৯৪০

পরিচ্ছেদঃ ১৭৯. নামাযের মধ্যে হাতে তালি দেওয়া।

৯৪০. আল কানবী (রহঃ) ..... সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানূ আমর ইবনে আউফ গোত্রের বিবাদ মীমাংসা জন্য গমন করেন। তখন নামাযের সময় উপস্থিত হলে মুয়াযযিন [বিলাল (রাঃ)] আবু বকর (রাঃ)-কে বলেন, আপনি কি জামায়াতে নামাযের ইমামতি করবেন? তখন তিনি স্বীকৃতি প্রদান করায় ইকামত দেয়া হলে আবু বকর (রাঃ) নামায শুরু করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাবর্তন করেন যে, তখন নামায আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। অতঃপর তিনি পিছনের কাতার হতে সামনের কাতারে গিয়ে দণ্ডায়মান হন। মুসল্লিরা তাকে দেখে হাতের উপর হাত রেখে শব্দ করছিল, কিন্তু আবু বকর (রাঃ) এর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেন নাই। অতঃপর শব্দ অধিক হওয়ার কারণে তিনি সে দিকে খেয়াল করতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দর্শন করেন (এবং সাথে সাথেই পিছনের দিকে সরে আসতে চেষ্টা করেন)।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশারায় স্বীয় স্থানে অবস্থানের নির্দেশ দেন। তখন আবু বকর (রাঃ) স্বীয় হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করে, এজন্য আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং পশ্চাতে ফিরে এসে কাতারে শামিল হন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমামের স্থানে গমন করে নামায সমাপান্তে আবু বকর (রাঃ)-কে বলেন, হে আবু বকর! আমার নির্দেশ সত্যেও কিসে তোমাকে ইমামের স্থানে অবস্থান করতে বাধা দিয়েছে? জবাবে তিনি বলেন, আবু কুহাফার পুত্রের (আবু বকর) জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে দণ্ডায়মান হয়ে ইমামতি করা শোভা পায় না।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা হাতের উপর হাত মেরে নামাযের মধ্যে এত বেশি শব্দ করলে কেন? যদি ইমামের কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয় তবে তোমরা “সুবহানাল্লাহ” বলবে। কেননা তোমাদের ’সুবহানাল্লাহ বলা শুনলে ইমাম সেদিকে খেয়াল করবে। নামাযের মধ্যে হাতের উপর হাত মেরে শব্দ করা কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য নির্ধারিত। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)।

ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, এটা কেবলমাত্র ফরয নামাযের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

باب التَّصْفِيقِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَهَبَ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمْ وَحَانَتِ الصَّلاَةُ فَجَاءَ الْمُؤَذِّنُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ - رضى الله عنه - فَقَالَ أَتُصَلِّي بِالنَّاسِ فَأُقِيمَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ فِي الصَّلاَةِ فَتَخَلَّصَ حَتَّى وَقَفَ فِي الصَّفِّ فَصَفَّقَ النَّاسُ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَلْتَفِتُ فِي الصَّلاَةِ فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ التَّصْفِيقَ الْتَفَتَ فَرَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِ امْكُثْ مَكَانَكَ فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللَّهَ عَلَى مَا أَمَرَهُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى اسْتَوَى فِي الصَّفِّ وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏"‏ يَا أَبَا بَكْرٍ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَثْبُتَ إِذْ أَمَرْتُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا كَانَ لاِبْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا لِي رَأَيْتُكُمْ أَكْثَرْتُمْ مِنَ التَّصْفِيحِ مَنْ نَابَهُ شَىْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيُسَبِّحْ فَإِنَّهُ إِذَا سَبَّحَ الْتُفِتَ إِلَيْهِ وَإِنَّمَا التَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا فِي الْفَرِيضَةِ ‏.‏

حدثنا القعنبي، عن مالك، عن ابي حازم بن دينار، عن سهل بن سعد، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ذهب الى بني عمرو بن عوف ليصلح بينهم وحانت الصلاة فجاء الموذن الى ابي بكر - رضى الله عنه - فقال اتصلي بالناس فاقيم قال نعم ‏.‏ فصلى ابو بكر فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم والناس في الصلاة فتخلص حتى وقف في الصف فصفق الناس وكان ابو بكر لا يلتفت في الصلاة فلما اكثر الناس التصفيق التفت فراى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاشار اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم ان امكث مكانك فرفع ابو بكر يديه فحمد الله على ما امره به رسول الله صلى الله عليه وسلم من ذلك ثم استاخر ابو بكر حتى استوى في الصف وتقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى فلما انصرف قال ‏"‏ يا ابا بكر ما منعك ان تثبت اذ امرتك ‏"‏ ‏.‏ قال ابو بكر ما كان لابن ابي قحافة ان يصلي بين يدى رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما لي رايتكم اكثرتم من التصفيح من نابه شىء في صلاته فليسبح فانه اذا سبح التفت اليه وانما التصفيح للنساء ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود وهذا في الفريضة ‏.‏


Sahl b. Sa’d said :
The Messenger of Allah (ﷺ) went to Banu ‘Amr b. ‘Awf to effect reconciliation between them . in the meantime the time of prayer came and the Mu’adhdhin came to Abu Bakr and asked : Will you lead the people in prayer? I pronounce the Iqamah. He said ; Yes. So Abiu Bakr led the prayer , and the Messenger of Allah (ﷺ) came back while the people were praying. He penetrated through the rows and stood in the first row. The people clapped but Abu Bakr did not pay any attention to it during prayer. When the people clapped increasingly, he paid attention. He saw the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) made a sign to him (saying); Stay at your place. Abu BAkr raised his hands and praised Allah for the commandment the Messenger of Allah (ﷺ) had given him (to lead the people in prayer). Abu Bakr then stepped back and stood in the row. The Messenger of Allah (ﷺ) stepped forward and led the prayer. When he finished the prayer, he said; Abu Bakr, what prevented you staying (at your place) when I already commented you to do so? Abu Bakr said ; it was not befitting for the son of Abu Quhafah (Abu Bakr) to lead the prayer in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) said; What is the matter that I saw you clapping frequently during prayer? If anything happens to someone during prayer, he should say “Glory be to Allah,” for when he glorifies Allah. He pays attention to him. Clapping applies only to women.

Abu Dawud said: This is operative in the obligatory prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة)