লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১২) নারীদের গৃহে নামায আদায় ও গৃহে অবস্থান করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৩৪০. (হাসান লিগাইরিহী) উম্মে হুমায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবু হুমায়েদ (রাঃ) এর স্ত্রী। তিনি একদা নবী করীম (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার সাথে মসজিদে নববীতে নামায আদায় করতে ভালবাসি।
রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ’’আমি জানি তুমি আমার সাথে নামায আদায় করতে ভালবাস। কিন্তু তোমার জন্যে ক্ষুদ্র কুঠরীতে নামায পড়া, বাড়ীতে (প্রশস্ত ঘরের মধ্যে) নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। আর বাড়ীতে নামায পড়া, বাড়ীর উঠানে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। নিজ বাড়ীর উঠানে নামায পড়া মহল্লার মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। আর মহল্লার মসজিদে নামায পড়া আমার মসজিদে (মসজিদে নববীতে) নামায পড়ার চেয়ে উত্তম।’’
তারপর উম্মে হুমাইদ (রাঃ) আদেশ দিলেন, ফলে তার জন্যে নিজ ঘরের ভিতরে অন্ধকার স্থানে একটি নামাযের জায়গা বানিয়ে দেয়া হল। তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সেই ক্ষুদ্র অন্ধকার কুঠরীতে নামায আদায় করেছেন।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ ৬/৩৭১, ইবনে খুযায়মা ৩/৯৫, ইবনে হিব্বান ৪/২২)
ইবনে খুযায়মা এই হাদীছ বর্ণনা করার আগে অধ্যায় রচনা করেন যে, নারীর নিজের গৃহে নামায পড়া বাড়ীর উঠানে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। আর নিজ মহল্লার মসজিদে নামায পড়া, আল্লাহর নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। যদিও আল্লাহর নবীর মসজিদে নামাযে এক হাজার গুণ ছোয়াব লাভ করা যায় অন্য মসজিদের চেয়ে। এক কথার দলীল হলো নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: ’’অন্যান্য মসজিদের তুলনায় আমার মসজিদে নামায পড়লে এক হাজারের চেয়ে বেশী ছোয়াব লাভ করা যাবে।’’ ইবনে খুযায়মা বলেন, এ হাদীছ দ্বারা আল্লাহর নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষদের নামাযের কথা বুঝিয়েছেন নারীদের কথা নয়।
হাদীছের টিকায় শাইখ আলবানী লিখেছেন, এ কথাটি যথাযথ নয়। তিনি বলেন এ হাদীছটি নারী-পুরুষ সবার জন্যেই প্রযোজ্য। তবে কোন নারী যদি গৃহে নামায আদায় করে, তবে তা যে বেশী উত্তম হবে এ হাদীছ তার বিরোধী নয়। এমনিভাবে কোন পুরুষ যদি আল্লাহর নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর মসজিদে নফল নামায পড়ে তাহলে সে এক হাজার গুণ ছোয়াব লাভ করবে। কিন্তু সে যদি ঐ নফল নামাযটা ঘরে পড়ে তবে তার জন্যে উত্তম হবে।
ترغيب النساء في الصلاة في بيوتهن ولزومها وترهيبهن من الخروج منها
(حسن لغيره) وَ عَنْ أُمِّ حُمَيْدٍ امْرَأَةِ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا : أَنَّهَا جَاءَتِ إلى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي أُحِبُّ الصَّلَاةَ مَعَكَ، قَالَ: " قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكِ تُحِبِّينَ الصَّلَاةَ مَعِي، وَصَلَاتُكِ فِي بَيْتِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلَاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ، وَصَلَاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِكِ فِي دَارِكِ، وَصَلَاتُكِ فِي دَارِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ، وَصَلَاتُكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِكِ فِي مَسْجِدِي "، قَالَ: فَأَمَرَتْ فَبُنِيَ لَهَا مَسْجِدٌ فِي أَقْصَى شَيْءٍ مِنْ بَيْتِهَا وَأَظْلَمِهِ، فَكَانَتْ تُصَلِّي فِيهِ حَتَّى لَقِيَتِ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ (رواه أحمد وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما)