পরিচ্ছেদঃ ২৫৪: গীবত (পরনিন্দা) নিষিদ্ধ এবং বাক্ সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
৬/১৫২৪। আবূ আব্দুর রহমান বিলাল ইবনে হারেস মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মানুষ আল্লাহ তা’আলার সন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। পক্ষান্তরে মানুষ আল্লাহ তা’আলার অসন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।” (মুআত্তা মালেক, তিরমিযী, হাসান সহীহ) [1]
(254) بَابُ تَحْرِيْمِ الْغِيْبَةِ وَالْأَمْرِ بِحِفْظِ اللِّسَانِ
وَعَنْ أَبي عَبدِ الرَّحْمَانِ بِلاَلِ بنِ الحَارِثِ المُزَنِيِّ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللهِ تَعَالَى مَا كَانَ يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ يَكْتُبُ اللهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَومِ يَلْقَاهُ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ مَا كَانَ يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ يَكْتُبُ الله لَهُ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ». رواه مالك في المُوَطَّأ، والترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح
(254) Chapter: The Prohibition of Backbiting and the Commandment of Guarding one's Tongue
Abu 'Abdur-Rahman Bilal bin Al-Harith Al-Muzani (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "A man speaks a good word without knowing its worth, Allah records for him His Good Pleasure till the day he will meet Him; and a man utters an evil word without realizing its importance, Allah records for him His displeasure till the day he will meet Him."
[Imam Malik and At-Tirmidhi].
Commentary: This Hadith tells us a fact which can be observed in our everyday life. Sometimes a person utters a good sentence which pleases an individual and he reforms himself or holds himself from doing something wrong. Such a sentence or utterance is highly rewarded by Allah. Similarly, sometime a person utters a mischievous sentence, the ruinous effects of which he does not realize. This utterance hurts someone's feelings and leads him to sin and evil. Almighty Allah is displeased with such a person. The lesson that this Hadith has for us is that one should strictly guard his speech and weigh his words to avoid Allah's Wrath.
পরিচ্ছেদঃ ১/২২. পায়খানা-পেশাব করতে দূরে যাওয়া।
৬/৩৩৬। বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরে চলে যেতেন।
بَاب التَّبَاعُدِ لِلْبَرَازِ فِي الْفَضَاءِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَثِيرِ بْنِ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ الْمُزَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ أَبْعَدَ .
It was narrated from Bilal bin Al-Harith Al-Muzani that:
When the Messenger of Allah wanted to relieve himself, he would go far away.
পরিচ্ছেদঃ কম কথা বলা।
২৩২২. হান্নাদ (রহঃ) ...... বিলাল ইবন হারিছ মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ কখনো আল্লাহর সন্তুষ্টির এমন কোন কথা বলে থাকে যার সম্পর্কে সে ধারণাও করে না যে কোথায় গিয়ে তা পৌঁছবে অথচ এর কারণে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের দিন (কিয়ামত) পর্যন্ত সময়ের জন্য ঐ ব্যক্তির পক্ষে তার সন্তুষ্টি লিপিবদ্ধ করে দেন। আবার তোমাদের কেউ আল্লাহর অসন্তুষ্টিজনক এমন কোন কথা বলে ফেলে যার সম্পর্কে সে ধারণাও করতে পারে না যে এর পরিণাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে অথচ এর কারণে আল্লাহ তাআলা কিয়ামত পর্যন্ত অসন্তুষ্টি লিখে দেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৬৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উম্মু হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। মুহাম্মদ ইবন আমর (রহঃ)-এর বরাতে একাধিক রাবী অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তারা এর সনদে মুহাম্মদ ইবন আমর-তৎপিতা-তৎপিতামহ-বিলাল ইবনুল হারিছ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রের কথা বলেছেন। মালিক ইবন আনাস হাদীসটি মুহাম্মদ ইবন আমর-তৎপিতা-বিলাল ইবন হারিছ (রাঃ) সূত্রের উল্লেখ করেছেন। এতে তিনি ’’তৎ পিতামহ’’ কথাটির উল্লেখ করেন নি।
باب فِي قِلَّةِ الْكَلاَمِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ سَمِعْتُ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ، صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو نَحْوَ هَذَا قَالُوا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ . وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِيهِ عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ جَدِّهِ .
