পরিচ্ছেদঃ ১৩. ফিতনাকালে (দাঙ্গা ও দুর্যোগ অবস্থায়) মুসলিমদের জামা'আত আঁকড়ে থাকা অপরিহার্য। আনুগত্য প্রত্যাখ্যান করা ও দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নিষিদ্ধ
৪৬৩১। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... আবূ ইদরীস খাওলানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, লোকজন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কল্যাণের বিষয়ে প্রশ্ন করতো আর আমি তাঁর নিকট প্রশ্ন করতাম অকল্যাণ সম্পর্কে এই ভয়ে পাছে না তা আমাকে পেয়ে বসে। তাই আমি একদা প্রশ্ন করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা ছিলাম অজ্ঞতা ও অমঙ্গলের মধ্যে। তারপর আল্লাহ আমাদের জন্য এই কল্যাণ প্রদান করলেন। এ মঙ্গলের পরও কি কোন অমঙ্গল আছে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তারপর আমি বললাম, ঐ অমঙ্গলের পর কি আবার মঙ্গল আছে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে তাতে কলুষ আছে। আমি বললাম, কি সে কলুষ? তিনি বললেনঃ তখন এমন একদললোকের উদ্ভব হবে যারা আমার প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করবে, আমার প্রদর্শিত হেদায়েতের পথ ছেড়ে অন্যত্র হেদায়েত ও পথের দিশা খুজবে। তাদের মধ্যে ভাল মন্দ উভয়টাই তুমি দেখবে।
তখন আমি বললাম, এ মঙ্গলের পর কি কোন মঙ্গল আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, জাহান্নামের দরজার দিকে আহবানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে তাদেরকে তারা তাতে নিক্ষেপ করবে। আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাদের পরিচয় ব্যক্ত করুন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদের বর্ণ (বা ধরন-ধারণ) হবে আমাদের মতো এবং তারা আমাদেরই ভাষায় কথা বলবে। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমরা সে পরিস্থিতির সম্মুর্খীন হই তবে আমাদেরকে আপনি কি করতে বলেন? তিনি বললেন, তোমরা মুসলিমদের জামা’আত ও তাদের ইমামকে আকড়ে থাকবে। আমি বললাম, যদি তাদের কোন জামায়াত বা ইমাম না থাকে? তিনি বললেনঃ তা হলে সে সব ফের্কা থেকে তুমি আলাদা থাকবে-যদিও তুমি একটি গাছের গোড়া দাঁত দিয়ে আচঁড়ে থাক এবং এ অবস্হায়ই মৃত্যু তোমার লাগাল পায়।
باب الأَمْرِ بِلُزُومِ الْجَمَاعَةِ عِنْدَ ظُهُورِ الْفِتَنِ وَتَحْذِيرِ الدُّعَاةِ إِلَى الْكُفْرِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ، جَابِرٍ حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، يَقُولُ كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ فَجَاءَنَا اللَّهُ بِهَذَا الْخَيْرِ فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ " نَعَمْ " فَقُلْتُ هَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ قَالَ " نَعَمْ وَفِيهِ دَخَنٌ " . قُلْتُ وَمَا دَخَنُهُ قَالَ " قَوْمٌ يَسْتَنُّونَ بِغَيْرِ سُنَّتِي وَيَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ " . فَقُلْتُ هَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ " نَعَمْ دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا . قَالَ " نَعَمْ قَوْمٌ مِنْ جِلْدَتِنَا وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَرَى إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ قَالَ " تَلْزَمُ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ " . فَقُلْتُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ " فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ عَلَى أَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ " .
It has been narrated on the authority of Hudhaifa b. al-Yaman who said:
People used to ask the Messenger of Allah (ﷺ) about the good times, but I used to ask him about bad times fearing lest they overtake me. I said: Messenger of Allah, we were in the midst of ignorance and evil, and then God brought us this good (time through Islam). Is there any bad time after this good one? He said: Yes. I asked: Will there be a good time again after that bad time? He said: Yes, but therein will be a hidden evil. I asked: What will be the evil hidden therein? He said: (That time will witness the rise of) the people who will adopt ways other than mine and seek guidance other than mine. You will know good points as well as bad points. I asked: Will there be a bad time after this good one? He said: Yes. (A time will come) when there will be people standing and inviting at the gates of Hell. Whoso responds to their call they will throw them into the fire. I said: Messenger of Allah, describe them for us. He said: All right. They will be a people having the same complexion as ours and speaking our language. I said: Messenger of Allah, what do you suggest if I happen to live in that time? He said: You should stick to the main body of the Muslims and their leader. I said: If they have no (such thing as the) main body and have no leader? He said: Separate yourself from all these factions, though you may have to eat the roots of trees (in a jungle) until death comes to you and you are in this state.
