পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৬০. ধোঁকাপূর্ণ দালালী এবং এরূপ ক্রয়-বিক্রয় অবৈধ হওয়ার মতামত।
وَقَالَ ابْنُ أَبِي أَوْفَى النَّاجِشُ آكِلُ رِبًا خَائِنٌ وَهُوَ خِدَاعٌ بَاطِلٌ لاَ يَحِلُّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْخَدِيعَةُ فِي النَّارِ وَمَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) বলেন, দালাল হলো সুদখোর, খিয়ানতকারী। আর দালালী হল প্রতারণা, যা বাতিল ও অবৈধ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রতারণার ঠিকানা জাহান্নাম। যে এরূপ ‘আমল করে যা আমাদের শরী‘আতের পরিপন্থী; তা পরিত্যাজ্য।
২১৪২. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতারণামূলক দালালী হতে নিষেধ করেছেন। (৬৯৬৩, মুসলিম ২১/৪, হাঃ ১৫১৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৯৪ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০০৯)
بَاب النَّجْشِ وَمَنْ قَالَ لاَ يَجُوزُ ذَلِكَ الْبَيْع
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ النَّجْشِ
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত ইসলামের আলোকে কোনো জিনিস ক্রয় করার উদ্দেশ্য না রেখেই সেই জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে বেশি দাম বলা হারাম। তাই ইসলামী পরিভাষায় বাইউন্নাজাশ বলা হয়: সেই ক্রয়বিক্রয়কে যেই ক্রয়বিক্রয়ে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তির পক্ষ থেকে যে ব্যক্তি সেই দ্রব্যটি প্রকৃতপক্ষে ক্রয় করতে চায় না। কিন্তু সে অন্য লোককে প্রতারিত করার জন্য সেই দ্রব্যটির বেশি মূল্য বলে থাকে।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম মানুষের কল্যাণ এবং মঙ্গলের উদ্দেশ্যে ক্রয়বিক্রয় ও কেনাবেচাকে বৈধ ও হালাল করেছে। তবে যে দ্রব্যের ক্রয়বিক্রয়ের মধ্যে অজ্ঞতা এবং অস্পষ্টতা থাকবে। আর যে ক্রয়বিক্রয়ের মাধ্যমে বাজারের লোকজনের ক্ষতি সাধন হবে, সেই ক্রয়বিক্রয়কে হারাম করেছে। যাতে সমাজের লোকজনের মধ্যে অমঙ্গল, ঘৃণা, বিদ্বেষ, ঝগড়া ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয়।
৩। প্রকৃত ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক কোনো জিনিস ক্রয় করার উদ্দেশ্য না রেখেই সেই জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করার ইচ্ছায় বেশি দাম বলা হারাম ও অবৈধ। এবং যে ব্যক্তি এই কাজ করবে সে পাপাচারী বলে বিবেচিত হবে। আর ক্রয়বিক্রয় সঠিক হয়েছে বলেই পরিগণিত হবে। আর যে ব্যক্তি কোনো জিনিসের শুধু মাত্র মূল্য বৃদ্ধি করার ইচ্ছায় বেশি দাম বলবে সে ব্যক্তিই পাপাচারী বলে বিবেচিত হবে। এবং তার সাথে যদি বিক্রয়কারী মত দেয় এবং সমর্থন করে তাহলে সেই বিক্রয়কারীও পাপাচারী বলে বিবেচিত হবে।
Narrated Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) forbade Najsh.