লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮১৫-[১৫] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) অনবরত কথাবার্তা বলতেন না, যেরূপ তোমরা অনবরত বলতে থাক। বরং তিনি (সা.) যখন কথাবার্তা বলতেন, তখন ধীরে ধীরে থেমে থেমে কথা বলতেন, এমনকি যদি কোন লোক তা গুণতে চাইতে, তবে তা গুনতে পারত। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)
وَعَنْهَا قَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُ الْحَدِيثَ كَسَرْدِكُمْ كَانَ يُحَدِّثُ حَدِيثًا لَوْ عَدَّهُ الْعَادُّ لَأَحْصَاهُ. مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (3567 ۔ 3568) و مسلم (160 / 2493)، (6399) ۔ (مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (সা.) একটা বলার সাথে সাথেই আরেকটা কথা বলতেন না, তথা অনর্গল কথা বলতেন না। তোমরা যেমন লাগাতার বা অনর্গল কথা বল তেমন তিনি (সা.) বলতেন না; বরং স্পষ্টভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কথা বলতেন। যেমনটি স্পষ্টভাবে সকলে কথা বুঝতে পারে। তার কথা এতই স্পষ্ট ও পরিষ্কার ছিল যে, কোন ব্যক্তি তা গণনা করতে চাইলে সে তা গণনা করতে সক্ষম হত।
নবী (সা.) -এর কথা লাগাতার ছিল না যে, একটা কথা বলে সাথে সাথেই তিনি আরেকটা কথা বলছেন। এমন করলে অনেক সময় শ্রোতার কাছে প্যাচ লেগে যায়। বরং তিনি (সা.) কথার মাঝে পার্থক্য করতেন। যদি কোন শ্রোতা তার কথা গণনা করতে চাইতেন তবে সে তা গণনা করতে পারতেন। অতএব তিনি (সা.) অত্যন্ত স্পষ্ট ও সাবলীল ভাষায় কথা বলতেন যাতে সকলে তার কথা বুঝতে পারে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)