লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট কিভাবে অহী নাযিল শুরু হয়েছিল?
৭) আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবু সুফিয়ান বিন হারব তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তারা এক সময় শাম (সিরিয়ায়) দেশে ব্যবসার উদ্দেশ্যে গমণ করেছিলেন। তখন রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস এক দল কুরাইশ লোকসহ তাকে ডেকে পাঠালেন। এই ঘটনা ঐ সময় সংঘটিত হয়েছিল যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কুরাইশ কাফেরদের মধ্যে হোদায়বিয়ার সন্ধি চলছিল। তারা তাঁর নিকট উপস্থিত হলেন। তখন তারা ইলীয়া শহরে অবস্থান করছিলেন। তিনি তাদেরকে ডাকলেন। সেখানে তার চারপাশে রাজ্যের নেতৃবর্গও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাদেরকে ডাকলেন এবং দোভাষীকেও ডাকলেন। অতঃপর বাদশাহ বললেনঃ আরবের মধ্যে যে নিজেকে নবী বলে দাবী করেছে তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয়? আবু সুফিয়ান বললেনঃ আমি তাঁর সবচেয়ে বেশী নিকটাত্মীয়। বাদশাহ বললেনঃ তোমরা তাঁকে এবং তাঁর সাথীদেরকে আমার নিকটে ডেকে নিয়ে আসো। অতঃপর সাথীদেরকে আবু সুফিয়ানের পিছনে বসানো হল। অতঃপর হিরাক্লিয়াস দোভাষীকে বললেনঃ তুমি তাদেরকে (আবু সুফিয়ানের সাথীদেরকে) বল যে, আমি ঐ ব্যক্তি (মুহাম্মাদ) সম্পর্কে তাকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করবো। সে যদি আমার সাথে মিথ্যা বলে তবে তোমরাও তাকে মিথ্যাবাদী বলবে। আবু সুফিয়ান বলেনঃ সঙ্গীরা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে অপবাদ দেয়ার লজ্জা আমাকে বাধা প্রদান না করলে আমি তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা বলতাম। অতঃপর তিনি প্রথমে আমাকে যে প্রশ্নটি করলেন তা হলঃ
হিরাক্লিয়াসঃ তোমাদের মধ্যে তাঁর বংশ মর্যাদা কেমন?
আবু সুফিয়ানঃ তিনি আমাদের মধ্যে উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ বংশের লোক।
হিরাক্লিয়াসঃ তোমাদের মধ্যে তার পূর্বে অন্য কেউ এরূপ কথা বলেছেন কি?
আবু সুফিয়ানঃ না।
হিরাক্লিয়াসঃ তাঁর পূর্ব পুরুষদের মধ্যে কেউ রাজা-বাদশাহ ছিলেন কি?
আবু সুফিয়ানঃ না।
হিরাক্লিয়াসঃ নেতৃস্থানীয় ও প্রভাবশালী লোকেরা তাঁর অনুসরণ করেছে? না দুর্বল শ্রেণীর লোকেরা?
আবু সুফিয়ানঃ দুর্বল শ্রেণীর লোকেরা।
হিরাক্লিয়াসঃ তাঁর অনুসারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে? না কমছে?
আবু সুফিয়ানঃ তাঁর অনুসারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হিরাক্লিয়াসঃ কেউ তাঁর দ্বীন গ্রহণ করার পর দোষ-ত্রুটি দেখে পুনরায় দ্বীন পরিত্যাগ করে কি?
আবু সুফিয়ানঃ না।
হিরাক্লিয়াসঃ লোকটি বর্তমানে যা বলছে, তোমরা কি এর পূর্বে কখনো তাঁর প্রতি মিথ্যাবাদীতার অভিযোগ করেছো?
আবু সুফিয়ানঃ না।
হিরাক্লিয়াসঃ তিনি কি ওয়াদা ভঙ্গ করেন?
আবু সুফিয়ানঃ না। তবে বর্তমানে আমরা তাঁর সাথে একটি সন্ধিতে আবদ্ধ আছি। জানিনা তিনি এতে কি করবেন। আবু সুফিয়ান বলেনঃ একথাটি ব্যতীত আমি তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কিছু বলার সাহস পেলাম না।
হিরাক্লিয়াসঃ তোমরা কি তাঁর সাথে যুদ্ধ করেছো?
আবু সুফিয়ানঃ হ্যাঁ।
হিরাক্লিয়াসঃ তাঁর সাথে আপনাদের যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছে?
আবু সুফিয়ানঃ যুদ্ধের ফলাফল আমাদের ও তাঁর মধ্যে ঘূর্নয়মান। কখনও তিনি বিজয়ী হয়েছেন আবার কখনও আমরা বিজয়ী হয়েছি।
হিরাক্লিয়াসঃ তিনি তোমাদেরকে কিসের আদেশ দেন?
