৫২৩৫

পরিচ্ছেদঃ ২. নারী ও পুরুষের জন্য সোনা-রূপার পাত্র, আর পুরুষের জন্য সোনার আংটি ও রেশমজাত কাপড় ব্যবহার করা হারাম এবং স্ত্রীলোকের জন্য এগুলো ব্যবহার করা মুবাহ। সোনা-রূপা ও রেশমের অনধিক চার আঙ্গুল পরিমাণ নকলী (পাড় ও আচল) অনুরূপ কিছু পুরুষের জন্য মুবাহ

৫২৩৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম আবদুল্লাহ (রহঃ), আতা (রহঃ) এর সন্তানদের মামাও হতেন-- থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আসমা (রাঃ) আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) এর নিকট এই বলে পাঠালেন যে, আমি জানতে পেরেছি তুমি নাকি তিনটি জিনিসকে হারাম মনে কর। কাপড়ে (রেশমের) নকশা বা নকশী পাড়, গাঢ় লাল রং এর মীছারা (এক জাতীয় রেশমজাত লাল বর্ণের গদীর আচ্ছাদন) ও রজবের পুরো মাস সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা।

তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাকে বললেন, আপনি যে রজব মাসের সাওম হারামের কথা বললেন এটা সে ব্যক্তির পক্ষে কিভাবে সম্ভব যিনি সদাসর্বদা সাওম পালন করেন? আর আপনি যে কাপড়ে (রেশমের) পাড় বা নকশার কথা বললেন, এ সমন্ধে আমি উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, রেশমী কাপড় কেবল সে লোকই পরবে (পরকালে) যার কোন হিসসা নেই। তাই আমার আশংকা হল নকশাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আর গাঢ় লাল রঙ-এর মীছারা (পর্দার আচ্ছাদন) তা এই তো আবদল্লাহরই মীছারা। দেখলাম, আসলেই সেটি গাঢ় লাল রং-এর (সুতি বা পশমী কাপড়)।

এরপর আমি আসমা (রাঃ) এর কাছে ফিরে গেলাম এবং তাঁকে এ বিষয়ে খবর দিলাম। তখন তিনি বললেন, এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জুব্বা। এই বলে তিনি একটি তায়লামান কিসরাওয়ানী (পারস্য সম্রাট কিসরার দিকে সন্বন্ধযুক্ত) সবুজ রং এর একটি জুব্বা বের করলেন যার পকেটটি ছিল রেশমের তৈরি এবং এর এর দুই পাশের ফাঁড়া ছিল খাটি রেশমের টুকরা দ্বারা আবৃত। তিনি বললেন, এটি আয়িশার মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর কাছেই ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আমি এটি নিয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি পরিধান করতেন। তাই আমরা রোগীদের শেফা হাসিলের জন্য এটি ধৌত করি এবং সে পানি তাদের কে পান করিয়ে থাকি।

باب تَحْرِيمِ اسْتِعْمَالِ إِنَاءِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ عَلَى الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَخَاتَمِ الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ عَلَى الرَّجُلِ وَإِبَاحَتِهِ لِلنِّسَاءِ وَإِبَاحَةِ الْعَلَمِ وَنَحْوِهِ لِلرَّجُلِ مَا لَمْ يَزِدْ عَلَى أَرْبَعِ أَصَابِعَ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَكَانَ خَالَ وَلَدِ عَطَاءٍ قَالَ أَرْسَلَتْنِي أَسْمَاءُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَتْ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَرِّمُ أَشْيَاءَ ثَلاَثَةً الْعَلَمَ فِي الثَّوْبِ وَمِيثَرَةَ الأُرْجُوَانِ وَصَوْمَ رَجَبٍ كُلِّهِ ‏.‏ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ رَجَبٍ فَكَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ الأَبَدَ وَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنَ الْعَلَمِ فِي الثَّوْبِ فَإِنِّي سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّمَا يَلْبَسُ الْحَرِيرَ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَخِفْتُ أَنْ يَكُونَ الْعَلَمُ مِنْهُ وَأَمَّا مِيثَرَةُ الأُرْجُوَانِ فَهَذِهِ مِيثَرَةُ عَبْدِ اللَّهِ فَإِذَا هِيَ أُرْجُوَانٌ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى أَسْمَاءَ فَخَبَّرْتُهَا فَقَالَتْ هَذِهِ جُبَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَخْرَجَتْ إِلَىَّ جُبَّةَ طَيَالَسَةٍ كِسْرَوَانِيَّةً لَهَا لِبْنَةُ دِيبَاجٍ وَفَرْجَيْهَا مَكْفُوفَيْنِ بِالدِّيبَاجِ فَقَالَتْ هَذِهِ كَانَتْ عِنْدَ عَائِشَةَ حَتَّى قُبِضَتْ فَلَمَّا قُبِضَتْ قَبَضْتُهَا وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَلْبَسُهَا فَنَحْنُ نَغْسِلُهَا لِلْمَرْضَى يُسْتَشْفَى بِهَا ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى، اخبرنا خالد بن عبد الله، عن عبد الملك، عن عبد الله، مولى اسماء بنت ابي بكر وكان خال ولد عطاء قال ارسلتني اسماء الى عبد الله بن عمر فقالت بلغني انك تحرم اشياء ثلاثة العلم في الثوب وميثرة الارجوان وصوم رجب كله ‏.‏ فقال لي عبد الله اما ما ذكرت من رجب فكيف بمن يصوم الابد واما ما ذكرت من العلم في الثوب فاني سمعت عمر بن الخطاب يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ انما يلبس الحرير من لا خلاق له ‏"‏ ‏.‏ فخفت ان يكون العلم منه واما ميثرة الارجوان فهذه ميثرة عبد الله فاذا هي ارجوان ‏.‏ فرجعت الى اسماء فخبرتها فقالت هذه جبة رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فاخرجت الى جبة طيالسة كسروانية لها لبنة ديباج وفرجيها مكفوفين بالديباج فقالت هذه كانت عند عاىشة حتى قبضت فلما قبضت قبضتها وكان النبي صلى الله عليه وسلم يلبسها فنحن نغسلها للمرضى يستشفى بها ‏.‏


Abdullah. the freed slave of Asma' (the daughter of Abu Bakr). the maternal uncle of the son of 'Ata, reported:
Asma' sent me to 'Abdullah b. 'Umar saying: The news has reached me that you prohibit the use of three things: the striped robe. saddle cloth made of red silk. and the fasting in the holy month of Rajab. 'Abdullah said to me: So far as what you say about fasting in the month of Rajab, how about one who observes continuous fasting? -and so far as what you say about the striped garment, I heard Umar b. Khatab say that he had heard from Allah's Messenger (ﷺ): He who wears silk garment has no share for him (in the Hereafter), and I am afraid it may not be that striped garment; and so far as the red saddle clotb is concerned that is the saddle cloth of Abdullah and it is red. I went back to Asma' and informed her. whereupon she said: Here is the cloak of Allah's Messenger (ﷺ). and she brought out to me that cloak made of Persian cloth with a hem of brocade, and its sleeves bordered with brocade and said: This wall Allah's Messenger's cloak with 'A'isha until she died, and when she died. I got possession of it. The Apostle of Allah (ﷺ) used to wear that, and we waslied it for the sick and sought cure thereby.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৮/ পোশাক ও সাজসজ্জা (كتاب اللباس والزينة)