৩২০৭

পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৬. ফেরেশতাদের বর্ণনা।

وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ لِلنَّبِيِّ صلىالله عليه وسلم إِنَّ جِبْرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَام عَدُوُّ الْيَهُوْدِ مِنْ الْمَلَائِكَةِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّآفُّوْنَ الْمَلَائِكَةُ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বললেন, ফেরেশতাদের মধ্যে জিব্রাঈল (আঃ) ইয়াহূদীদের শত্রু। [১] আর ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, وإنا لَنَحْنُ الصَّافُّوْنَ অর্থ আমরা তো (ফেরেশতাকুল) সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান- (সাফফাতঃ ১৬৫)। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৬)


৩২০৭. মালিক ইবনু সা‘সা‘আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কা‘বা ঘরের নিকট নিদ্রা ও জাগরণ- এ দু’অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। অতঃপর তিনি দু’ব্যক্তির মাঝে অপর এক ব্যক্তি অর্থাৎ নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বললেন, আমার নিকট সোনার একটি পেয়ালা নিয়ে আসা হল- যা হিকমত ও ঈমানে ভরা ছিল। অতঃপর আমার বুক হতে পেটের নীচ পর্যন্ত চিরে ফেলা হল। অতঃপর আমার পেট যমযমের পানি দিয়ে ধোয়া হল। অতঃপর তা হিকমত ও ঈমানে পূর্ণ করা হল এবং আমার নিকট সাদা রঙের চতুষ্পদ জন্তু আনা হল, যা খচ্চর হতে ছোট আর গাধা হতে বড় অর্থাৎ বোরাক। অতঃপর তাতে চড়ে আমি জিব্রাঈল (আঃ) সহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? উত্তরে বলা হল, জিব্রাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেয়া হল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা, তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি আদম (আঃ)-এর নিকট গেলাম। তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নবী! তোমার প্রতি মারহাবা। অতঃপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে গেলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিব্রাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ‘ঈসা ও ইয়াহইয়া (আঃ)-এর নিকট আসলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই ও নবী! আপনার প্রতি মারহাবা। অতঃপর আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? উত্তরে বলা হল, আমি জিব্রাঈল। প্রশ্ন করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ইউসুফ (আঃ)-এর নিকট গেলাম। তাঁকে আমি সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছলাম। প্রশ্ন করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? জবাবে বলা হল, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ইদ্রীস (আঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে মারহাবা। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? বলা হয় আমি জিব্রাঈল। প্রশ্ন হল আপনার সঙ্গে আর কে? বলা হল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? বলা হল, হ্যাঁ। বললেন, তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমরা হারুন (আঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি তাকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞেস করা হল, এ কে? বলা হল, আমি জিব্রাঈল। প্রশ্ন করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলা হল, তাঁকে আনার জন্য পাঠানো হয়েছে? তাঁকে মারহাবা আর তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী আপনাকে মারহাবা। অতঃপর আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে গেলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হল, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে রব! এ ব্যক্তি যে আমার পরে প্রেরিত, তাঁর উম্মাত আমার উম্মাতের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেহেশতে যাবে। অতঃপর আমরা সপ্তম আকাশে পৌঁছলাম। প্রশ্ন করা হল, এ কে? বলা হল, আমি জিব্রাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? বলা হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলা হল, তাঁকে আনার জন্য পাঠানো হয়েছে? তাঁকে মারহাবা। তাঁর আগমন কতই না উত্তম। অতঃপর আমি ইব্রাহীম (আঃ)-এর নিকট গেলাম। তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নবী! আপনাকে মারহাবা। অতঃপর বায়তুল মা’মূরকে আমার সামনে প্রকাশ করা হল। আমি জিব্রাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মা’মূর। প্রতিদিন এখানে সত্তর হাজার ফেরেশতা সালাত আদায় করেন। এরা এখান হতে একবার বাহির হলে দ্বিতীয় বার ফিরে আসেন না। এটাই তাদের শেষ প্রবেশ। অতঃপর আমাকে ‘সিদ্রাতুল মুনতাহা’ দেখানো হল। দেখলাম, এর ফল যেন হাজারা নামক জায়গার মটকার মত। আর তার পাতা যেন হাতীর কান। তার উৎসমূলে চারটি ঝরণা প্রবাহিত। দু’টি ভিতরে আর দু’টি বাইরে। এ সম্পর্কে আমি জিব্রাঈলকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, ভিতরের দু’টি জান্নাতে অবস্থিত। আর বাইরের দু’টির একটি হল- ফুরাত আর অপরটি হল (মিশরের) নীল নদ। অতঃপর আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়। আমি তা গ্রহণ করে মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি বললেন, কি করে এলেন? আমি বললাম, আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি আপনার চেয়ে মানুষ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত আছি। আমি বনী ইসরাঈলের রোগ সরানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। আপনার উম্মাত এত আদায়ে সমর্থ হবে, না। অতএব আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং তা কমানোর আবেদন করুন। আমি ফিরে গেলাম এবং তাঁর নিকট আবেদন করলাম। তিনি সালাত চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার তেমন ঘটল। সালাত ত্রিশ ওয়াক্ত করে দেয়া হল। আবার তেমন ঘটলে তিনি সালাত বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার তেমন ঘটল। তিনি সালাতকে দশ ওয়াক্ত করে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট আসলাম। তিনি আগের মত বললেন, এবার আল্লাহ সালাতকে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ করে দিলেন। আমি মূসার নিকট আসলাম। তিনি বললেন, কী করে আসলেন? আমি বললাম, আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ করে দিয়েছেন। এবারও তিনি আগের মত বললেন, আমি বললাম, আমি তা মেনে নিয়েছি। তখন আওয়াজ এল, আমি আমার ফরজ জারি করে দিয়েছি। আর আমার বান্দাদের হতে হালকা করেও দিয়েছি। আমি প্রতিটি নেকির বদলে দশগুণ সওয়াব দিব। আর বায়তুল মা’মূর সম্পর্কে হাম্মাম (রহ.).........আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। (৩৩৯৩, ৩৪৩০, ৩৮৮৭) (মুসলিম ১/৭৪ হাঃ ১৬৪, আহমাদ ১৭৮৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৭৭)

