربابة البيضاء، قالا لي : هذاك منزلك ؟ قلت لهما: بارك الله فيكما، فذراني فادخله . قالا لي : اما الان فلا، وانت داخله، قلت لهما : فاني رايت منذ الليلة عجبا ؟ فما هذا الذي رايت ؟ قالا لي : اما انا سنخبرك : اما الرجل الاول الذي اتيت عليه يثلغ راسه بالحجر، فانه الرجل ياخذ القران فيرفضه، وينام عن الصلاة المكتوبة . واما الرجل الذي اتيت عليه يشرشر شدقه الى قفاه، ومنخره الى قفاه، وعينه الى قفاه، فانه الرجل يغدو من بيته فيكذب الكذبة تبلغ الافاق . واما الرجال والنساء العراة الذين هم في مثل بناء التنور، فانهم الزناة والزواني، واما الرجل الذي اتيت عليه يسبح في النهر، ويلقم الحجارة، فانه اكل الربا، واما الرجل الكريه المراة الذي عند النار يحشها ويسعى حولها، فانه مالك خازن جهنم، واما الرجل الطويل الذي في الروضة، فانه ابراهيم عليه السلام، واما الولدان الذين حوله، فكل مولود مات على الفطرة» وفي رواية البرقاني : «ولد على الفطرة» فقال بعض المسلمين: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، واولاد المشركين فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «واولاد المشركين، واما القوم الذين كانوا شطر منهم حسن، وشطر منهم قبيح، فانهم قوم خلطوا عملا صالحا واخر سيىا، تجاوز الله عنهم» . رواه البخاري

(260) Chapter: Condemnation and Prohibition of Falsehood


Sumurah bin Jundub (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) very often used to ask his Companions, "Do any one of you has seen a dream?" So dreams would be narrated to him by those whom Allah willed to relate. One day he (ﷺ) said, "Last night I had a vision in which two men (angels) came to me and woke me up and said to me, 'Proceed!' I set out with them and we came across a man lying down, and behold, another man was standing over his head, holding a big rock. Behold, he was throwing the rock at the man's head, smashing it. When he struck him, the stone rolled away and he went after it to get it, and no sooner had he returned to this man, his head was healed and restored to its former condition. The thrower (of the rock) then did the same as he had done before. I said to my two companions, 'Subhan-Allah! Who are these?'

They said: 'Proceed, proceed.' So we proceeded and came to a man lying in a prone position and another man standing over his head with an iron hook, and behold, he would put the hook in one side of the man's mouth and tear off that side of his face to the back (of the neck), and similarly tear his nose from front to back, and his eyes from front to back. Then he turned to the other side of the man's face and did just as he has done with the first side. He had hardly completed that (second) side when the first returned to its normal state.

I said to my two companions, 'Subhan-Allah! Who are these?' They said, 'Proceed, proceed.' So we proceeded and came across something like a Tannur (a kind of baking oven, a pit usually clay-lined for baking bread)." I (the narrator) think the Prophet (ﷺ) said, "In that oven there was much noise and voices." The Prophet (ﷺ) added, "We looked into it and found naked men and women, and behold, a flame of fire was reaching to them from underneath, and when it reached them they cried loudly. I asked, 'Who are these?' They said to me, 'Proceed, proceed.' And so we proceeded and came across a river." I (the narrator) think he said, "-- red like blood." The Prophet (ﷺ) added, "And behold, in the river there was a man swimming, and on the bank there was a man who had collected many stones. Behold, while the other man was swimming, he went near him. The former opened his mouth and the latter (on the bank) threw a stone into his mouth whereupon he went swimming again. Then again he (the former) returned to him (the latter), and every time the former returned, he opened his mouth, and the latter threw a stone into his mouth, (and so on) the performance was repeated.