আবু সুফিয়ানঃ তিনি আমাদেরকে বলেনঃ এক আল্লাহর এবাদত কর। তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করোনা। তোমাদের পূর্ব পুরুষরা যেসব বস্ত্তর উপাসনা করত তা ছেড়ে দাও। তিনি আমাদেরকে নামাযের আদেশ দেন। তিনি আরো আদেশ দেনঃ তোমরা সত্য বল, অন্যায় থেকে বিরত থাক এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ।
অতঃপর সম্রাট দোভাষীকে বললেনঃ তুমি আবু সুফিয়ানকে বলঃ আমি তোমাকে তাঁর বংশ মর্যাদা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলাম। তুমি বলেছঃ তিনি তোমাদের মাঝে সম্ভ্রান্ত বংশের অন্তর্ভূক্ত। এমনিভাবে রাসূলগণ সম্ভ্রান্ত বংশেই জন্ম গ্রহণ করে থাকেন।
আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমাদের মধ্যে ইতিপূর্বে অন্য কেউ এরূপ কথা বলেছে কি? তুমি বলেছঃ না। সুতরাং আমি বলছি, ইতিপূর্বে যদি কেউ এ ধরণের কথা বলত, তাহলে আমি বলতামঃ তিনি তাঁর পূর্বসূরি ব্যক্তির কথাই বলছেন।
আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ রাজা-বাদশাহ ছিলেন কি? তুমি বলেছঃ না। তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে যদি কেউ রাজা-বাদশাহ থাকত, তাহলে আমি বলতামঃ তিনি এমন ব্যক্তি যিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের রাজত্ব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম, বর্তমানে তিনি যা বলছেন, ইতিপূর্বে তোমরা কি কখনও তাঁর উপর মিথ্যাবাদীতার অভিযোগ করেছ? তুমি বলেছঃ না। তাই আমি বিশ্বাস করি যে, মানুষের সাথে মিথ্যা বলা ছেড়ে দিয়ে তিনি আল্লাহ সম্পর্কে কখনও মিথ্যা বলতে পারেন না।
তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম, সম্মানিত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিগণ তাঁর অনুসরণ করেছে? না দরিদ্র শ্রেণীর লোকেরা? তুমি বলেছঃ দরিদ্র ও দুর্বল শ্রেণীর লোকেরা তাঁর অনুসরণ করেছে। মূলতঃ দুর্বল ও অসহায়গণই নবী-রাসূলদের অনুসারী হয়ে থাকে।
আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁর অনুসারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে? না কমছে? তুমি বলেছঃ তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নিশ্চয়ই ঈমানের বিষয়টি এরূপই হয়ে থাকে, যতক্ষণ না তা পূর্ণতায় রূপ নেয়।
আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁর দ্বীনে দিক্ষীত হওয়ার পর নাখোশ হয়ে কেউ ধর্মান্তরিত হয়েছে কি? তুমি বলেছঃ না। ঈমানের আলো যখন অন্তরে প্রবেশ করে তখন এরূপই হয়ে থাকে।
আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি কি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন? তুমি বলেছোঃ না। প্রকৃতপক্ষে রাসূলগণ এরূপই হয়ে থাকেন। তারা কখনও অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না।
আমি তোমাকে আরও জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তিনি তোমাদেরকে কিসের আদেশ দেন? তুমি বলেছো যে, তিনি তোমাদেরকে এক আল্লাহর এবাদতের আদেশ দেন এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করতে নিষেধ করেন এবং মূর্তি পূজা করতে নিষেধ করেন। তোমাদেরকে নামাযের আদেশ দেন, সত্য বলতে এবং পবিত্র থাকতে আদেশ করেন।
পরিশেষে হিরাক্লিয়াস বললেনঃ তুমি যা বললে তা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে অচিরেই তিনি আমার এ দু’পা রাখার স্থানেরও মালিক হবেন।
আমি অবশ্যই জানতাম যে তিনি অচিরেই আবির্ভূত হবেন। তবে আমি জানতাম না যে, তিনি তোমাদের মধ্যে হতে বের হবেন। আমি যদি জানতাম যে, তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে সক্ষম হব, তাহলে অবশ্যই তাঁর সাথে দেখা করতে চেষ্টা করতাম। আমি যদি তাঁর কাছে থাকতাম তাহলে তাঁর পদযুগল ধৌত করে দিতাম।
