পরিচ্ছেদঃ ৩৩. সাপ মারা- সম্পর্কে।
৫১৬৭. ইয়াযীদ ইবন মাওহাব (রহঃ) ..... আবূ সাই’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর কাছে এসে বসি। এ সময় আমি তার চৌকির নীচে কিছুর আওয়াজ শুনতে পাই। আমি তাকিয়ে দেখি যে, একটা সাপ! তখন আমি দাঁড়ালে- আবূ সাঈদ (রাঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার কি হয়েছে? তখন আমি বলিঃ এখানে একটা সাপ। তিনি বলেনঃ তুমি কি করতে চাও? তখন আমি বলিঃ আমি তাকে মেরে ফেলবো। তখন তিনি তাঁর বাড়ীর একটা ঘরের দিকে ইশারা করে বলেনঃ এখানে আমার চাচাতো ভাই থাকতো।
খন্দকের যুদ্ধের সময় সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায়; কেননা, সে তখন নতুন বিয়ে করেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দেন এবং বলেনঃ তুমি তোমার হাতিয়ার নিয়ে যাও। সে ঘরে ফিরে তার স্ত্রীকে ঘরের দরজার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, তার প্রতি কলম দিয়ে ইশারা করে। তখন তার স্ত্রী বলেঃ তাড়াহুড়া করো না, এসে দেখ, কিসে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। তখন সে ঘরে ঢুকে একটা কুৎসিত সাপ দেখতে পায়। সে তাকে বল্লম দিয়ে হত্যা করে এবং বল্লামে তার দেহ ফুঁড়ে বাইরে নিয়ে আসে।
রাবী বলেনঃ আমি জানি না, এরপর কে আগে মারা গিয়েছিল- ব্যক্তিটি- না সাপটি! তখন তাঁর কাওমের লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলেঃ আপনি দু’আ করুন, যাতে আমাদের সাথী বেঁচে যায়। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা তার মাগফিরাতের জন্য দু’আ কর। এরপর তিনি বলেনঃ মদীনার একদল জিন ইসলাম গ্রহণ করেছে; তাই তোমরা যখন তাদের কাউকে দেখবে, তখন তাকে তিনবার ভীতি-প্রদর্শন করবে যে, ’আর বের হবে না, অন্যথায় মারা পড়বে।’ এরপর যদি সে বের হয়, তখন তাকে মেরে ফেলবে।
باب فِي قَتْلِ الْحَيَّاتِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ صَيْفِيٍّ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ أَبِي السَّائِبِ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ، عِنْدَهُ سَمِعْتُ تَحْتَ، سَرِيرِهِ تَحْرِيكَ شَىْءٍ فَنَظَرْتُ فَإِذَا حَيَّةٌ فَقُمْتُ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ مَا لَكَ فَقُلْتُ حَيَّةٌ هَا هُنَا . قَالَ فَتُرِيدُ مَاذَا قُلْتُ أَقْتُلُهَا . فَأَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي دَارِهِ تِلْقَاءَ بَيْتِهِ فَقَالَ إِنَّ ابْنَ عَمٍّ لِي كَانَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الأَحْزَابِ اسْتَأْذَنَ إِلَى أَهْلِهِ وَكَانَ حَدِيثَ عَهْدٍ بِعُرْسٍ فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ بِسِلاَحِهِ فَأَتَى دَارَهُ فَوَجَدَ امْرَأَتَهُ قَائِمَةً عَلَى بَابِ الْبَيْتِ فَأَشَارَ إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَقَالَتْ لاَ تَعْجَلْ حَتَّى تَنْظُرَ مَا أَخْرَجَنِي . فَدَخَلَ الْبَيْتَ فَإِذَا حَيَّةٌ مُنْكَرَةٌ فَطَعَنَهَا بِالرُّمْحِ ثُمَّ خَرَجَ بِهَا فِي الرُّمْحِ تَرْتَكِضُ قَالَ فَلاَ أَدْرِي أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الرَّجُلُ أَوِ الْحَيَّةُ فَأَتَى قَوْمُهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّ صَاحِبَنَا . فَقَالَ " اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ أَسْلَمُوا بِالْمَدِينَةِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ أَحَدًا مِنْهُمْ فَحَذِّرُوهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ إِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدُ أَنْ تَقْتُلُوهُ فَاقْتُلُوهُ بَعْدَ الثَّلاَثِ " .