بَابُ ذِكْرِ الْمَلَائِكَةِ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِمْ

حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ (ح). وقَالَ لِيْ خَلِيْفَةُ قال : حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ زُرَيْعٍ قال : حَدَّثَنَا سَعِيْدٌ وَهِشَامٌ قَالَا : حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قال : حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ - وَذَكَرَ يَعْنِيْ : رَجُلًا بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ - فَأُتِيْتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيْمَانًا، فَشُقَّ مِنْ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ الْبَطْنِ ثُمَّ غُسِلَ الْبَطْنُ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيْمَانًا، وَأُتِيْتُ بِدَابَّةٍ أَبْيَضَ دُوْنَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ : الْبُرَاقُ، فَانْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيْلَ حَتَّى أَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا. قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ مُحَمَّدٌ . قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ فَأَتَيْتُ عَلَى آدَمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قَالَ : مُحَمَّدٌ قِيْلَ : أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ. فَأَتَيْتُ عَلَى عِيْسَى وَيَحْيَى فَقَالَا : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّالِثَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قِيْلَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ. قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ. فَأَتَيْتُ عَلَى يُوسُفَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ قَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قِيْلَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ . قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قِيْلَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِدْرِيْسَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ. فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : وَمَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ. قِيْلَ : مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْنَا عَلَى هَارُوْنَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ. فَأَتَيْنَا عَلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قِيْلَ : جِبْرِيْلُ، قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم. قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ. فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَلَمَّا جَاوَزْتُ بَكَى فَقِيْلَ : مَا أَبْكَاكَ؟ قَالَ : يَا رَبِّ هَذَا الْغُلَامُ الَّذِيْ بُعِثَ بَعْدِيْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِهِ أَفْضَلُ مِمَّا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي. فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّابِعَةَ قِيْلَ : مَنْ هَذَا؟ قَالَ : جِبْرِيْلُ. قِيْلَ : مَنْ مَعَكَ؟ قِيْلَ : مُحَمَّدٌ. قِيْلَ : وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ. مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ : مَرْحَبًا بِكَ مِنْ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، فَرُفِعَ لِي الْبَيْتُ الْمَعْمُوْرُ فَسَأَلْتُ جِبْرِيْلَ فَقَالَ : هَذَا الْبَيْتُ الْمَعْمُوْرُ يُصَلِّيْ فِيْهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُوْنَ أَلْفَ مَلَكٍ إِذَا خَرَجُوْا لَمْ يَعُوْدُوْا إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، وَرُفِعَتْ لِيْ سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبِقُهَا كَأَنَّهُ قِلَالُ هَجَرَ وَوَرَقُهَا كَأَنَّهُ آذَانُ الْفُيُوْلِ فِيْ أَصْلِهَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ فَسَأَلْتُ جِبْرِيْلَ فَقَالَ : أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَفِي الْجَنَّةِ، وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ : النِّيلُ وَالْفُرَاتُ. ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُوْنَ صَلَاةً، فَأَقْبَلْتُ حَتَّى جِئْتُ مُوسَى فَقَالَ : مَا صَنَعْتَ؟ قُلْتُ : فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُوْنَ صَلَاةً. قَالَ : أَنَا أَعْلَمُ بِالنَّاسِ مِنْكَ عَالَجْتُ بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ وَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيْقُ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَسَلْهُ. فَرَجَعْتُ فَسَأَلْتُهُ فَجَعَلَهَا أَرْبَعِيْنَ، ثُمَّ مِثْلَهُ ثُمَّ ثَلَاثِيْنَ، ثُمَّ مِثْلَهُ فَجَعَلَ عِشْرِيْنَ، ثُمَّ مِثْلَهُ فَجَعَلَ عَشْرًا، فَأَتَيْتُ مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَجَعَلَهَا خَمْسًا. فَأَتَيْتُ مُوسَى فَقَالَ مَا صَنَعْتَ؟ قُلْتُ : جَعَلَهَا خَمْسًا فَقَالَ مِثْلَهُ قُلْتُ : سَلَّمْتُ بِخَيْرٍ فَنُوْدِيَ : إِنِّيْ قَدْ أَمْضَيْتُ فَرِيْضَتِيْ وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِيْ وَأَجْزِي الْحَسَنَةَ عَشْرًا.
وَقَالَ هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْبَيْتِ الْمَعْمُوْرِ.