অতঃপর সম্রাট হিরাক্লিয়াস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পত্র আনতে বললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পত্রটি দেহইয়া কালবী (রাঃ)-এর মাধ্যমে হিরাক্লিয়াসের পক্ষ থেকে নিয়োগ কৃত বুসরার শাসন কর্তার নিকট পাঠিয়েছিলেন। যাতে করে বুসরার শাসনকর্তা পত্রটি হিরাক্লিয়াসের নিকট পাঠিয়ে দেন। সম্রাট পত্রটি পাঠ করেন। তাতে যা লিখা ছিলঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহএর পক্ষ থেকে রোমের মহান সম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্রতিঃ
’’হেদায়াতের পথের অনুসারীদের প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি আপনাকে ইসলামের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। যদি ইসলাম গ্রহণ করেন তাহলে নিরাপদে থাকবেন। আপনি ইসলাম গ্রহণ করলে আল্লাহ আপনাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দিবেন। আর যদি আপনি ইসলাম হতে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেন তাহলে প্রজাদের সকলের অপরাধও আপনার উপর বর্তাবে। পত্রে আল্লাহর এই বাণীটিও ছিলঃ
﴿يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ﴾
’’হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন একটি কালেমার দিকে আস যা আমাদের ও তোমাদের মাঝে সমান। তা হল আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো এবাদত করবোনা এবং তাঁর সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করবোনা এবং আমাদের কেউ অন্য কাউকে পালনকর্তা হিসাবে গ্রহণ করবেনা। তোমরা যদি এটা গ্রহণ না কর তাহলে তোমরা বলে দাও, তোমরা এ মর্মে সাক্ষী থাক যে আমরা আল্লাহর অনুগত। (সূরা আল-ইমরানঃ ৬৪)
আবু সুফিয়ান বলেনঃ হিরাক্লিয়াস যা বলার বললেন এবং পত্র পাঠ থেকে অবসর হলেন। তখন তাঁর নিকট হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল এবং আওয়াজ উঁচু হল। আমাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেয়া হল। আমি আমার সাথীদেরকে বললামঃ আবু কাবশার ছেলের ব্যাপারটি তো অনেক বড় হয়ে গেছে। অর্থাৎ মুহাম্মাদের ব্যাপারটি অনেক বেড়ে গেছে। স্বয়ং রোম সম্রাটও তাঁকে ভয় করছেন।
আবু সুফিয়ান বলেনঃ এ ঘটনার পর থেকে আমার অন্তরে এরূপ বিশ্বাস জন্মেছিল যে, অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিজয়ী হবেন। ইতিমধ্যেই আল্লাহ তাআলা আমার ভিতরে ইসলামের মুহাববত ঢুকিয়ে দিলেন।
ইলিয়ার শাসনকর্তা ও হিরাক্লিয়াসের বন্ধু ইবনে নাতূরা শামের (সিরিয়ার) খৃষ্টানদের সরদার ছিলেন। তিনি বর্ণনা করতেন যে, হিরাক্লিয়াস যখন শামে (সিরিয়ায়) আগমণ করার সময় বায়তুল মাকদিস আগমণ করেন তখন একদিন বিষন্ন মন নিয়ে ঘুম থেকে উঠলেন। তার এক সাথী বললেনঃ হে সম্রাট! আমরা আপনাকে আজ পেরেশান অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। এর কারণ কী?
ইবনে নাতূর বলেনঃ হিরাক্লিয়াস একজন গণকও ছিলেন। তিনি তারকার দিকে দৃষ্টি দিতেন। তারা যখন তাকে বিষন্ন থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন তখন তিনি বললেনঃ আজ রাতে তারকার দিকে তাকিয়ে দেখলাম খতনাকারীদের বাদশাহ জয়যুক্ত হয়েছেন।[1] তোমরা বলতে পার কি বর্তমান সময়ে কারা খতনা করে? তারা বললঃ বর্তমান যামানায় ইহুদীরাই খতনা করে থাকে। সুতরাং তাদের ব্যাপারে পেরেশান হওয়ার কিছু নেই। সুতরাং আপনি রাজ্যের শহরে এ আদেশ লিখে পাঠান, যেখানে খতনাকারী ইহুদী বসবাস করছে লোকেরা যেন তাদের সবাইকে হত্যা করে। তারা যখন সম্রাটের সাথে এরূপ আলোচনায় রত ছিলেন তখন গাস্সানের শাসনকর্তার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক লোককে হিরাক্লিয়াসের নিকট উপস্থিত করা হল। সে লোকটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খবরাখবর বর্ণনা করতো। হিরাক্লিয়াস যখন তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন তখন বললেনঃ তোমরা তাকে গোপন স্থানে নিয়ে যাও এবং দেখ তার খতনা করা হয়েছে কি না? অতঃপর তারা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখল এবং হিরাক্লিয়াসকে জানাল যে সে খাতনাকৃত। তারপর তাকে আরবদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বললঃ আরবরা খতনা করে থাকে। তখন হিরাক্লিয়াস বললেনঃ এ ব্যক্তিই (মুহাম্মাদ) এ জাতির বাদশাহ। তিনি প্রকাশ পেয়েছেন।