Abu al-Sa’ib said I went to visit Abu Sa’ld al-Khudri, and while I was sitting I heard a movement under under his couch. When I looked and found a snake there, I got up. Abu Sa’ld said:
what is with you? I said : Here is a snake. He said : what do you want ? I said : I shall kill it. He then pointed to a room in his house in front of his room and said : My cousin (son of my uncle) was in this room. He asked his permission to go to his wife on the occasion of the battle of Troops (Ahzab), as he was recently married. The Messenger of Allah (May peace be upon him) gave him permission and ordered him to take his weapon with him. He came to his house and found his wife standing at the door of the house. When he pointed to her with the lance, she said; do not make haste till you see what has brought me out. He entered the house and found an ugly snake there. He pierced in the lance while it was quivering. He said : I do not know which of them died first, the man or the snake. His people then came to the Messenger of Allah (May peace be upon him) and said: supplicate Allah to restore our companion to life for us. He said : Ask forgiveness for your Companion. Then he said : In Medina a group of Jinn have embraced Islam, so when you see one of them, pronounce a waring to it three times and if it appears to you after that, kill it after three days.
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম
৪১১৮-[১৫] আবূ সায়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আবূ সা’ঈদ আল খুদরী -এর নিকট গেলাম। আমরা তার কাছে বসেছিলাম, এমন সময় হঠাৎ তাঁর খাটের নিচে কোন কিছুর নড়াচড়া শুনতে পাই। তাকিয়ে দেখলাম, ঐখানে একটি সাপ। আমি তৎক্ষণাৎ তাকে মারার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে গেলাম। সে সময় আবূ সা’ঈদ সালাত আদায় করছিলেন। তিনি আমাকে বসে থাকার জন্য ইঙ্গিত করলেন। আমি অমনি বসে পড়লাম। অতঃপর তিনি সালাত শেষ করে ঘরের একটি কক্ষের দিকে ইশারা করে বললেন, তুমি কি ঐ কক্ষটি দেখছ? আমি বললামঃ জ্বী হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ এ কক্ষে আমাদের বংশের এক যুবক থাকত। সে ছিল সদ্য বিবাহিত দম্পতি। তিনি আরো বলেন, উক্ত যুবকটিসহ আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে খন্দাকের যুদ্ধে শরীক হয়েছিলাম। যুবকটি দ্বিপ্রহরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে অনুমতি নিয়ে বাড়িতে চলে যেত। (প্রতিদিনের নিয়মমাফিক) একদিন সে তাঁর নিকট অনুমতি চাইল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি তোমার হাতিয়ারখানা সঙ্গে নিয়ে যাও। কেননা আমি বানী কুরায়যার পক্ষ হতে তোমার ওপর আক্রমণের আশঙ্কা করি।
সুতরাং লোকটি নিজের হাতিয়ার সমেত বাড়ির দিকে প্রত্যাবর্তন করল। সে এসে দেখতে পেল, তার স্ত্রী (ঘরের) উভয় দ্বারের মাঝখানে দণ্ডায়মান। তাকে এ অবস্থায় দেখে তার আত্মসম্ভ্রমে আঘাত লাগল। ফলে সে তৎক্ষণাৎ তার দিকে বর্শা ছুড়ার জন্য উদ্যত হলো। তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে সে (স্ত্রী) বলে উঠল, তুমি তোমার বর্শা গুটিয়ে নাও। ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখো, কিসে আমাকে বাহিরে আসতে বাধ্য করেছে। লোকটি গৃহে প্রবেশ করতেই দেখল, প্রকাণ্ড একটি সাপ বিছানার উপর জড়ো হয়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ সে বর্শা দ্বারা তাকে আক্রমণ করল এবং বর্শার ফলকে তাকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর ঘরের বাইরে এনে বর্শাটি মাটিতে গেড়ে রাখল। এ অবস্থায় সাপটি লাফিয়ে তার ওপর আক্রমণ করল। এরপর জানা যায়নি তাদের উভয়ের মধ্যে কে আগে মৃত্যুবরণ করেছে- সেই সাপ না যুবক।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা এসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ঘটনাটি জানালাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, (হে আল্লাহর রসূল!) আল্লাহর কাছে তার জন্য দু’আ করুন, যেন তিনি তাকে আমাদের জন্য জীবিত করে দেন। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করো। অতঃপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ সমস্ত গৃহে কিছু ’আওয়ামির (বসবাসকারী জীন) থাকে। অতএব যখনই তোমরা তাদেরকে ঘরের মধ্যে দেখতে পাও, তখনই তাদেরকে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তিনবার নির্দেশ দাও। এতে যদি চলে যায়, তবে উত্তম, অন্যথা তাদেরকে মেরে ফেলো। কেননা তা কাফির।
অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকেদেরকে সম্বোধন করে বললেনঃ যাও, তোমরা তোমাদের সাথিকে দাফন করো। অপর এক রিওয়ায়াতে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদীনায় বহু জীন আছে। তাদের অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করেছে। সুতরাং যদি তোমরা তাদের কোন একটিকে ঘরের মধ্যে দেখতে পাও, তখন তিনদিন যাবৎ ঘর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দাও। আর এরপরও যদি দেখতে পাও, তাকে বধ করে ফেলো। কেননা তা শয়তান।
(মুসলিম)[1]
بَابُ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ وَمَا يَحْرُمُ
وَعَن أبي السَّائِب قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَبَيْنَمَا نحنُ جلوسٌ إِذ سمعنَا تَحت سَرِيره فَنَظَرْنَا فَإِذَا فِيهِ حَيَّةٌ فَوَثَبْتُ لِأَقْتُلَهَا وَأَبُو سَعِيدٍ يُصَلِّي فَأَشَارَ إِلَيَّ أَنِ اجْلِسْ فَجَلَسْتُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي الدَّارِ فَقَالَ: أَتَرَى هَذَا البيتَ؟ فَقلت: نعم فَقَالَ: كَانَ فِيهِ فَتًى مِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ قَالَ: فَخَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْخَنْدَقِ فَكَانَ ذَلِكَ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنْصَافِ النَّهَارِ فَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنَهُ يَوْمًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذْ عَلَيْكَ سِلَاحَكَ فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ قُرَيْظَةَ» . فَأَخَذَ الرَّجُلُ سِلَاحَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَإِذَا امْرَأَتُهُ بَيْنَ الْبَابَيْنِ قَائِمَةٌ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ لِيَطْعَنَهَا بِهِ وَأَصَابَتْهُ غَيْرَةٌ فَقَالَتْ لَهُ: اكْفُفْ عَلَيْكَ رُمْحَكَ وَادْخُلِ الْبَيْتَ حَتَّى تَنْظُرَ مَا الَّذِي أَخْرَجَنِي فَدَخَلَ فَإِذَا بِحَيَّةٍ عَظِيمَةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَانْتَظَمَهَا بِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَرَكَزَهُ فِي الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ عَلَيْهِ فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا: الْحَيَّةُ أَمِ الْفَتَى؟ قَالَ: فَجِئْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ وَقُلْنَا: ادْعُ اللَّهَ يُحْيِيهِ لَنَا فَقَالَ: «اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ» ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ لِهَذِهِ الْبُيُوتِ عَوَامِرَ فَإِذَا رأيتُم مِنْهَا شَيْئا فحرِّجوا عَلَيْهَا ثَلَاثًا فإنْ ذَهَبَ وَإِلَّا فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّهُ كَافِرٌ» . وَقَالَ لَهُمْ: «اذْهَبُوا فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ» وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: «إِنَّ بالمدينةِ جِنَّاً قد أَسْلمُوا فَإِذا رأيتُم مِنْهُم شَيْئًا فَآذِنُوهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা তিনদিন ঘোষণা দাও, এরপর যদি আত্মপ্রকাশ করে তবে হত্যা করে ফেল। ‘উলামাগণ বলেছেন, যখন তিনদিন সতর্ক করার পরে না যাবে তখন মানতে হবে যে, তারা বাড়ীতে অবস্থানকারী জীন নয়। আর জীনদের মধ্য যারা ইসলাম কবুল করেছে তারাও নয়। বরং আত্মপ্রকাশকারী সাপটি শয়তান। সুতরাং সাপ হত্যা করতে আর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। মুসলিম জীন এবং বাড়ীতে অবস্থানকারী জীন যে সুবিধা পাবে উক্ত সাপের জন্য তা আর থাকবে না। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২২৩৬/১৩৯)
পরিচ্ছেদঃ ১৭৫. সাপ মারা সম্পর্কে
৫২৫৭। আবুস সায়িব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-এর নিকট আসলাম। আমি তার নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় আমি তার খাটের নীচে নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। চেয়ে দেখি একটা সাপ। আমি উঠে দাঁড়ালাম। আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, তোমর কি হলো? আমি বললাম, ওখানে সাপ। তিনি বললেন, তা তুমি কি করতে চাও? আমি বললাম, আমি এটিকে হত্যা করবো। তিনি তার ঘরের নিজ কক্ষ বরাবর অপর একটি কক্ষের দিকে ইশারা করে বললেন, আমার এক চাচাত ভাই এই কক্ষে বাস করতো।
আহযাবের যুদ্ধে দিন সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চাইল, সে ছিলো সদ্য বিবাহিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন এবং সঙ্গে তার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাবার নির্দেশ দিলেন। সে বাড়ি ফিরে এসে দেখলো, তার স্ত্রী ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে। সে বর্শা দ্বারা তার স্ত্রীকে ইশারা করলো আর স্ত্রী বললো, তুমি তাড়াহুড়া করো না, আগে দেখো কিসে আমাকে বের হতে বাধ্য করেছে।
সে ঘরে প্রবেশ করে দেখলো এক বীভৎস সাপ। সে সেটিকে বর্শাবিদ্ধ করলো। সাপটি তখনো তড়পাচ্ছিল। তিনি বললেন, আমার জানা নেই কার মৃত্যু আগে হয়েছে, লোকটির না সাপটির! তার গোত্রের লোকজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যাতে তিনি আমাদের সঙ্গীকে ফিরিয়ে দেন। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর বললেনঃ মদীনার একদল জিন ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাদের কাউকে যদি তোমরা দেখতে পাও তাহলে তিনবার তাকে সতর্ক করবে। তারপরও যদি তোমাদের সামনে তা আত্মপ্রকাশ না করে তাহলে তোমরা তাকে মারতে চাইলে তিনবার বলার পর মারতে পারো।[1]
