লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১২৬-[১৯] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর মা-বাপকে একত্রে উৎসর্গ হওয়ার কথা সা’দ ছাড়া আর কারো জন্য উচ্চারণ করেননি। তিনি উহুদের দিন তাকে কেন্দ্র করে বললেন, তীর নিক্ষেপ কর হে বাহাদুর যুবক! আমার পিতা ও আমার মাতা তোমার জন্য কুরবান হোন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: مَا جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَاهُ وَأُمَّهُ إِلَّا لِسَعْدٍ قَالَ لَهُ يَوْمَ أُحُدٍ: «ارْمِ فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي» وَقَالَ لَهُ: «ارْمِ أَيهَا الْغُلَام الحزور» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3753 ، 2829 وقال : حسن صحیح) * فیہ سفیان بن عیینۃ وھو مدلس عنعن وکان یدلس عن الثقات و الضعفاء و المدلسین کما حققتہ فی تخریج الفتن و الملاحم ، و قولہ :’’ ارم ایھا الغلام الحزور ‘‘ سندہ ضعیف و باقی الحدیث صحیح بالشواھد
ব্যাখ্যা: (ارْمِ فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي) আবদুর রহমান মুবারকপূরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পিতা-মাতা উভয়কে একত্রে ‘ফিদা বা উৎসর্গ করা বৈধ। এ মত পোষণ করেন জমহুর বা অধিকাংশ ‘আলিমগণ। কিন্তু এ মতের বিরোধিতা করেছেন ‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ), হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) ও কতিপয় ‘আলিমবৃন্দ এবং কোন মুসলিম তার পিতা-মাতাকে উৎসর্গ করুক এটা তারা অপছন্দ করেছেন। তবে সঠিক মত হলো সাধারণত এমনটি করা বৈধ। কেননা এর দ্বারা প্রকৃত উৎসর্গ করা হয় না। এটা শুধুমাত্র একটি কথা, সম্পর্ক ও তার জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়।
ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সাধারণত ‘ফিদা বা উৎসর্গ সংক্রান্ত অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা বৈধতার প্রতি প্রমাণ বহন করে। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৬৪)
(ارْمِ أَيهَا الْغُلَام الحزور) নিহায়াহ্ গ্রন্থকার বলেন, গোলাম হলো যে ব্যক্তি বালেগের কাছাকাছি বয়সে পৌছে।
সাইয়িদ জামালুদ্দীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে প্রকৃত অর্থ হলো যুবক, কেননা সা'দ যুদ্ধের সময় বালেগ বয়স পার করেছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)