অতঃপর হিরাক্লিয়াস তার এক বন্ধুর নিকট পত্র লিখে পাঠালেন। তিনিও জ্ঞান-বিজ্ঞানে হিরাক্লিয়াসের সমকক্ষ ছিলেন। তারপর তিনি হিমসে চলে গেলেন। হিমসে পৌঁছার পর তার বন্ধুর নিকট থেকে পত্রের জবাব এসে গেল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আবির্ভাবের ব্যাপারে তার ধারণাও হিরাক্লিয়াসের ধারণার মতই ছিল। তিনি প্রকৃতপক্ষেই নবী হিসাবে প্রেরিত হয়েছেন।
অতঃপর সম্রাট হিরাক্লিয়াস রোমের গভর্ণরদেরকে হিমসের কোন একটি মহলে ডাকলেন। মহলের সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করলেন। তারপর সম্রাট লোকদের সামনে হাজির হয়ে বললেনঃ হে রোম সম্প্রদায়! যদি তোমরা নিজেদের কল্যাণ চাও এবং সঠিক পথের সন্ধান কামনা কর এবং এটা চাও যে, তোমাদের রাজত্ব বহাল থাকুক, তাহলে এই নবীর হাতে বায়আত করে তাঁর অনুসরণ কর। সম্রাটের কথা শুনে উপস্থিত লোকেরা জংলী গাধার ন্যায় দরজার দিকে ছুটে অগ্রসর হল। কিন্তু তারা সমস্ত দরজা বন্ধ দেখতে পেল। রোমান সম্রাট যখন তাদের অনিচ্ছা দেখতে পেলেন এবং ঈমানের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ দেখতে পেলেন না, তখন তিনি তাদেরকে দরবারে ফেরত আনতে বললেন। সম্রাট তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ একটু পূর্বে তোমাদেরকে আমি যে কথাটি বলেছিলাম তা তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য এবং তোমাদের দ্বীনের উপরে তোমাদের দৃঢ়তা যাচাই করার জন্যই বলেছিলাম। সুতরাং আমি প্রত্যক্ষ করলাম যে, তোমরা তোমাদের দ্বীনের উপর অটল রয়েছ। এ কথা শুনে সকলেই বাদশাহকে সেজদাহ করল এবং তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করল। এটিই ছিল সম্রাট হিরাক্লিয়াসের সর্বশেষ অবস্থা।
باب كَيْفَ كَانَ بَدْءُ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
৭ـ وَعَنْهُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ هِرَقْلَ أَرْسَلَ إِلَيْهِ فِي رَكْبٍ مِنْ قُرَيْشٍ وَكَانُوا تُجَّارًا بِالشَّامِ فِي الْمُدَّةِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ مَادَّ فِيهَا أَبَا سُفْيَانَ وَكُفَّارَ قُرَيْشٍ، فَأَتَوْهُ وَهُمْ بِإِيلِيَاءَ فَدَعَاهُمْ وَحَوْلَهُ عُظَمَاءُ الرُّومِ ثُمَّ دَعَاهُمْ وَدَعَا بِتَرْجُمَانِهِ فَقَالَ: أَيُّكُمْ أَقْرَبُ بِهَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَقُلْتُ: أَنَا أَقْرَبُهُمْ نَسَبًا فَقَالَ: أَدْنُوهُ مِنِّي وَقَرِّبُوا أَصْحَابَهُ فَاجْعَلُوهُمْ عِنْدَ ظَهْرِهِ ثُمَّ قَالَ لِتَرْجُمَانِهِ: قُلْ لَهُمْ إِنِّي سَائِلٌ هَذَا عَنْ هَذَا الرَّجُلِ، فَإِنْ كَذَبَنِي فَكَذِّبُوهُ، فَوَاللَّهِ لَوْلا الْحَيَاءُ مِنْ أَنْ يَأثْرُوا عَلَيَّ كَذِبًا لَكَذَبْتُ عَنْهُ. ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَنْ قَالَ: كَيْفَ نَسَبُهُ فِيكُمْ؟ قُلْتُ: هُوَ فِينَا ذُو نَسَبٍ. قَالَ: فَهَلْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ مِنْكُمْ أَحَدٌ قَطُّ قَبْلَهُ؟ قُلْتُ: لا. قَالَ: فَهَلْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ؟ قُلْتُ: لا. قَالَ: فَأَشْرَافُ النَّاسِ اتَّبَعُوهُ أَمْ ضُعَفَاوُهُمْ؟ فَقُلْتُ: بَلْ ضُعَفَاوُهُمْ. قَالَ: أَيَزِيدُونَ أَمْ يَنْقُصُونَ؟ قُلْتُ: بَلْ يَزِيدُونَ. قَالَ: فَهَلْ يَرْتَدُّ أَحَدٌ مِنْهُمْ سَخْطَةً لِدِينِهِ بَعْدَ أَنْ يَدْخُلَ فِيهِ؟ قُلْتُ: لا. قَالَ: فَهَلْ كُنْتُمْ تَتَّهِمُونَهُ بِالْكَذِبِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ مَا قَالَ؟ قُلْتُ: لا. قَالَ: فَهَلْ يَغْدِرُ؟ قُلْتُ: لا وَنَحْنُ مِنْهُ فِي مُدَّةٍ لا نَدْرِي مَا هُوَ فَاعِلٌ فِيهَا. قَالَ: وَلَمْ تُمْكِنِّي كَلِمَةٌ أُدْخِلُ فِيهَا شَيْئًا غَيْرُ هَذِهِ الْكَلِمَة قَالَ: فَهَلْ قَاتَلْتُمُوهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَكَيْفَ كَانَ قِتَالُكُمْ إِيَّاهُ؟ قُلْتُ: الْحَرْبُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ سِجَالٌ، يَنَالُ مِنَّا وَنَنَالُ مِنْهُ. قَالَ: مَاذَا يَأْمُرُكُمْ؟ قُلْتُ: يَقُولُ اعْبُدُوا اللَّهَ وَحْدَهُ وَلا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَاتْرُكُوا مَا يَقُولُ آبَاؤُكُمْ، وَيَأْمُرُنَا بِالصَّلاةِ وَالزَّكَاةِ وَالصِّدْقِ وَالْعَفَافِ وَالصِّلَةِ، فَقَالَ لِلتَّرْجُمَانِ: قُلْ لَهُ: سَأَلْتُكَ عَنْ نَسَبِهِ فَذَكَرْتَ أَنَّهُ فِيكُمْ ذُو نَسَبٍ، فَكَذَلِكَ الرُّسُلُ تُبْعَثُ فِي نَسَبِ قَوْمِهَا، وَسَأَلْتُكَ: هَلْ قَالَ أَحَدٌ مِنْكُمْ هَذَا الْقَوْلَ؟ فَذَكَرْتَ أَنْ لا. فَقُلْتُ: لَوْ كَانَ أَحَدٌ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ قَبْلَهُ، لَقُلْتُ: رَجُلٌ يَأْتَسِي بِقَوْلٍ قِيلَ قَبْلَهُ، وَسَأَلْتُكَ: هَلْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ؟ فَذَكَرْتَ أَنْ لا، قُلْتُ: فَلَوْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ قُلْتُ: رَجُلٌ يَطْلُبُ مُلْكَ أَبِيهِ، وَسَأَلْتُكَ: هَلْ كُنْتُمْ تَتَّهِمُونَهُ بِالْكَذِبِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ مَا قَالَ؟ فَذَكَرْتَ أَنْ لا، فَقَدْ أَعْرِفُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيَذَرَ الْكَذِبَ عَلَى النَّاسِ وَيَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ، وَسَأَلْتُكَ: أَشْرَافُ النَّاسِ اتَّبَعُوهُ أَمْ ضُعَفَاوُهُمْ؟ فَذَكَرْتَ أَنَّ ضُعَفَاءَهُمِ اتَّبَعُوهُ، وَهُمْ أَتْبَاعُ الرُّسُلِ، وَسَأَلْتُكَ: أَيَزِيدُونَ أَمْ يَنْقُصُونَ؟ فَذَكَرْتَ أَنَّهُمْ يَزِيدُونَ، وَكَذَلِكَ أَمْرُ الإِيمَانِ حَتَّى يَتِمَّ، وَسَأَلْتُكَ: أَيَرْتَدُّ أَحَدٌ سَخْطَةً لِدِينِهِ بَعْدَ أَنْ يَدْخُلَ فِيهِ؟ فَذَكَرْتَ أَنْ لا، وَكَذَلِكَ الإِيمَانُ حِينَ تُخَالِطُ بَشَاشَتُهُ الْقُلُوبَ، وَسَأَلْتُكَ: هَلْ يَغْدِرُ؟ فَذَكَرْتَ أَنْ لا، وَكَذَلِكَ الرُّسُلُ لا تَغْدِرُ، وَسَأَلْتُكَ: بِمَا يَأْمُرُكُمْ؟ فَذَكَرْتَ أَنَّهُ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَحْدَهُ وَلا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَيَنْهَاكُمْ عَنْ عِبَادَةِ الأَوْثَانِ، وَيَأْمُرُكُمْ بِالصَّلاة وَالصِّدْقِ وَالْعَفَافِ، فَإِنْ كَانَ مَا تَقُولُ حَقًّا فَسَيَمْلِكُ مَوْضِعَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ، وَقَدْ كُنْتُ أَعْلَمُ أَنَّهُ خَارِجٌ لَمْ أَكُنْ أَظُنُّ أَنَّهُ مِنْكُمْ، فَلَوْ أَعْلَمُ أَنِّي أَخْلُصُ إِلَيْهِ لَتَجَشَّمْتُ لِقَاءَهُ وَلَوْ كُنْتُ عِنْدَهُ لَغَسَلْتُ عَنْ قَدَمِهِ، تْمَّ دَعَا بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ الَّذِي بَعَثَ بِهِ دِحْيَةُ إِلَى عَظِيمِ بُصْرَى فَدَفَعَهُ إِلَى هِرَقْلَ فَقَرَأَهُ فَإِذَا فِيْهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ سَلامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى أَمَّا بَعْدُ فَإِنِّي أَدْعُوكَ بِدِعَايَةِ الإِسْلامِ أَسْلِمْ تَسْلَمْ يُوُتِكَ اللَّهُ أَجْرَكَ مَرَّتَيْنِ فَإِنْ تَوَلَّيْتَ فَإِنَّ عَلَيْكَ إثْمَ الأَرِيسِيِّينَ وَ ﴿يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَنْ لا نَعْبُدَ إِلا اللَّهَ وَلا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوْا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ﴾ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَلَمَّا قَالَ مَا قَالَ، وَفَرَغَ مِنْ قِرَاءَةِ الْكِتَابِ، كثُرَ عِنْدَهُ الصَّخَبُ، وَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ، وَأُخْرِجْنَا، فَقُلْتُ لأَصْحَابِي حِينَ أُخْرِجْنَا: لَقَدْ أَمِرَ أَمْرُ ابْنِ أَبِي كَبْشَةَ إِنَّهُ يَخَافُهُ مَلِكُ بَنِي الأَصْفَرِ، فَمَا زِلْتُ مُوقِنًا أَنَّهُ سَيَظْهَرُ حَتَّى أَدْخَلَ اللَّهُ عَلَيَّ الإِسْلامَ، وَكَانَ ابْنُ النَّاطُورِ صَاحِبُ إِيلِيَاءَ، وَهِرَقْلَ أسقُفًّا عَلَى نَصَارَى الشَّأْمِ يُحَدِّثْ أَنَّ هِرَقْلَ حِينَ قَدِمَ إِيلِيَاءَ أَصْبَحَ يَوْمًا خَبِيثَ النَّفْسِ، فَقَالَ بَعْضُ بَطَارِقَتِهِ: قَدِ اسْتَنْكَرْنَا هَيْئَتَكَ. قَالَ ابْنُ النَّاطُورِ: وَكَانَ هِرَقْلُ حَزَّاءً يَنْظُرُ فِي النُّجُومِ فَقَالَ لَهُمْ حِينَ سَأَلُوهُ: إِنِّي رَأَيْتُ اللَّيْلَة حِينَ نَظَرْتُ فِي النُّجُومِ، مَلِكَ الْخِتَانِ قَدْ ظَهَرَ، فَمَنْ يَخْتَتِنُ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ؟ قَالُوا: لَيْسَ يَخْتَتِنُ إِلاَّ الْيَهُودُ، فَلا يُهِمَّنَّكَ شَأْنُهُمْ، وَاكْتُبْ إِلَى مَدَايِنِ مُلْكِكَ فَيَقْتُلُوا مَنْ فِيهِمْ مِنَ الْيَهُودِ، فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى أَمْرِهِمْ أُتِيَ هِرَقْلُ بِرَجُلٍ أَرْسَلَ بِهِ مَلِكُ غَسَّانَ، يُخْبِرُ عَنْ خَبَرِ رَسُولِ اللَّهِ فَلَمَّا اسْتَخْبَرَهُ هِرَقْلُ قَالَ: اذْهَبُوا فَانْظُرُوا أَمُخْتَتِنٌ هُوَ أَمْ لا فَنَظَرُوا إِلَيْهِ فَحَدَّثوهُ أَنَّهُ مُخْتَتِنٌ، وَسَأَلَهُ عَنِ الْعَرَبِ فَقَالَ: هُمْ يَخْتَتِنُونَ. فَقَالَ هِرَقْلُ: هَذَا مُلْكُ هَذِهِ الأُمَّةِ قَدْ ظَهَرَ، ثْمَّ كَتَبَ هِرَقْلُ إِلَى صَاحِبٍ لَهُ بِرُومِيَة، وَكَانَ نَظِيرَهُ فِي الْعِلْمِ، وَسَارَ هِرَقْلُ إِلَى حِمْصَ فَلَمْ يَرِمْ حِمْصَ، حَتَّى أَتَاهُ كِتَابٌ مِنْ صَاحِبِهِ يُوَافِقُ رَأْيَ هِرَقْلَ عَلَى خُرُوجِ النَّبِيِّ وَأَنَّهُ نَبِيٌّ فَأَذِنَ هِرَقْلُ لِعُظَمَاءِ الرُّومِ فِي دَسْكَرَةٍ لَهُ بِحِمْصَ، ثُمَّ أَمَرَ بِأَبْوَابِهَا فَغُلِّقَتْ، ثُمَّ اطَّلَعَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ هَلْ لَكُمْ فِي الْفَلاحِ وَالرُّشْدِ، وَأَنْ يَثْبُتَ مُلْكُكُمْ، فَتُبَايِعُوا هَذَا النَّبِيَّ فَحَاصُوا حَيْصَةَ حُمُرِ الْوَحْشِ إِلَى الأَبْوَابِ فَوَجَدُوهَا قَدْ غُلِّقَتْ فَلَمَّا رَأَى هِرَقْلُ نَفْرَتَهُمْ وَأَيِسَ مِنَ الإِيمَانِ، قَالَ: رُدُّوهُمْ عَلَيَّ وَقَالَ: إِنِّي قُلْتُ مَقَالَتِي آنِفًا أَخْتَبِرُ بِهَا شِدَّتَكُمْ عَلَى دِينِكُمْ، فَقَدْ رَأَيْتُ فَسَجَدُوا لَهُ وَرَضُوا عَنْهُ فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ شَأْنِ هِرَقْلَ. (بخاري:৭)
How the Divine Revelation started being revealed to Allah's Messenger
Narrated 'Abdullah bin 'Abbas:
