১৮৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৭. সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে।

১৮৩৭. হুয়াইফাই (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা ’উমার (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ফিতনা-ফাসাদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য তোমাদের মধ্যে কে মনে রেখেছাে? হুইফাহ (রাঃ) বললেন, ’যেমনভাবে তিনি বলেছিলেন হুবহু তেমনিই আমি মনে রেখেছি। উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী মনে রাখার ব্যাপারে তুমি খুব দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছো। আমি বললাম, (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন) মানুষ নিজের পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশীদের ব্যাপারে যে ফিতনায় পতিত হয়, সালাত, সিয়াম, সাদকাহ, (ন্যায়ের) আদেশ ও (অন্যায়ের) নিষেধ তা দূরীভূত করে দেয়। ’উমার (রাঃ) বললেন, তা আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং আমি সেই ফিতনার কথা বলছি, যা সমুদ্র তরঙ্গের ন্যায় ভয়াল হবে।

হুযাইফা (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে ব্যাপারে আপনার ভয়ের কোনো কারণ নেই। কেননা, আপনার ও সে ফিতনার মাঝখানে একটি বন্ধ দরজা রয়েছে। উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, সে দরজাটি ভেঙ্গে ফেলা হবে, না খুলে দেয়া হবে? হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, ভেঙ্গে ফেলা হবে। উমার (রাঃ) বললেন, তাহলে তো আর কোনো দিন তা বন্ধ করা যাবে না। হুযাইফাহ (রাঃ)-এর ছাত্র শাকীক (রহঃ) বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, “উমার (রাঃ) কি সে দরজাটি সম্বন্ধে জানতেন? হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, দিনের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত, তেমনি নিশ্চিতভাবে তিনি জানতেন। কেননা, আমি তাঁর কাছে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করেছি, যা মোটেও ক্রুটিযুক্ত নয়। (দরজাটি কী) এ বিষয়ে হুযাইফাহ (রাঃ)-এর নিকট জানতে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম। তাই আমরা মাসরূক (রহঃ)-কে বললাম এবং তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, দরজাটি ’উমার (রাঃ) নিজেই।

في الفتنة التي تموج كموج البحر

حديث حُذَيْفَةَ، قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ رضي الله عنه، فَقَالَ: أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْفِتْنَةِ قُلْتُ: أَنَا، كَمَا قَالَهُ قَالَ: إِنَّكَ عَلَيْهِ (أَوْ عَلَيْهَا) لَجَرِيءٌ قُلْتُ: فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصَّوْمُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ وَالنَّهْيُ قَالَ: لَيْسَ هذَا أُرِيدُ وَلكِنِ الْفِتْنَةُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَا يَمُوجُ الْبَحْرُ قَالَ: لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْهَا بَأْسٌ، يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا قَالَ: أَيُكْسَرُ أَمْ يُفْتَحُ قَالَ: يُكْسَرُ قَالَ: إِذًا لاَ يُغْلَقَ أَبَدًا قُلْنَا: أَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ الْبَابَ قَالَ: نَعَمْ كَمَا أَنَّ دُونَ الْغَدِ اللَّيْلَةَ إِنِّي حَدَّثْتُهُ بِحَدِيثٍ لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ فَأَمَرْنَا مَسْرُوقًا، فَسَأَلَهُ فَقَالَ: الْبَابُ عُمَرُ