Muhammed bin 'Amr narrated from his father, from his grandfather who said:
"I heard Bilal bin Al-Harith Al Muzani, the Companion of the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'I heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: "Indeed one of you says a statement pleasing to Allah, not realizing that you have achieved what you have achieved. Then for it, Allah writes for him His pleasure until the Day of Meeting Him. And one of you says a statement angering Allah, not realizing that you have achieved what you have achieved. Then for it, Allah writes for him His anger until the Day of Meeting with Him."
পরিচ্ছেদঃ ১২. স্বল্পভাষী হওয়া
২৩১৯। বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযানী (রাঃ) নামীয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কখনো আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে ধারণাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌছবে, অথচ আল্লাহ তা’আলা তার এ কথার কারণে তার সাথে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য স্বীয় সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কখনো আল্লাহ্ তা’আলার অসন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে চিন্তাও করে না যে, তা কোন পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে। অথচ এ কথার কারণে আল্লাহ তা’আলা তার সাথে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৬৯)।
আবূ ঈসা বলেন, উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু আমরের সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তারা মুহাম্মাদ ইবনু আমর-তার বাবা-তার দাদা-বিলাল ইবনুল হারিস (রাহঃ)-এর সূত্রের উল্লেখ করেছেন। এ হাদীসটি মালিক (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনু আমর-তার বাবা-বিলাল ইবনুল হারিস (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তার দাদার কথা তাতে উল্লেখ করেননি।
باب فِي قِلَّةِ الْكَلاَمِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ سَمِعْتُ بِلاَلَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ، صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو نَحْوَ هَذَا قَالُوا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ . وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِيهِ عَنْ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ جَدِّهِ .
Muhammed bin 'Amr narrated from his father, from his grandfather who said:
"I heard Bilal bin Al-Harith Al Muzani, the Companion of the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'I heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: "Indeed one of you says a statement pleasing to Allah, not realizing that you have achieved what you have achieved. Then for it, Allah writes for him His pleasure until the Day of Meeting Him. And one of you says a statement angering Allah, not realizing that you have achieved what you have achieved. Then for it, Allah writes for him His anger until the Day of Meeting with Him."
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. উমরাহকে হজ্জের মধ্যে প্রবেশ করানো সম্পর্কে
১৮৯২. বিলাল ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! হজ্জের ইহরাম বাঁধার পর তা উমরায় পরিবর্তন করার সুযোগ কি কেবল আমাদের জন্য, নাকি তা আমাদের পরবর্তী লোকেরাও করতে পারবে? তিনি বলেন: “বরং তা বিশেষভাবে আমাদেরই জন্য।”[1]
তাখরীজ: আবূ দাউদ, মানাসিক১৮০৮; আহমাদ৩/৪৬৯; তাবারাণী, আল কাবীর ১/৩৭০নং১১৩৮; হাকিম৩/৫১৭; নাসাঈ, কুবরানং৩৭৯০; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৮/৩৫৭।
بَاب فِي فَسْخِ الْحَجِّ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ بِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَسْخُ الْحَجِّ لَنَا خَاصَّةً أَمْ لِمَنْ بَعْدَنَا قَالَ بَلْ لَنَا خَاصَّةً
পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩৩-[২২] বিলাল ইবনু হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ মুখ দিয়ে ভালো কথা বলে; কিন্তু সে এর মর্যাদা জানে না। আল্লাহ তা’আলা তার জন্য তাঁর সন্তুষ্টি লিপিবদ্ধ করেন, যাবৎ না সে আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করে। অপরদিকে মানুষ মুখ দিয়ে মন্দ কথা বলে; কিন্তু সে জানে না তার পরিণাম কী। আল্লাহ তা’আলা এ কারণে তার ওপর নিজের ক্রোধ ও অসন্তুষ্টি লিপিবদ্ধ করতে থাকেন, যতক্ষণ না সে আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করে। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
