৬১৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৪১. জা'ফার ইবন আবু তালিব, আসমা বিনত উমায়স (রাঃ) ও তাদের নৌযান সঙ্গীদের ফযীলত

৬১৮৫। আবদুল্লাহ ইবনু বাররাদ আশআরী ও মুহাম্মাদ ইবনুল আলা আল হামদানী (রহঃ) ... আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমাদের কাছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরতের খবর পৌছল তখন আমরা ইয়ামানে ছিলাম। তখন আমরা আমি ও আমার দুই ভাই তার কাছে হিজরত করার জন্য রওনা হলাম। আমি ছিলাম সে দুইজনের ছোট। তাঁদের একজনের নাম ছিল আবূ বুরদাহ (রাঃ) অপরজন ছিলেন আবূ রুহম (রাঃ)। তিনি হয়ত বলেছেন,আমাদের গোত্রের (কিছু লোক) তিপ্পান্ন জন কিংবা বায়ান্নজন লোক ছিল। আমরা একটি (পালের) জাহাজে আরোহণ করলাম। জাহাজটি আমাদের নিয়ে আবিসিনিয়ায় গিয়ে উপনীত হল, যেখানের বাদশাহ ছিলেন নাজ্জাশী।

তখন আমরা তার কাছে জাফর ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের দেখা পেলাম। এরপর জাফর (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এখানে পাঠিয়েছেন। এবং এখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আপনারা আমাদের সঙ্গে অবস্থান করুন। তিনি বলেন, আমরা তার সঙ্গে থাকতে লাগলাম, অবশেষে আমরা সবাই একত্রে ফিরে এলাম।

তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খায়বর বিজয়ের সময়ে মিলিত হলাম। তিনি আমাদেরও গনীমতের মালের অংশ দিলেন অথবা তিনি বলেছেন, তিনি তা থেকে আমাদেরও দান করেছেন। খায়বার বিজয়ে অনুপস্থিত কাউকে তিনি হিসসা দেননি। শুধু যারা তার সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয়েছিলেন (তাদের দিয়েছেন) তাদের ব্যাতিত কাউকে গনিমতের হিসসা দেননি। তবে জাফর ও তাঁর সংগীদের সংগে আমাদের জাহাজে আরোহী সাথীদেরও তাঁদের সংগে হিসসা প্রদান করেছিলেন।

বর্ণনাকারী বলেন, লোকদের কেউ কেউ আমাদের অর্থাৎ জাহাজের আরোহীদের বলে বেড়াত যে, আমরা অগ্রগামী হিজরতকারী। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমাদের নৌকায় সফর সংগিনী আসমা বিনত উমায়স (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী হাফসা (রাঃ) এর সঙ্গে দেখা করার জন্য গমন করেন। যাঁরা নাজ্জাশীর কাছে হিজরত করেছিলেন, তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতমা।

ইত্যবসরে উমর (রাঃ) হাফসার কাছে এলেন। আসমা বিনত উমায়স (রাঃ) তখন তাঁর কাছে উপস্থিত ছিলেন। তখন উমর (রাঃ) আসমাকে দেখে বললেন, ইনি কে? হাফসা (রাঃ) বললেন, ইনি আসমা বিনত উমায়স। উমর (রাঃ) বললেন, এই কি হাবশায় হিজরতকারিণী, জাহাজে আরোহণকারিণী? তখন আসমা (রাঃ) বললেন, জী হ্যাঁ। উমর (রাঃ) বললেন, হিজরতে আমরা তোমাদের চাইতে অগ্রগামী। সূতরাং তোমাদের তুলনায় আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে অধিকতর হকদার।

