পরিচ্ছেদঃ ৭/৩. সন্দেহের দিনের (ইয়াওমুল-শাক্ক) রোযা।
৩/১৬৪৭। কাসিম আবূ ’আবদুর রহমান (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর বলতে শুনেছেন, রমাযান মাস শুরু হওয়ার পূর্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ রোযা অমুক অমুক দিন। আমরা আগেই সেই রোযা রাখবো। অতএব যার ইচ্ছা সে আগে রোযা রাখুক, আর যার ইচ্ছা পরে রাখুক।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী হায়সাম বিন হুমায়দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার ভাল ছাড়া খারাফ কিছু জানি না। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু মুসহির বলেন, তিনি দুর্বল ও কাদিরিয়া মতাবলম্বী ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৬৪৩, ৩০/৩৭০ নং পৃষ্ঠা) ২. আলা ইবনুল হারিস সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৬০, ২২/৪৭৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. কাসিম আবু আব্দুর রহমান সম্পর্কে আল আজালী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি সিকাহ নন। ইমাম তিরমিযি তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে অপরিচিত। মুফাদদাল বিন গাসসান বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলীগত ফিসক এর সাথে জড়িত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮০০, ২৩/৩৮৩ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ قَبْلَ شَهْرِ رَمَضَانَ الصِّيَامُ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَنَحْنُ مُتَقَدِّمُونَ فَمَنْ شَاءَ فَلْيَتَقَدَّمْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَتَأَخَّرْ
It was narrated from Qasim Abu ‘Abdur-Rahman that he heard Mu’awiyah bin Abu Sufyan on the pulpit saying:
“The Messenger of Allah (ﷺ) used to say from the pulpit, before the month of Ramadan: ‘Fasting will begin on such and such a day, but we are going to start fasting earlier, so whoever wants to start fasting earlier (i.e., in Sha’ban), let him do so, and whoever wants to wait until Ramadan begins, let him do so.’”
পরিচ্ছেদঃ ২৬. যে ব্যক্তি দশটি আয়াত তিলাওয়াত করলো, তার ফযীলত
৩৪৮১. আল কাসিম আবূ আব্দুর রহমান ও আব্বাস ইবনু মাইমুন হতে বর্ণিত, তারা উভয়ে বলেন, তামীম দারী বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে দশটি আয়াত (সালাতে) পাঠ করবে, তাকে গাফিলদের মধ্যে লিখা হবে না।[1]
তাখরীজ: পরবর্তী হাদীসগুলি দেখুন। এবং এর শাহিদ হাদীসও সামনে আসছে।
باب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِسْطَامَ عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ ح وَحَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ الْعَبَّاسِ بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ قَالَ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ فِي لَيْلَةٍ لَمْ يُكْتَبْ مِنْ الْغَافِلِينَ
পরিচ্ছেদঃ ২৬. যে ব্যক্তি দশটি আয়াত তিলাওয়াত করলো, তার ফযীলত
৩৪৮২. আল কাসিম আবূ আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তামীম দারী ও ফুযালাহ ইবনু উবাইদ উভয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে দশটি আয়াত (সালাতে) পাঠ করবে, তাকে মুসল্লী (সালাত আদায়কারীদের) মধ্যে লিখা হবে।[1]
তাখরীজ: বর্ণনা করেছেন ইবনু মানসূর ১/১১৬ নং ২৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২১৯৬ মারফু’ হিসেবে। এর সনদও যয়ীফ। আবী হাতিম তার ইলাল ১/১৫১ নং ৪২২ তে এ হাদীস সম্পর্কে তার ছেলের জিজ্ঞাসার জবাবে বলেন, এটি ভূল, বরং এটি তামীম ও ফুযালা’র উপর মাওকুফ (তাদের ব্কতব্য)।
باب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِسْطَامَ عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَا مَنْ قَرَأَ بِعَشْرِ آيَاتٍ فِي لَيْلَةٍ كُتِبَ مِنْ الْمُصَلِّينَ
