২৩১২

পরিচ্ছেদঃ ৮. (স্ত্রীর সাথে) যিহার করা প্রসঙ্গে

২৩১২. সালামা ইবন সাখর আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন একজন পুরুষ যে নারী সংসর্গে এত বেশি অভ্যস্ত যে অন্য কেউই আমার মতো ছিল না। রমযান মাস আসলে আমার আশংকা হয় যে, হয়তো কোন রাত্রে যদি স্ত্রী সঙ্গত হয়ে পড়ব, অত:পর হয়তো সকাল পর্যন্ত তাতে লিপ্ত থাকবো। ফলে তা আতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করি। এক রাতে আমার স্ত্রী আমার খেদমত করছিল। হঠাৎ তার শরীরের এমন কিছু আমার সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে যার ফলে আমি তার উপর উপগত হওয়া হতে আর বিলম্ব করতে পারলাম না। সকাল হয়ে এলে আমি ভোরেই আমার কাওমের লোকদের কাছে যাই এবং তাদেরকে আমার বিষয়ে অবহিত করে বলি, তোমরা আমার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চল।

তারা বললঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা তোমার সাথে যাবোনা। আমাদের আশংকা হয়, তোমার বিষয়ে হয়তো কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়ে যাবে অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয়তো তোমার বিষয়ে এমন কোন কথা বলে বসবেন যার লজ্জা আমাদের উপর থেকে যাবে। বরং তোমার অপকর্মের দরুণ অবশ্যই আমরা তোমাকে সোপর্দ করছি।

এরপর আমি নিজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম এবং আমার বিষয়টি তাকে বিস্তারিত বর্ণনা করলাম।

তখন তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)?

আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)।

তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)?

আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)।

তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)?

আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)।

আর এইতো আমি এখানেই আছি। আর আমার প্রতি সবর করে আছি। আপনি আমার বিষয়ে আল্লাহর বিধান জারী করুন।

তিনি বললেনঃ “একটা গোলাম আযাদ কর।”

আমি আমার ঘাড়ের উপর হাত দিয়ে আঘাত করে বললামঃ সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করছেন, আজ সকাল পর্যন্ত আমার এ গর্দানটি ছাড়া আমি আর কারো গর্দানের মালিক নই।

তিনি বললেনঃ “তাহলে দুই মাস লাগাতার সিয়াম পালন কর।”

আমি বললামঃ যে মুসীবতে পড়লাম, তা কি এ সিয়াম ছাড়া আর কোন কারণে ছিল?

তিনি বললেনঃ “তবে ষাট জন মিসকীনকে এক ওয়াসাক (ষাট সা’আ) খেজুর খাওয়াও।”

আমি বললামঃ কসম সে সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন, আজকের এ রাতটিও তো আমরা ভুখা কাটিয়েছি। রাতের খাবার বলতেও কিছু ছিলনা আমাদের।

তিনি বললেনঃ “বানু যুরায়কের সাদাকা প্রদানকারীর কাছে যাও এবং (তাকে বল,) সে যেন তোমাকে সেই সাদকা দিয়ে দেয়। আর (তাথেকে) তুমি এক ওয়াসাক (ষাট সা’) খাদ্য ষাট জন মিসকীনকে তোমার পক্ষ থেকে আহার করাও। আর বাকীটা তুমি ও তোমার পরিবারের আহার্যের ব্যাবস্থা কর।”

তিনি বলেন, এর পর আমি আমার কওমে ফিরে এলাম। তাদের বললামঃ তোমাদের কাছে তো কেবল সংকীর্ণতা ও মন্দ পরামর্শই পেলাম আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পেলাম উদারতা এবং উত্তম পরামর্শ। আর তোমাদের সাদকা সমূহ আমার কাছে দিয়ে দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।[1]

بَاب فِي الظِّهَارِ

حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِيِّ قَالَ كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنْ النِّسَاءِ مَا لَا يُصِيبُ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ فِي لَيْلِي شَيْئًا فَيَتَتَابَعَ بِي ذَلِكَ إِلَى أَنْ أُصْبِحَ قَالَ فَتَظَاهَرْتُ إِلَى أَنْ يَنْسَلِخَ فَبَيْنَا هِيَ لَيْلَةً تَخْدُمُنِي إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَمَا لَبِثْتُ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ وَقُلْتُ امْشُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا لَا وَاللَّهِ لَا نَمْشِي مَعَكَ مَا نَأْمَنُ أَنْ يَنْزِلَ فِيكَ الْقُرْآنُ أَوْ أَنْ يَكُونَ فِيكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَالَةٌ يَلْزَمُنَا عَارُهَا وَلَنُسْلِمَنَّكَ بِجَرِيرَتِكَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ خَبَرِي فَقَالَ يَا سَلَمَةُ أَنْتَ بِذَاكَ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ قَالَ يَا سَلَمَةُ أَنْتَ بِذَاكَ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ قَالَ يَا سَلَمَةُ أَنْتَ بِذَاكَ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا صَابِرٌ نَفْسِي فَاحْكُمْ فِيَّ مَا أَرَاكَ اللَّهُ قَالَ فَأَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ فَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِي فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قُلْتُ وَهَلْ أَصَابَنِي الَّذِي أَصَابَنِي إِلَّا فِي الصِّيَامِ قَالَ فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ سِتِّينَ مِسْكِينًا فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا وَحْشَى مَا لَنَا طَعَامٌ قَالَ فَانْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ وَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ بَقِيَّتَهُ أَنْتَ وَعِيَالُكَ قَالَ فَأَتَيْتُ قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمْ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْيِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّعَةَ وَحُسْنَ الرَّأْيِ وَقَدْ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