পরিচ্ছেদঃ ৫. এ উম্মতের পরস্পরে ধ্বংস করার বিবরণ
৬৯৯৮। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া তুজিবী (রহঃ) ... আবূ ইদরীস খাওলানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান (রাঃ) বলেন, আমার ও কিয়ামত সংঘটিত হবার সময়কালের মাঝে ঘটমান ফিতনা সম্পর্কে আমি সর্বাধিক জ্ঞাত। বস্তুত বিষয়টি এমন নয় যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যদের নিকট বর্ণনা না করে কেবল আমার নিকটই এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক মজলিসে আমি ছিলাম। এতে তিনি ফিতনা সম্পর্কে বর্ণনা করছিলেন এবং গুনে গুনে বর্ণনা করছিলেন। এগুলোর তিনটি এমন, যা কোন কিছুকেই অব্যাহতি দিবে না। এর কতেকটি গ্রীষ্মের (ঝাঞ্ঝা) বায়ুর ন্যায়। আবার কতেকটি ছোট এবং কয়েকটি বড়। হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, মজলিসে উপস্থিত লোকদের আমি ব্যতীত অন্য সকলেই এ পৃথিবী হতে চির বিদায় গ্রহণ করেছেন।
باب هَلاَكُ هَذِهِ الأُمَّةِ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، كَانَ يَقُولُ قَالَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِكُلِّ فِتْنَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ السَّاعَةِ وَمَا بِي إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسَرَّ إِلَىَّ فِي ذَلِكَ شَيْئًا لَمْ يُحَدِّثْهُ غَيْرِي وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَهُوَ يُحَدِّثُ مَجْلِسًا أَنَا فِيهِ عَنِ الْفِتَنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَعُدُّ الْفِتَنَ " مِنْهُنَّ ثَلاَثٌ لاَ يَكَدْنَ يَذَرْنَ شَيْئًا وَمِنْهُنَّ فِتَنٌ كَرِيَاحِ الصَّيْفِ مِنْهَا صِغَارٌ وَمِنْهَا كِبَارٌ " . قَالَ حُذَيْفَةُ فَذَهَبَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ كُلُّهُمْ غَيْرِي .
Hudhaifa b. al-Yaman reported:
By Allah, I have the best knowledge amongst people about every turmoil which is going to appear in the period intervening me and the Last Hour; and it is not for the fact that Allah's Messenger (ﷺ) told me something confidentially pertaining to it and he did not tell anybody else about it, but it is because of the fact that I was present in the assembly in which he had been describing the turmoil. and he especially made a mention of three turmoils which would not spare anything and amongst these there would be turmoils like storms in the hot season. Some of them would be violent and some of them would be comparatively mild. Hudhaifa said: All (who were present) except I have gone (to the next world).
