লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬. মাখযূমী নারীর হাদীসে যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনাগত পার্থক্য
৪৮৯৮. ইমরান ইবন বাক্কার (রহঃ) ... শু’আয়ব যুহরী হতে, তিনি উরওয়া হতে এবং তিনি আয়েশা (রাঃ) থেকে। তিনি বলেন, এক নারী এমন লোকের মারফত অলংকার ধার করতো, যাদেরকে তারা চিনতো, কিন্তু ঐ নারীকে তারা চিনতো না। এরপর সে তা বিক্রি করে মূল্য রেখে দিত। পরে ঐ নারীকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আনা হলো। তার আত্মীয়গণ উসামা ইবন যায়দকে সুপারিশ করতে বললেন। উসামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আরয করলে তাঁর চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে গেল, অথচ উসামা (রাঃ) আরয করতেই থাকলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি কি আল্লাহ্ তা’আলার নির্ধারিত শাস্তির বিরুদ্ধে সুপারিশ করছো?
উসামা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। সেই সন্ধ্যায়ই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর হামদ আদায় করলেন, যেরূপ তাঁর হক আছে। এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের পূর্বেকার লোক এজন্যই ধ্বংস হয়েছে যে, যখন তাদের মধ্যে কোন ধনী লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত; আর যখন গরীব লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার জীবন। যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করতো তবে আমি তার হাত কাটার আদেশ দিতাম। পরে ঐ মহিলার হাত কাটা হয়।
ذِكْرُ اخْتِلَافِ أَلْفَاظِ النَّاقِلِينَ لِخَبَرِ الزُّهْرِيِّ فِي الْمَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اسْتَعَارَتْ امْرَأَةٌ عَلَى أَلْسِنَةِ أُنَاسٍ يُعْرَفُونَ وَهِيَ لَا تُعْرَفُ حُلِيًّا فَبَاعَتْهُ وَأَخَذَتْ ثَمَنَهُ فَأُتِيَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَعَى أَهْلُهَا إِلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَكَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُكَلِّمُهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَشْفَعُ إِلَيَّ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ فَقَالَ أُسَامَةُ اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّتَئِذٍ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّمَا هَلَكَ النَّاسُ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ الشَّرِيفُ فِيهِمْ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ الضَّعِيفُ فِيهِمْ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا ثُمَّ قَطَعَ تِلْكَ الْمَرْأَةَ
It was narrated that 'Aishah said:
"A woman borrowed some jewelry, saying that other people whose names were known but hers was not then she sold it and kept the money. She was brought to the Messenger of Allah, and her people went to Usamah bin Zaid, who spoke to the Messenger of Allah concerning her. The face of ht Messenger of Allah changed color while he was speaking to him. Then the Messenger of Allah said to him: 'Are you interceding with me concerning one of ht Hadd punishments decreed by Allah?' Usamah said: 'Pray for forgiveness for me, O Messenger of Allah! Then the Messenger of Allah stood up that evening, he praised and glorified Allah, the mighty and sublime, as he deserves, then he said: 'The people who came before you were destroyed because, whenever a noble person among them stole, they let him go. But if a low-class person stole, they would carry out the punishment on him. By the One in whose hand is the soul of Muhammad, if Fatimah bint Muhammad were to steal, I would cut off her hand.' Then he cut off that woman."