Abu Sufyan bin Harb informed me that Heraclius had sent a messenger to him while he had been accompanying a caravan from Quraish. They were merchants doing business in Sham (Syria, Palestine, Lebanon and Jordan), at the time when Allah's Messenger (ﷺ) had truce with Abu Sufyan and Quraish infidels. So Abu Sufyan and his companions went to Heraclius at Ilya (Jerusalem). Heraclius called them in the court and he had all the senior Roman dignitaries around him. He called for his translator who, translating Heraclius's question said to them, "Who amongst you is closely related to that man who claims to be a Prophet?" Abu Sufyan replied, "I am the nearest relative to him (amongst the group)."
Heraclius said, "Bring him (Abu Sufyan) close to me and make his companions stand behind him." Abu Sufyan added, Heraclius told his translator to tell my companions that he wanted to put some questions to me regarding that man (The Prophet) and that if I told a lie they (my companions) should contradict me." Abu Sufyan added, "By Allah! Had I not been afraid of my companions labeling me a liar, I would not have spoken the truth about the Prophet. The first question he asked me about him was:
'What is his family status amongst you?'
I replied, 'He belongs to a good (noble) family amongst us.'
Heraclius further asked, 'Has anybody amongst you ever claimed the same (i.e. to be a Prophet) before him?'
I replied, 'No.'
He said, 'Was anybody amongst his ancestors a king?'
I replied, 'No.'
Heraclius asked, 'Do the nobles or the poor follow him?'
I replied, 'It is the poor who follow him.'
He said, 'Are his followers increasing decreasing (day by day)?'
I replied, 'They are increasing.'
He then asked, 'Does anybody amongst those who embrace his religion become displeased and renounce the religion afterwards?'
I replied, 'No.'
Heraclius said, 'Have you ever accused him of telling lies before his claim (to be a Prophet)?'
I replied, 'No. '
Heraclius said, 'Does he break his promises?'
I replied, 'No. We are at truce with him but we do not know what he will do in it.' I could not find opportunity to say anything against him except that.
Heraclius asked, 'Have you ever had a war with him?'
I replied, 'Yes.'
Then he said, 'What was the outcome of the battles?'
I replied, 'Sometimes he was victorious and sometimes we.'
Heraclius said, 'What does he order you to do?'
I said, 'He tells us to worship Allah and Allah alone and not to worship anything along with Him, and to renounce all that our ancestors had said. He orders us to pray, to speak the truth, to be chaste and to keep good relations with our Kith and kin.'
Heraclius asked the translator to convey to me the following, I asked you about his family and your reply was that he belonged to a very noble family. In fact all the Apostles come from noble families amongst their respective peoples. I questioned you whether anybody else amongst you claimed such a thing, your reply was in the negative. If the answer had been in the affirmative, I would have thought that this man was following the previous man's statement. Then I asked you whether anyone of his ancestors was a king. Your reply was in the negative, and if it had been in the affirmative, I would have thought that this man wanted to take back his ancestral kingdom.
