পরিচ্ছেদঃ ৩৮৩. কারো কোন জিনিস নষ্ট করলে অনুরূপ ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
৩৫৩০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... জাসরা বিনত দাজাজা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আইশা (রাঃ) বলেছেনঃ আমি সাফিয়ার ন্যায় আর কাউকে উত্তম খানা পাকাতে দেখিনি। একদা তিনি খানা পাকিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রেরণ করেন, যাতে আমি রাগান্বিত হই এবং পাত্রটি ভেঙ্গে ফেলি। এরপর আমি জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যা করেছি, এর কাফফারা কি? তখন তিনি বলেনঃ পাত্রের বিনিময়ে এরূপ পাত্র এবং খানার বিনিময়ে এরূপ খানা।
باب فِيمَنْ أَفْسَدَ شَيْئًا يَغْرَمُ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي فُلَيْتٌ الْعَامِرِيُّ، عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دِجَاجَةَ، قَالَتْ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها مَا رَأَيْتُ صَانِعًا طَعَامًا مِثْلَ صَفِيَّةَ صَنَعَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا فَبَعَثَتْ بِهِ فَأَخَذَنِي أَفْكَلٌ فَكَسَرْتُ الإِنَاءَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَفَّارَةُ مَا صَنَعْتُ قَالَ " إِنَاءٌ مِثْلُ إِنَاءٍ وَطَعَامٌ مِثْلُ طَعَامٍ " .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
I saw no one cooking food like Safiyyah. She cooked food for the Messenger of Allah (ﷺ) and sent it. I became angry and broke the vessel. I then asked: Messenger of Allah, what is the atonement for what I have done? He replied: A vessel like (this) vessel and food like (this) food.
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. যারা মাদকদ্রব্যকে বৈধ বলেছেন, তাদের দলীল
৫৬৮০. সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ... জাসরা বিনত দিজাজা বলেন, আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট কিছু লোক নবীযের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা ভধরে খেজুর ভেজাই, সন্ধ্যায় পান করি আবার সন্ধ্যায় ভেজাই এবং ভধরে পান করি। তিনি বলেন, আমি কোন মাদকদ্রব্যকে হালাল বলছি না, যদিও তা রুটি হয় বা পানি হয়। একথা তিনি তিনবার বলেন।
ذِكْرُ الْأَخْبَارِ الَّتِي اعْتَلَّ بِهَا مَنْ أَبَاحَ شَرَابَ السُّكْرِ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ قُدَامَةَ الْعَامِرِيِّ أَنَّ جَسْرَةَ بِنْتَ دَجَاجَةَ الْعَامِرِيَّةَ حَدَّثَتْهُ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ سَأَلَهَا أُنَاسٌ كُلُّهُمْ يَسْأَلُ عَنْ النَّبِيذِ يَقُولُ نَنْبِذُ التَّمْرَ غُدْوَةً وَنَشْرَبُهُ عَشِيًّا وَنَنْبِذُهُ عَشِيًّا وَنَشْرَبُهُ غُدْوَةً قَالَتْ لَا أُحِلُّ مُسْكِرًا وَإِنْ كَانَ خُبْزًا وَإِنْ كَانَتْ مَاءً قَالَتْهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
It was narrated from Qudamah Al-'Amiri that Jasrah bint Dijajah Al-'Amiriyyah told him:
"I heard 'Aishah when some people asked her about Nabidh, saying we soak dates in the morning and drink it in the evening, or we soak them in the evening and drink them in the morning. She said: 'I do not permit any intoxicant even if it were bread or even if it were water.' She said that three times."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩. নাপাক ব্যক্তির মসজিদে প্রবেশ প্রসঙ্গে
২৩২। জাসরাহ বিনতু দিজাজাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে দেখলেন, সাহাবাদের ঘরের দরজা মসজিদের দিকে ফেরানো। (কেননা তারা মসজিদের ভিতর দিয়েই যাতায়াত করতেন)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় এসে দেখলেন, লোকেরা কিছুই করেননি, এ প্রত্যাশায় যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ব্যাপারে কোন অনুমতি নাযিল হয় কিনা। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে তাদের আবারো বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। কারণ ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য মসজিদে যাতায়াত আমি হালাল মনে করি না।[1]
