লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১) ইখলাস, সত্যবাদিতা ও সৎ নিয়তের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
১৮. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমার বান্দা যখন কোন অসৎ কর্ম করার ইচ্ছা পোষণ করে, তখন তা কর্মে বাস্তবায়ন করা পর্যন্ত তোমরা (ফেরেশতাকুল) কিছুই লিখিও না। যদি কর্মে বাস্তবায়ন করে তবে সে কর্ম অনুরূপ তার পাপ লিখ। আর যদি তা আমার কারণে পরিত্যাগ করে, তবে উহা তার জন্য একটি পূণ্য হিসেবে লিখে নাও।
আর যদি কোন সৎকর্মের ইচ্ছা করে অতঃপর তা বাস্তবায়ন না করে তবে তা একটি পূণ্য হিসেবে লিখে নাও। আর যদি তা কর্মে বাস্তবায়ন করে, তবে তা দশ থেকে সাতশতগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে লিখে নাও।’’
(বুখারী ও মুসলিম হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তবে বাক্যগুলো বুখারী থেকে গৃহীত)
মুসলিমের অপর রেওয়ায়াতে এসেছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً وَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَعَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرًا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا لَمْ تُكْتَبْ وَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ.
’’যে ব্যাক্তি কোন সৎ কাজের ইচ্ছা করে, অতঃপর তা বাস্তবায়ন না করে, তবে তার জন্য একটি পূণ্য লেখা হয়। আর যে ব্যাক্তি সৎকর্মের ইচ্ছা করার পর তা বাস্তবায়ন করে, তবে তার জন্য দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত নেকী লিখা হয়। আর যে ব্যাক্তি অসৎ কাজের ইচ্ছা করে তা বাস্তবায়ন না করে, তবে তার কোন পাপ লিখা হয় না। আর যদি বাস্তবায়ন করে তবে তা লিখা হয়।’’
মুসলিমের আর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا تَحَدَّثَ عَبْدِي بِأَنْ يَعْمَلَ حَسَنَةً فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ حَسَنَةً مَا لَمْ يَعْمَلْ فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا وَإِذَا تَحَدَّثَ بِأَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَأَنَا أَغْفِرُهَا لَهُ مَا لَمْ يَعْمَلْهَا فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ بِمِثْلِهَا وَإِنْ تَرَكَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً إِنَّمَا تَرَكَهَا مِنْ جَرَّايَ
’’সম্মানিত মহান আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যখন মনে মনে বলে যে, সে একটি সৎকাজ করবে, তখন উহা বাস্তবায়ন না করলে আমি উহা একটি সৎকাজ হিসেবে লিখে নেই। আর যদি বাস্তবায়ন করে, তবে তাকে দশগুণ বৃদ্ধি করে লিখে থাকি। আর যখন আমার বান্দা মনে মনে বলে যে, সে একটি খারাপ কাজ করবে, তখন উহা বাস্তবায়ন না করলে আমি তাকে ক্ষমা করে দেই। আর যদি বাস্তবায়ন করে, তবে সে কাজের অনুরূপ আমি পাপ লিখে থাকি। আর যদি উহা বাস্তবায়ন করা ছেড়ে দেয় তবে (হে ফেরেশতাকুল) তার জন্য একটি পূণ্য লিখে নাও। কেননা সে উহা একমাত্র আমার কারণেই পরিত্যাগ করেছে।’’
الترغيب في الإخلاص والصدق والنية الصالحة
(18) (صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ، أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: " إِذَا أَرَادَ عَبْدِي بعْمَلَ سَيِّئَةً فَلا تَكْتُبُوهَا عَلَيْهِ حَتَّى يَعْمَلَهَا، فإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا بِمِثْلِهَا، وَإِنْ تَرَكَهَا مِنْ أَجْلِي فَاكْتُبُوهَا حَسَنَةً، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَعْمَلَ حَسَنَةً فَلَمْ يَعْمَلْهَا فَاكْتُبُوهَا حَسَنَةً، فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ." رواه البخاري واللفظ له ومسلم