হাসান সহীহ।
بَابٌ فِي قَتْلِ الْحَيَّاتِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ صَيْفِيٍّ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الْأَنْصَارِ عَنْ أَبِي السَّائِبِ، قَالَ: أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ عِنْدُهُ سَمِعْتُ تَحْتَ سَرِيرِهِ تَحْرِيكَ شَيْءٍ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا حَيَّةٌ، فَقُمْتُ، فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ: مَا لَكَ؟ قُلْتُ: حَيَّةٌ هَاهُنَا، قَالَ: فَتُرِيدُ مَاذَا؟ قُلْتُ: أَقْتُلُهَا، فَأَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي دَارِهِ تِلْقَاءَ بَيْتِهِ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنَ عَمٍّ لِي كَانَ فِي هَذَا الْبَيْتِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْأَحْزَابِ اسْتَأْذَنَ إِلَى أَهْلِهِ، وَكَانَ حَدِيثَ عَهْدٍ بِعُرْسٍ، فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ بِسِلَاحِهِ، فَأَتَى دَارَهُ فَوَجَدَ امْرَأَتَهُ قَائِمَةً عَلَى بَابِ الْبَيْتِ، فَأَشَارَ إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ، فَقَالَتْ: لَا تَعْجَلْ حَتَّى تَنْظُرَ مَا أَخْرَجَنِي، فَدَخَلَ الْبَيْتَ فَإِذَا حَيَّةٌ مُنْكَرَةٌ، فَطَعَنَهَا بِالرُّمْحِ ثُمَّ خَرَجَ بِهَا فِي الرُّمْحِ تَرْتَكِضُ، قَالَ: فَلَا أَدْرِي أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الرَّجُلُ أَوِ الْحَيَّةُ، فَأَتَى قَوْمُهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّ صَاحِبَنَا، فَقَالَ: اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ ثُمَّ قَالَ: إِنَّ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ أَسْلَمُوا بِالْمَدِينَةِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ أَحَدًا مِنْهُمْ فَحَذِّرُوهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ إِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدُ أَنْ تَقْتُلُوهُ فَاقْتُلُوهُ بَعْدَ الثَّلَاثِ
حسن صحيح
Abu al-Sa’ib said I went to visit Abu Sa’ld al-Khudri, and while I was sitting I heard a movement under under his couch. When I looked and found a snake there, I got up. Abu Sa’ld said:
what is with you? I said : Here is a snake. He said : what do you want ? I said : I shall kill it. He then pointed to a room in his house in front of his room and said : My cousin (son of my uncle) was in this room. He asked his permission to go to his wife on the occasion of the battle of Troops (Ahzab), as he was recently married. The Messenger of Allah (May peace be upon him) gave him permission and ordered him to take his weapon with him. He came to his house and found his wife standing at the door of the house. When he pointed to her with the lance, she said; do not make haste till you see what has brought me out. He entered the house and found an ugly snake there. He pierced in the lance while it was quivering. He said : I do not know which of them died first, the man or the snake. His people then came to the Messenger of Allah (May peace be upon him) and said: supplicate Allah to restore our companion to life for us. He said : Ask forgiveness for your Companion. Then he said : In Medina a group of Jinn have embraced Islam, so when you see one of them, pronounce a waring to it three times and if it appears to you after that, kill it after three days.
পরিচ্ছেদঃ ১৭৫. সাপ মারা সম্পর্কে
৫২৫৯। হিশাম ইবনু যাহবার আযাদকৃত গোলাম আবূ সায়িব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রহঃ)-এর নিকট গেলেন। অতঃপর অনুরূপ বরং এর চেয়ে পূর্ণাঙ্গ হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ তিনদিন পর্যন্ত একে সতর্ক করো। তারপরও যদি তোমরা দেখতে পাও, তাহলে সেটিকে হত্যা করো। কারণ সেটি হচ্ছে একটি শয়তান।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي قَتْلِ الْحَيَّاتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ صَيْفِيٍّ مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَأَتَمَّ مِنْهُ قَالَ: فَآذِنُوهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ، فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ
صحيح
The tradition mentioned above has also been transmitted by Abu Sa'id al-Khudri in a similar manner through a different chain of narrators. This version is more perfect. In this version he said :
give it a warning for three days; if it appears to you after that, then kill it, for it is only a devil.