দুর্বল : যঈফ আল-জামি’উস সাগীর ৬১১৭, ইরওয়া ১৯৩।
হাদীস বিশারদ ইমামগণের দৃষ্টিতে অপবিত্র ব্যক্তির মসজিদে প্রবেশ সংক্রান্ত হাদীসসমূহের অবস্থানঃ
حدثنا مسدد حدثنا عبد الواحد بن زياد حدثنا الأفلت بن خليفة قال حدثتني جسرة بنت دجاجة قالت سمعت عائشة رضي الله عنها تقول جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم ووجوه بيوت أصحابه شارعة في المسجد فقال وجهوا هذه البيوت عن المسجد ثم دخل النبي صلى الله عليه وسلم ولم يصنع القوم شيئا رجاء أن تنزل فيهم رخصة فخرج إليهم بعد فقال وجهوا هذه البيوت عن المسجد فإني لا أحل المسجد لحائض ولا جنب
(ক) জাসরাহ বিনতু দিজাজাহ থেকে আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ থেকে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। কারণ ঋতুবতী মহিলা ও অপবিত্র ব্যক্তির জন্য মসজিদে যাতায়াত আমি হালাল মনে করি না। (আবূ দাঊদ)
حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة ومحمد بن يحيى قالا حدثنا أبو نعيم حدثنا ابن أبي غنية عن أبي الخطاب الهجري عن محدوج الذهلي عن جسرة قالت أخبرتني أم سلمة قالت دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم صرحة هذا المسجد فنادى بأعلى صوته إن المسجد لا يحل لجنب ولا لحائض
(খ) জাসরাহ বিনতু দিজাজাহ থেকে উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মসজিদের বারান্দায় প্রবেশ করে উচ্চকণ্ঠে এ মর্মে ঘোষণা দিলেন যে, অপবিত্র পুরুষ এবং ঋতুবতী নারীর মসজিদে প্রবেশ করা বৈধ নয়। (ইবনু মাজাহ ৬৪৫, ইবনু আবূ হাতিম ‘আল-‘ইলাল’ ১/৯৯/২৬৯)
হাদীসদ্বয় দুর্বলঃ কেননা হাদীস দু’টির সনদে জাসরাহ রয়েছে। যদিও একে ইবনু খুযাইমাহ সহীহ ও ইবনু কাত্তান হাসান আখ্যা দিয়েছেন এবং শাওকানী নায়লুল আওত্বার গ্রন্থে এ কথা উল্লেখ করে সহীহ বলেছেন যে, জাসরাহ সম্পর্কে ‘আজলী বলেন, তিনি একজন নির্ভরযোগ্য মহিলা তাবেয়ী, আর ইবনু হিব্বান তাকে সিক্বাত গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) তাঁদের মত প্রত্যাখ্যান করে বলেনঃ হাদীসটি সম্পর্কে তাদের বক্তব্য সঠিক নয়। হাদীসটি সহীহ নয় বরং দুর্বল। কারণঃ
(১) হাদীসটির মূল বিষয় বার্তায় সনদের জাসরাহ বিনতু দিজাজাহর উপর। জাসরাহকে এমন কেউ নির্ভরযোগ্য বলেননি যার নির্ভরযোগ্যতায় নির্ভর করা যায়। বরং ইমাম বুখারী বলেছেন, তার কাছে আশ্চর্যকর জিনিস আছে। (অর্থাৎ বুখারীর নিকট তিনি দুর্বল)। ইমাম খাত্তাবী বলেন, একদল হাদীস বিশারদ ইমাম এ হাদীসকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বায়হাক্বী বলেন, তিনি শক্তিশালী নন। বায়হাক্বী হাদীসটির দুর্বলতার দিকেও ইঙ্গিত করেন। ‘আব্দুল হাক্ব বলেন, প্রমাণযোগ্য নন। হাফিয ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে এ জাসরাহকে দুর্বল বলে ইঙ্গিত করেছেন। আল্লামা ইবনু হাযম হাদীসটির সমস্ত সূত্র সম্পর্কে বলেনঃ এর সবগুলোই বাতিল।
(২) জাসরাহ বিনতু দিজাজাহ্ স্বীয় বর্ণনাতে উলটপালট করেছেন। একবার বলেছেনঃ আয়িশাহ থেকে, আবার বলেছেনঃ উম্মু সালামাহ থেকে। সনদে ইযতিরাবের (উলটপালট) কারণে হাদীস সন্দেহের মধ্যে পড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি মুহাদ্দিসগণের নিকট পরিচিত বিষয়। কেননা তা বর্ণনাকারীর স্মরণ শক্তি দুর্বল হওয়া প্রমাণ করে। ইমাম আবূ যুর‘আহ বলেনঃ ‘‘তারা বলেঃ জাসরাহ থেকে উম্মু সালামাহ সূত্রে। কিন্তু সহীহ কথা হচ্ছেঃ জাসরাহ থেকে ‘আয়িশাহ সূত্রে।’’ (আল্লামা শাওকানীও তাই বলেছেন] আবূ হাতিমে হাদীসটিতে অতিরিক্তভাবে রয়েছেঃ الا للنبى ولا زواجه وعلى وفاطمة بنت محمد ‘‘তবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণ, ‘আলী ও মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতিমা ব্যতীত।’’ ইবনু হাযম এটি বর্ণনা করে বলেনঃ ‘‘এর সনদে বর্ণনাকারী মাহদূজ বর্জিত, তিনি জাসরাহ সূত্রে মু‘দাল হাদীসাবলী বর্ণনা করেন। আর সনদের আবুল খাত্তাল হাজারী অজ্ঞাত।’’ (আল্লামা বুসয়রী (রহঃ)ও ‘আয-যাওয়ায়িদ গ্রন্থে বলেনঃ এর সানাদ দুর্বল। সনদে মাহদূজকে নির্ভরযোগ্য বলা হয়নি এবং সনদে আবূল খাত্তাব অজ্ঞাত লোক।