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে কাতাদা (রহঃ)-এর বর্ণনাগত পার্থক্য
৫১৯০. আহমদ ইবন আমর ইবন সারহ (রহঃ) ... আবু ইদরিস খাওলানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের একজন সোনার আংটি পরলেন—তারপর পূর্বের অনুরূপ।
حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَالِاخْتِلَافُ عَلَى قَتَادَةَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ أَنَّ رَجُلًا مِمَّنْ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبِسَ خَاتِمًا مِنْ ذَهَبٍ نَحْوَهُ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ وَحَدِيثُ يُونُسَ أَوْلَى بِالصَّوَابِ مِنْ حَدِيثِ النُّعْمَانِ
Abu Idris Al-Khawlani narrated that:
A man, among those who met the Prophet [SAW], wore a gold ring. A similar report.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে কাতাদা (রহঃ)-এর বর্ণনাগত পার্থক্য
৫১৯১. আহমাদ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ ইদরীস খাওলানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তারপর পূর্বের অনুরূপ।
حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَالِاخْتِلَافُ عَلَى قَتَادَةَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ الدِّمَشْقِيُّ أَبُو عَبْدِ الْمَلِكِ قِرَاءَةً قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَائِذٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلَى رَجُلٍ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ نَحْوَهُ
It was narrated from Abu Idris Al-Khawlani that:
The Messenger of Allah [SAW] saw a man wearing a gold ring. A similar report.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে কাতাদা (রহঃ)-এর বর্ণনাগত পার্থক্য
৫১৯২. আবু বকর ইবন আলী (রহঃ) ... আবূ ইদরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখে তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে তার আঙ্গুলে আঘাত করলেন। ফলে সে তা খুলে ফেলে দিল।
حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَالِاخْتِلَافُ عَلَى قَتَادَةَ
أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الْعُمَرِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي يَدِ رَجُلٍ خَاتَمَ ذَهَبٍ فَضَرَبَ إِصْبَعَهُ بِقَضِيبٍ كَانَ مَعَهُ حَتَّى رَمَى بِهِ
It was narrated from Abu Idris that :
The Prophet [SAW] saw a gold ring on a man's hand and he struck his finger with a stick that he had with him, until he threw it away.
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. মু'আবিয়াহ ইবনু আবী সুফইয়ান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৮৪৩। আবূ ইদরীস আল-খাওলানী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, “উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) যখন উমাইর ইবনু সা’দ (রাযিঃ)-কে পদচ্যুত করে সে পদে মু’আবিয়াহ (রাযিঃ)-কে হিমসের গভর্নর নিযুক্ত করলেন তখন লোকেরা বলল, তিনি উমাইরকে পদচ্যুত করে সেই পদে মু’আবিয়াহকে শাসক নিযুক্ত করেছেন। উমাইর (রাযিঃ) বলেন, তোমরা মু’আবিয়াহকে ভালভাবে স্মরণ কর। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছিঃ হে আল্লাহ! তুমি তার মাধ্যমে (লোকদের) পথ দেখাও।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব। আমর ইবনু ওয়াকিদকে দুর্বল মনে করা হয়।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ حَلْبَسٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، قَالَ لَمَّا عَزَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عُمَيْرَ بْنَ سَعِيدٍ عَنْ حِمْصَ، وَلَّى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ النَّاسُ عَزَلَ عُمَيْرًا وَوَلَّى مُعَاوِيَةَ . فَقَالَ عُمَيْرٌ لاَ تَذْكُرُوا مُعَاوِيَةَ إِلاَّ بِخَيْرٍ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اللَّهُمَّ اهْدِ بِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَعَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ يُضَعَّفُ .
Narrated Abu Idris Al-Khawlani:
"When 'Umar bin Al-Khattab removed 'Umair bin Sa'd as governor of Hims, he appointed Mu'awiyah. The people said: 'He has removed 'Umair and appointed Mu'awiyah.' So 'Umair said: 'Do not mentioned Mu'awiyah except with good, for indeed, I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: "O Allah guide (others) by him."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. অশান্তির যুগে মুসলিমদের জামা’আত আঁকড়ে থাকা অত্যাবশ্যক এবং কুফরের দিকে আহ্বানকারীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার নির্দেশ