I asked my two companions, 'Who are these?' They replied, 'Proceed, proceed.' And we proceeded till we came to a man with a repulsive appearance, the most repulsive appearance you ever saw a man having! Beside him there was a fire, and he was kindling it and running around it. I asked my two companions, 'Who is this (man).' They said to me, 'Proceed, proceed!' So we proceeded till we reached a garden of deep green dense vegetation, having all sorts of spring colours. In the midst of the garden there was a very tall man, and I could hardly see his head because of his great height, and around him there were children in such a large number as I have never seen! I said to my two companions, 'Who is this?' They replied, 'Proceed, proceed.' So we proceeded till we came to a majestic, huge garden, greater and better than any garden I have ever seen! My two companions said to me, 'Ascend up' and I ascended up." The Prophet (ﷺ) added, "So we ascended till we reached a city built of gold and silver bricks, and we went to its gate and asked (the gatekeeper) to open the gate, and it was opened; and we entered the city and found in it men with one side of their bodies as handsome as the most handsome person you have ever seen, and the other side as ugly as the ugliest person you have ever seen! My two companions ordered those men to throw themselves into the river. Behold, there was a river flowing across (the city), and its water was like milk in whiteness.
Those men went and threw themselves in it and then returned to us after the ugliness (of their bodies) had disappeared, and they came in the best shape." The Prophet (ﷺ) further added, "My two companions said to me: 'This place is the 'Adn Jannah, and that is your place.' I raised up my sight, and behold, there I saw a palace like a white cloud! My two companions said to me, 'That palace is your place,' I said to them, 'May Allah bless you both! Let me enter it.'

They replied, 'As for now, you will not enter it, but you shall enter it (one day).' I said to them, 'I have seen many wonders tonight. What does all that mean which I have seen?' They replied, 'We will inform you: As for the first man you came upon, whose head was being smashed with the rock, he is the symbol of the one who studies the Qur'an and then neither recites it nor acts on its orders, and sleeps, neglecting the enjoined prayers. As for the man you came upon, whose sides of mouth, nostrils and eyes were torn off from front to back, he is the symbol of the man who goes out of his house in the morning and tells lies that are spread all over the world. And those naked men and women whom you saw in a construction resembling an oven, they are the adulterers and the adulteresses. And the man who was given a stone to swallow is the eater of Ar-Riba (usury), and the bad-looking man whom you saw near the fire, kindling it and going around it, is Malik, the gatekeeper of Hell, and the tall man you saw in the garden is (Prophet) Abraham, and the children around him are those who died upon Al-Fitrah (the Islamic Faith of Monotheism)."'

The narrator added: Some Muslims asked the Prophet (ﷺ) , "O Messenger of Allah! What about the children of Al- Mushrikun (i.e., polytheists, pagans, idolaters, and disbelievers in the Oneness of Allah and in His Messenger Muhammad (ﷺ))?" The Prophet (ﷺ) replied, "And also the children of Al-Mushrikun." The Prophet (ﷺ) added: "My two companions added, 'The men you saw half handsome and half ugly were these people who had mixed an act that was good with another that was bad, but Allah forgave them'."

Another narration of Al-Bukhari is: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "One night two men came to me and took me to a blessed land." (The Messenger of Allah (ﷺ) told of the same incident as above) and said, "After a while of walking we came upon a pit like an oven, narrow at the top and wide at the bottom with fire raging in it. When the flames rose up (the people in it) also rose up till they were about to come out; and when the fire subsided they, too, would go down with it. In it were naked men and women." (The remainder of the Hadith is the same as the above Hadith except that at the end of it, the Messenger of Allah said: "We came upon a river of blood in the middle of which there was a man standing, and at the bank of the river there was a man with plenty of stones before him..." In this narration we also find: "They made me climb the tree and they made me enter an abode so beautiful the like of which I have never seen before. There (I saw) old men and youth." In this narration we also find: "'The first house you entered was the abode of the believers in general, and the other house was the abode of the martyrs. I am Jibril (Gabriel), and this is Mika'il. Raise your head.' I looked up and saw something like clouds. They said to me, 'That is your abode.' I said, 'Shall I enter it?' They said, 'You have not completed your term of life yet. When you do, you will certainly enter it."'

[Al-Bukhari]

Commentary: This Hadith has the following points:
1. Manifestation through dream of punishment of various evils, i.e., forgetting the Qur'an after having memorized it, not practising the teachings of the Qur'an, violating the precepts of the Qur'an after attaining their knowledge, slackness in offering obligatory Salat, lying, immoral acts, usury, etc. Strict warnings have been issued against all these evils, and the punishment to which they are liable have been mentioned in this Hadith. May Allah save us from them.

2. This Hadith also mentions the unique status of Prophet (PBUH) and the distinguished place of martyrs.

3. We also learn from this Hadith that Allah has made Hell for punishment and Jannah for reward. Muhammad (PBUH), the Last Prophet of Allah, was made to witness many scenes which demonstrated the retribution and reward of deeds done by people in their earthly life.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৭/ নিষিদ্ধ বিষয়াবলী (كتاب الأمور المنهي عنها)