তখন আসমা (রাঃ) রাগাম্বিত হলেন এবং বললেন, হে উমর। কথাটি সঠিক নয়। কখনো নয়। আল্লাহর কসম! তোমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্যে ছিলে। তিনি তোমাদের ক্ষুধার্তদের আহার দান করতেন, জ্ঞানহীনদের জ্ঞানের আলো বিলাতেন। আর আমরা আবিসিনিয়ায় প্রবাসে অনাত্মীয়দের মাঝে প্রতিকুল পরিবেশে অবস্থান করছিলাম। এটা ছিল কেবল আল্লাহ ও তার রাসুলের সন্তুষ্টির জন্যই। আল্লাহর কসম! তুমি যা বলেছ তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আলোচনা না করা পর্যন্ত আমি কোন আহার গ্রহণ করব না এবং পানীয় দ্রব্য স্পর্শ করব না। আমরা (বিদেশ বিভুঁইয়ে) সারাক্ষণ বিপদ ও ভয়ভীতির মধ্যে থাকতাম।

আমি বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পেশ করব এবং জিজ্ঞাসা করব। আল্লাহর কসম! আমি মিথ্যা বলব না, কোন কিছু বিকৃত করব না এবং প্রকৃত ঘটনার চাইতে বাড়িয়ে বলব না। বর্ণনাকারী বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন তখন আসমা (রাঃ) বললেন, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ! উমর (রাঃ) এই এই বলেছেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার প্রতি তোমাদের চেয়ে তার হক বেশী নেই। কেননা তার ও তার সঙ্গীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র হিজরত। আর তোমাদের জাহাজ আরোহীদের জন্য রয়েছে দুটি হিজরত।

আসমা (রাঃ) বলেন, আমি আবূ মূসা (রাঃ) ও জাহাজের আরোহীদের দলে দলে এসে আমার কাছে এই হাদীস খানি জিজ্ঞাসা করতে দেখেছি। তাদের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন তাঁদের কাছে এর চাইতে অধিকতর আনন্দদায়ক ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত কোন বিষয় দুনিয়াতে ছিল না। আবূ বুরদাহ (রাঃ) বলেন যে, আসমা (রাঃ) বলেছেন, আমি আবূ মূসা (রাঃ) কে দেখেছি, তিনি আমার কাছ থেকে বারবার এই হাদীসখানি শুনতেন।

باب مِنْ فَضَائِلِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ وَأَهْلِ سَفِينَتِهِمْ رضى

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنِي بُرَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ بَلَغَنَا مَخْرَجُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِينَ إِلَيْهِ أَنَا وَأَخَوَانِ لِي أَنَا أَصْغَرُهُمَا أَحَدُهُمَا أَبُو بُرْدَةَ وَالآخَرُ أَبُو رُهْمٍ - إِمَّا قَالَ بِضْعًا وَإِمَّا قَالَ ثَلاَثَةً وَخَمْسِينَ أَوِ اثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ رَجُلاً مِنْ قَوْمِي - قَالَ فَرَكِبْنَا سَفِينَةً فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ فَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَأَصْحَابَهُ عِنْدَهُ فَقَالَ جَعْفَرٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَنَا هَا هُنَا وَأَمَرَنَا بِالإِقَامَةِ فَأَقِيمُوا مَعَنَا ‏.‏ فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيعًا - قَالَ - فَوَافَقْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ فَأَسْهَمَ لَنَا - أَوْ قَالَ أَعْطَانَا مِنْهَا - وَمَا قَسَمَ لأَحَدٍ غَابَ عَنْ فَتْحِ خَيْبَرَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ لِمَنْ شَهِدَ مَعَهُ إِلاَّ لأَصْحَابِ سَفِينَتِنَا مَعَ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ قَسَمَ لَهُمْ مَعَهُمْ - قَالَ - فَكَانَ نَاسٌ مِنَ النَّاسِ يَقُولُونَ لَنَا - يَعْنِي لأَهْلِ السَّفِينَةِ - نَحْنُ سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ ‏.‏