৪৬৭৮-(৫১/১৮৪৭) মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ..... আবূ ইদরীস খাওলানী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযাইফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, লোকজন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কল্যাণের বিষয়ে প্রশ্ন করতো আর আমি তার নিকট প্রশ্ন করতাম অকল্যাণ সম্পর্কে এ ভয়ে যে, পরে না তা আমাকে পেয়ে বসে। তাই আমি (কোন এক সময়) প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা ছিলাম অজ্ঞতা ও অমঙ্গলের মধ্যে। তারপর আল্লাহ আমাদের জন্য এ কল্যাণ প্রদান করলেন। এ কল্যাণের পরও কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর আমি বললাম, ঐ অকল্যাণের পর কি আবার কল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে তাতে ধুম্ৰতা আছে। আমি বললাম, কী সে ধুম্ৰতা? তিনি বললেন, তখন এমন একদল লোকের উদ্ভব হবে যারা আমার প্রবর্তিত পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করবে, আমার প্রদর্শিত হিদায়াতের পথ ছেড়ে অন্যত্র হিদায়াত তুমি খুঁজবে। দেখবে তাদের মধ্যে ভাল মন্দ উভয়টাই।
তখন আমি আরয করলাম, এ কল্যাণের পর কি কোন অকল্যাণ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, জাহান্নামের দরজার দিকে আহ্বানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে তারা তাদেরকে তাতে নিক্ষেপ করবে। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাদের পরিচয় ব্যক্ত করুন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের বর্ণ হবে আমাদেরই মতো এবং তারা আমাদেরই ভাষায় কথা বলবে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! যদি আমরা সে পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তবে আমাদেরকে আপনি কী করতে বলেন? তিনি বললেন, তোমরা মুসলিমদের জামাআত ও ইমামের সাথে আঁকড়ে থাকবে। আমি বললাম, যদি তাদের কোন জামা’আত বা ইমাম না থাকে? তিনি বললেন, তা হলে সে সব বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে তুমি আলাদা থাকবে- যদিও তুমি একটি বৃক্ষমূল দাত দিয়ে আঁকড়ে থাক এবং এ অবস্থায়ই মৃত্যু তোমার নাগাল পায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৬৩১, ইসলামিক সেন্টার ৪৬৩৩)
باب الأَمْرِ بِلُزُومِ الْجَمَاعَةِ عِنْدَ ظُهُورِ الْفِتَنِ وَتَحْذِيرِ الدُّعَاةِ إِلَى الْكُفْرِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ، جَابِرٍ حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، يَقُولُ كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ فَجَاءَنَا اللَّهُ بِهَذَا الْخَيْرِ فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ " نَعَمْ " فَقُلْتُ هَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ قَالَ " نَعَمْ وَفِيهِ دَخَنٌ " . قُلْتُ وَمَا دَخَنُهُ قَالَ " قَوْمٌ يَسْتَنُّونَ بِغَيْرِ سُنَّتِي وَيَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ " . فَقُلْتُ هَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ " نَعَمْ دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا . قَالَ " نَعَمْ قَوْمٌ مِنْ جِلْدَتِنَا وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَرَى إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ قَالَ " تَلْزَمُ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ " . فَقُلْتُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ " فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ عَلَى أَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ " .
It has been narrated on the authority of Hudhaifa b. al-Yaman who said:
People used to ask the Messenger of Allah (ﷺ) about the good times, but I used to ask him about bad times fearing lest they overtake me. I said: Messenger of Allah, we were in the midst of ignorance and evil, and then God brought us this good (time through Islam). Is there any bad time after this good one? He said: Yes. I asked: Will there be a good time again after that bad time? He said: Yes, but therein will be a hidden evil. I asked: What will be the evil hidden therein? He said: (That time will witness the rise of) the people who will adopt ways other than mine and seek guidance other than mine. You will know good points as well as bad points. I asked: Will there be a bad time after this good one? He said: Yes. (A time will come) when there will be people standing and inviting at the gates of Hell. Whoso responds to their call they will throw them into the fire. I said: Messenger of Allah, describe them for us. He said: All right. They will be a people having the same complexion as ours and speaking our language. I said: Messenger of Allah, what do you suggest if I happen to live in that time? He said: You should stick to the main body of the Muslims and their leader. I said: If they have no (such thing as the) main body and have no leader? He said: Separate yourself from all these factions, though you may have to eat the roots of trees (in a jungle) until death comes to you and you are in this state.
