৬১৯৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৯৬-[১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমার হাতে যেন এক টুকরা রেশমি কাপড়। আমি জান্নাতের মাঝে যে কোথাও যেতে ইচ্ছা করি, তখনই ঐ কাপড় খণ্ডটি আমাকে সেখানে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অতঃপর আমি এই স্বপ্নের কথা হাফসার কাছে বললাম, তখন হাফসাহ (রাঃ) তা নবী (সা.) -এর কাছে বললে তিনি উত্তরে বললেন, তোমার ভাই অথবা বলেছেন, ’আবদুল্লাহ একজন সৎ লোক। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

عَن عبد الله بن عمر قَالَ: رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ فِي يَدِي سراقَة مِنْ حَرِيرٍ لَا أَهْوِي بِهَا إِلَى مَكَانٍ فِي الْجَنَّةِ إِلَّا طَارَتْ بِي إِلَيْهِ فَقَصَصْتُهَا عَلَى حَفْصَةَ فَقَصَّتْهَا حَفْصَةُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ أَخَاكِ رَجُلٌ صَالِحٌ - أَوْ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَجُلٌ صَالح -» . مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (7015) و مسلم (139 / 2478)، (6369) ۔ (مُتَّفق عَلَيْهِ)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মিরক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সম্পর্কে বলেন যে, তিনি ছোট অবস্থায় তার পিতার সাথে মক্কাতেই ইসলাম গ্রহণ করেন। খন্দক যুদ্ধের পর থেকে সব যুদ্ধেই তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি একজন আল্লাহভীরু, জ্ঞানী, দুনিয়াত্যাগী এবং অনেক সতর্কবান লোক ছিলেন।
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ তাঁর সম্পর্কে বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই দুনিয়ার প্রতি কিছু না কিছু ঝোঁক ছিল কিন্তু ‘উমার এবং তার ছেলে আবদুল্লাহ ব্যতীত। তাদের দুনিয়ার প্রতি কোন ঝোঁক ছিল না।
নাফি (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) মৃত্যুবরণ করতে না করতেই এক হাজারের বেশি মানুষকে আযাদ করে দেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ওয়াহী আসার এক বছর পূর্বে। আর তার মৃত্যু হয়েছে ৭৩ হিজরীতে ইবনু যুবায়রকে হত্যা করার ৩ মাস অথবা ৬ মাস পর।
তিনি ওয়াসিয়্যাত করেছিলেন যেন তাকে হিল্লা এলাকায় দাফন করা হয়। কিন্তু হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফএর কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই তাকে যে তুয়ায় মুহাজিরদের কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তার থেকে অনেক মানুষ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
(لَا أَهْوِي بِهَا إِلَى مَكَانٍ فِي الْجَنَّةِ إِلَّا طَارَتْ بِي إِلَيْهِ) অর্থাৎ জান্নাতের যে স্থানেই আমি যেতে ইচ্ছা করি সেখানে তা আমাকে জড়িয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, যেন সেই রেশমের টুকরাটি তার জন্য পাখির ডানার মতো হয়েছিল।
মাসাবীহের ব্যাখ্যাকারী বলেন, তাঁর স্বপ্নটি এভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, তাঁর হাতের রেশমের টুকরাটি হলো তার সৎ ‘আমল। আর সেই টুকরাটির সাদা হওয়া প্রমাণ করে যে, তিনি তাঁর প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে মুক্ত।
এছাড়াও মাসাবীহ গ্রন্থে হাদীসটি এভাবে আছে যে, (سَرَقَةً مِنْ حَرِ يرٍ بَيْضَاءَ) অর্থাৎ সাদা রেশমের টুকরা এখান থেকেও স্বপ্নের ব্যাখ্যাটি নেয়া যেতে পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।