৫৫৭১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা

৫৫৭১-[৬] সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি তোমাদের পূর্বেই হাওযে কাওসারের কাছে পৌছব। যে ব্যক্তি আমার কাছে পৌছবে, সে তার পানি পান করবে। আর যে একবার পান করবে, সে আর কখনো পিপাসার্ত হবে না। আমার কাছে এমন কিছু লোক আসবে যাদেরকে আমি চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে। অতঃপর আমার ও তাদের মাঝে আড়াল করে দেয়া হবে। তখন আমি বলব, তারা তো আমার উম্মত। তখন আমাকে বলা হবে, আপনি জানেন না, আপনার অবর্তমানে তারা যে কি সকল নতুন নতুন মত পথ তৈরি করেছে। তা শুনে আমি বলব, যারা আমার অবর্তমানে আমার দীনকে পরিবর্তন করেছে, তারা দূর হোক (অর্থাৎ এ ধরনের লোক আমার শাফা’আত ও আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب الْحَوْض والشفاعة )

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ مَنْ مَرَّ عَلَيَّ شَرِبَ وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونَنِي ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَأَقُولُ: إِنَّهُمْ مِنِّي. فَيُقَالُ: إِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ؟ فَأَقُولُ: سُحْقًا سحقاً لمن غير بعدِي . مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (6583 ۔ 6584) و مسلم (26 / 2290)، (5968) ۔ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

ব্যাখ্যা: হাওযে কাওসার জান্নাতের একটি নহর; আল্লাহ তা'আলা তা মুহাম্মাদ (সা.)-কে দান করেছেন। কিয়ামতের দিন পিপাসিত উম্মতকে তিনি তা থেকে পান করাবেন। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বাগ্রে হাওযের নিকট উপনীত হবেন। কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীসে বাহ্যিক অর্থ প্রমাণ করে এই পানি পান হাশরের হিসাবের পর এবং জাহান্নাম থেকে অব্যাহতির পর।” তবে এটা সত্য যে, তা জান্নাতে প্রবেশের পূর্বেই হবে, কারণ জান্নাতে প্রবেশের পর তার আর কোন পিপাসা থাকবে না। কাযী ‘ইয়ায় (রহিমাহুল্লাহ)-এর বক্তব্যে প্রশ্ন জাগে হিসাবের পর যারা জাহান্নাম থেকে অব্যাহতি পাবে তারা তো প্রকৃতপক্ষে সফলতাই অর্জন করেছে, এমন লোকেদের হাওযে কাওসারের পানির ঘাট থেকে দূরে তাড়িয়ে দেয়া কি বিস্ময়কর নয়?
দীনের মধ্যে যারা ইহদাস করেছে অথাৎ নতুন বিষয়ের উদ্ভব ঘটিয়েছে, বিদ্আত করেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের পানির ঘাটে পৌছতে দিবেন না বরং তাড়িয়ে দিবেন। সুহকান শব্দটি শাস্তির দু'আ অর্থ রহমত থেকে দূরে থাক। (মিরকাতুল মাফাতীহ, ফাতহুল বারী ১৩খণ্ড, ০৫ পৃ., হা. ৭০৪৯; ইবনু মাজাহ হা, ৪৩০৪)