পরিচ্ছেদঃ ৬. কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংবাদ প্রদান
৭১৫৪-(২২/২৮৯১) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া আত তুজীবী (রহঃ) ..... আবু ইদরীস খাওলানী (রহঃ) বলতেন, হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান (রাযিঃ) বলেন, আমার ও কিয়ামতের মধ্যবর্তী সময়ের মাঝে ঘটমান বিপদাপদ সম্পর্কে আমি সর্বাধিক জ্ঞাত। বস্তুতঃ বিষয়টি এমন নয় যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যদের কাছে বর্ণনা না করে শুধুমাত্র আমার কাছেই এ ব্যাপারটি বর্ণনা করেছেন। তবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম। এতে তিনি ফিতনার ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করছিলেন। আর এগুলোর তিনটি এমন, যা কোন কিছুকেই ছাড় দিবে না। এর কিছু সংখ্যক গ্রীষ্মের ঝঞা বায়ুর মতো। আবার কিছু সংখ্যক ছোট এবং কিছু সংখ্যক বড়। হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, উক্ত মাজলিসে উপস্থিত লোকেদের মধ্যে আমি ছাড়া প্রত্যেকেই এ দুনিয়া হতে চির বিদায় নিয়েছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৯৯৮, ইসলামিক সেন্টার ৭০৫৫)
باب إِخْبَارِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَكُونُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، كَانَ يَقُولُ قَالَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِكُلِّ فِتْنَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ السَّاعَةِ وَمَا بِي إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسَرَّ إِلَىَّ فِي ذَلِكَ شَيْئًا لَمْ يُحَدِّثْهُ غَيْرِي وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَهُوَ يُحَدِّثُ مَجْلِسًا أَنَا فِيهِ عَنِ الْفِتَنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَعُدُّ الْفِتَنَ " مِنْهُنَّ ثَلاَثٌ لاَ يَكَدْنَ يَذَرْنَ شَيْئًا وَمِنْهُنَّ فِتَنٌ كَرِيَاحِ الصَّيْفِ مِنْهَا صِغَارٌ وَمِنْهَا كِبَارٌ " . قَالَ حُذَيْفَةُ فَذَهَبَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ كُلُّهُمْ غَيْرِي .
Hudhaifa b. al-Yaman reported:
By Allah, I have the best knowledge amongst people about every turmoil which is going to appear in the period intervening me and the Last Hour; and it is not for the fact that Allah's Messenger (ﷺ) told me something confidentially pertaining to it and he did not tell anybody else about it, but it is because of the fact that I was present in the assembly in which he had been describing the turmoil. and he especially made a mention of three turmoils which would not spare anything and amongst these there would be turmoils like storms in the hot season. Some of them would be violent and some of them would be comparatively mild. Hudhaifa said: All (who were present) except I have gone (to the next world).
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
(৩৫৭৩) আবূ ইদরীস খাওলানী (রঃ) বলেন, আমি দিমাশ্কের মসজিদে প্রবেশ ক’রে এক যুবককে দেখতে পেলাম, তাঁর সামনের দাঁতগুলি খুবই চকচকে এবং তাঁর সঙ্গে কিছু লোকও (বসে) রয়েছে। যখন তারা কোন বিষয়ে মতভেদ করছে, তখন (সিদ্ধান্তের জন্য) তাঁর দিকে রুজু করছে এবং তাঁর মত গ্রহণ করছে। সুতরাং আমি তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (যে, ইনি কে)? (আমাকে) বলা হল যে, ’ইনি মুআয বিন জাবাল।’ অতঃপর আগামী কাল আমি আগেভাগেই মসজিদে গেলাম। কিন্তু দেখলাম সেই (যুবকটি) আমার আগেই পৌঁছে গেছেন এবং তাঁকে নামাযরত অবস্থায় পেলাম। সুতরাং তাঁর নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর আমি তাঁর সামনে এসে তাঁকে সালাম দিলাম।
তারপর বললাম, ’আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি।’ তিনি বললেন, ’আল্লাহর কসম?’ আমি বললাম, ’আল্লাহর কসম।’ পুনরায় তিনি বললেন, ’আল্লাহর কসম?’ আমি বললাম, ’আল্লাহর কসম।’ অতঃপর তিনি আমার চাদরের আঁচল ধরে আমাকে তাঁর দিকে টানলেন, তারপর বললেন, ’সুসংবাদ নাও।’ কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য যারা পরস্পরের মধ্যে মহববত রাখে, একে অপরের সঙ্গে বসে, একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং একে অপরের জন্য খরচ করে, তাদের জন্য আমার মহববত ও ভালবাসা ওয়াজেব হয়ে যায়।
