পরিচ্ছেদঃ ৬/৬৪. রসূলুল্লাহ ﷺ -এর (অন্তিম) রোগ।
৪/১৬২১। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রীগণ সকলে একত্র হলেন, তাদের একজনও বাদ ছিলেন না। এরপর ফাতেমাহ (রাঃ) আসলেন। আর তার হাঁটাচলার ধরন ছিল যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুরূপ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খোশ আমদেদ হে আমার প্রিয় কন্যা। তিনি তাকে নিজের বাম পাশে বসান, অতঃপর তাঁর সাথে চুপেচুপে কিছু কথা বলেন। এতে ফাতেমাহ (রাঃ) কাঁদেন। তিনি পুনরায় তার সাথে গোপনে কিছু কথা বলেন। এতে তিনি হাসেন। পরে আমি ফাতেমাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কেন কাঁদলে? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন তথ্য প্রকাশ করবো না।
আমি বললাম, দুশ্চিন্তার পরে আজকের মত এত খুশী আমি আর কখনো দেখিনি। তার কাঁদার সময় আমি তাঁকে বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আমাদের বাদ দিয়ে তোমার সঙ্গে বিশেষ কোন আলাপ করেছেন, তারপর তুমি কাঁদলে? আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গে যে বিষয়ে আলাপ করেছিলেন, আমি পুনরায় তা তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর গোপন তথ্য ফাঁস করবো না।
তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ইনতিকাল করার পর আমি ফাতেমাহ (রাঃ)-কে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, জিবরীল (আঃ) প্রতি বছর আমাকে একবার কুরআন পড়ে শুনাতেন। এ বছর তিনি তা আমাকে দু’বার পড়ে শুনিয়েছেন। মনে হয় আমার মৃত্যু নিকটবর্তী হয়েছে। তুমিই আমার পরিবারের মধ্যে সবার আগে আমার সঙ্গে মিলিত হবে। আমি তোমার জন্য কত উত্তম পূর্বসূরী। এ কথায় আমি কাঁদলাম। এরপর তিনি আমাকে গোপনে বলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি মু’মিন নারীদের বা এ উম্মাতের নারীদের নেত্রী হবে? এতে আমি হেসেছি।
بَاب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ مَرَضِ رَسُولِ اللهِ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ زَكَرِيَّا عَنْ فِرَاسٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اجْتَمَعْنَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ تُغَادِرْ مِنْهُنَّ امْرَأَةٌ فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ كَأَنَّ مِشْيَتَهَا مِشْيَةُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ إِنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهَا حَدِيثًا فَبَكَتْ فَاطِمَةُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّهَا فَضَحِكَتْ أَيْضًا فَقُلْتُ لَهَا مَا يُبْكِيكِ قَالَتْ مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ فَرَحًا أَقْرَبَ مِنْ حُزْنٍ فَقُلْتُ لَهَا حِينَ بَكَتْ أَخَصَّكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثٍ دُونَنَا ثُمَّ تَبْكِينَ وَسَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا قُبِضَ سَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ إِنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُنِي أَنَّ جِبْرَائِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً وَأَنَّهُ عَارَضَهُ بِهِ الْعَامَ مَرَّتَيْنِ وَلَا أُرَانِي إِلَّا قَدْ حَضَرَ أَجَلِي وَأَنَّكِ أَوَّلُ أَهْلِي لُحُوقًا بِي وَنِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ فَبَكَيْتُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّنِي فَقَالَ أَلَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ نِسَاءِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَضَحِكْتُ لِذَلِكَ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated that ‘Aishah said:
“The wives of the Prophet (ﷺ) gathered together and not one of them lagged behind. Fatimah came, and her gait was like that of the Messenger of Allah (ﷺ). He said, ‘Welcome to my daughter.’ Then he made her sit to his left, and he whispered something to her, and she smiled. I said to her: ‘What made you weep?’ She said: ‘I will not disclose the secret of the Messenger of Allah (ﷺ).’ I said: ‘I never saw joy so close to grief as I saw today.’ When she wept I said: ‘Did the Messenger of Allah (ﷺ) tell you some special words that were not for us, then you wept?’ And I asked her about what he had said. She said: ‘I will not disclose the secret of the Messenger of Allah (ﷺ).’ After he died I asked her what he had said, and she said: ‘He told me that Jibra’il used to review the Qur’an with him once each year, but he had reviewed it with him twice that year, (and he said:) “I do not think but that my time is near. You will be the first of my family to join me, and what a good predecessor I am for you.” So I wept. Then he whispered to me and said: “Will you not be pleased to be the leader of the women of this Ummah?” So I smiled.’”