ইমাম মালিক, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ (রহিমাহুল্লাহ) অনুরূপ অর্থে বর্ণনা করেছেন।
وَعَن بلالِ
بن الحارثِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَعْلَمُ مَبْلَغَهَا يَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ. وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنَ الشَّرِّ مَا يَعْلَمُ مَبْلَغَهَا يَكْتُبُ اللَّهُ بِهَا عَلَيْهِ سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ» . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ
وَرَوَى مَالِكٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه نَحوه
ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা অনেকাংশে ৪৮১৩ নং হাদীসের ব্যাখ্যানুরূপ। মানুষ অনেক সময় মুখে এমন কথা উচ্চারণ করে যা খুবই কল্যাণকর কথা এবং আল্লাহর কাছে অতীব পছন্দনীয় বাক্য। কিন্তু সে জানে না আল্লাহ তার ঐ কথার কি মূল্য ও মর্যাদা। উচ্চারণকারী তাকে ক্ষীণ বা ছোট করেই দেখেছে, কিন্তু আল্লাহর নিকট ঐ কথার সাওয়াব তার জন্য দীর্ঘায়িত করে দেন এবং আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাত পর্যন্ত স্বীয় সন্তষ্টি তার জন্য অবধারিত করে নেন।
পক্ষান্তরে আল্লাহর অতীব অপছন্দনীয় এবং অসন্তুষ্টির কিছু কথা রয়েছে, যা তার বান্দা উচ্চারণ করে থাকে। উচ্চারণকারী সে নিজেও জানে না যে ঐ কথা আল্লাহর কত অপ্রিয় এবং অনিষ্টকর, ফলে কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্টির সিদ্ধান্ত লিখে নেন।
আল্লাহর সাথে সাক্ষাত পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি সন্তষ্টি লিখে নেন, এর অর্থ হলো আল্লাহ তা‘আলা তাকে নেক কাজের তাওফীক দান করেন, আর কল্যাণকর কাজে তিনি অগ্রণী হয়ে যান, ফলে তিনি জীবদ্দশায় প্রশংসনীয় জীবন পান এবং মৃত্যুর পর বারযাখী জীবনে কবরের ‘আযাব থেকে নিষ্কৃতি লাভ করে থাকেন। তার কবর হয়ে যায় প্রশস্ত এবং আরামদায়ক। তাকে বলা হয় তুমি নব দুলহার ন্যায় ঘুমাও, যাকে পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি ছাড়া কেউ জাগাতে সাহস করে না। কিয়ামতের দিন সে নেককার সৌভাগ্যশীলদের সাথে উঠবে ফলে আল্লাহ তাকে তার ছায়ায় আশ্রয় দান করবেন। এরপর তাকে চিরস্থায়ী নি‘আমাতের ঘর জান্নাতে স্থান দিবেন, অতঃপর মহান আল্লাহর দীদারে তাকে ধন্য করবেন। এর বিপরীতটাও অনুরূপ, অর্থাৎ খারাপ কথার খারাপ প্রতিদান সে পাবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩১৯)
পরিচ্ছেদঃ খনিজ সম্পদের যাকাত
৬২৬. বিলাল বিন হারিস থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবালিয়াহ অঞ্চলের খনিজ সম্পদের সাদাকা গ্ৰহণ করেছেন।[1]
আলবানী ইরওয়াউল গালীল (৮৩০) গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। তিনি উক্ত গ্রন্থে (৩/৩১) বলেন। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছার দিক থেকে সঠিক নয়। আলবানী সহীহ ইবনু খুযাইমাহ (২৩২৩) গ্রন্থেও একে দুর্বল বলেছেন।
وَعَنْ بِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ - رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَخَذَ مِنَ الْمَعَادِنِ الْقَبَلِيَّةِ الصَّدَقَةَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
-
ضعيف. رواه أبو داود (3061) مرسلا وبلفظ: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أقطع بلال بن الحارث المزني. معادن القبلية، وهي من ناحية الفرع، فتلك المعادن لا يؤخذ منها إلا الزكاة إلى اليوم
Bilal bin Al-Harith (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) took Zakah from the mines of Qabaliyah.
পরিচ্ছেদঃ আমরা যা বললাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
২৮১. বিলাল বিন হারিস আল মুযানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ দিবস পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের কেউ আল্লাহর অসন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ দিবস পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।”[1]
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৮৮৮।)
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي قَالَ: سَمِعْتُ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم: (إن أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يظنُّ أَنَّهَا تَبْلُغُ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ ليتكلَّم بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يظنُّ أَنَّهَا تَبْلُغُ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ بها سخطه إلى يوم يلقاه.)
الراوي : بِلَال بْن الْحَارِثِ الْمُزَنِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 281 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.