وَعَنْ أَبِـيْ إِدرِيْسَ الْـخَوْلَانِـيْ رَحِمَهُ اللهُ قَالَ :دخَلْتُ مَسْجِدَ دِمَشْقَ فَإذَا فَتَىً بَرَّاقُ الثَّنَايَا وَإِذَا النَّاسُ مَعَهُ فَإِذَا اخْتَلَفُوا في شَيْءٍ أَسْنَدُوهُ إِلَيْه وَصَدَرُوا عَنْ رَأيِهِ فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقِيلَ : هٰذَا مُعَاذُ بْنُ جَبَل فَلَمَّا كَانَ مِنَ الغَدِ هَجَّرْتُ فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي بالتَّهْجِيرِ ووَجَدْتُهُ يُصَلِّي، فانْتَظَرتُهُ حَتّٰـى قَضَى صَلاتَهُ ثُمَّ جِئْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيهِ ثُمَّ قُلْتُ : وَاللهِ إنّي لأَحِبُّكَ لِلهِ فَقَالَ : آلله ؟ فَقُلْتُ : اللهِ فَقَالَ : آللهِ ؟ فَقُلْتُ : اللهِ فَأخَذَنِي بِحَبْوَةِ رِدَائِي فجبذني إِلَيْهِ، فَقَالَ : أبْشِر فإنِّي سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ قَالَ الله تَعَالٰـى : وَجَبَتْ مَحَبَّتي لِلْمُتَحَابِّينَ فِيَّ وَالمُتَجَالِسينَ فِيَّ وَالمُتَزَاوِرِينَ فِيَّ وَالمُتَبَاذِلِينَ فِيَّ حديث صحيح رواه مالك في الموطأ بإسناده الصحيح
পরিচ্ছেদঃ যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যের সাথে বসে, একে অন্যকে দেখতে যায়, তাদের জন্য আল্লাহর ভালবাসা অবধারিত হওয়ার বর্ণনা
৫৭৪. আবু ইদরীস আল খাওলানী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি দামেশকের মাসজিদে প্রবেশ করলাম। অতঃপর সেখানে একজন যুবককে দেখতে পেলাম, যাঁর দাঁতগুলো ছিল চকচকে। লোকজন তাঁর সাথে আছেন। যখন তারা কোন বিষয়ে মতানৈক্য করেন, তখন তারা বিষয়টিকে তাঁর দিকে ঠেলে দেন এবং তাঁর মত অনুসারে আমল করেন। আমি তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলা হলো যে, তিনি মু‘আয বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। এরপর পরের দিন আমি সকাল সকাল মাসজিদে আসলাম। গিয়ে আমি দেখলাম যে, তিনি আমার আগেই এসেছেন। আমি তাঁকে সালাতরত অবস্থায় দেখতে পেলাম।” তিনি বলেন: “আমি তাঁর সালাত সম্পন্ন করা পর্যন্ত তাঁর জন্য অপেক্ষা করলাম। অতঃপর আমি সামনের দিক দিয়ে তাঁর কাছে আসলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম এবং বললাম: “আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি।” তিনি বললেন: “আল্লাহর জন্য?” আমি বললাম: “আল্লাহর জন্য।” অতঃপর তিনি আমার চাদরের কিনারা ধরে আমাকে তাঁর দিকে টেনে নিলেন এবং বললেন: “শুভ সংবাদ গ্রহণ করুন। কেননা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেছেন: “আমার ভালবাসা তাদের জন্য অবধারিত হয়ে গেছে, যারা আমার জন্য পরস্পরকে ভালবাসে, যারা আমার জন্য একে অন্যের সাথে বসে এবং যারা আমার জন্য পরস্পরকে দেখতে যায়।”[1]
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ اسْمُهُ عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ كَانَ سَيِّدَ قُرَّاءِ أَهْلِ الشَّامِ فِي زَمَانِهِ وَهُوَ الَّذِي أَنْكَرَ عَلَى مُعَاوِيَةَ مُحَارَبَتَهُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ حِينَ قَالَ لَهُ: مَنْ أَنْتَ حَتَّى تُقَاتِلَ عَلِيًّا وَتُنَازِعُهُ الْخِلَافَةَ وَلَسْتَ أَنْتَ مِثْلَهُ لَسْتَ زَوْجَ فَاطِمَةَ وَلَا بِأَبِي الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَلَا بِابْنِ عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَشْفَقَ مُعَاوِيَةُ أَنْ يُفْسِدَ قُلُوبَ قُرَّاءِ الشَّامِ فقَالَ لَهُ: إِنَّمَا أَطْلُبُ دَمَ عُثْمَانَ قَالَ: فَلَيْسَ عَلِيٌّ قَاتِلَهُ قَالَ: لَكِنَّهُ يَمْنَعُ قَاتِلَهُ عَنْ أَنْ يُقتصَّ مِنْهُ قَالَ: اصْبِرْ حَتَّى آتِيَهُ فَأَسْتَخْبِرَهُ الْحَالَ فَأَتَى عَلِيًّا وَسَلَّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ لَهُ: مَنْ قَتَلَ عُثْمَانَ؟ قَالَ: اللَّهُ قَتَلَهُ وَأَنَا مَعَهُ ـ عَنَى: وَأَنَا مَعَهُ مَقْتُولٌ وَقِيلَ: أَرَادَ اللَّهُ قَتْلَهُ وَأَنَا حَارَبْتُهُ فَجَمَعَ جَمَاعَةَ قُرَّاءِ الشام وحثهم على القتال.
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আবু ইদরীস আল খাওলানীর নাম ‘আয়িযুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ, তিনি তৎকালীন সময়ে শামের কারীদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথে মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর যুদ্ধ করার প্রতিবাদ করেন। তিনি মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন: “আপনি এমন কোন ব্যক্তি যে, আপনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে যুদ্ধ করছেন এবং খিলাফতের জন্য তাঁর সাথে বাদানুবাদ করছেন, অথচ আপনি তাঁর মতো নন, আপনি তো ফাতিমার স্বামী নন, হাসান-হুসাইনের বাবা নন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চাচাত ভাইও নন?
তখন মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আশংকা করলেন যে, তিনি শামের কারীদের মন খারাপ করে দিবেন। ফলে তিনি তাকে বলেন: “আমি তো কেবল উসমান হত্যার বিচার চাচ্ছি।” তিনি বলেন: “আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তো উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যা করেননি।” মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “কিন্তু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হত্যাকারীদের থেকে কিসাস গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাঁধার সৃষ্টি করছেন।” তখন তিনি বলেন: “আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। আমি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে অবস্থার কথা জানাবো।” অতঃপর তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে যান এবং তাঁকে সালাম দিয়ে বলেন: “উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কে হত্যা করেছে?” জবাবে তিনি বলেন: “আল্লাহ তাঁকে হত্যা করেছেন আর আমিও তার সাথে।” এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন: “আর আমিও তাঁর সাথে মারা গিয়েছি।” এটাও বলা হয় যে, এর দ্বারা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর উদ্দেশ্য ছিল: “আল্লাহ তাঁকে হত্যা করার ইচ্ছা করেছেন আর আমি তাঁর সাথে (পক্ষে) যুদ্ধ করেছি (বাঁচানোর জন্য)। (কিন্তু আবু ইদরীস আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যের মর্ম বুঝতে পারেননি ফলে) তিনি শামের একদল কারীকে একত্রিত করেন এবং তিনি তাদেরকে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে যুদ্ধ করতে উৎসাহিত করেন।”
হাদীসটিকে আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মিশকাত: ৫০১১।)
ذِكْرُ إِيجَابِ مَحَبَّةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا لِلْمُتَجَالِسِينَ فِيهِ وَالْمُتَزَاوِرِينَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أحمد بن أبي بكر عن مالك عن أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْتُ مَسْجِدَ دِمَشْقَ فَإِذَا فَتًى برَّاق الثَّنَايَا وَإِذَا النَّاسُ مَعَهُ إِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَيْءٍ أَسْنَدُوهُ إِلَيْهِ وَصَدَرُوا عَنْ رَأْيِهِ فَسَأَلْتُ عَنْهُ فَقِيلَ: هَذَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ هجَّرت فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي بِالتَّهْجِيرِ وَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي قَالَ: فَانْتَظَرْتُهُ حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ ثُمَّ جِئْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَقُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّكَ لِلَّهِ فقَالَ: آللَّهُ؟ قُلْتُ: آللَّهُ فَأَخَذَ بِحَبْوَةِ رِدَائِي فَجَذَبَنِي إِلَيْهِ وَقَالَ: أَبْشِرْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يقول: (قال اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: وَجَبَتْ مَحَبَّتِي لِلْمُتَحَابِّينَ فيَّ والمتجالسين فيَّ والمتزاورين فيَّ.)
الراوي : أَبو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 574 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.