কায়স ইবন মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ১৭. আশুরা দিবসে সিয়াম পালন করা

২৫৩২। আহমদ ইবনুল মুনযির (রহঃ) ... কায়স (রহঃ) এর সুত্রে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বরের ইয়াহুদীরা আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করত। তারা এ দিনকে ঈদরূপে পালন করত এবং তারা তাদের মহিলাদেরকে অলংকার ও উত্তম পোশাকে সুসজ্জিত করত। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরাও এদিনে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন কর।

باب صَوْمِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ ‏‏

وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ، أَخْبَرَنِي قَيْسٌ، فَذَكَرَ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَزَادَ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ فَحَدَّثَنِي صَدَقَةُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي مُوسَى - رضى الله عنه - قَالَ كَانَ أَهْلُ خَيْبَرَ يَصُومُونَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ يَتَّخِذُونَهُ عِيدًا وَيُلْبِسُونَ نِسَاءَهُمْ فِيهِ حُلِيَّهُمْ وَشَارَتَهُمْ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ فَصُومُوهُ أَنْتُمْ ‏"‏ ‏.‏


Abu Musa reported that the people of Khaibar (most of them were Jews) observed fast on the day of 'Ashura and they treated it as 'Id and gave their women ornaments and beautiful dresses to wear. The Messenger of Allah (ﷺ) said: You (only) observe fast on this day.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায়স ইবন মুসলিম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন

৪১৪৪. আমর ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... কায়স ইবন মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসান ইবন মুহাম্মদকে (وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ) এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, এটি (অর্থাৎ বণ্টনে আল্লাহর উল্লেখ এই হিসেবে যে এটি) দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর কালামের চাবি (অর্থাৎ সূচনা) দুনিয়া ও আখিরাত তোমরা আল্লাহরই। তবে রাসূলের এবং রাসূলের নিকটাত্মীয়ের অংশের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইনতিকালের পরে মতভেদ দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অংশ তাঁর পরে খলীফার প্রাপ্য। কেউ কেউ বললেনঃ আত্মীয়দের অংশ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আত্মীয়দের প্রাপ্য। কেউ বললেন, আত্মীয়দের অংশ খলীফার আত্মীয়দের জন্য। অবশেষে সকলে এ কথায় একমত হলেন যে, এই অংশদ্বয় ঘোড়া এবং যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করার জন্য ব্যয় হওয়া উচিত। আবু বকর এবং উমর (রাঃ)-এর সময় এই দুই অংশ এভাবেই ব্যয় হতো।

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا مَحْبُوبٌ يَعْنِي ابْنَ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ هُوَ الْفَزَارِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ سَأَلْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ قَالَ هَذَا مَفَاتِحُ كَلَامِ اللَّهِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةُ لِلَّهِ قَالَ اخْتَلَفُوا فِي هَذَيْنِ السَّهْمَيْنِ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمِ الرَّسُولِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى فَقَالَ قَائِلٌ سَهْمُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِهِ وَقَالَ قَائِلٌ سَهْمُ ذِي الْقُرْبَى لِقَرَابَةِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ قَائِلٌ سَهْمُ ذِي الْقُرْبَى لِقَرَابَةِ الْخَلِيفَةِ فَاجْتَمَعَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ جَعَلُوا هَذَيْنِ السَّهْمَيْنِ فِي الْخَيْلِ وَالْعُدَّةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَكَانَا فِي ذَلِكَ خِلَافَةَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ


It was narrated that Qais bin Muslim said: " Iasked Al-Hasan bin Muhammad about the saying of Allah, the Might and Sublime: 'and know that whatever of spoils of war that you may gain, verily, one-fifth of it is assigned to Allah. He said: 'This is the key to the Speech of Allah. This world and the Hereafter belling to Allah. He said: 'They differed concerning these two shares after the death of the Messenger of Allah, the share of the Messenger and the share of the near relatives (of the Messenger of Allah). Some said that the share of the near relatives was for the relatives of the Messenger, and some said that the share of the near relatives was for the relatives of the Khalifah. Then they agreed that these two shares should be spent on horses and equipment in the cause of Allah, and they were allocated for this purpose during the Khalifah of Abu Bakr and' Umar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায়স ইবন মুসলিম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বাগান ও জমিনের বর্গা (পরস্পর সেচকার্য করা ও ভাগে কৃষিকাজ, বর্গাচাষ করা)

২৯৮০-[৯] কায়স ইবনু মুসলিম (রহঃ) ইমাম আবূ জা’ফার হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মদীনায় এমন কোনো মুহাজির পরিবার ছিল না যাঁরা জমিনে উৎপাদিত ফসলের এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশের বিনিময়ে বর্গার লেনদেন করেননি। এমনিভাবে বর্গার লেনদেন করেছেন ’আলী, সা’দ ইবনু মালিক, ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ, ’উমার ইবনু ’আব্দুুল আযীয, কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ, ’উরওয়াহ্ ইবনুয্ যুবায়র এবং আবূ বকর-এর পরিবার, ’উমার-এর পরিবার, ’আলী-এর পরিবার ও ইবনু সীরীন। ’আব্দুর রহমান ইবনু আস্ওয়াদ বলেন, আমি বর্গাচাষে ’আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ এর অংশীদার ছিলাম। ’উমার (রাঃ) লোকেদের সাথে বর্গার লেনদেন করেছেন এরূপে- যদি ’উমার নিজ হতে বীজ দিতেন, তবে তিনি অর্ধেক অংশ পেতেন। আর যদি তারা (কৃষকেরা) বীজ দেয়, তারা এমন এমন অংশ পাবে। (বুখারী)[1]

عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ قَالَ: مَا بِالْمَدِينَةِ أَهْلُ بَيْتِ هِجْرَةٍ إِلَّا يَزْرَعُونَ عَلَى الثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَزَارَعَ عَلِيٌّ وَسَعْدُ بْنُ مَالِكٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَعُمَرُ ابْن عبد الْعَزِيز وَالقَاسِم وَعُرْوَة وَآل أبي بَكْرٍ وَآلُ عُمَرَ وَآلُ عَلِيٍّ وَابْنُ سِيرِينَ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْأَسْوَدِ: كُنْتُ أُشَارِكُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ فِي الزَّرْعِ وَعَامَلَ عُمَرُ النَّاسَ عَلَى: إِنْ جَاءَ عُمَرُ بِالْبَذْرِ من عِنْده فَلهُ الشّطْر. وَإِن جاؤوا بالبذر فَلهم كَذَا. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা : ইমাম বুখারী তাঁর জামি‘ আস্ সহীহাহ্-তে (بَابٌ الْمُزَارَعَةِ بِالشَّطْرِ وَنَحْوِه) এ অধ্যায়ের অধীনে অত্র হাদীসটি নিয়ে এসেছেন, হাদীসটির অর্থ হলো তারা এক-তৃতীয়াংশের বিনিময়ে এবং এক-চতুর্থাংশের বিনিময়ে শস্য ক্ষেত্র চাষ করতেন। এ আসারটিকে ‘আব্দুর রাযযাক মাওসূল সূত্রে তথা সানাদ পরম্পরাভাবে বর্ণনা করেছেন। ইবনুত্ তীন বর্ণনা করেন, কাবিসী একে অস্বীকার করেছেন। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, অধ্যায়- ৮ : অর্ধেক বা অনুরূপ কিছুর বিনিময়ে বর্গাচাষ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায়স ইবন মুসলিম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে