পরিচ্ছেদঃ ১৭/১০. যাঁরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তিলাওয়াতের সিজদা্ আবশ্যক করেননি।
وَقِيلَ لِعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ الرَّجُلُ يَسْمَعُ السَّجْدَةَ وَلَمْ يَجْلِسْ لَهَا قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ قَعَدَ لَهَا كَأَنَّهُ لاَ يُوجِبُهُ عَلَيْهِ وَقَالَ سَلْمَانُ مَا لِهَذَا غَدَوْنَا وَقَالَ عُثْمَانُtإِنَّمَا السَّجْدَةُ عَلَى مَنْ اسْتَمَعَهَا وَقَالَ الزُّهْرِيُّ لاَ يَسْجُدُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ طَاهِرًا فَإِذَا سَجَدْتَ وَأَنْتَ فِي حَضَرٍ فَاسْتَقْبِلْ الْقِبْلَةَ فَإِنْ كُنْتَ رَاكِبًا فَلاَ عَلَيْكَ حَيْثُ كَانَ وَجْهُكَ وَكَانَ السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ لاَ يَسْجُدُ لِسُجُودِ الْقَاصِّ.
‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনল কিন্তু এর জন্য সে বসেনি (তার কি সিজদা্ দিতে হবে?) তিনি বললেন, তুমি কি মনে কর সে যদি তা শোনার জন্য বসতো (তা হলে কি) তাকে সিজদা্ করতে হত? [বুখারী (রহ.) বলেন] যেন তিনি তার জন্য সিজদা্ ওয়াজিব মনে করেন না। সালমান (ফারসী) (রাযি.) বলেছেন, আমরা এ জন্য (সাজ্দাহর আয়াত শোনার জন্য) আসিনি। ‘উসমান (ইবনু ‘আফ্ফান) (রাযি.) বলেছেন, যে মনোযোগসহ সিজদার আয়াত শোনে শুধু তার উপর সিজদা্ ওয়াজিব। যুহরী (রহ.) বলেছেন, পবিত্র অবস্থা ছাড়া সিজদা্ করবে না। যদি তুমি আবাসে থেকে সিজদা্ কর, তবে কিবলামুখী হবে। যদি তুমি সওয়ার অবস্থায় হও, তবে যে দিকেই তোমার মুখ হোক না কেন, তাতে তোমার কোন দোষ নেই। আর সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রহ.) বক্তার বক্তৃতায় সিজদার আয়াত শুনে সিজদা্ করতেন না।
১০৭৭. ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি এক জুমু‘আহর দিন মিম্বরে দাঁড়িয়ে সুরা নাহল তিলাওয়াত করেন। এতে যখন সিজদার আয়াত এল, তখন তিনি মিম্বর হতে নেমে সিজদা্ করলেন এবং লোকেরাও সিজদা্ করল। এভাবে যখন পরবর্তী জুমু‘আহ এল, তখন তিনি সে সূরাহ্ পাঠ করেন। এতে যখন সিজদার আয়াত এল, তখন তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমরা যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করি, তখন যে সিজদা্ করবে সে ঠিকই করবে, যে সিজদা্ করবে না তার কোন গুনাহ নেই। তার বর্ণনায় (বর্ণনাকারী বলেন) আর ‘উমার (রাযি.) সিজদা্ করেননি। নাফি‘ (রহ.) ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে আরো বলেছেন, আল্লাহ্ তা‘আলা সিজদা্ ফরজ করেননি, তবে আমরা ইচ্ছা করলে সিজদা্ করতে পারি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০১৬)
بَاب مَنْ رَأَى أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يُوجِبْ السُّجُودَ.
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهُدَيْرِ التَّيْمِيِّ ـ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ رَبِيعَةُ مِنْ خِيَارِ النَّاسِ عَمَّا حَضَرَ رَبِيعَةُ مِنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ قَرَأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الْمِنْبَرِ بِسُورَةِ النَّحْلِ حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ نَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ، حَتَّى إِذَا كَانَتِ الْجُمُعَةُ الْقَابِلَةُ قَرَأَ بِهَا حَتَّى إِذَا جَاءَ السَّجْدَةَ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ فَمَنْ سَجَدَ فَقَدْ أَصَابَ، وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ. وَلَمْ يَسْجُدْ عُمَرُ ـ رضى الله عنه. وَزَادَ نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضِ السُّجُودَ إِلاَّ أَنْ نَشَاءَ.
Narrated Rabi`a:
`Umar bin Al-Khattab recited Surat-an-Nahl on a Friday on the pulpit and when he reached the verse of Sajda he got down from the pulpit and prostrated and the people also prostrated. The next Friday `Umar bin Al-Khattab recited the same Sura and when he reached the verse of Sajda he said, "O people! When we recite the verses of Sajda (during the sermon) whoever prostrates does the right thing, yet it is no sin for the one who does not prostrate." And `Umar did not prostrate (that day). Added Ibn `Umar "Allah has not made the prostration of recitation compulsory but if we wish we can do it."