حدثنا هدبة بن خالد حدثنا همام عن قتادة (ح). وقال لي خليفة قال : حدثنا يزيد بن زريع قال : حدثنا سعيد وهشام قالا : حدثنا قتادة قال : حدثنا انس بن مالك عن مالك بن صعصعة، رضي الله عنهما، قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : بينا انا عند البيت بين الناىم واليقظان - وذكر يعني : رجلا بين الرجلين - فاتيت بطست من ذهب ملى حكمة وايمانا، فشق من النحر الى مراق البطن ثم غسل البطن بماء زمزم ثم ملى حكمة وايمانا، واتيت بدابة ابيض دون البغل وفوق الحمار : البراق، فانطلقت مع جبريل حتى اتينا السماء الدنيا. قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : من معك؟ محمد . قيل : وقد ارسل اليه؟ قال : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء فاتيت على ادم فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من ابن ونبي، فاتينا السماء الثانية قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : من معك؟ قال : محمد قيل : ارسل اليه؟ قال : نعم قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء. فاتيت على عيسى ويحيى فقالا : مرحبا بك من اخ ونبي فاتينا السماء الثالثة قيل : من هذا؟ قيل : جبريل. قيل : من معك؟ قيل : محمد. قيل : وقد ارسل اليه؟ قال : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء. فاتيت على يوسف فسلمت عليه قال : مرحبا بك من اخ ونبي فاتينا السماء الرابعة قيل : من هذا؟ قيل : جبريل. قيل : من معك؟ قيل : محمد . قيل : وقد ارسل اليه؟ قيل : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء، فاتيت على ادريس فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من اخ ونبي. فاتينا السماء الخامسة قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : ومن معك؟ قيل : محمد قيل : وقد ارسل اليه؟ قال : نعم. قيل : مرحبا به ولنعم المجيء جاء، فاتينا على هارون فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من اخ ونبي. فاتينا على السماء السادسة قيل : من هذا؟ قيل : جبريل، قيل : من معك؟ قيل : محمد صلى الله عليه وسلم. قيل : وقد ارسل اليه؟ مرحبا به ولنعم المجيء جاء. فاتيت على موسى فسلمت عليه فقال مرحبا بك من اخ ونبي، فلما جاوزت بكى فقيل : ما ابكاك؟ قال : يا رب هذا الغلام الذي بعث بعدي يدخل الجنة من امته افضل مما يدخل من امتي. فاتينا السماء السابعة قيل : من هذا؟ قال : جبريل. قيل : من معك؟ قيل : محمد. قيل : وقد ارسل اليه. مرحبا به ولنعم المجيء جاء، فاتيت على ابراهيم فسلمت عليه فقال : مرحبا بك من ابن ونبي، فرفع لي البيت المعمور فسالت جبريل فقال : هذا البيت المعمور يصلي فيه كل يوم سبعون الف ملك اذا خرجوا لم يعودوا اليه اخر ما عليهم، ورفعت لي سدرة المنتهى فاذا نبقها كانه قلال هجر وورقها كانه اذان الفيول في اصلها اربعة انهار نهران باطنان ونهران ظاهران فسالت جبريل فقال : اما الباطنان ففي الجنة، واما الظاهران : النيل والفرات. ثم فرضت علي خمسون صلاة، فاقبلت حتى جىت موسى فقال : ما صنعت؟ قلت : فرضت علي خمسون صلاة. قال : انا اعلم بالناس منك عالجت بني اسراىيل اشد المعالجة وان امتك لا تطيق فارجع الى ربك فسله. فرجعت فسالته فجعلها اربعين، ثم مثله ثم ثلاثين، ثم مثله فجعل عشرين، ثم مثله فجعل عشرا، فاتيت موسى فقال مثله فجعلها خمسا. فاتيت موسى فقال ما صنعت؟ قلت : جعلها خمسا فقال مثله قلت : سلمت بخير فنودي : اني قد امضيت فريضتي وخففت عن عبادي واجزي الحسنة عشرا. وقال همام عن قتادة عن الحسن عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم في البيت المعمور.


