৩৯৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. আত্মাভিমান

৩৯৬৬. ইউসুফ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... মুহাম্মদ ইবন কায়স ইবন মাখরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আমার ব্যাপারে কি তোমাদের কাছে বর্ণনা করব না? আমরা বললাম, করবেন না কেন? তিনি বললেনঃ যে রাতে তাঁর অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমার কাছে থাকার কথা, সেই রাত যখন আসল, তিনি (ইশার সালাত আদায়ের পর) ফিরে আসলেন। তারপর তাঁর জুতাগুলো পায়ের দিকে রাখলেন। চাদর খুলে রাখলেন। ইযারের এক পার্শ্ব বিছানার উপর বিছালেন। তারপর মাত্র এতটুকু সময় অবস্থান করলেন, যতক্ষণে তার ধারণা হল আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। তারপর আস্তে করে জুতা পরলেন, আস্তে চাদর নিলেন, তারপর আস্তে করে দরজা খুললেন এবং আস্তে করে বের হলেন এবং আস্তে করে দরজা বন্ধ করলেন। আর আমি মাথার দিক থেকে আমার কামিজটি পরিধান করলাম, ওড়না পরলাম, চাদরটি গায়ে দিয়ে আবৃত হলাম, তারপর তার পিছনে চলতে লাগলাম। তিনি বাকী পর্যন্ত আসলেন এবং তিনবার হাত উঠালেন, বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন, তারপর ফিরে আসছিলেন।

আমিও ফিরে আসছিলাম, তিনি তীব্রগতিতে হাঁটলে আমিও তীব্র গতিতে চললাম। তিনি একটু দৌড়ে চললেন, আমিও একটু দৌড়ে চললাম। পরিশেষে তিনি বাড়িতে পৌছে গেলেন। তবে আমি তার একটু আগে পৌছলাম। ঘরে প্রবেশ করেই শুয়ে গেলাম। তিনিও প্রবেশ করলেন এবং বললেনঃ হে আয়েশা! তোমার কি হয়েছে, পেট ফোলা দেখা যাচ্ছে ও হাঁপাচ্ছ যে? আয়েশা (রাঃ) বললেন, না তো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হয় তুমি আমাকে বলবে, নয়ত আমাকে সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত সত্তা জানিয়ে দিবেনই।

আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার পিতামাতা আপনার উপর উৎসর্গ হোক এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঘটনাটি খুলে বললাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তুমিই সেই ছায়ামূর্তি যা আমি আমার আগে আগে দেখছিলাম। আয়েশা (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বলেন, তখন তিনি আমার বুকের উপর এমন এক মুষ্ঠাঘাত করলেন, যা আমাকে ব্যথা দিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি মনে করেছ যে, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর যুলুম করবেন? আয়েশা (রাঃ) বললেন, লোক যতই গোপন করুক না কেন, আল্লাহ্ তা নিশ্চিত জানেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ।

তারপর বললেন, তুমি যখন আমাকে দেখছিলে তখন জিবরীল (আঃ) আমার কাছে এসেছিলেন, তখন তুমি পোশাক রেখে দিয়েছিলে বলে জিবরীল (আঃ) প্রবেশ করেনি। তিনি তোমার থেকে গোপন করে আমাকে ডাকলেন, আমিও তোমাকে না শুনিয়ে উত্তর দিলাম। আমি ধারণা করলাম, তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ এবং শংকিত ছিলাম যে, (তোমাকে জাগিয়ে দিলে একাকীত্ব অনুভব করার কারণে) তুমি ভয় পাবে। জিবরীল (আঃ) আমাকে বাকীতে অবস্থানকারীদের (মৃত ব্যক্তিদের) কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন, যেন তাদের জন্য ক্ষমা চাই।

بَاب الْغَيْرَةِ

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ الْمِصِّيصِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تُحَدِّثُ قَالَتْ أَلَا أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْنَا بَلَى قَالَتْ لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِي الَّتِي هُوَ عِنْدِي تَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْقَلَبَ فَوَضَعَ نَعْلَيْهِ عِنْدَ رِجْلَيْهِ وَوَضَعَ رِدَاءَهُ وَبَسَطَ طَرَفَ إِزَارِهِ عَلَى فِرَاشِهِ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا رَيْثَمَا ظَنَّ أَنِّي قَدْ رَقَدْتُ ثُمَّ انْتَعَلَ رُوَيْدًا وَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا ثُمَّ فَتَحَ الْبَابَ رُوَيْدًا وَخَرَجَ وَأَجَافَهُ رُوَيْدًا وَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي وَاخْتَمَرْتُ وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي فَانْطَلَقْتُ فِي إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ انْحَرَفَ فَانْحَرَفْتُ فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ وَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ فَلَيْسَ إِلَّا أَنْ اضْطَجَعْتُ فَدَخَلَ فَقَالَ مَا لَكِ يَا عَائِشَةُ حَشْيَا رَابِيَةً قَالَتْ لَا قَالَ لَتُخْبِرِنِّي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ قَالَ فَأَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُهُ أَمَامِي قَالَتْ نَعَمْ قَالَتْ فَلَهَدَنِي فِي صَدْرِي لَهْدَةً أَوْجَعَتْنِي ثُمَّ قَالَ أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ قَالَتْ مَهْمَا يَكْتُمْ النَّاسُ فَقَدْ عَلِمَهُ اللَّهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَام أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ وَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ فَنَادَانِي فَأَخْفَى مِنْكِ فَأَجَبْتُهُ فَأَخْفَيْتُ مِنْكِ فَظَنَنْتُ أَنْ قَدْ رَقَدْتِ وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَ أَهْلَ الْبَقِيعِ فَأَسْتَغْفِرَ لَهُمْ رَوَاهُ عَاصِمٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ عَنْ عَائِشَةَ عَلَى غَيْرِ هَذَا اللَّفْظِ


'Aishah said: "Shall I not tell you about the Prophet and I?" We said: "Yes." She said: "When it was my night when he" -meaning the Prophet- "was with me, he came in, placed his shoes by his feet, lay down his Rida' (upper garment), and spread the edge of his Izar (lower garment) on his bed. As soon as he thought that I had gone to sleep, he put his shoes on slowly, and picked up his Rida' slowly. Then he opened the door slowly, went out and shut it slowly. I put my garment over my head, covered myself and put on my Izar (lower garment), and I set out after him until he came to Al-Baqi', raised his hands three times and stood there for a long time. Then he left and I left, he hurried and I hurried, he ran and I ran, and I got there before him and entered (the house). I had only just laid down when he came in and said: 'O 'Aishah, why are you out of breath?' She said: 'No.' He said: 'Either you tell me or Allah, the All-Aware, All-Knowing, will tell me.' I said: 'O Messenger of Allah, may my father and mother be sacrificed for you;' and I told him the story. He said: 'You were the black shape I saw in front of me?' I said: 'Yes.'" She said: "He gave me a shove in the chest that hurt me and said: 'You thought that Allah and His Messenger would be unfair to you.' She said: 'Whatever people conceal, Allah knows it.' He said: 'Yes.' He said: 'Jibril came to me when you saw (me leave) but he did not enter upon you because you have taken off your garments. So he called me but he concealed himself from you, and I answered him, but I concealed it from you. I thought that you had gone to sleep and I did not want to wake you, and I was afraid that you would feel lonely. He told me to go to Al-Baqi' and pray for forgiveness for them.'" 'Asim reported it from 'Abdullah bin 'Amir, from 'Aishah, with a wording different from this.