I further asked whether he was ever accused of telling lies before he said what he said, and your reply was in the negative. So I wondered how a person who does not tell a lie about others could ever tell a lie about Allah. I, then asked you whether the rich people followed him or the poor. You replied that it was the poor who followed him. And in fact all the Apostle have been followed by this very class of people. Then I asked you whether his followers were increasing or decreasing. You replied that they were increasing, and in fact this is the way of true faith, till it is complete in all respects. I further asked you whether there was anybody, who, after embracing his religion, became displeased and discarded his religion. Your reply was in the negative, and in fact this is (the sign of) true faith, when its delight enters the hearts and mixes with them completely. I asked you whether he had ever betrayed. You replied in the negative and likewise the Apostles never betray. Then I asked you what he ordered you to do. You replied that he ordered you to worship Allah and Allah alone and not to worship any thing along with Him and forbade you to worship idols and ordered you to pray, to speak the truth and to be chaste. If what you have said is true, he will very soon occupy this place underneath my feet and I knew it (from the scriptures) that he was going to appear but I did not know that he would be from you, and if I could reach him definitely, I would go immediately to meet him and if I were with him, I would certainly wash his feet.' Heraclius then asked for the letter addressed by Allah's Apostle
which was delivered by Dihya to the Governor of Busra, who forwarded it to Heraclius to read. The contents of the letter were as follows: "In the name of Allah the Beneficent, the Merciful (This letter is) from Muhammad the slave of Allah and His Apostle to Heraclius the ruler of Byzantine. Peace be upon him, who follows the right path. Furthermore I invite you to Islam, and if you become a Muslim you will be safe, and Allah will double your reward, and if you reject this invitation of Islam you will be committing a sin of Arisiyin (tillers, farmers i.e. your people). And (Allah's Statement:)
'O people of the scripture! Come to a word common to you and us that we worship none but Allah and that we associate nothing in worship with Him, and that none of us shall take others as Lords beside Allah. Then, if they turn away, say: Bear witness that we are Muslims (those who have surrendered to Allah).' (3:64).
Abu Sufyan then added, "When Heraclius had finished his speech and had read the letter, there was a great hue and cry in the Royal Court. So we were turned out of the court. I told my companions that the question of Ibn-Abi-Kabsha) (the Prophet (ﷺ) Muhammad) has become so prominent that even the King of Bani Al-Asfar (Byzantine) is afraid of him. Then I started to become sure that he (the Prophet) would be the conqueror in the near future till I embraced Islam (i.e. Allah guided me to it)."
The sub narrator adds, "Ibn An-Natur was the Governor of llya' (Jerusalem) and Heraclius was the head of the Christians of Sham. Ibn An-Natur narrates that once while Heraclius was visiting ilya' (Jerusalem), he got up in the morning with a sad mood. Some of his priests asked him why he was in that mood? Heraclius was a foreteller and an astrologer. He replied, 'At night when I looked at the stars, I saw that the leader of those who practice circumcision had appeared (become the conqueror). Who are they who practice circumcision?' The people replied, 'Except the Jews nobody practices circumcision, so you should not be afraid of them (Jews).
'Just Issue orders to kill every Jew present in the country.'
While they were discussing it, a messenger sent by the king of Ghassan to convey the news of Allah's Messenger (ﷺ) to Heraclius was brought in. Having heard the news, he (Heraclius) ordered the people to go and see whether the messenger of Ghassan was circumcised. The people, after seeing him, told Heraclius that he was circumcised. Heraclius then asked him about the Arabs. The messenger replied, 'Arabs also practice circumcision.'
(After hearing that) Heraclius remarked that sovereignty of the 'Arabs had appeared. Heraclius then wrote a letter to his friend in Rome who was as good as Heraclius in knowledge. Heraclius then left for Homs. (a town in Syrian and stayed there till he received the reply of his letter from his friend who agreed with him in his opinion about the emergence of the Prophet (ﷺ) and the fact that he was a Prophet. On that Heraclius invited all the heads of the Byzantines to assemble in his palace at Homs. When they assembled, he ordered that all the doors of his palace be closed. Then he came out and said, 'O Byzantines! If success is your desire and if you seek right guidance and want your empire to remain then give a pledge of allegiance to this Prophet (i.e. embrace Islam).'
(On hearing the views of Heraclius) the people ran towards the gates of the palace like onagers but found the doors closed. Heraclius realized their hatred towards Islam and when he lost the hope of their embracing Islam, he ordered that they should be brought back in audience.
(When they returned) he said, 'What already said was just to test the strength of your conviction and I have seen it.' The people prostrated before him and became pleased with him, and this was the end of Heraclius's story (in connection with his faith).