আল্লামা আলবানী (রহঃ) আরো বলেন, হাদীসটির কতিপয় শাহিদ বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর সানাদও নিকৃষ্ট, যা দ্বারা দলীল প্রতিষ্ঠিত হয় না এবং হাদীসটিও তদ্বারা মজবুতী পায় না। (দেখুন, তায়ামুল মিন্নাহ, ইরওয়াউস গালীল, মাজমাউযু যাওয়ায়িদ ও অন্যান্য)।
(গ) কুরআন মাজীদের সূরাহ নিসার ৪৩নং আয়াতের তাফসীরে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রের বর্ণনা। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ لا تدخل المسجد وأنت جنب الا ان يكون طريقك فيه، ولا تجلس ‘‘তুমি জুনুবী অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করবে না। তবে তোমার চলাচলের কোনো পথ না থাকলে ভিন্ন কথা। কিন্তু মসজিদে বসতে পারবে না।’’
এর সনদে আবূ জা‘ফর রাযী দুর্বল। এটি দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি আয়াতটির শানে নুযুলেরও পরিপন্থি, যা ‘আলী সূত্রে সহীহভাবে বর্ণিত হয়েছে। (দেখুন, ইরওয়া ১/২১০)।
(ঘ) ‘আম্মার ইবনু ইয়াসার বর্ণনা করেনঃ ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো কোনো সাহাবী জুনুবী (ফরয গোসল জনিত অপবিত্রতা) অবস্থায় সালাতের উযুর ন্যায় উযু করার পর মসজিদে বসতেন।’’ যায়িদ ইবনু আসলামের বর্ণনায় রয়েছেঃ ‘‘তারা উযু করে মসজিদে বসে পরস্পরে কথাবার্তা বলতেন।’’ (সাঈদ ইবনু মানসুর ‘সুনান’)।
কিন্তু বর্ণনা দু’টির সনদে হিশাম ইবনু সাঈদ রয়েছে। ইমাম আবূ হাতিম বলেন, তার দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না। ইবনু মাঈন, আহমাদ ও নাসায়ী তাকে দুর্বল বলেছেন। (দেখুন, নায়লুল আওত্বার ১ম খন্ড, অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ১০৮)।
অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ ও অবস্থান সম্পর্কিত মাসআলাহঃ
(১) অপবিত্র ব্যক্তির অতিক্রমকরা হিসেবে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করা জায়িয, বিশেষ করে যদি অন্য কোনো পথ না থাকে। (দেখুন, সূরাহ নিসা, আয়াত ৪৩, তাফসীর ইবনু কাসীর, নায়লুল আওত্বার ও অন্যান্য)।
(২) হায়িয ও নিফাস বিশিষ্ট নারী মসজিদে কিছু রাখতে বা সেখান থেকে কোনো কিছু আনতে পারবে। কিন্তু বসতে পারবে না বরং চলা অবস্থায় থাকবে। তবে খেয়ালা রাখতে হবে, মসজিদে যেন অপবিত্রতা লেগে না যায়। লাগার আশংকা থাকলে যাওয়া ঠিক হবে না। হাদীসে এসেছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশাহ (রাঃ)-কে বলেন, ‘আমাকে মাসজিদ থেকে মাদুরটি এনে দাও।’ তখন তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো হায়িয অবস্থায় রয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘হায়িয তো তোমার হাতে লেগে নেই।’ (সহীহ মুসলিম, তিরমিযী ও অন্যান্য) মায়মূনাহ (রাঃ) বলেনঃ ‘‘... আমাদের কেউ তার হায়িয অবস্থায়ই মসজিদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাদুর রেখে আসতো।’’ (নাসায়ী, আহমাদ)
(৩) অধিকাংশ ‘আলিমের মতে, জুনুবী ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্তা নারীর মসজিদে অবস্থান করা নিষেধ। সহীহুল বুখারী ও মুসলিমে আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণিত উক্ত অবস্থায় বায়তুল্লাহ তাওয়াফ নিষেধ সম্বলিত হাদীসও এটি প্রমাণ করে। তবে অপবিত্র অবস্থায় উযু বা তায়াম্মুম করার পর মসজিদে অবস্থান সম্পর্কে আলিমগণ নিম্নোক্ত মত পেশ করেছেনঃ একদল ‘আলিমের মতে, (সালাতের উদ্দেশ্য ছাড়া) অপবিত্র অবস্থায় উযু বা তায়াম্মুম করেও মসজিদে অবস্থান করা নিষেধ। কিন্তু, দাঊদ, মুযানী ও অন্যরা একে সাধারণভাবেই জায়িয বলেছেন। ইমাম আবূ হানিফা, ইমাম শাফিঈ ও ইমাম মালিকের মতে, অপবিত্রত ব্যক্তির মসজিদে অবস্থান নিষিদ্ধ, যে পর্যন্ত সে গোসল না করবে বা যদি পানি না পায় কিংবা পানি পায় কিন্তু তা ব্যবহারের ক্ষমতা না থাকে তবে সে তায়াম্মুম করে নেবে (তারপর অবস্থান করবে)। ইমাম আহমাদের মতে, অপবিত্র ব্যক্তির উযু করে মসজিদে অবস্থান জায়িয। অপবিত্র ব্যক্তি যখন (পানি না পেয়ে বা পানি ব্যবহারের অক্ষমতার কারণে তায়াম্মুম করে) সালাত আদায় করে নিবে তখন তার জন্য মসজিদে অবস্থান বৈধ। তবে হায়িযা মহিলারা অবস্থান করতে পারবে না।
(৪) মূলতঃ সালাতের স্থান মসজিদে এমন অবস্থায় আসা অনুচতি যা সে স্থানের শ্রেষ্ঠত্ব ও পবিত্রতার পরিপন্থি। তাই কিছু করার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি স্মরণ রেখেই করা উচিত।
باب فِي الْجُنُبِ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَفْلَتُ بْنُ خَلِيفَةَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي جَسْرَةُ بِنْتُ دِجَاجَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، رضى الله عنها تَقُولُ جَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَوُجُوهُ بُيُوتِ أَصْحَابِهِ شَارِعَةٌ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ " وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ " . ثُمَّ دَخَلَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَلَمْ يَصْنَعِ الْقَوْمُ شَيْئًا رَجَاءَ أَنْ تَنْزِلَ فِيهِمْ رُخْصَةٌ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ بَعْدُ فَقَالَ " وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ فَإِنِّي لَا أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلَا جُنُبٍ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ فُلَيْتٌ الْعَامِرِيُّ .
- ضعيف : ضعيف الجامع الصغير ٦١١٧، الإرواء ١٩٣
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Messenger of Allah (ﷺ) came and saw that the doors of the houses of his Companions were facing the mosque. He said: Turn the direction of the houses from the mosque. The Prophet (ﷺ) then entered (the houses or the mosque), and the people did take any step in this regard hoping that some concession might be revealed. He the Prophet) again came upon them and said: Turn the direction of these (doors) from the mosque I do not make the mosque lawful for a menstruating woman and for a person who is sexually defiled.
Abu Dawud said: Aflat b. Khalifah is also called Fulait al-'Amiri.
পরিচ্ছেদঃ ৯১. কারো কোনো জিনিস নষ্ট করলে তার অনুরূপ ক্ষতিপূরণ দিবে
৩৫৬৮। জাসরাহ বিনতু দাজাজাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, সাফিয়্যাহর মতো সুস্বাদু খাবার রান্না করতে কাউকে আমি দেখিনি। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য খাবার তৈরী করে পাঠালেন। এতে রাগান্বিত হয়ে আমি খাবারের পাত্রটি ভেঙ্গে ফেলি। অতঃপর আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কৃতকর্মের কাফফারাহ কি? তিনি বলেনঃ অনুরূপ একটি পাত্র ও খাবারের বিনিময়ে অনুরূপ খাবার।[1]
بَابٌ فِيمَنْ أَفْسَدَ شَيْئًا يَغْرَمُ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي فُلَيْتٌ الْعَامِرِيُّ، عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دَجَاجَةَ، قَالَتْ: قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: مَا رَأَيْتُ صَانِعًا طَعَامًا مِثْلَ صَفِيَّةَ، صَنَعَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَعَامًا فَبَعَثَتْ بِهِ، فَأَخَذَنِي أَفْكَلٌ، فَكَسَرْتُ الْإِنَاءَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كَفَّارَةُ مَا صَنَعْتُ؟ قَالَ: إِنَاءٌ مِثْلُ إِنَاءٍ وَطَعَامٌ مِثْلُ طَعَامٍ
ضعيف، النساني (٣٩٥٧)
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
I saw no one cooking food like Safiyyah. She cooked food for the Messenger of Allah (ﷺ) and sent it. I became angry and broke the vessel. I then asked: Messenger of Allah, what is the atonement for what I have done? He replied: A vessel like (this) vessel and food like (this) food.