Narrated Malik bin Sasaa:

The Prophet (ﷺ) said, "While I was at the House in a state midway between sleep and wakefulness, (an angel recognized me) as the man lying between two men. A golden tray full of wisdom and belief was brought to me and my body was cut open from the throat to the lower part of the `Abdomen and then my `Abdomen was washed with Zamzam water and (my heart was) filled with wisdom and belief. Al- Buraq, a white animal, smaller than a mule and bigger than a donkey was brought to me and I set out with Gabriel. When I reached the nearest heaven. Gabriel said to the heaven gate-keeper, 'Open the gate.' The gatekeeper asked, 'Who is it?' He said, 'Gabriel.' The gate-keeper,' Who is accompanying you?' Gabriel said, 'Muhammad.' The gate-keeper said, 'Has he been called?' Gabriel said, 'Yes.' Then it was said, 'He is welcomed. What a wonderful visit his is!' Then I met Adam and greeted him and he said, 'You are welcomed O son and a Prophet.' Then we ascended to the second heaven. It was asked, 'Who is it?' Gabriel said, 'Gabriel.' It was said, 'Who is with you?' He said, 'Muhammad' It was asked, 'Has he been sent for?' He said, 'Yes.' It was said, 'He is welcomed. What a wonderful visit his is!" Then I met Jesus and Yahya (John) who said, 'You are welcomed, O brother and a Prophet.' Then we ascended to the third heaven. It was asked, 'Who is it?' Gabriel said, 'Gabriel.' It was asked, 'Who is with you? Gabriel said, 'Muhammad.' It was asked, 'Has he been sent for?' 'Yes,' said Gabriel. 'He is welcomed. What a wonderful visit his is!' (The Prophet (ﷺ) added:). There I met Joseph and greeted him, and he replied, 'You are welcomed, O brother and a Prophet!' Then we ascended to the 4th heaven and again the same questions and answers were exchanged as in the previous heavens. There I met Idris and greeted him. He said, 'You are welcomed O brother and Prophet.' Then we ascended to the 5th heaven and again the same questions and answers were exchanged as in previous heavens. there I met and greeted Aaron who said, 'You are welcomed O brother and a Prophet". Then we ascended to the 6th heaven and again the same questions and answers were exchanged as in the previous heavens. There I met and greeted Moses who said, 'You are welcomed O brother and. a Prophet.' When I proceeded on, he started weeping and on being asked why he was weeping, he said, 'O Lord! Followers of this youth who was sent after me will enter Paradise in greater number than my followers.' Then we ascended to the seventh heaven and again the same questions and answers were exchanged as in the previous heavens. There I met and greeted Abraham who said, 'You are welcomed o son and a Prophet.' Then I was shown Al-Bait-al-Ma'mur (i.e. Allah's House). I asked Gabriel about it and he said, This is Al Bait-ul-Ma'mur where 70,000 angels perform prayers daily and when they leave they never return to it (but always a fresh batch comes into it daily).' Then I was shown Sidrat-ul-Muntaha (i.e. a tree in the seventh heaven) and I saw its Nabk fruits which resembled the clay jugs of Hajr (i.e. a town in Arabia), and its leaves were like the ears of elephants, and four rivers originated at its root, two of them were apparent and two were hidden. I asked Gabriel about those rivers and he said, 'The two hidden rivers are in Paradise, and the apparent ones are the Nile and the Euphrates.' Then fifty prayers were enjoined on me. I descended till I met Moses who asked me, 'What have you done?' I said, 'Fifty prayers have been enjoined on me.' He said, 'I know the people better than you, because I had the hardest experience to bring Bani Israel to obedience. Your followers cannot put up with such obligation. So, return to your Lord and request Him (to reduce the number of prayers.' I returned and requested Allah (for reduction) and He made it forty. I returned and (met Moses) and had a similar discussion, and then returned again to Allah for reduction and He made it thirty, then twenty, then ten, and then I came to Moses who repeated the same advice. Ultimately Allah reduced it to five. When I came to Moses again, he said, 'What have you done?' I said, 'Allah has made it five only.' He repeated the same advice but I said that I surrendered (to Allah's Final Order)'" Allah's Messenger (ﷺ) was addressed by Allah, "I have decreed My Obligation and have reduced the burden on My slaves, and I shall reward a single good deed as if it were ten good deeds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)