قَالَ فَدَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ - وَهِيَ مِمَّنْ قَدِمَ مَعَنَا - عَلَى حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَائِرَةً وَقَدْ كَانَتْ هَاجَرَتْ إِلَى النَّجَاشِيِّ فِيمَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِ فَدَخَلَ عُمَرُ عَلَى حَفْصَةَ وَأَسْمَاءُ عِنْدَهَا فَقَالَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَسْمَاءَ مَنْ هَذِهِ قَالَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ الْحَبَشِيَّةُ هَذِهِ الْبَحْرِيَّةُ هَذِهِ فَقَالَتْ أَسْمَاءُ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ فَنَحْنُ أَحَقُّ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْكُمْ ‏.‏ فَغَضِبَتْ وَقَالَتْ كَلِمَةً كَذَبْتَ يَا عُمَرُ كَلاَّ وَاللَّهِ كُنْتُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُطْعِمُ جَائِعَكُمْ وَيَعِظُ جَاهِلَكُمْ وَكُنَّا فِي دَارِ أَوْ فِي أَرْضِ الْبُعَدَاءِ الْبُغَضَاءِ فِي الْحَبَشَةِ وَذَلِكَ فِي اللَّهِ وَفِي رَسُولِهِ وَايْمُ اللَّهِ لاَ أَطْعَمُ طَعَامًا وَلاَ أَشْرَبُ شَرَابًا حَتَّى أَذْكُرَ مَا قُلْتَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ كُنَّا نُؤْذَى وَنُخَافُ وَسَأَذْكُرُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَسْأَلُهُ وَوَاللَّهِ لاَ أَكْذِبُ وَلاَ أَزِيغُ وَلاَ أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ عُمَرَ قَالَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيْسَ بِأَحَقَّ بِي مِنْكُمْ وَلَهُ وَلأَصْحَابِهِ هِجْرَةٌ وَاحِدَةٌ وَلَكُمْ أَنْتُمْ أَهْلَ السَّفِينَةِ هِجْرَتَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ يَأْتُونِي أَرْسَالاً يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ مَا مِنَ الدُّنْيَا شَىْءٌ هُمْ بِهِ أَفْرَحُ وَلاَ أَعْظَمُ فِي أَنْفُسِهِمْ مِمَّا قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو بُرْدَةَ فَقَالَتْ أَسْمَاءُ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَإِنَّهُ لَيَسْتَعِيدُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنِّي ‏.‏

حدثنا عبد الله بن براد الاشعري، ومحمد بن العلاء الهمداني، قالا حدثنا ابو اسامة حدثني بريد، عن ابي بردة، عن ابي موسى، قال بلغنا مخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن باليمن فخرجنا مهاجرين اليه انا واخوان لي انا اصغرهما احدهما ابو بردة والاخر ابو رهم - اما قال بضعا واما قال ثلاثة وخمسين او اثنين وخمسين رجلا من قومي - قال فركبنا سفينة فالقتنا سفينتنا الى النجاشي بالحبشة فوافقنا جعفر بن ابي طالب واصحابه عنده فقال جعفر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعثنا ها هنا وامرنا بالاقامة فاقيموا معنا ‏.‏ فاقمنا معه حتى قدمنا جميعا - قال - فوافقنا رسول الله صلى الله عليه وسلم حين افتتح خيبر فاسهم لنا - او قال اعطانا منها - وما قسم لاحد غاب عن فتح خيبر منها شيىا الا لمن شهد معه الا لاصحاب سفينتنا مع جعفر واصحابه قسم لهم معهم - قال - فكان ناس من الناس يقولون لنا - يعني لاهل السفينة - نحن سبقناكم بالهجرة ‏.‏ قال فدخلت اسماء بنت عميس - وهي ممن قدم معنا - على حفصة زوج النبي صلى الله عليه وسلم زاىرة وقد كانت هاجرت الى النجاشي فيمن هاجر اليه فدخل عمر على حفصة واسماء عندها فقال عمر حين راى اسماء من هذه قالت اسماء بنت عميس ‏.‏ قال عمر الحبشية هذه البحرية هذه فقالت اسماء نعم ‏.‏ فقال عمر سبقناكم بالهجرة فنحن احق برسول الله صلى الله عليه وسلم منكم ‏.‏ فغضبت وقالت كلمة كذبت يا عمر كلا والله كنتم مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يطعم جاىعكم ويعظ جاهلكم وكنا في دار او في ارض البعداء البغضاء في الحبشة وذلك في الله وفي رسوله وايم الله لا اطعم طعاما ولا اشرب شرابا حتى اذكر ما قلت لرسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن كنا نوذى ونخاف وساذكر ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم واساله ووالله لا اكذب ولا ازيغ ولا ازيد على ذلك ‏.‏ قال فلما جاء النبي صلى الله عليه وسلم قالت يا نبي الله ان عمر قال كذا وكذا ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ليس باحق بي منكم وله ولاصحابه هجرة واحدة ولكم انتم اهل السفينة هجرتان ‏"‏ ‏.‏ قالت فلقد رايت ابا موسى واصحاب السفينة ياتوني ارسالا يسالوني عن هذا الحديث ما من الدنيا شىء هم به افرح ولا اعظم في انفسهم مما قال لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو بردة فقالت اسماء فلقد رايت ابا موسى وانه ليستعيد هذا الحديث مني ‏.‏


