লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মাহরের ব্যাপারে ইনসাফ করা
৩৩৫২. আলী ইবন হুজুর ইবন আয়াস ইবন মুকাতিল ইবন মুশামরিখ ইবন খালিদ (রহঃ) ... আবুল আজফা (রহঃ) বলেন, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেনঃ হুশিয়ার! তোমরা নারীর মাহরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, কেননা যদি তা দুনিয়ায় উত্তম কার্য হতো, তাহলে তোমাদের চেয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অধিক উপযুক্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীকে বা তার কন্যাদের কারও বার আওকিয়ার অধিক মাহর দেননি। কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অধিক মাহর দান করে, শেষ পর্যন্ত ঐ স্ত্রীলোকের প্রতি ঐ ব্যক্তির অন্তরে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এমন কি সে বলে, তোমার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি। রাবী বলেন, আমি ছিলাম জন্ম সূত্রে আরবী, তাই (عِلْقُ الْقِرْبَةِ) ’মশকের রশির অর্থ কি তা আমি বুঝি না। অপরজন তাকে বললোঃ তোমাদের যুদ্ধে যারা নিহত হয়, অথবা মারা যায়। বলা হয় যে, সে শহীদ হিসাবে মারা গেছে, সম্ভবত সে তার বাহনের পিঠে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে, অথবা তার বাহনের পিঠে-হাওদা লাগিয়েছে স্বর্ণ ও চাঁদি দিয়ে পূর্ণ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। তাই তোমরা শহীদি মৃত্যু হয়েছে না বলে এরূপ বল, যেরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তা হলো এইঃ যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় অথবা মারা যায়, সে জান্নাতে প্ৰবেশ করবে।
الْقِسْطُ فِي الْأَصْدِقَةِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ مُقَاتِلِ بْنِ مُشَمْرِخِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَيُّوبَ وَابْنِ عَوْنٍ وَسَلَمَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ سَلَمَةُ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ نُبِّئْتُ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ وَقَالَ الْآخَرُونَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَلَا لَا تَغْلُوا صُدُقَ النِّسَاءِ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ مَكْرُمَةً وَفِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ كَانَ أَوْلَاكُمْ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَصْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُغْلِي بِصَدُقَةِ امْرَأَتِهِ حَتَّى يَكُونَ لَهَا عَدَاوَةٌ فِي نَفْسِهِ وَحَتَّى يَقُولَ كُلِّفْتُ لَكُمْ عِلْقَ الْقِرْبَةِ وَكُنْتُ غُلَامًا عَرَبِيًّا مُوَلَّدًا فَلَمْ أَدْرِ مَا عِلْقُ الْقِرْبَةِ قَالَ وَأُخْرَى يَقُولُونَهَا لِمَنْ قُتِلَ فِي مَغَازِيكُمْ أَوْ مَاتَ قُتِلَ فُلَانٌ شَهِيدًا أَوْ مَاتَ فُلَانٌ شَهِيدًا وَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ قَدْ أَوْقَرَ عَجُزَ دَابَّتِهِ أَوْ دَفَّ رَاحِلَتِهِ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا يَطْلُبُ التِّجَارَةَ فَلَا تَقُولُوا ذَاكُمْ وَلَكِنْ قُولُوا كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ مَاتَ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ
It was narrated that Abu Al-'Ajfa' said:
"Umar bin Al-Khattab said: 'Do not go to extremes with regard to the dowries of women, for if that were a sign of honor and dignity in this world, or a sign of piety before Allah, the Mighty and Sublime, then Muhammad would have done that before you. But he did not give any of his wives, and none of his daughters were given, more than twelve Uqiyyah. A man may increase the dowry until he feels resentment against her and says: You cost me everything I own ('Alaqul-Qirbah)'" "And I was a man born among the 'Arabs, but I did not know the meaning of 'Alaqul-Qirbah' and others of you are saying -about those killed in this or that battle of yours, or who died: 'So-and-so was martyred' or 'so and so died as a martyr.' While perhaps he merely overloaded the backside of his beast, or lined his saddle with gold or silver seeking trade. So do not say that, rather say as the Prophet said: 'Whoever is killed in the cause of Allah, or dies, then he is in Paradise.'"