পরিচ্ছেদঃ ২৭. যে ব্যক্তি পঞ্চাশটি আয়াত পাঠ করবে
৩৪৮৬. আল কাসিম আবূ আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তামীম দারী ও ফুযালাহ ইবনু উবাইদ উভয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে পঞ্চাশটি আয়াত (সালাতে) পাঠ করবে, তাকে ’হাফিজগণের মধ্যে লিখা হবে।[1]
তাখরীজ: এর সনদ গত হয়েছে ‘দশ আয়াত পাঠের ফযীলতে’ নং ৩৪৭৯ তে। এটি সামনেও আসছে একশত আয়াত পাঠের ফযীলতে।
باب مَنْ قَرَأَ خَمْسِينَ آيَةً
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِسْطَامَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَا مَنْ قَرَأَ بِخَمْسِينَ آيَةً فِي لَيْلَةٍ كُتِبَ مِنْ الْحَافِظِينَ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. যে ব্যক্তি একশটি আয়াত পাঠ করবে
৩৪৯১. আল কাসিম আবূ আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তামীম দারী ও ফুযালাহ ইবনু উবাইদ উভয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে একশ’টি আয়াত (সালাতে) পাঠ করবে, তাকে অনুগতদের (ইবাদতকারীদের) মধ্যে লিখা হবে।[1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ‘দশ আয়াত পাঠের ফযীলতে’ নং ৩৪৭৮, ৩৪৭৯ তে। ‘পঞ্চাশ আয়াত পাঠের ফযীলতে’ নং ৩৪৮৩ তে।
باب مَنْ قَرَأَ بِمِائَةِ آيَةٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِسْطَامَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَا مَنْ قَرَأَ بِمِائَةِ آيَةٍ فِي لَيْلَةٍ كُتِبَ مِنْ الْقَانِتِينَ
পরিচ্ছেদঃ ৩১. যে ব্যক্তি এক হাজার আয়াত পরিমাণ পাঠ করে
৩৫০১. আল কাসিম আবূ আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তামীম দারী ও ফুযালাহ ইবনু উবাইদ উভয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) এক হাজার আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য ’ক্বিনতার’ (অশেষ) পরিমাণ সাওয়াব লিখা হবে। আর ’ক্বিনতার’ (অশেষ, অঢেল)-এর মধ্যে থেকে ’ক্বিরাত’ পরিমাণ সম্পদও তোমাদের এ পূরো দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে সবকিছুর চেয়ে উত্তম। আর সে আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী (তথা অপরিসীম বিনিময়) অর্জন করবে।[1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে নং ৩৪৭৮, ৩৪৭৯, ৩৪৮৩ ও ৩৪৮৮ তে।
তাবারাণী, কাবীর ২/৫০, ৫১ নং ১২৫৩; আওসাত নং ৮৪৪৬ তে।
باب مَنْ قَرَأَ أَلْفَ آيَةٍ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِسْطَامَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَا مَنْ قَرَأَ أَلْفَ آيَةٍ فِي لَيْلَةٍ كُتِبَ لَهُ قِنْطَارٌ وَالْقِيرَاطُ مِنْ الْقِنْطَارِ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَاكْتَنَزَ مِنْ الْأَجْرِ مَا شَاءَ اللَّهُ
পরিচ্ছেদঃ ৭৪. পণ্যে বিদ্যমান থাকা অবস্থায় ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মতভেদ হলে
৩৫১২। আল-কাসিম ইবনু ’আব্দুর রাহমান (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) আশ’আস ইবনু কায়িস (রাঃ)-এর কাছে কিছু গোলাম বিক্রি করেন। অতঃপর হাদীসের বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে কিছু কম-বেশী আছে।[1]
بَابٌ إِذَا اخْتَلَفَ الْبَيِّعَانِ وَالْمَبِيعُ قَائِمٌ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ، بَاعَ مِنَ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، رَقِيقًا فَذَكَرَ مَعْنَاهُ وَالْكَلَامُ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ
صحيح
Al-Qasim b. 'Abd al-Rahman reported on the authority of his father:
Ibn Mas'ud sold slaves to al-Ash'ath b. Qais. He then narrated the rest of the tradition to the same effect with some variation of words.