লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১১৫-[৮] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: প্রত্যেক উম্মতেরই একজন আমীন থাকে। আর এ উম্মতের সেই আমীন হলেন আবূ উবায়দাহ্ ইবনুল জাররাহ্। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجراح. مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (4382) و مسلم (53 / 2419)، (6252) ۔ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: (وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجراح) হাফিয ইবন হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উক্ত হাদীসে আবূ উবায়দাহ্ ইবনুল জাররাহ -কে বিশেষভাবে আমানতের বা বিশ্বস্ততার গুণে গুনান্বিত করা হয়েছে, যদিও উক্ত গুণ অন্যান্য সাহাবীদের মাঝেও ছিল। কিন্তু তার মাঝে এই গুণটি অন্যান্য সাহাবীদের তুলনায় বেশি ছিল এটা বুঝানো হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, তাঁর মাঝে যতগুলো গুণ ছিল, তন্মধ্যে এ গুণটি বেশি ছিল। তাছাড়া নবী (সা.) - প্রত্যেক সাহাবীকে ভিন্ন ভিন্ন মর্যাদা ও গুণে গুণান্বিত করেছেন। যেমন 'উসমান (রাঃ)-কে লজ্জার গুণে গুনান্বিত করেছেন। আলী (রাঃ)-কে বিচারকের গুণে গুনান্বিত করেছেন। অনুরূপভাবে অন্যান্য সাহাবীদের ক্ষেত্রেও।
হাফিয ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবূ ‘উবায়দাহ্ (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ করার পূর্বে উপস্থিত সকল সাহাবী উদগ্রীব হয়েছিলেন যে, ঐ বিশ্বস্ততার গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিটি যেন আমি হই বা আমার নাম উল্লেখ করা হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ৩৭৬৭, শারহুন নাবাবী হা. ২৪১৯)