Abu Musa reported:
We were in Yemen when we heard of the migration of Allah's Messenger (ﷺ). We also set out as immigrants to him. And I was accompanied by two brothers of mine, I being the youngest of them; one of them was Abu Burda and the other one was Abu Ruhm, and there were some other persons with them. Some say they were fifty-three or fifty-two persons of my tribe. We embarked upon a boat, and the boat sailed away to the Negus of Abyssinia. There we met Ja'far b. Abu Talib and his companions. Ja'far said: Allall's Messenger (ﷺ) has sent us here and has commanded us to stay here and you should also stay with us. So we stayed with him and we came back (to Medina) and met Allah's Messenger (ﷺ) when Khaibar had been conquered. He (the Holy Prophet) allocated a share to us and in the ordinary course he did not allocate the share to one who had been absent on the occasion of the conquest of Khaibar but conferred (a share) upon him only who had been present there with him. He, however, made an exception for the people of the boat, viz. for Ja'far and his companions. He allocated a share to them, and some persons from amongst the people said to us, viz. the people of the boat: We have preceded you in migration. Asma' bint 'Umais who had migrated to Abyssinia and had come back along with them (along with immigrants) visited Hafsa, the wife of Allah's Apostle (ﷺ). (Accordingly), Umar had been sitting with her (Hafsa). As 'Umar saw Asma, he said: Who is she? She (Hafsa) said: She is Asma, daughter of 'Umais. He said: She is an Abyssinian and a sea-woman. Asma said: Yes, it is so. Thereupon 'Umar said: We preceded you in migration and so we have more right to Allah's Messenger (ﷺ) as compared with you. At this she felt annoyed and said: 'Umar, you are not stating the fact; by Allah, you had the privilege of being in the company of the Messenger (ﷺ) who fed the hungry among you and instructed the ignorant amongst you, whereas we had been far (from here) in the land of Abyssinia amongst the enemies and that was all for Allah and Allah's Messenger (ﷺ) and, by Allah, I would never take food nor take water unless I make a mention to Allah's Messenger (ﷺ) of what you have said. We remained in that country in constant trouble and dread and I shall talk about it to Allah's Messenger (way peace be upon him) and ask him (about it). By Allah, I shall not tell a lie and deviate (from the truth) and add anything to that. So, when Allah's Apostle (ﷺ) came, she said: Allah's Apostle, 'Umar says so and so. Upon this Allah's Messenger (ﷺ) said: His right is not more than yours, for him and his companions there is one migration, but for you, i. e. for the people of the boat, there are two migrations. She said: I saw Abu Musa and the people of the boat coming to me in groups and asking me about this hadith, because there was nothing more pleasing and more significant for them than this. Abu Burda reported that Asma said: I saw Abu Musa, asking me to repeat this hadith to him again and again.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬/ সাহাবী (রাঃ) গণের ফযীলত (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم)