১৩৫৪

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৭৯. কোন বালক ইসলাম গ্রহণ করে মারা গেলে তার জন্য (জানাযার) সালাত আদায় করা যাবে কি? বালকের নিকট ইসলামের দাওয়াত দেয়া যাবে কি?

وَقَالَ الْحَسَنُ وَشُرَيْحٌ وَإِبْرَاهِيمُ وَقَتَادَةُ إِذَا أَسْلَمَ أَحَدُهُمَا فَالْوَلَدُ مَعَ الْمُسْلِمِ وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ   مَعَ أُمِّهِ مِنْ الْمُسْتَضْعَفِينَ وَلَمْ يَكُنْ مَعَ أَبِيهِ عَلَى دِينِ قَوْمِهِ وَقَالَ الإِسْلاَمُ يَعْلُو وَلاَ يُعْلَى

হাসান, শুরাইহ্, ইব্রাহীম ও কাতাদাহ (রহ.) বলেছেন, পিতা-মাতার কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে সন্তান মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে থাকবে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁর মায়ের সাথে ‘মুস্তায‘আফীন’ (দুর্বল ও নির্যাতিত জামা‘আত)-এর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁকে তাঁর পিতা (আব্বাস)-এর সাথে ‘তার কাওমের (মুশরিকদের) ধর্মে গণ্য করা হত না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ইসলাম বিজয়ী হয়, বিজিত হয় না।


১৩৫৪. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে একটি দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইবনু সাইয়াদ-এর (বাড়ির) দিকে গেলেন। তাঁরা তাকে (ইবনু সাইয়াদকে) বনূ মাগালা দূর্গের পাশে অন্যান্য বালকদের সাথে খেলাধূলারত পেলেন। তখন ইবনু সাইয়াদ বালিগ হবার নিকটবর্তী হয়েছিল। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আগমন অনুভব করার পূর্বেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে ফেললেন। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আমি আল্লাহ্‌র রাসূল? ইবনু সাইয়াদ তাঁর দিকে দৃষ্টি করে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল। অতঃপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলল, আপনি কি সাক্ষ্য দিবেন যে, আমি আল্লাহ্‌র রাসূল? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ আমি আল্লাহ্‌র প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছি। অতঃপর তিনি তাকে (ইবনু সাইয়াদকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কী দেখে থাক? ইবনু সাইয়াদ বলল, আমার নিকট সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী আগমন করে থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেনঃ ব্যাপারটি তোমার নিকট বিভ্রান্তিকর করা হয়েছে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ আমি একটি বিষয় তোমার হতে (আমার মনের মধ্যে) গোপন রেখেছি। বলতো সেটি কী?) ইবনু সাইয়াদ বলল, তা হচ্ছে الدُّخٌّ। তখন তিনি ইরশাদ করলেনঃ তুমি লাঞ্ছিত হও! তুমি কখনো তোমার (জন্য নির্ধারিত) সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমাকে অনুমতি দিন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। [1] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন : যদি সে সে-ই (অর্থাৎ মাসীহ্ দাজ্জাল) হয়ে থাকে, তাহলে তাকে কাবূ করার ক্ষমতা তোমাকে দেয়া হবে না। আর যদি সে-ই (দাজ্জাল) না হয়, তাহলে তাকে হত্যা করার মধ্যে তোমার কোন কল্যাণ নেই। (৩০৫৫, ৬১৭৩, ৬৬১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২৭২)

بَاب إِذَا أَسْلَمَ الصَّبِيُّ فَمَاتَ هَلْ يُصَلَّى عَلَيْهِ وَهَلْ يُعْرَضُ عَلَى الصَّبِيِّ الإِسْلاَمُ

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ انْطَلَقَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ قِبَلَ ابْنِ صَيَّادٍ حَتَّى وَجَدُوهُ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ وَقَدْ قَارَبَ ابْنُ صَيَّادٍ الْحُلُمَ فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ لِابْنِ صَيَّادٍ تَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرَ إِلَيْهِ ابْنُ صَيَّادٍ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرَفَضَهُ وَقَالَ آمَنْتُ بِاللهِ وَبِرُسُلِهِ فَقَالَ لَهُ مَاذَا تَرَى قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ ثُمَّ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ إِنِّي قَدْ خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ هُوَ الدُّخُّ فَقَالَ اخْسَأْ فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ فَقَالَ عُمَرُ دَعْنِي يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَضْرِبْ عُنُقَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ إِنْ يَكُنْهُ فَلَنْ تُسَلَّطَ عَلَيْهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْهُ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ

حدثنا عبدان اخبرنا عبد الله عن يونس عن الزهري قال اخبرني سالم بن عبد الله ان ابن عمر اخبره ان عمر انطلق مع النبي صلى الله عليه وسلم في رهط قبل ابن صياد حتى وجدوه يلعب مع الصبيان عند اطم بني مغالة وقد قارب ابن صياد الحلم فلم يشعر حتى ضرب النبي صلى الله عليه وسلم بيده ثم قال لابن صياد تشهد اني رسول الله صلى الله عليه وسلم فنظر اليه ابن صياد فقال اشهد انك رسول الاميين فقال ابن صياد للنبي صلى الله عليه وسلم اتشهد اني رسول الله صلى الله عليه وسلم فرفضه وقال امنت بالله وبرسله فقال له ماذا ترى قال ابن صياد ياتيني صادق وكاذب فقال النبي صلى الله عليه وسلم خلط عليك الامر ثم قال له النبي اني قد خبات لك خبيىا فقال ابن صياد هو الدخ فقال اخسا فلن تعدو قدرك فقال عمر دعني يا رسول الله صلى الله عليه وسلم اضرب عنقه فقال النبي ان يكنه فلن تسلط عليه وان لم يكنه فلا خير لك في قتله


Narrated Ibn `Umar:

`Umar set out along with the Prophet (p.b.u.h) with a group of people to Ibn Saiyad till they saw him playing with the boys near the hillocks of Bani Mughala. Ibn Saiyad at that time was nearing his puberty and did not notice (us) until the Prophet (ﷺ) stroked him with his hand and said to him, "Do you testify that I am Allah's Messenger (ﷺ)?" Ibn Saiyad looked at him and said, "I testify that you are the Messenger of illiterates." Then Ibn Saiyad asked the Prophet (p.b.u.h), "Do you testify that I am Allah's Messenger (ﷺ)?" The Prophet (p.b.u.h) refuted it and said, "I believe in Allah and His Apostles." Then he said (to Ibn Saiyad), "What do you think?" Ibn Saiyad answered, "True people and liars visit me." The Prophet (ﷺ) said, "You have been confused as to this matter." Then the Prophet (ﷺ) said to him, "I have kept something (in my mind) for you, (can you tell me that?)" Ibn Saiyad said, "It is Al-Dukh (the smoke)." (2) The Prophet (ﷺ) said, "Let you be in ignominy. You cannot cross your limits." On that `Umar, said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Allow me to chop his head off." The Prophet (p.b.u.h) said, "If he is he (i.e. Dajjal), then you cannot overpower him, and if he is not, then there is no use of murdering him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
২৩/ জানাযা (كتاب الجنائز)