কাসীর ইবনু কারাওয়ান্দা (রহ.) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ৪৩: এর (মুসাফিরের যুহর ও আসরের সালাতের) বিবরণ প্রসঙ্গে

৫৮৮. মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু বাযী (রহ.) ..... কাসীর ইবনু কারাওয়ান্দা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহ.)-কে তাঁর বাবার সফরের সালাত সম্পর্কে জানতে চাইলাম এবং তাঁকে প্রশ্ন করলাম, তিনি সফরে দু’ ওয়াক্তের সালাতকে একসাথে আদায় করতেন কি? তখন সালিম (রহ.) এ ঘটনা উল্লেখ করলেন যে, সফিয়্যাহ্ বিনতু আবূ উবায়দ (রাঃ) তাঁর (আবদুল্লাহর) স্ত্রী ছিলেন। সফিয়্যাহ্ অসুস্থ হয়ে ’আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট চিঠি লিখলেন। তখন ’আবদুল্লাহ (রাঃ) তার দূরের জমিনে চাষাবাদ করছিলেন। (সফিয়্যাহ) চিঠিতে লিখলেন যে, আমার মনে হয় আমি আমার দুনিয়ার জীবনের শেষদিন এবং পরকালের প্রথম দিনে উপনীত হয়েছি। সংবাদ পেয়েই তিনি অশ্বারোহণ করে দ্রুত গতিতে আসতে লাগলেন। যখন যুহরের সালাতের সময় হল মুয়াযযিন বলল, হে আবূ আবদুর রহমান! সালাত আদায় করুন। তিনি ভ্রুক্ষেপ না করে সম্মুখে অগ্রসর হতে লাগলেন। যখন দু’ সালাতের মধ্যবর্তী সময় উপনীত হলো, (অর্থাৎ যুহরের শেষ ওয়াক্ত ও আসরের প্রথম ওয়াক্ত) তখন ঘোড়া হতে নামলেন এবং বললেন, ইকামাত দাও। যখন আমি সালাত শেষ করি তখন আবার ইকামত দিবে, তারপর সালাত আদায় করে আবার ঘোড়ায় চড়লেন। আবার যখন সূর্যাস্ত হয়ে গেল মুয়াযযিন তাঁকে বললেন, সালাত আদায় করুন। তিনি বললেন, সেরূপ ’আমল কর যেরূপ যুহর ও ’আসরের সালাতে করেছিলে। আবার পথ চললেন। তারপর যখন সমুজ্জ্বল তারকা আকাশে উদ্ভাসিত হল তখন সওয়ারী হতে অবতরণ করে মুয়াযযিনকে বললেন, ইকামত বল, যখন সালাত শেষ করি তখন আবার ইকামত দিবে। এবার সালাত আদায় করে তাদের দিকে ফিরলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যখন তোমাদের কারো সামনে এমন কোন জটিল কাজ দেখা দিবে যা ছুটে যাওয়ার ভয় থাকবে তবে এভাবে দু’ ওয়াক্তের সালাত একসঙ্গে আদায় করে নিবে।

بيان ذلك

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ قَارَوَنْدَا، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ سَأَلْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ صَلَاةِ أَبِيهِ فِي السَّفَرِ وَسَأَلْنَاهُ:‏‏‏‏ هَلْ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ شَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ فِي سَفَرِهِ ؟ فَذَكَرَ أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ كَانَتْ تَحْتَهُ، ‏‏‏‏‏‏فَكَتَبَتْ إِلَيْهِ وَهُوَ فِي زَرَّاعَةٍ لَهُ:‏‏‏‏ أَنِّي فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الْآخِرَةِ فَرَكِبَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَسْرَعَ السَّيْرَ إِلَيْهَا حَتَّى إِذَا حَانَتْ صَلَاةُ الظُّهْرِ، ‏‏‏‏‏‏قال لَهُ الْمُؤَذِّنُ:‏‏‏‏ الصَّلَاةَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ‏‏‏‏‏‏فَلَمْ يَلْتَفِتْ حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ نَزَلَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ أَقِمْ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا سَلَّمْتُ فَأَقِمْ فَصَلَّى ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ، ‏‏‏‏‏‏قال لَهُ الْمُؤَذِّنُ:‏‏‏‏ الصَّلَاةَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ كَفِعْلِكَ فِي صَلَاةِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ سَارَ حَتَّى إِذَا اشْتَبَكَتِ النُّجُومُ نَزَلَ، ‏‏‏‏‏‏ثُمّ قال لِلْمُؤَذِّنِ:‏‏‏‏ أَقِمْ، ‏‏‏‏‏‏فَإِذَا سَلَّمْتُ فَأَقِمْ فَصَلَّى، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ انْصَرَفَ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:‏‏‏‏ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْأَمْرُ الَّذِي يَخَافُ فَوْتَهُ فَلْيُصَلِّ هَذِهِ الصَّلَاةَ .

تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي (تحفة الأشراف: ۶۷۹۵)، وقد أخرجہ: صحیح البخاری/تقصیر الصلاة ۶ (۱۰۹۱)، العمرة ۲۰ (۱۸۰۵)، الجھاد ۱۳۶ (۳۰۰۰)، سنن ابی داود/الصلاة ۲۷۴ (۱۲۰۷)، سنن الترمذی/الصلاة ۲۷۷ (۵۵۵)، مسند احمد ۲/۵۱، ویأتي عند المؤلف برقم: (۵۹۸) (حسن) (متابعات سے تقویت پاکر یہ روایت حسن ہے، ورنہ اس کے راوی ’’ کثیر بن قاروندا‘‘ لین الحدیث ہیں)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 589 - حسن

43. Explanation Of That


Kathir bin Qarawanda said: I asked Salim bin 'Abdullah about how his father prayed when traveling. We asked him: 'Did he combine any of his prayers when traveling?' He said that Safiyyah bint Abi 'Ubaid was married to him, and she wrote to him, when he was at some farmland of his, saying: 'This is the last of my days in this world, and the first day of the Hereafter. [1] He rode quickly to go to her, and when the time for Zuhr came, the Mu'adhdhin said to him: The prayer, O Abu 'Abdur-Rahman! But he paid no attention to him until it was between the time for the two prayers, then he stopped and said: Say the Iqamah and when I say the Taslim, say the Iqamah. Then he rode on again, and when the sun set the Mu'adhdhin said to him; The prayer! He said: Do as you did for Zuhr and 'Asr. When the stars had appeared, he stopped and said to the Mu'adhdhin: Say the Iqamah and when I say the Taslim, say the Iqamah. He prayed, then when he had finished he turned to us and said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'If any one of you has an urgent need that he fears he may miss, let him pray like this.' [1] Meaning that she was dying.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাসীর ইবনু কারাওয়ান্দা (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৫: যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার সালাত এক সাথে আদায় করতে পারে

৫৯৭. ’আবদাহ্ ইবনু আবদুর রহীম (রহ.) ..... কাসীর ইবনু কারাওয়ান্দা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সফরে সালাত সম্পর্কে সালিম ইবনু আবদুল্লাহ-কে প্রশ্ন করলাম যে, আপনার পিতা আবদুল্লাহ (রাঃ) সফরে একাধিক সালাত একত্রে আদায় করেছেন কি? জবাবে বললেন, না, মুযদালিফাহ ব্যতীত অন্য কোথায়ও একত্রে সালাত আদায় করেননি। পুনরায় (সতর্ক হয়ে ঘটনার উল্লেখ করে বললেন, সফিয়্যাহ্ (রাঃ) ’আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন, সফিয়্যাহ্ (রাঃ) তার কাছে খবর পাঠালেন যে, আমি দুনিয়ার জীবনের শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে উপনীত হয়েছি। সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করলেন, আমিও তার সাথে ছিলাম। তিনি খুব দ্রুত বেগে চললেন। পরে যখন সালাতের সময় হলো, মুয়াযযিন বললেন, হে ’আবদুর রহমান! সালাত আদায় করুন। তিনি সামনে অগ্রসর লাগলেন। যখন তিনি দুই সালাতের মাঝামাঝি সময়ে পৌছলেন তখন সওয়ারী হতে নেমে মুয়াজ্জিনকে বললেন, ইকামত দাও এবং যখন যুহরের সালাত শেষ করি তখন আবার সেখানে দাঁড়িয়েই ইকামত বলবে। ইক্বামাত বলা হলে যুহরের দু’ রাক’আত আদায় করলেন। আবার সেখানেই ইকামত দিলে ’আসরের দু’ রাক’আত সালাত আদায় করে বাহনে আরোহণ করলেন এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দ্রুত চললেন। আবার মুয়াযযিন বললেন, হে ’আবদুর রহমান! সালাত আদায় করুন। তিনি বললেন, পূর্বের মতোই কাজ কর বলে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন। তারপর যখন আকাশে ঘন তারকারাজি দেখা গেল তখন সওয়ারী হতে নেমে ইক্বামাতের আদেশ দিলেন। বললেন, যখন সালাম ফিরাবে আবার ইকামত দিবে। তারপর মাগরিবের তিন রাকআত আদায় করলেন। আবার ইকামত হলে ’ইশার সালাত আদায় করলেন। তারপর একদিকে সালাম ফিরিয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যখন তোমাদের কারো সম্মুখে এমন কোন জটিল কাজ দেখা দেয়, যা ছুটে যাওয়ার ভয় থাকে, তখন এভাবেই সালাত আদায় করবে।

الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء

أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا ابْنُ شُمَيْلٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ قَارَوَنْدَا، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ سَأَلْنَا سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِعَنِ الصَّلَاة فِي السِّفْر، ‏‏‏‏‏‏فَقُلْنَا:‏‏‏‏ أَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَجْمَعُ بَيْنَ شَيْءٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ فِي السَّفَرِ ؟ فَقَالَ:‏‏‏‏ لَا، ‏‏‏‏‏‏إِلَّا بِجَمْعٍ ثُمَّ أَتَيْتُهُ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ كَانَتْ عِنْدَهُ صَفِيَّةُ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ:‏‏‏‏ أَنِّي فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنَ الدُّنْيَا وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الْآخِرَةِ، ‏‏‏‏‏‏فَرَكِبَ وَأَنَا مَعَهُ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى حَانَتِ الصَّلَاةُ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ لَهُ الْمُؤَذِّنُ:‏‏‏‏ الصَّلَاةَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ‏‏‏‏‏‏فَسَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ نَزَلَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ لِلْمُؤَذِّنِ:‏‏‏‏ أَقِمْ فَإِذَا سَلَّمْتُ مِنَ الظُّهْرِ فَأَقِمْ مَكَانَكَ، ‏‏‏‏‏‏فَأَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَقَامَ مَكَانَهُ فَصَلَّى الْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكِبَ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ لَهُ الْمُؤَذِّنُ:‏‏‏‏ الصَّلَاةَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ كَفِعْلِكَ الْأَوَّلِ، ‏‏‏‏‏‏فَسَارَ حَتَّى إِذَا اشْتَبَكَتِ النُّجُومُ نَزَلَ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ:‏‏‏‏ أَقِمْ فَإِذَا سَلَّمْتُ فَأَقِمْ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلَاثًا، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَقَامَ مَكَانَهُ فَصَلَّى الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ سَلَّمَ وَاحِدَةً تِلْقَاءَ وَجْهِهِ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ قَالَ:‏‏‏‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:‏‏‏‏ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمْ أَمْرٌ يَخْشَى فَوْتَهُ فَلْيُصَلِّ هَذِهِ الصَّلَاةَ .

تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۵۸۹ (حسن)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 598 - حسن

45. The Time When A Traveler May Combine Maghrib and Isha'


Kathir bin Qarawanda said: We asked Salim bin 'Abdullah about prayer while traveling. We said: 'Did 'Abdullah combine any of his prayer while traveling?' He said: 'No, except at Jam'.'[1] Then he paused, and said: 'Safiyyah was married to him, and she sent word to him that she was in her last day in this world and the first day in the Hereafter. So he ride off in a hurry, and I was with him. The time for prayer came and the Mu'adhdhin said to him: 'The prayer, O Abu 'Abdur-Rahman! But he kept going until it was between the time for the two prayer. Then he stopped and said to the Mu'adhdhin: Say the Iqamah, and when I say the Taslim at the end of Zuhr, say the Iqamah (again) straight away. So he said the Iqamah and he prayed Zuhr, two Rak'ahs, then he said the Iqamah (again) straight away, and he prayed 'Asr, two Rak'ahs. Then he rode off quickly until the sun set and the Mu'adhdhin said to him: The prayer, O Abu 'Abdur-Rahman! He said: Do what you did before. He rode on until the starts appeared, then he stopped and said: Say the Iqamah, then when I say the Taslim, say the Iqamah. So he said the Iqamah and he prayed Maghrib, three Rak'ahs, then he said the Iqamah (again) straight away and he prayed 'Isha', then he said one Taslim, turning his face. Then he said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'If any one of you has urgent need that he fears he may miss, let him pray like this.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাসীর ইবনু কারাওয়ান্দা (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে